জাতীয়

সাত লাখ টাকার সঙ্গে বাবা-মা পেল ময়লার স্তূপে পড়ে থাকা নবজাতক!

মাদারীপুর পৌরসভা অফিস সংলগ্ন বটতলা এলাকার সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নবজাতক। সাত লাখ টাকার সঙ্গে বাবা-মা ও নতুন ঠিকানা পেল সেই নবজাতক!

বৃহস্পতিবার বিকালে সাত লাখ টাকা শিশুর নামে ব্যাংক জামানতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর সরকারি চাকরিজীবী নিঃসন্তান দম্পতিকে আদালতের মাধ্যমে দত্তক দেয়া হয়।

জানা যায়, ময়লার স্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতককে দত্তক নিতে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন আগ্রহী ১৯ জন দম্পতি। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদের এজলাসে শুনানিতে অংশ নেন আবেদনকারীরা। তিন ঘণ্টা ধরে চলে শুনানি।

প্রথম পর্যায়ে ১৫ জন বাদ পড়লে বাকি ৪ জনের যোগ্যতা অনুসারে আবারো চলে শুনানি। পরে ৭ লাখ টাকা ব্যাংক জামানতে রাজবাড়ী জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত মরিয়ম আক্তার ও আজিবর হাওলাদার নিঃসন্তান দম্পতিকে নবজাতক দত্তক দেন মাদারীপুরের আদালত। ওই দম্পতির ১৩ বছরের সংসার জীবনে নেই কোনো সন্তান।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটির সব দায়িত্ব ওই দম্পতিকে দিয়েছেন আদালত। পরিচয়হীন শিশুটি নতুন ঠিকানা পাওয়ায় সবাই খুশি। সাতদিনের মাথায় নবজাতকের নামকরণ করা হবে। আর এখন থেকে বাবা ও মায়ের পুরো দায়িত্ব পালন করবেন দত্তক নেওয়া ওই দম্পতি।

দত্তক নেয়া মরিয়ম আক্তার বলেন, আমাদের কোনো সন্তান নেই। আদালতের সিদ্ধান্ত মতে আমরা মেয়েটিকে মানুষ করে তুলবো। আমাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের যা সম্পত্তি আছে, সবকিছুই এই মেয়ের নামে লিখে দিব।

মাদারীপুর আদালতের আইনজীবী রুবিনা আক্তার বলেন, ১৯ জনের মধ্যে আদালত মরিয়ম ও আজিবর দম্পতিকে বেছে নিয়েছেন। তাদের যোগ্যতা অনুসারে আদালত এই সিদ্ধান্ত দেন। আশা করছি, মেয়েটি নতুন মা-বাবার পরিচয়ে আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার মাদারীপুর শহরের পৌরসভা অফিস সংলগ্ন বটতলা এলাকার সড়কের পাশ থেকে কম্বলে পেঁচানো এক ফুটফুটে নবজাতক উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। মেয়েটি এখনো জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *