আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার বিশেষ অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার চলছে বলে হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) সগির মিয়া জানান, কারাগারে প্রবেশের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালে আঘাত চিহ্নিত হয় এবং রক্তক্ষরণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে বিকাল সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। আদালতে তোলার সময় তার ওপর হামলা চালায় একদল উশৃঙ্খল যুবক। এছাড়া ডিম ও জুতা নিক্ষেপও করে।
শুক্রবার রাতে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। বিজিবির হাতে আটকের আগেও তিনি মারধরের শিকার হন বলে জানা যায়।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে যা বললেন বিচারপতি মানিক
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।\
শনিবার বিকার ৪টা ১০ মিনিটে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালতে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আসামি সাবেক বিচারপতি হওয়ায় আদালত জেলকোড অনুসারে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। \
এ ছাড়াও আসামি আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত এই বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলকোড অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের কোর্ট ইনসপেক্টর জামসেদ আলম।
তিনি বলেন, এইচ এম শামসুদ্দিন মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে কোর্টের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক বিচারপতি মানিককে আদালতে হাজির করার সময় অনেকে তার দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন। এ সময় কয়েকজন হামলার চেষ্টাও চালান। পরে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে তাকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি।
পরে শনিবার ভোরে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।