বিনোদন

সেই বিতর্কিত দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন তামান্না

লড়াই করতে করতে খসে পড়ছে পোশাকের আস্তরণ। লড়াইয়ের মাঝেই ঠোঁট রাঙিয়ে দিচ্ছে পুরুষ যোদ্ধা। আবার কখনো কাজল পরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু সবটাই জোর করে।— এমনই একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। তার বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস।

‘বাহুবলী’ সিনেমাতে বাহুবলী ও অবন্তিকার যুদ্ধের দৃশ্য এমনভাবেই নির্মাণ করা হয়েছিল। এ দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল তুঙ্গে। দৃশ্যকে ধর্ষণের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে কথা বললেন তামান্না ভাটিয়া।

সম্মতি ছাড়া মিলনকে সাধারণত যৌন হেনস্তা কিংবা ধর্ষণই বলা হয়। এ দৃশ্যেও দেখা যায়, যুদ্ধ করার কোনো ইচ্ছাই নেই। বরং সহযোদ্ধার পোশাক খুলতেই উদ্যত বাহুবলী।—এমন দৃশ্যের সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। প্রতিবেদনটির নাম ছিল ‘অবন্তিকার ধর্ষণ’। কিন্তু এ দৃশ্যকে ধর্ষণ বলে মানতে নারাজ তামান্না ভাটিয়া। তিনি বলেন, এক পুরুষের সাহায্যে অবন্তিকা নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন।

তামান্না বলেন, কেউ যদি মনে করে যৌনতা ও শরীর এগুলো খারাপ বিষয়, তাহলে বলতে হয়— এটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। পরিচালক খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। যা আপনাদের চোখে ধরা পড়ল অন্যকিছুতেই। তিনি বলেন, এটি মানুষের ভাবনাচিন্তা। তার দায় তো আমি নেব না। একজন সৃজনশীল মানুষ হিসাবে আমি এ দৃশ্যকে ধর্ষণ বলে মানি না।

এক পুরুষের মধ্যে সে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন। সিনেমার পরিচালক ছিলেন এসএস রাজামৌলি। তামান্না বলেন, রাজামৌলি স্যার আমাকে দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছিলেন। অবন্তিকা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন— অবন্তিকা ভীষণভাবে নারীসুলভ। কিন্তু সে আহত। সে সুন্দরী। সে প্রেম চায়। কিন্তু জীবনে প্রবল কষ্ট পেয়েছে, তাই সব কিছু সে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। নিজের গণ্ডির মধ্যে কাউকে সে আসতে দিতে দ্বিধাবোধ করে। পরে কেউ তাকে ব্যবহার করে। কিন্তু এ পুরুষটি অবন্তিকাকে ফের বোঝাতে সক্ষম হয়, সে কতটা সুন্দর।— এমন দৃশ্য নিয়ে ওঠা বিতর্কে তাই কান দিতে নারাজ তামান্না।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রীকে আগামী দিনে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে একটি ছবিতে দেখা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *