ডলার সংকট সমাধানে ব্যাংকগুলোতে ডলারের দর বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে অনুৎসাহিত হচ্ছে প্রবাসীরা। ফলে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স ব্যাপকহারে কমে গেছে, যা ছিলো তার আগের সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে সৌদি আরবের প্রবাসীরা। দেশটি থেকে এসময় প্রবাসী আয় আসে ৩০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রেমিট্যান্স পাঠানোয় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা। দেশটি থেকে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ২৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এছাড়া তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরব আমিরাত। দেশটি থেকে এসময় ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রবাসী আয় এসেছে।
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, কুয়েত থেকে ১১ কোটি ৭৯ লাখ, কাতার থেকে ১১ কোটি ৩৮ লাখ, মালয়েশিয়া থেকে ৭ কোটি ৮৩ লাখ, ইতালি থেকে ৮ কোটি ৬৫ লাখ, ওমান থেকে ৪ কোটি ৫ লাখ এবং বাহরাইন থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা রেমিট্যান্স আসে।
দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কমেছে প্রবাসী আয়। দেশে গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, যা সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। প্রবাসীদের এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার কম। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার।
গত এপ্রিল থেকে দেশে ডলারের সংকট দেখা দেয়। এরপর ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে ডলার সংগ্রহ শুরু করে। ফলে গত এপ্রিল, জুলাই ও আগস্টে ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এরপরেও ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম রেমিট্যান্স আসে।
২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ বা ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ বা ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।