দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘চিন্তার দৈন্যের বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তার প্রশ্ন, “স্বাস্থ্যখাত যদি ধ্বংসই হয়, তাহলে এই করোনাভাইরাসের তিনটি ঢেউয়ে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কার্যকরভাবে, ভালোভাবে কীভাবে বাংলাদেশ মোকাবেলা করল?”
শুক্রবার ঢাকার মিন্টো রোডে নিজের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি মির্জা ফখরুলের আগের দিনের মন্তব্য ধরে কথা বলছিলেন।
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে গেছে, ভঙ্গুর হয়ে গেছে। আমরা সেটা লক্ষ্য করেছি করোনা সংক্রমণ যখন এল, সেই সময়ে আমরা দেখলাম, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধবংস হওয়ার বিষয়টি।”
ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, “তারা যে সব কিছুতে কিন্তু খোঁজে এবং তাদের যে চিন্তার দৈন্য, তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে গতকাল স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে।”
কোভিড টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “১৩০টি দেশ যখন টিকা দেওয়া শুরুই করেনি, তখন বাংলাদেশ টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে এবং একসাথে কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
“এছাড়া বস্তিবাসী মানুষ… বিনা রেজিস্ট্রেশনে যেভাবে টিকা দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের মত এমন জনবহুল দেশে এবং এমন উন্নয়নশীল দেশে, এমন কার্যক্রম কমই হয়েছে। যে কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক কার্যকরভাবে এই মহামারী মোকাবেলা করতে স্ক্ষম হয়েছে।”
মহামারীর সময়ে দেশের মানুষ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়নি দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের মহাসচিবও প্রশংসা করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রশংসা করে, মির্জা ফখরুল সাহেবরা করতে পারে না, এটা হচ্ছে তাদের চিন্তার দৈন্য।”
মতবিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম নিয় প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমতির দিকে। পেঁয়াজ এবং শাকসবিজি থেকে শুরু করে মুরগি এগুলোর দাম কমতির দিকে। সরকার মনিটরিং করছে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
“তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এবং তাদের অনেক মিত্র, তারা অসাধু ব্যবসায়ী, যারা সিন্ডিকেট করে, তাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছে পণ্যের মজুদ করার জন্য এবং পণ্য মূল্য বাড়ানোর জন্য।”
হাছনের অভিযোগ, বিএনপি একদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে, অন্যদিকে মজুদদার, অসাধু ব্যবসায়ীদের ‘উৎসাহ দেয়’ পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য।
“কিন্তু নানামুখি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে পণ্যের মূল্য এখন কমতির দিকে।”