হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে সৌদি আরবের কাছে ৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন গণমাধ্যমের বরাতে দোহাভিত্তিক আল-জাজিরা এমন খবর দিয়েছে।
এটাকে ‘নৈতিক অবনমন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন একজন বিশেষজ্ঞ।
ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কংগ্রেসকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবহিত করেছে যে রিয়াদের কাছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে এবং আকাশ থেকে ভূমিতে হামলায় সক্ষম অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে তারা। যার মূল্য ৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
সরাসরি সৌদি আরবের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করতে সক্ষম হবে মার্কিন অস্ত্র প্রস্তুতকারী রেইথন প্রযুক্তি কর্পোরেশন। তবে তার আগে কারখানাটিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স পেতে হবে।
আর ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, চুক্তি অনুসারে উপসাগরীয় দেশটিতেও অস্ত্র উৎপাদন করা হতে পারে। ২০১৯ সাল থেকে এই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়ে আসছে।
এছাড়া এই চুক্তিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে। যার মূল্য হবে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। সৌদি আরবের একজন গোঁড়া সমর্থক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘন, সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা ও ইয়েমেন যুদ্ধের ঘটনায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ব্যক্তিগতভাবে সুরক্ষা দিয়ে আসছেন ট্রাম্প।
সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির অস্ত্র ও নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক উইলিয়াম হারটুং বলেন, সৌদি আরব যখন ইয়েমেনে বোমা হামলা চালিয়ে হাজার হাজার বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করছে, তখন দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির সময় এটি না। এটাকে জঘন্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।