খেলাধুলা

৬ ছক্কার ইনিংসে স্টয়নিসের রেকর্ড

চোখের পলকে ম্যাচের রঙ বদলে দেওয়ার পথে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এক প্রান্তে ধুঁকছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। অন্য প্রান্তে উইকেট পড়ছিল নিয়মিত। বাড়ছিল বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান। জেঁকে বসছিল আরেকটি হারের শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মার্কাস স্টয়নিস এক ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন সব দুশ্চিন্তা। গড়লেন দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।

পার্থে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রলিয়া। শ্রীলঙ্কার ১৫৭ ছাড়িয়ে গেছে ২১ বলে।

রান তাড়ায় ত্রয়োদশ ওভারে ৮৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ঝড়ো ফিফটিতে দলকে আসরে প্রথম জয় এনে দিলেন স্টয়নিস।

১৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম ও বিশ্বকাপ ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এখন তার। ১৮ বলে ৫৯ রানের খুনে ইনিংস খেলার পথে ৬ ছক্কার সঙ্গে মারেন চারটি চার।

এতদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল যৌথভাবে ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। তারা পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন ১৮ বলে। ওয়ার্নার করেছিলেন ২০১০ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। পরে ম্যাক্সওয়েল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রেকর্ড স্পর্শ করেন। পরে ২০১৬ সালে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবার ফিফটি করেন তিনি ১৮ বলে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম আসরেই ১২ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি। সেদিন স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে হাঁকান ছয় ছক্কা।

বাংলাদেশে হওয়া ২০১৪ সালের আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ বলে ফিফটি করেছিলেন স্টেফান মাইবার্গ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের এই ওপেনারের পাশেই বসলেন স্টয়নিস।

স্টয়নিস ব্যাটিংয়ে নামার সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৪৬ বলে ৬৯ রান। স্টয়নিসের তাণ্ডবে স্রেফ ২৫ বলেই এ রান করে ফেলেছে স্বাগতিকরা! যেখানে তার একার অবদান ৫৯ রান। আরেক প্রান্তে থাকা অধিনায়ক ফিঞ্চের এ জুটিতে অবদান স্রেফ ৭ রান।

মুখোমুখি তৃতীয় বলেই প্রথম বাউন্ডারি মারেন স্টয়নিস। দাসুন শানাকার করা পরের ওভারে হাঁকান আরও দুইটি চার। বাজে দিন কাটানো ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দুই ছক্কায় ওড়ান তিনি। সেই ওভারে একটি চারও মারেন স্টয়নিস। তাকে থামাতে তখন পর্যন্ত ম্যাচের সেরা বোলার মাহিশ থিকসানাকে ডাকেন লঙ্কান অধিনায়ক।

স্টয়নিস তাতে দমে যাননি। উল্টো থিকশানাকে তিন ছক্কায় উড়িয়ে মাত্র ১৭ বলেই তুলে নেন নিজের ফিফটি। পরে ছন্দে থাকা পেসার লাহিরু কুমারা বোলিংয়ে এলে তাকেও ছক্কায় ভাসান স্টয়নিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *