জাতীয়

নির্বাচনী সহিংসতায় ঝরল ৪ প্রাণ

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সহিংসতায় ঝরল ৪ প্রাণ। বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় বুধবার বেলা ১১টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের সিংহরা এলাকায় এ সংঘাত হয়।

আনোয়ারা থানার পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, নিহত যুবকের নাম অংকুর দত্ত (৩৫)। তিনি সিংহরা দত্তবাড়ি এলাকার নেপাল দত্তের ছেলে। সকালে সিংহরা রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তিনি সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন।

তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রের এক কিলোমিটার দূরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা মারামারিতে জড়ায়। এ সময় ইট ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় অংকুরকে। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ দৃশ্য দেখে এক নারী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ওই নারীর নাম সুমেলা খাতুন (৫০)। তিনি স্থানীয় চরডালুটিয়া গ্রামের মো. মাহাতাব আলীর স্ত্রী।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলায় দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভোটকেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সুমেলা এই দৃশ্য দেখে স্ট্রোক করেন। পরে তাকে বাড়িতে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি সো. জাকারিয়া হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একটি ভোটকেন্দ্রের পাশে আবু তাহের নামে এক মেম্বার প্রার্থীর সমর্থককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার জুম্মাবাড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জুম্মাবাড়ি আদর্শ কলেজ কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।

ভোট চলাকালে কেন্দ্রের বাইরে টিউবওয়েল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী আইজল মিয়ার সমর্থক আবু তাহেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী পাখা প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী রাসেল আহমেদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মামুদপুর গ্রামের মো. ওমর আলীর ছেলে আবু তাহেরকে একা পেয়ে রাসেলের কর্মীরা হাসুয়া দিয়ে তার কলা কেটে দেয়। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তাহেরের মৃত্যু হয়।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, জুম্মারবাড়ির একটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় আবু তাহের নিহত হয়েছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *