জাতীয়

রাস্তাঘাটের দশা নিয়ে সংসদে ক্ষোভ

রাস্তাঘাটের দুরবস্থার কারণে নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ-সদস্য এসএম শাহজাদা।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, অনেকগুলো কাজ, স্কুল-প্রতিষ্ঠান টেন্ডার হওয়ার পর থেকে সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অর্ধ সমাপ্ত হয়ে আছে। এখন অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, ওই রাস্তার কাজ যদি না ধরত তাহলেই ভালো হতো। কাজগুলো থেমে থাকার কারণে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল।

রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসএম শাহজাদা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য মো. আশরাফুজ্জামানও সাতক্ষীরা সদরের রাস্তাঘাটের বেহাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

আশরাফুজ্জামান নিজ এলাকার সড়কের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল যুগেও যেন আদিম যুগে আছি। সাতক্ষীরা শহরের পোস্ট অফিসের মোড় থেকে ফুড অফিস, সমবায় অফিস, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে যে মহাসড়কটি রয়েছে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি ওই রাস্তা দিয়ে আসে তাহলে রাস্তায়ই ডেলিভারি হয়ে যাবে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার আহ্বান জানান তিনি।

জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে রড বিক্রি হতো ৫০ হাজার টাকায় সেটা হচ্ছে এক লাখ টাকায়। যে সিমেন্ট ২০০, ৩০০ টাকায় বিক্রি হতো, সেটা ৫৫০ টাকা হয়ে গেছে। যেসব কাজে ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করেছিল, পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদাররা কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে।

আমরা বাস্তবতাটা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এসব উপকরণের দাম বৃদ্ধি করি। কিন্তু এর আগে যেসব ঠিকাদার কাজ করেছিল, তারা বাস্তব প্রতিক‚লতা মোকাবিলা করার কারণে তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছি, যেহেতু আমাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে, যে কাজগুলো তারা বাস্তবায়ন করবেন না, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন টেন্ডার করা ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই।

এ প্রক্রিয়াটি করতে গিয়ে আমাদের সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকাসহ অনেক এলাকায় ঠিকাদাররা কাজ পেয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তাদের এসব কাজ বাতিল করে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *