বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে এক বছরের ব্যবধানে অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। কিন্তু সাদা পোশাকে তার ফেরাটা আরও দীর্ঘ হলো।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন এই স্পিনার। এর আগে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাসারাঙ্গা। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৮ ধারা ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাকে। এনিয়ে গত দুই বছরে মোট আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট চারটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপ নেবে। ফলে শাস্তি হিসেবে দুটি টেস্ট কিংবা চারটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দলের বাইরে থাকতে হবে এই স্পিনারকে। কিছুদিন পরই শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাই খেলতে পারবেন না তিনি।
গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারের সমালোচনা করে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে তিনি আইপিএল খেলতে যাবেন বলেই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু অবসর ভেঙে টেস্ট দলে ফিরে চমকে দেন এই লেগ স্পিনার। তবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডেতে তার অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ডই শেষ পর্যন্ত বাধা হয়ে দাঁড়াল।
ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৭তম ওভারে। আম্পায়ারিংয়ের উপহাস করে আম্পায়ারের কাছ থেকে নিজের ক্যাপ কেড়ে নেন হাসারাঙ্গা। যা ভালো চোখে নেননি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট।
একই ম্যাচে অপরাধ করে বসেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও। ম্যাচ শেষে করমর্দনের সময় আম্পায়ারকে গালিগালাজ করেন তিনি। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.১৩ ধারা ভঙ্গ করায় তাকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। গত ২৪ মাসে এটাই তার প্রথম অপরাধ। ম্যাচ শেষে মেন্ডিস ও হাসারাঙ্গা দুজনেই নিজেদের শাস্তি মেনে নেন।
এদিকে, আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে সিলেট টেস্ট। ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি।