রাজনীতি

পণ্য মজুতকারীদের খুঁজে বের করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের একটা গোষ্ঠী অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে; কিন্তু এ বাংলাদেশে আর কোনোদিন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শেখ হাসিনা।

সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর এটি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম বৈঠক।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্যের পর দলের নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন। এই বৈঠকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে বলেও সূচনা বক্তৃতায় আভাস দেন তিনি। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার আগে গণভবনে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ-অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে। তবে মানুষের কষ্ট কমাতে তার সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, অস্বাভাবিকভাবে ও দুরভিসন্ধি করে যারা পণ্য মজুত করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেশে আর কখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। বাজার নিয়ে কেউ যেন কোনো খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছি। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটেছে। এখন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলিতা দরকার।

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট হতে দেবে না, ভোটার যেতে দেবে না— এমন হুমকির পর, নানা বাধা বিপত্তির পরও জনগণ স্বত:স্ফূর্ত ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে। তিনি আরও বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, সেটা এবার প্রমাণিত হয়েছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা অন্য পথে হাঁটছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসনামলে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল দেশের মানুষ। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছে মাত্র ৩০ আসন। এরপর থেকে তারা দেশজুড়ে সহিংসতা, অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। নির্বাচন করবে না সেটা তাদের ব্যাপার; কিন্তু এ দেশের মানুষ নির্বাচন গ্রহণ করেছে। অথচ কিছু আঁতেল ভোট নিয়ে ধূম্রজাল তৈরির চেষ্টা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা, কেন বাড়ল সেটাই প্রশ্ন। কেউ যদি অবৈধভাবে মজুত করে থাকে, তাকে সাজা পেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন, নির্বাচন কিভাবে করব— সেটা নিয়ে সভায় আলোচনা হবে। দেশের একটা গোষ্ঠী অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে; কিন্তু এ বাংলাদেশে আর কোনোদিন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে দেওয়া হবে না। অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *