বিনোদন

‘আমার ব্যক্তিজীবন গোপন রাখব’

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সোহানা সাবা। তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে দুই মাস আগে। বর্তমানে নিজের ইয়োগা স্কুল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। অভিনয় ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?

সব সময় তো শুটিং থাকে না। এ মুহূর্তে শুটিং নিয়ে কোনো ব্যস্ততা নেই। এখন আমি নিজের ইয়োগা স্কুল নিয়ে কাজ করছি। সেখানে এখনো ইন্টেরিয়রের কাজ চলছে। কারণ জায়গাটা মানুষের পছন্দ হওয়ার একটা বিষয় রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুলের একটা অংশকে আমি আমার অফিস এবং স্টুডিও হিসাবেও তৈরি করছি।

কাজ শেষ করতে পুরো মাস লেগে যাবে। তবে আমি এরই মধ্যে সেশন শুরু করে দিয়েছি। প্রথম ব্যাচের ক্লাস চলছে। খুবই ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আর শুটিং শুরু হতে হতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি।

কিসের শুটিং? সিনেমা নাকি ওটিটি?

দুটি সিনেমার কথা হয়ে আছে। তবে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমার পরিচালকই বলবেন। আর ওটিটিতে কিছু করছি না।

তারকারা সাধারণত রেস্টুরেন্ট কিংবা ফ্যাশন ব্র্যান্ড নিয়ে আগ্রহী হয়। আপনি ইয়োগা বেছে নিলেন কেন?

আমি আসলে কোনো পরিকল্পনা থেকে এটা শুরু করিনি। জীবন আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আমি যখন ইয়োগা শুরু করি, তখন নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম অনেকেই আমার কাছে এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী। পরে যখন আমি ঋষিকেশ থেকে প্রশিক্ষকের ট্রেনিং নিয়ে এলাম, তখন একটা স্কুল খোলার সাহস পেলাম। তবে এটা কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থেকে নয়। এখানে এসে মানুষ আড্ডা দিতে পারবে, মিটিং করতে পারবে। যারা নিজেকে সুখ দিতে চায়, নিজের শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে চায় এ ‘ইয়োগিস’ তাদের জন্য।

এখন তো ডিজিটাল যুগ। অনলাইনেও প্রশিক্ষণ দেবেন?

অনলাইনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই। এটা আমার প্রফেশন নয়। আমি কাজটা জানি, আমার করতে ভালো লাগে। সেই সঙ্গে মানুষের আগ্রহ আছে। তাই তাদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চেয়েছি। তাই বলে অনলাইন অফলাইন স্কুলিং দেব, বিষয়টা এমন নয়।

এখন কী অভিনয় থেকে বিরতি নেবেন?

অভিনয় থেকে সরে যাওয়া কখনো সম্ভব নয়। অভিনয় আমার মূল পেশা। আমি সেই পরিচয়েই পরিচিত হতে চাই। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমি মাল্টিটাস্ক করতে পারি না। যখন শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা ছিল, তখন এটাই খুব একটা সময় দিতে পারিনি। এখন শুটিং ব্যস্ততা কম তাই ইয়োগায় সময় দিতে পারছি। আবার আমার শুটিং একবেলা করে হয়। ফলে অন্য বেলা এখানে থাকি। স্কুলটা একবার সেট হয়ে গেলে তখন আমি দূরে থেকেই দেখাশোনা করব। আর যেমন অভিনয়ে মূল ফোকাস ছিল, সেটাই থাকবে।

ব্যক্তিজীবন নিয়ে কী ভেবেছেন?

ব্যক্তিজীবন নিয়ে কাউকে কিছু জানানোর ইচ্ছা আমার নেই। যা-ই করি না কেন, গোপনে করব। কারণ আমি দেখেছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ নেগেটিভিটি বেশি ছড়ায়। আমি আমার জীবনে নেগেটিভ কিছু চাই না।

তাই ঠিক করেছি, আমি আমার ব্যক্তিজীবন গোপন রাখব, তাহলে কেউ ভেতরের খবরও জানবে না আর নেতিবাচক কিছু বলার সুযোগও পাবে না। কারণ আমার একটা ইমেজ আমি সব সময় মেইনটেন করার চেষ্টা করেছি। সেটাই শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *