জাতীয়

রাজধানীর তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা হেলাল উদ্দিন নাঈমের ওপর (২৬) হামলা করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।

নাঈম তিতুমীর কলেজ শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমারজেন্সি ও ক্রাইম সেলের সদস্য।

সোমবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করান।

প্রতিবাদের বিজ্ঞপ্তিতে প্ল্যাটফর্মটি বলেছে, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এ আন্দোলন সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত, যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক। অথচ কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এ ন্যায্য দাবিকে বারবার উপেক্ষা করে আসছে। সর্বশেষ, তিতুমীর কলেজের প্রিন্সিপাল এ যৌক্তিক আন্দোলন দমন করতে ছাত্রদলকে লেলিয়ে দিয়ে যে অপরাধ করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। আজ ‘তিতুমীর ঐক্য’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা যখন এ নগ্ন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন, তখন সেই অবস্থানেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলা চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ভিডিও ধারণ করতে গেলে ছাত্রদলের একটি সংঘবদ্ধ দল হেলাল উদ্দিন নাঈমকে ঘিরে ধরে বর্বরভাবে মারধর করে। তাকে ছাত্রলীগের কুখ্যাত কায়দায় জিম্মি করে জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করার চেষ্টা করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এ ঘৃণ্য হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা হেলাল উদ্দিন নাঈমের উপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। একইসঙ্গে, কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে দলীয় ক্যাডার ব্যবহার করার অপরাধেরও তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয়

দেশে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়াখেলা বাড়ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে জুয়ার সঙ্গে জড়িত হাজারেরও বেশি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। সোমবার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, দেশের কোনো নাগরিক জুয়া খেলার কোনো বিজ্ঞাপনে অংশ নিলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। কোনো নাগরিক, ব্যক্তি বা সেলিব্রেটি যদি মনে করেন, অনুমতি ছাড়া জুয়া খেলার ওয়েবসাইট বা পোর্টালে তার ছবি অথবা ভিডিও ব্যবহৃত হচ্ছে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে যারা জুয়া খেলা বা জুয়া খেলার বিজ্ঞাপনের সঙ্গে স্বেচ্ছায় জড়িত ছিলেন তাদের অবিলম্বে এ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যারা আগে জুয়ার কারণে প্রতারণার শিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকার দেশের জনগণকে সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা ও জুয়া খেলাসংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার এবং এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা কোম্পানির ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে ও সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা, ফিন্যান্সিয়াল স্ক্যাম, জুয়ার লেনদেনের (ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ) সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তি, সেলিব্রেটি, বিভিন্ন পেশাজীবী, অপারেটর, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম, এমএফএস এজেন্ট, ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাশাপাশি অনলাইন জুয়ায় জড়িত বিভিন্ন পেশাজীবী, বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানি, মিডিয়া বায়ার, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপনদাতা এবং বিজ্ঞাপন গ্রহীতা সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত মোবাইল ব্যাংকিং, রেগুলার ব্যাংকিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যে কোনো এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর কিংবা কোনো ক্রিপ্টো ব্রোকার কিংবা হুন্ডির অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানাতে নিম্নোক্ত মেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে- notify@ncsa. gov. bd।

আন্তর্জাতিক

প্রস্তাবে হামাসের এই সম্মতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ অবসানের সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা সোমবার একথা জানিয়েছেন। প্রস্তাবে হামাসের এই সম্মতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ অবসানের সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি হামাস পেয়েছে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে। এতে বলা হয়েছে, দুটি দলে ১০ জন করে জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এর বিনিময়ে ৭০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ থাকবে।

এ সময়ের মধ্যে ইসরায়েল গাজার নির্দিষ্ট এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং ইসরায়েলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি থাকা বেশ কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।

তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল জানুয়ারি মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করেছে।

হামাস ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোও ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালিয়ে আসছে। যদিও এবার হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করলে তারা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত।

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারা কেবল সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি, তাও কেবল জিম্মিদের বিনিময়ে। তার ভাষায়, হামাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। এরপরই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধে অন্তত ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ভূখন্ডটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে খাদ্য সংকটে মারাত্মক অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজনীতি

সরকারি বিভিন্ন সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে অনলাইনে ‘এক ঠিকানায় সব নাগরিক সেবা’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করেছে নাগরিক সেবা বাংলাদেশ।

২৬ মে (সোমবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ কার্যক্রমের পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রশিক্ষিত নাগরিক সেবা উদ্যোক্তরা এ সেবাগুলো নাগরিক সেবা কেন্দ্র থেকে সাধারণ নাগরিকদের প্রদান করবেন।

পাইলট প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেত এলাকায় নাগরিক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

তন্মধ্যে গুলশান ও উত্তরার কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু করেছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে নীলক্ষেত কেন্দ্রও কার্যক্রম শুরু করবে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং সরকারের আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি এ সেবার উদ্বোধন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে, নানাবিধ হয়রানি রোধে ও ভোগান্তিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

একইভাবে সেবার সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এক ঠিকানায় প্রয়োজনীয় সব সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী সেবা কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও আইসিটি বিভাগকে নির্দেশনা দেন তিনি।

এ সেবার আওতায় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের সবগুলো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্য নিয়মিতভাবে সেবার আপডেট ও সমন্বয়ের বিষয়ে জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলো সেবা এর আওতায় আনা যায় সবগুলোকে দ্রুত নিয়ে আসা।

এ সময় বিভিন্ন নাগরিক সেবার প্রসঙ্গ টেনে প্রফেসর ইউনূস বলেন, এমন ব্যবস্থা আমাদেরকে অবশ্যই দাঁড় করাতে হবে যাতে জন্ম গ্রহণ করা মাত্রই শিশুরা জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়ে যায়। এটাই যেন হয় তার নাগরিক স্বীকৃতি।

নাগরিক সেবা কেন্দ্রের পরিচালনা ও মালিকানা সম্পর্কে তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা জায়গার মালিকদের সাথে চুক্তি করে ভাড়া পরিশোধ করবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ভাড়া হ্রাসকৃত হারে নির্ধারিত হবে। উদ্যোক্তারা নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ইউটিলিটির দায়িত্ব নেবেন। সেবা মান বজায় না রাখলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।

নাগরিক সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রথম ধাপে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ২০০ জন নারী ও পুরুষ নির্বাচন করা হয়। তাদের ডিজিটাল লিটারেসি, গ্রাহক সেবা ও ডিজিটাল সেবা প্রদানে নিবিড় প্রশিক্ষণ শেষে ১০০ জন উদ্যোক্তাকে (৫০ জন নারী ও ৫০ জন পুরুষ) সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।

রাজনীতি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে যেখানে একটি ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে এসেছে। ভোট হবে স্বচ্ছ, কোনো ধরনের কারচুপি হবে না।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দখিনা দাওয়া সেন্টারে আয়োজিত চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, মানবিক করিডোর না দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান সরকারকে জানানো হয়েছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, এই দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে অন্যান্য নাগরিকদের মতো সমানভাবে নিতে হবে। তারা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা যদি জনগণের ভোটে দায়িত্ব পাই, তাহলে তাদের সম্মানের সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করব। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে পাশে থাকব।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, চা শ্রমিকদের শিক্ষিত করে আধুনিক বাগান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত করার চিন্তা আমাদের রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে বিবেচনা করি না। আমরা একটি বন্ধুপ্রতিম সমাজ গড়তে চাই। চা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলতে চাই—আপনার ডাক দিতে সময় লাগবে, কিন্তু আমাদের পৌঁছাতে সময় লাগবে না। আমরা সবাই এই দেশের মালিক। ধর্মের ভিত্তিতে এ দেশে আর কাউকে বিভক্ত করা যাবে না।

উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরীর আমীর মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর প্রকৌশলী এম. সায়েদ আলী, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ইয়ামীর আলী প্রমুখ।

চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও ডা. শফিকুর রহমান সকাল ১০টায় ১০০০ নারীর উপস্থিতিতে মহিলা সমাবেশ, মৌলভীবাজার জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের ১৩০০ জন প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সম্মেলন, শমশেরনগর ইউনিয়ন, শরীফপুর ইউনিয়ন ও হাজীপুর ইউনিয়নে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে মতবিনিময় ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

 দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সোমবার (২৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ জামায়াত আমির। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাকিদের বলেন, আমাদের সবার দাবি ছিল অর্থবহ একটি সংস্কার হবে। এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়েই একটা অর্থবহ নির্বাচন হবে।

তিনি সেদিন বলেন, আমরা বলেছি দুটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। গ্রহণযোগ্য সংস্কার হতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। আমরা মনে করি সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপের ঘোষণা হলে অনেকটাই সংশয় কেটে যাবে।

খেলাধুলা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর যেন কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সামনে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

সেটি শুরু হবে আগামী পরশু। এরই মধ্যে আজ পাকিস্তানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
পাকিস্তান সফরকে সামনে রেখে সতর্ক ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফাহিম বলেন, “আমিরাতে আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। সব সময় পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলিনি। তবে এটা কোনো অজুহাত নয়। পাকিস্তানে আমরা আরো সতর্ক হব, আরো দায়িত্বশীল ক্রিকেট খেলতে চাই। ”

পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে আমিরাত সিরিজকে দেখা হলেও সেটির মানসিক প্রভাব মাঠের পারফরম্যান্সে পড়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। “আমিরাতে আমাদের মানসিক দৃঢ়তা ততটা ছিল কি না, সেটা প্রশ্ন হতে পারে। হয়তো অনেকেই ভেবেছে, পাকিস্তানেই ভালো খেলব। কিন্তু সেটার প্রস্তুতি এখানে শতভাগ হয়নি,” বলেন নাজমুল।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলমান দুর্দশাও অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন বিসিবির এই শীর্ষ কর্তা। তিনি বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও কাঠামোগত অনেক ঘাটতি আছে। প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরিতে আমরা পিছিয়ে আছি, খেলোয়াড়দের চাপ সামলানোর মানসিকতা তৈরি হয়নি। ”

তবে সব দুঃসময়ের মাঝেও পাকিস্তানে লড়াকু ক্রিকেটের আশা ছাড়ছেন না তিনি, “আশা করি, পাকিস্তানে আমরা ভালো কিছু দেখতে পাব। যদি আমরা ভালো খেলি, তাহলে পাকিস্তানকে হারানো অসম্ভব নয়। ”

এদিকে ইনজুরির কারণে পাকিস্তান সফর থেকে ছিটকে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে খেলার সময় বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান এই পেসার। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ায় অন্তত দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। তার পরিবর্তে পাকিস্তান সফরের দলে জায়গা পেয়েছেন ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ।

অর্থনীতি

চলতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষে একীভূত ব্যাংকটির জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারী খোঁজা হবে, বলেন তিনি।

ছয়টি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

চলতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষে একীভূত ব্যাংকটির জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারী খোঁজা হবে বলে সোমবার চ্যানেল ২৪ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দুর্বল ব্যাংকগুলো হল- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

এসব ব্যাংকের মধ্যে চারটির পর্ষদ সরাসরি চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) এর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদের নিয়ন্ত্রণও পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগীদের মাধ্যমে তার কাছে যায়। আর এক্সিম ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল শেখ হাসিনার সময়ের আরেক প্রভাব খাটানো ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মজুমদারের।

একীভূত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে এসব ব্যাংকের সম্পদ পর্যালোচনাও করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সোমবার রাতে প্রচারিত চ্যানেল ২৪ এর প্রতিবেদনে গভর্নর বলেন, জুলাইয়ের মধ্যে এসব ব্যাংককে সরকারি মালিকানায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পুঁজি যোগান দেওয়া হবে। তারপর বিদেশি বিনিয়োগকারী খোঁজা হবে।

“এটা আস্থার খবর কারণ এটা সরকারিকরণ করা হবে। সরকার সাময়িকভাবে এটাকে নিয়ে নেবে। একই সঙ্গে সেগুলোকে মূলধন যোগাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকতো ইতোমধ্যে তাদের তারল্য সহায়তা দিচ্ছে। তারপর আমরা শেয়ারগুলোকে আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে হস্তান্তর করব; পুনর্গঠন হওয়ার পরে।”

তিনি বলেন, “পুনর্গঠনের সময়টায় আমরা অংশীদারত্ব রাখব। এটা একটা সাময়িক ব্যবস্থা, যেটা আমরা নতুন ব্যাংক করব। পরে সেটা নতুন বিনিয়োগকারীর কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হবে।”

এর আগে বিগত সরকারের আমলে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত বা মার্জার করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে পট পরিবর্তনের পর সে উদ্যোগ আর এগোয়নি।

দুর্দশাগ্রস্ত পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করতে ২০২৪ সালে ব্যাংক দুটির পর্ষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে একটি এমইউ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল।

ওই বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের সবুজ সংকেতের পর ন্যাশনাল ব্যাংককে (এনবিএল) ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে তখন ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে মার্জার হওয়ার বিষয়ে আপত্তি থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে ব্যাংক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে।

এর অধীনে দেউলিয়া হওয়া বা দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ যেকোনো তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানায় নিতে পারবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

দুর্বল ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এরপরই দুর্বল ছয় ব্যাংককে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বললেন গভর্নর।

তিনি বলেন, ”আমরা পর্যায়ক্রমে যাব। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমরা প্রথমটা সফলভাবে করতে পারলে আমরা পরেরটায় যাব। প্রথমটা থেকে আমরা শিক্ষা নেব কী ভুল হতে পারে। এটা ধাপে ধাপে হবে। এটা দুই-তিন মাসের ব্যাপার নয়। রেজুলেশনের প্রথম তিন মাস একটা কঠিন সময়।”

একীভূত করার পর ওই ব্যাংকে বিদেশি বিনিয়োগ আনার বিষয়ে তিনি বলেন, “নতুন কৌশলগত বিনিয়োগকারী যারাই নেবেন তারা এটা সুন্দরভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন। আমরা চাই এটার মূলধন বাড়বে, এটার তারল্য বাড়বে, প্রত্যেকটা গ্রাহক তার টাকা পাবে, গ্রাহকদের কোনো লোকসান হবে না।“

বিনোদন

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল—অভিনয় থেকে বিদায় নিয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এমনকি চলতি মাসের শুরুতে তার স্বামী, অভিনেতা ওমর সানি মন্তব্য করেছিলেন, মৌসুমী নিজেকে ভুলে যেতে চান তিনি মৌসুমী ছিলেন—যা এ গুঞ্জনকে আরও জোরালো করে তোলে। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, হয়তো আর কখনো পর্দায় দেখা যাবে না ঢাকাই সিনেমার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে।

তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে ফিরলেন মৌসুমী। তবে এবার সিনেমা নয়, তিনি ফিরছেন একটি টেলিছবির মাধ্যমে।

দুই বছর ধরে তিনি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। মায়ের অসুস্থতা এবং মেয়ের পড়াশোনার কারণে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তবে এর মাঝেও অভিনয়ের প্রতি টান থেমে থাকেনি। ‘পিএস চাই সুন্দরী’ নামে একটি টেলিছবির শুটিংয়ে সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন মৌসুমী। ভার্জিনিয়ার বেইলি স্ট্রিম লং আইল্যান্ডে হয়েছে এর শুটিং।

টেলিছবিটিতে মৌসুমীর সহশিল্পী হিসেবে আছেন হাসান জাহাঙ্গীর ও আকাশ রহমান। অভিনেতা ও নির্মাতা হাসান জাহাঙ্গীর শুটিংয়ের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে জানান, এটি প্রচারিত হবে এটিভি (ইউএসএ)-এর ঈদুল আজহার বিশেষ আয়োজনে।

ভিডিওতে মৌসুমী বলেন, ‘পিএস চাই সুন্দরী’ নামে আমাদের নাটকটি আসছে। কোরবানির ঈদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে এটি। এতে আকাশ রহমান আমার বসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বসের সঙ্গে শুটিং করেতে রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে এসেছি। অন্যরকম গল্পের কাজ এটি।

এ টেলিছবি ছাড়াও একই চ্যানেলের আরও একটি নাটকে অভিনয় করেছেন মৌসুমী।

উল্লেখ্য, মৌসুমীর সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সোনার চর’। এতে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন ওমর সানি, জায়েদ খান, জান্নাতুল স্নিগ্ধাসহ আরও অনেকে।

রাজনীতি

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে, এমনটি বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ পালন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এই আন্তর্জাতিক সপ্তাহ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের হিসাবে উল্লিখিত গুমের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে। এদের মধ্যে অধিকাংশ এখনো নিখোঁজ, অনেকেরই মরদেহ পাওয়া গেছে আবার অনেকদিন পর কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটি বিগত আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমুনা।

তিনি আরও বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের ১০-১৫ বছরেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এছাড়াও গুমের শিকার হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষও।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে আমি এই গুম হওয়া মানুষদের অসহায় পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আর কোন ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আর যেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের মতো অমানবিক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। রাজনৈতিক দর্শন বা রাষ্ট্রীয় সীমানাকে অতিক্রম করে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গুমের শিকার সব ব্যক্তি ও পরিবারকে আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।

জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুনে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্য দিয়েই ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি সম্ভব বলে আশা করছেন কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৬ মে) সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, কমিশনের দায়িত্ব হল রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো এবং একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোন কোন বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলোর ব্যাপারে এক ধরনের ঐকমত্যে এসে একটা জুলাই সনদ তৈরি করতে পারে, তাহলে সেসময় এই এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার প্রশ্নটি আসবে। আমরা আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু সংস্কার প্রস্তাবের ব্যাপারে অকুণ্ঠ চিত্তে সমর্থন জানিয়েছেন, বারবার জানাচ্ছেন, তাদের যে কমিটমেন্ট সেটা প্রকাশ করছে। আমরা মনে করি যে একটা পথ তারা নির্ধারণ করতে পারবে।’

সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এটা অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা কীভাবে অগ্রসর হবেন এবং আমি যেটা আগে বলেছি রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে কীভাবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া তৈরি হয়, সেটা হচ্ছে প্রশ্ন। মনে রাখা দরকার যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটা আসলে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।