আন্তর্জাতিক

ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন আনল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে। আর এতে বড় প্রভাব পড়বে ভারতীয়দের ওপর।

এ নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভারতীয়সহ সব অ-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীদের তাদের নিজেদের দেশ বা বৈধ বসবাসের দেশ থেকেই ভিসার ইন্টারভিউয়ের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এ পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো- অতীতে আবেদনকারীরা ভিসা পাওয়ার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করতেন, অর্থাৎ যেখানে অপেক্ষার সময় কম, এমন অন্য কোনো দেশ থেকে আবেদন করা- সেই পদ্ধতি বন্ধ করা।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের জারি করা এক বিবৃতি অনুযায়ী, এই নতুন ভিসার নিয়ম বিশ্বজুড়ে কার্যকর করা হবে।

কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে

এ নতুন সিদ্ধান্তের ফলে সেই সব ভারতীয় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা দীর্ঘ অপেক্ষা এড়ানোর জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং জার্মানির মতো দেশ থেকে ভিসার জন্য আবেদন করেছে। এর অর্থ হলো- যেসব ভারতীয়দের দ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের প্রয়োজন, তারা এখন আর বি১ (ব্যবসা) বা বি২ (পর্যটন) ভিসার জন্য বিদেশে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবে না।

এ নতুন নীতিতে এখন আর সেই বিকল্পটি অবশিষ্ট নেই, শুধুমাত্র কিছু ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে দেশগুলিতে মার্কিন সরকার নিয়মিত অ-অভিবাসী ভিসার কার্যক্রম পরিচালনা করে না, সেই সব দেশের নাগরিকরা তাদের বসবাসের দেশ ভিন্ন হলে অন্য কোনও নির্দিষ্ট দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে পারে। এ ক্যাটাগরিতে আফগানিস্তান, কিউবা, শাদ, রাশিয়া এবং ইরানের মতো কয়েকটি দেশের নাগরিক বা বাসিন্দারা অন্তর্ভুক্ত।

ভারতীয়দের ওপর কী প্রভাব পড়বে

পর্যবেক্ষকদের মতে, এ বিধিনিষেধটি এমনিতেই বেড়ে চলা ব্যাকলগ বা কাজের জট আরও বাড়িয়ে দেবে। এই বছরের শুরুতে ভিসার জন্য অপেক্ষার সময় হায়দরাবাদ এবং মুম্বাইয়ে সাড়ে তিন মাস থেকে পাঁচ মাস ছিল, কলকাতায় এটি ছিল পাঁচ মাস, আর চেন্নাইতে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় নয় মাসে।

পুরনো নিয়ম

অতীতে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির সময়, যখন আবেদনের জটের কারণে দেশের ভেতরে অপেক্ষার সময় তিন বছর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল, তখন অনেকেই অন্য দেশে গিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিত।

২০২১ সালে মহামারির পর ভ্রমণ আবার শুরু হলে, ট্রাভেল এজেন্টরা মনে করে বলেছে- কীভাবে ভারতীয়রা বি১/বি২ ভিসার ইন্টারভিউয়ের জন্য জার্মানির মতো অন্য দেশে যেত। সে সময় ভারতে বি১/বি২ ভিসার জন্য অপেক্ষার সময় ছিল ১৫-২০ মাস, তাই দুই বছর আগে ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বিশেষ করে ভারতীয় আবেদনকারীদের জন্য অঅভিবাসী ভিসার ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছিল।

এছাড়াও, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে একটি নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট ‘ইন্টারভিউ ওয়েভার প্রোগ্রাম’ বাতিল করার পর, এখন সমস্ত অ-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সশরীরে ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর অর্থ হল, বেশিরভাগ আবেদনকারীকে এখন মার্কিন দূতাবাস বা কনস্যুলেটে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে, যাদের আগে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন ছিল না।

এ নতুন নিয়মের ফলে এইচ, এল, এফ, এম, জে, ই, এবং ও ক্যাটাগরির ভিসাগুলি প্রভাবিত হবে। এমনকী ৭৯ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি এবং ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য।

জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও শক্ত অবস্থানে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।

সোমবার মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) ডাকসু নির্বাচন। গতকাল (রোববার) থেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকার কথা ছিল, কিন্তু এখনো সেটি যথাযথভাবে দেখা যাচ্ছে না। নিরাপত্তা যতটুকু থাকার কথা, বাস্তবে তার অর্ধেকও নেই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে, তারা ক্যাম্পাস ঘিরে অবস্থান নেবে। এর মানে কি—তারা কি ডাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে? অথচ নির্বাচন কমিশনকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

মুসাদ্দিক আরও বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা একের পর এক ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন বড় ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল ‘নামের জন্য’ শোকজ করছে, অনেক ক্ষেত্রে সেটিও করছে না।

এসময় তিনি ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে ‘কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার’ আহ্বান জানান।

মুসাদ্দেক আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে একটি দলের নেতা কর্মীরা ক্যাম্পাসের চারপাশে থাকবে বলছে। এটা কিসের ইঙ্গিত সাথারণ শিক্ষার্থীরা বোঝে। দলটি রাতের বেলায় হলের বাইরে নিয়ে শিক্ষার্থীদের

খাবার অর্থ দিয়ে দলে টানছে। ইলেকশন ইন্জিনিয়ারিংয়ের চেষ্টা করছে। বিশ্বিদ্যালয় প্রশাসন জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া সাইবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। প্রার্থীদের প্রোফাইল সাইবার অ্যাটাক হচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে তরিৎ সিদ্ধান্ত গ্রহনের আহ্বান জানাচ্ছি।

বিনোদন

‘আজ যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাকে হাত পেতে লোকের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতাম, ভাই আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাবার দিতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও।

কথাগুলো বলেছেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী তিনি।

রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) ঢালিউডের প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। প্রয়াত শিল্পীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সেখানে হাজির হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক নতুন পুরাতন শিল্পী। এর ফাঁকে গণামাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আহমেদ শরীফ।

এই অভিনেতার কথায়, ‘চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছেন যে নিশ্চিত করে বলবে, তার দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই। যদি মিথ্যা না বলি, তাহলে বলতেই হবে নেই। দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই বলছেন শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন। ’

অনেক শিল্পী বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আজ আমি দেখছি, অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্মের নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছেন। কারণ, দেশে আনন্দ-বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, সবার মঙ্গল করুক। ’

বলা দরকার, আহমেদ শরীফ এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন দেশে। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

আহমেদ শরীফ প্রায় আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘দেনমোহর’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘গোলমাল’, ‘তিন কন্যা’ ইত্যাদি।

বিনোদন

হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক, জার্মানি ও ফ্রান্সে ১০টির বেশি আসরে আদিভাষায় রাগাশ্রয়ী সুরে চর্যাপদের বিভিন্ন কবির রচিত কয়েকটি পদ গান আকারে পরিবেশন করেন সৃজনী তানিয়া।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বিশ্ব রাজনীতিতে আর একক আধিপত্য চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চীনের বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সতর্কবার্তা দেন তিনি।

পুতিন বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সবার সমান অধিকার থাকতে হবে এবং সবাইকে সমান অবস্থানে থাকতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

তার মতে, ভারত ও চীনের মতো বড় দেশগুলোর নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন রয়েছে। এসব দেশের নেতৃত্বকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা রাজনৈতিক সংকটে পড়বে।

ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে উপনিবেশিক অতীত স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, একসময় দেশগুলোকে উপনিবেশবাদ ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করার মতো কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। এখন উপনিবেশ যুগ শেষ, তাই পশ্চিমা দেশগুলোকে বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে সেই সুরে আর কথা বলা যাবে না।

পুতিনের এ মন্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছে। ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া এ শুল্কের অর্ধেক ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য শাস্তি হিসেবে এবং বাকি অর্ধেক ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে।

এদিকে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠককে ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন।

নাভারোর অভিযোগ, ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে যে অর্থ দিচ্ছে, তা ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনকে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, মোদিকে শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা দুঃখজনক। আমরা আশা করি তিনি বুঝবেন, তার জায়গা আমাদের সঙ্গে, রাশিয়ার সঙ্গে নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি হওয়া যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্কের ওপর হঠাৎ কঠোর শুল্ক চাপানো বড় ধাক্কা। ভারত অবশ্য রাশিয়া থেকে তেল কেনাকে বৈধ প্রতিরক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ‘অন্যায্য’ বলেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ট্রাম্পের আরোপিত এই ‘দ্বিতীয় শুল’ কেবল ভারতের ওপরই পড়েছে। অথচ চীনও রাশিয়ার অন্যতম বড় তেল ক্রেতা।

আন্তর্জাতিক

ভারত ভাগ করার ডাক দিলেন অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদ কথা কূটনীতিবিদ গুনথার ফেলিঙ্গার। যা নিয়ে বিতর্ক চরে। ৭৮ বছর আগে দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙা ভারত এখনও যেন এই বর্ণবাদীর চোখে একটা ‘খেলনা’। যেন, যখন ইচ্ছে হয়, তখন সেটিকে ভেঙে দেওয়া যায়! আজ, ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং এটি একটি পরাশক্তি হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। এহেন ভারতকে ভাঙার বার্তা দিলেন ন্যাটোর এই কর্মকর্তা।

এর আগে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর শুল্কের চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয়নি ভারত। এদিকে ইউরোপ ভারতের থেকে রাশিয়ার তেল কিনছে শোধনের পর। এরই মধ্যে ফুটে উঠল ইউরোপের একাংশের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা। গুনথার ভারতকে ধর্ম এবং জাতি ও ভাষার নিরিখে একাধিক ছোট ছোট দেশে ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন। এ সংক্রান্ত একটি ম্যাপ তিনি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

গুনথার হলেন ন্যাটো সম্প্রসারণ কমিটিতে অস্ট্রিয়ার চেয়ারম্যান। যদিও এই তথাকথিত কমিটি ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় কোনো ভাবেই। এহেন গুনথার একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘ভারততে ভেঙে দেওয়ার ডাক দিচ্ছি আমি। নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার লোক। আমাদের মুক্ত খালিস্তানের বন্ধু চাই।’

তিনি এরপর একটি ম্যাপ পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে উত্তর ভারত গোটাটাই নাকি খালিস্তান। এছাড়া মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র, বিহার, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপূর্ব ভারত, দক্ষিণ ভারতের কেরল, তামিলনাড়ু সব আলদা আলাদা পতাকার রঙে সজ্জিত।

এরপর এই অস্ট্রিয়ান রাজনীতিবিদ লেখেন, ‘আজ আমি শিখ ন্যারেটিভ (এক্স হ্যান্ডেল) সঙ্গে ২ ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেছি। কীভাবে খালিস্তান স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে, তা নিয়ে কথা হবে। ভারতকে ‘সাবেক ভারত’ করতে হবে। রাশিয়ারপন্থি স্বৈরশাসক নরেন্দ্র মোদির কবল থেকে ভারতের জনগণকে কীভাবে মুক্ত করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে আমার।’

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোর তৎপরতা শুরু করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। সংখ্যানপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি ইসলামপন্থিদের ভোট এক বাক্সে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সমঝোতার চেষ্টাও চালাচ্ছে দলটি। তার আগে নিজেদের মতো করে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। প্রাথমিক এ তালিকায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের ও হেভিওয়েট নেতাদের পাশাপাশি রয়েছেন অনেক তরুণ আলেমও। ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে নেমে পড়েছেন তারা।

সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও যুব আন্দোলনের সাবেক একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা দায়িত্বশীল ও বিভিন্ন পর্যায়ের সক্রিয় নেতারাও প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তরুণ নেতৃত্বের পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রভাবশালী নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে দলটি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের মধ্যে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি নির্বাচনি মাঠে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে দলটির নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ শীর্ষ নেতাদের প্রার্থিতা ইসলামি ভোটব্যাংকে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দলীয় নেতারা জানান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, জনগণের কাছে বিকল্প শক্তি হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে চায়। এজন্য তৃণমূলে ধারাবাহিক গণসংযোগ, জনসভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।

জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনা ও সিলেটসহ বিভিন্ন বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে একান্তভাবে সাক্ষাৎ করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর প্রতি আসনে একজন করে মোট ৩০০ প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ যুগান্তরকে জানান, আমরা ইতোমধ্যে দুই ধাপের সাক্ষাৎকার শেষ করে সব মিলিয়ে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছি। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সংস্কারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ভবিষ্যতেও কার্যকর উদ্যোগ নিতে আমরা সচেষ্ট থাকব।

আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হলে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন ইসলামি আন্দোলনের এ নেতা। তিনি নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

সূত্রমতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী তালিকায় থাকা হেভিওয়েট প্রার্র্থীদের মধ্যে রয়েছেন- দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি প্রার্থী হচ্ছেন- বরিশাল-৫ আসন থেকে। মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ খুলনা-৪, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ঢাকা-৪, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান গাজীপুর-৫, যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ ঢাকা-১১, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম কুমিল্লা-২, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম কুমিল্লা-৩, দলের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আওয়াল খুলনা-৩, কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান ঢাকা-৭ আসন, মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের বরিশাল-৪, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৫, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম রুহুল আমিন গাজীপুর-১, সহকারী মহাসচিব কেএম আতিকুর রহমান মুন্সীগঞ্জ-১, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা অ্যাডভোকেট এম হাসিবুল ইসলাম নিলফামারী-৪, অ্যাডভোকেট বরকতউল্লাহ লতিফ রংপুর-৬ ও মুফতি নুরুল বশর আজিজী কক্সবাজার-৪ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। শাহ ইফতেখার তারিক ঢাকা-৯, মাওলানা নেছার উদ্দিন বরিশাল-২, মুফতি রেজাউল করীম আবরার সিলেট-৫।

জাতীয়

এক ডজন ডিমের দাম ১৫০ টাকা ছাড়ালেই আমদানির অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি শুল্ক–কর ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আজ বৃহস্পতিবার এই সুপারিশ করে বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাজারে ডজনপ্রতি ডিমের দাম ছিল ১৪০ টাকার আশপাশে। কিছুদিন আগে ডিমের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

শুধু ডিম নয়, পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৯০ টাকা পেরোলে আমদানির অনুমতিসহ শুল্ক–কর ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

ট্যারিফ কমিশন বলছে, স্থানীয়ভাবে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। আমদানি উন্মুক্ত করায় পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল হয়েছে।

এদিকে কিছুদিন ধরে কাঁচামরিচের দাম বাড়তি। বর্তমানে বাজারে ২২০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। ট্যারিফ কমিশন কাঁচামরিচের বাজারদর ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ আমদানির সময় শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের পরিবর্তে প্রকৃত বিনিময়মূল্য শুল্কায়নের সুপারিশও করা হয়েছে।

এদিকে সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে ট্যারিফ কমিশন। সংস্থাটি বলেছে, সবজির উৎপাদন মূল্য থেকে খুচরা মূল্য পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খল তদারকি জোরদার করতে হবে।

অর্থনীতি

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জমাকৃত টাকা থেকে ঋণ নেওয়ার সুবিধা চালু করেছে। তবে এ সুবিধা গ্রহণের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একসময় একাধিক ঋণ নেওয়া যাবে না। ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে নিবন্ধনের পর কমপক্ষে ১২ মাস টানা চাঁদা জমা দিতে হবে অথবা পেনশনে ন্যূনতম এক লাখ টাকা জমা থাকতে হবে।

ঋণ নেওয়া যাবে জমাকৃত টাকার ৫% থেকে ৫০% পর্যন্ত। এ ছাড়া ঋণের আবেদন করার আগের মাস পর্যন্ত নিয়মিত চাঁদা জমা দিতে হবে।

ঋণের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। প্রথমে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) লগইন করতে হবে।

এরপর মেনুবার থেকে ‘ঋণের আবেদন’ বাটনে ক্লিক করলে আবেদন করার পেজ ওপেন হবে। এখানে ঋণের শর্তাবলি রয়েছে। সবার নিচে থাকা ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ঋণের পরিমাণ এবং ফেরতের কিস্তি নির্ধারণ করে ‘আবেদন সম্পন্ন করুন’ বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন শেষ হবে।

ঋণ সর্বোচ্চ ২৪ মাসের কিস্তিতে ফেরত দেওয়া যাবে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশনের ৪টি স্কিমে মোট নিবন্ধন করেছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৮০ জন।

জাতীয়

সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণের এ প্রজ্ঞাপন ধরে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।