অর্থনীতি

মানুষ এখন আওয়ামী লীগকেই সবচেয়ে বড় রাজাকার মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফারুকী বলেন, ‘রাজাকারের আক্ষরিক অর্থের বাইরে রাজনৈতিক অর্থটা কী? রাজনৈতিক অর্থ হইলো এই যে, রাজাকার সেইসব ব‍্যক্তি যারা নিজের দেশ এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে অ‍ন‍্য দেশের হয়ে কাজ করে। এই সূত্র ধরে আগাইলে এই সময়ে কাদেরকে রাজাকার মনে হয়? জ্বি, যাদের ভাবছেন তারাই। ’

‘কিছুদিন আগে আমার একটা লেখায় লিখছিলাম মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী দলটা কী করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হয়ে উঠলো এটা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে একটা ইন্টারেস্টিং থিসিসের বিষয় হতে পারে। ’

ফারুকী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মানেটা কী? মানে যারা নিজের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অন‍্য কারও পায়ের নিচে বিকিয়ে দেয়। এই ১৬ বছরের মতো পরাধীন বাংলাদেশ আর কবে ছিল? ফলে মানুষ এখন আওয়ামী লীগকেই সবচেয়ে বড় রাজাকার মনে করে। এই বাস্তবতায় রাজাকার কার্ডের পুরনো ব‍্যবহার যে খারিজ হয়ে গেছে এটা চব্বিশের ১৪ জুলাই সেটেলড হয়ে গেছে। ’

‘৪৭-এর নায়ক ৭১-এ ভিলেন, আবার ৭১-এর নায়ক ২৪-এর ভিলেন হয়ে যেতে পারে, কারণ সমসাময়িক বাস্তবতাই নায়ক বা ভিলেন নির্ধারণ করে দেয়। ৭১-এ যার যা ভূমিকা সেটা ওইরকমই থাকবে। কিন্তু ৭১ দিয়ে ২৪ এবং তৎপূর্ববর্তী ষোলো বছরের পাপ ঢাকা যাবে না। ৭১-এর শহীদেরা ২৪-এর খুনিকে বাঁচাতে আসবে না’, যোগ করেন ফারুকী।

অর্থনীতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সেপ্টেম্বরের প্রথম  ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজর ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত বছর একই সময়ে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৮৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা ৫ হাজার ৯১৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৯৭১ মিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতি

দেশের ব্যাংক খাতের বিশাল অঙ্কের টাকা আটকে আছে অডিটফাঁদে। ঋণ জালিয়াতি, খেলাপিদের বেআইনি সুবিধা, প্রতিবেদনে অসঙ্গতিসহ নানা অনিয়ম চিহ্নিত করে এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার অডিট প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। টাকার এ অঙ্ক জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-চতুর্থাংশের সমান। রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ১০০টি অডিট রিপোর্টে বিপুল অঙ্কের টাকা দীর্ঘদিন আটকে আছে। অদৃশ্য মহলের চাপে এসব নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এতে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাত। এই সংকট সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

বড় অঙ্কের এ অর্থ আদায়ে ‘বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইওদের। ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)। পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সূত্র মতে, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির মাধ্যমে টাকা আদায়ের একটি ছক করছে এফআইডি। সেখানে অর্থ আদায় ও মনিটরিংয়ের বিষয়টি উল্লেখ আছে। গত এক মাসে এ প্রক্রিয়ায় অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৩৪৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এর আগে প্রতি মাসে গড়ে আদায়ের অঙ্ক ছিল ৪০ থেকে ৪৪ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব নাজমা মোবারেক জানান, অডিট আপত্তিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। আপত্তিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণ, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করণীয় এবং কী করলে সমাধান পেতে পারি সে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এফআইডির সচিব আরও বলেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন বড় অডিট রিপোর্ট থেকে অর্থ আদায়ে ব্যাংকগুলোর কোনো ফলোআপ ছিল না। এ সংক্রান্ত আইনের ঘাটতিও রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এসব ঘাটতি চিহ্নিত করে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে ব্যাংকের এমডিদের।

জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৪০ হাজারের বেশি অডিট আপত্তি রয়েছে। এর মধ্যে আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট শীর্ষ ১০০টি রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর সঙ্গে অর্থ জড়িত প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।

অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সহযোগী ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান হলেও নতুন করে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংক। এ ঋণ এখন অনাদায়ী। গুদামে পাট নেই কিন্তু ঋণ দেওয়া হয়েছে পৌনে ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া গ্রাহকের সিসিএ হিসাব থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে দেড়শ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে ব্রোকার হাউজ। এছাড়া রূপালী ব্যাংক নিয়ম ভেঙে আড়াইশ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। সে ঋণ আর ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের শর্ত ভেঙে ঋণ পুনঃতফসিলি করেছে ১২৫ কোটি টাকা। সেটি এখন অনাদায়ী। রিপোর্ট পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ দেওয়া হয় ৮০০ কোটি টাকা। সে টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে ঋণখেলাপি হওয়া সত্ত্বেও ফের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় গ্রাহককে। সেটি এখন অনাদায়ী। একাধিক প্রকল্পে বারবার পুনঃতফসিল সুবিধা দেওয়ায় ৩০০ কোটি টাকার ঋণ আটকে যায়। এক ঋণ নিয়ে অন্য ঋণ পরিশোধ এমন ঘটনায় এক হাজার ৭১ কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে পড়েছে। গ্রাহক ঋণখেলাপি, তাকে পুনরায় ৪০৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। ওই টাকা আর ফেরত পায়নি ব্যাংক।

এফআইডির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ১০টি অডিট রিপোর্টে জড়িত ৫৪ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা । বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শীর্ষ ১০টি রিপোর্টে জড়িত ৪৪ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। এছাড়া শীর্ষ ১০টি করে অডিট রিপোর্টে সোনালী ব্যাংকের ৩২ হাজার ২৩ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৯২২ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৯ হাজার ২২৭ কোটি টাকা জড়িত। আর বেসিক ব্যাংকের পাঁচ হাজার ১১৪ কোটি টাকা, আইসিবির তিন হাজার ৬০৬ কোটি টাকা এবং বিএসইসির ৬০৬ কোটি টাকা।

ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায়, শীর্ষ অডিট রিপোর্ট দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে টাকা আদায়ের জন্য এখন থেকে প্রতি মাসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর ওই বৈঠকের অগ্রগতি প্রতিবেদন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাতে হবে। আবার অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে এফআইডি। সেখানে এমডি ও সিইওদের কাছে টাকা আদায়ের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হবে। তবে পদক্ষেপের অগ্রগতি বৈঠকের তিন দিন আগেই প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে এফআইডিতে।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এফআইডির অডিট ও আইন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আহসান কবীর জানান, আগে অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করতে মন্ত্রণালয়, ব্যাংক এবং অডিট বিভাগ মিলে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতো। সে পদ্ধতি ছিল খুবই দুর্বল। বৈঠকে রিপোর্ট নিষ্পত্তিসংক্রান্ত কোনো আগাম প্রস্তুতি থাকত না। ফলে ৫০টি আপত্তি উত্থাপনের পর পর্যালোচনায় সময় চলে যেত। সব মিলিয়ে দেখা গেছে মাত্র নিষ্পত্তি হতো তিনটি। এখন ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আগে একটি প্রি-ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করা হচ্ছে।

সরকারের এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. কামরুজ্জামান খান জানান, ব্যাংক খাতের কর্তৃপক্ষ হিসাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি প্রতিপালন করতে বাধ্য। শীর্ষ একশ অডিট রিপোর্ট নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যে মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সে বিষয়ে আমি অবহতি হয়েছি। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

অর্থনীতি

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জমাকৃত টাকা থেকে ঋণ নেওয়ার সুবিধা চালু করেছে। তবে এ সুবিধা গ্রহণের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একসময় একাধিক ঋণ নেওয়া যাবে না। ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে নিবন্ধনের পর কমপক্ষে ১২ মাস টানা চাঁদা জমা দিতে হবে অথবা পেনশনে ন্যূনতম এক লাখ টাকা জমা থাকতে হবে।

ঋণ নেওয়া যাবে জমাকৃত টাকার ৫% থেকে ৫০% পর্যন্ত। এ ছাড়া ঋণের আবেদন করার আগের মাস পর্যন্ত নিয়মিত চাঁদা জমা দিতে হবে।

ঋণের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। প্রথমে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) লগইন করতে হবে।

এরপর মেনুবার থেকে ‘ঋণের আবেদন’ বাটনে ক্লিক করলে আবেদন করার পেজ ওপেন হবে। এখানে ঋণের শর্তাবলি রয়েছে। সবার নিচে থাকা ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ঋণের পরিমাণ এবং ফেরতের কিস্তি নির্ধারণ করে ‘আবেদন সম্পন্ন করুন’ বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন শেষ হবে।

ঋণ সর্বোচ্চ ২৪ মাসের কিস্তিতে ফেরত দেওয়া যাবে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশনের ৪টি স্কিমে মোট নিবন্ধন করেছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৮০ জন।

অর্থনীতি

বহু ব্যাংকে জমা রাখা গচ্ছিত অর্থ তুলতে পারছেন না সাধারণ গ্রাহকরা। পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক কার্যত নামেমাত্র টিকে আছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম, লুটপাট, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের উদাসীনতার ফলেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একসময় বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখতে আর্থিক সহায়তা দিলেও এখন সেই সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মতো একাধিক ব্যাংক কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে।

এই ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা এখন চরম দুর্ভোগে। কেউ কয়েক হাজার টাকার বেশি তুলতে পারছেন না, আবার অনেকে কোনো টাকা তুলতেই পারছেন না। রাজধানীর মতিঝিল, হাটখোলা, বনানী ও মিরপুরের বিভিন্ন শাখায় প্রতিদিনই গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু টাকা না পেয়ে তারা ক্ষোভ, হতাশা আর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

মতিঝিলের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের একজন গ্রাহক আবেগে ভেঙে পড়ে বলেন, ছেলের স্কুল ফি দিতে এসেছিলাম, কিন্তু টাকা পেলাম না। ব্যাংকের লোকজন শুধু কাল-পরশুর আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে ইউনিয়ন ব্যাংকের হাটখোলা শাখায় দেখা গেছে, গ্রাহকদের ভিড় থাকলেও কর্মকর্তারা অসহায়ভাবে জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা বন্ধ করায় এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা কোনো অর্থ ফেরত দিতে পারছেন না। অনেক কর্মকর্তা এমনকি নিজেদের বেতনও পাচ্ছেন না।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাংক খাতের এই সংকট একদিনে তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর রাজনৈতিক প্রভাব, খেলাপি ঋণ, কাগুজে ব্যবসায়ীকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং বড় ধরনের দুর্নীতির কারণে এখন এই দশা।

বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য বলছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধাপে ধাপে মার্জার ও সংস্কারের আওতায় আনা হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু তাতে সাধারণ গ্রাহকের দুর্ভোগ কমছে না। প্রতিদিন তারা ব্যাংকে গিয়ে আশাহত হয়ে ফিরছেন, জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলতে না পেরে অনেকেই ধারদেনায় ডুবে যাচ্ছেন।

অর্থনীতি

শিল্পে গ্যাসের নতুন সংযোগ না পাওয়ায় শত শত কারখানা উৎপাদনে যেতে পারছে না। ব্যাংক লোন নিয়ে কারখানা তৈরি করলেও উৎপাদনে যেতে না পারায় নানামুখী সমস্যায় পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

ফলে অনেকে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, নতুন শিল্পে গ্যাস সংযোগের জন্য অসংখ্য আবেদন গ্যাস কোম্পানিগুলোতে জমা পড়ে আছে। শিল্পের মালিকরা টাকাও জমা দিয়েছেন, কিন্তু সংযোগ পাচ্ছেন না। শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় উৎপাদনে যেতে পারছে না অনেক কারখানা। গ্যাসের বদলে বিদ্যুৎ দিয়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বেশি ব্যয়ে কারখানার উৎপাদন ধরে রাখতে হচ্ছে।

আবার খরচ কমাতে অনেক কারখানা প্রয়োজনের তুলনায় কম শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। এতে কর্মসংস্থানও কম হচ্ছে। নতুন গ্যাস সংযোগের জন্য অনেক কারখানা মালিক টাকা জমা দিয়েছেন। পেয়েছেন ডিমান্ড নোটও (চাহিদাপত্র)। এর মধ্যে কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও এখনো তাঁরা সংযোগ পাননি। বিদ্যুৎ দিয়ে কারখানা চালাতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচে কেউ কেউ হয়ে পড়ছেন ঋণগ্রস্ত। কেউ কেউ উৎপাদন লসে (বিদ্যুৎ দিয়ে উৎপাদনের জন্য লোডশেডিংয়ের কারণে পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়)। সব মিলে শিল্পে গ্যাসের নতুন সংযোগ না পাওয়ায় এখন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

শিল্পমালিকরা বলেন, অনেক শিল্পমালিক বছরের পর বছর ডিমান্ড নোট পেয়েও এখনো সংযোগ পাচ্ছেন না। ভারী শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রয়োজন, যা গ্যাস ছাড়া সম্ভব নয়। সংযোগ না থাকায় নতুন করে ভারী শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না। নতুনদের ক্ষেত্রে যারা অবকাঠামো গড়ে তুলে সংযোগ পাচ্ছেন না তাদের অবস্থা ক্রমেই রুগ্ণ হচ্ছে।

নতুন করে কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। আবার অনেক পণ্য দেশের বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। এতে দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। শিল্পে নতুন সংযোগের জন্য দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে শুধু তিতাসের কাছেই নতুন-পুরান মিলে গ্যাস সংযোগ এবং লোড বৃদ্ধির আবেদন জমা পড়েছে ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে ৪০০-এর বেশি গ্রাহক সব প্রক্রিয়া শেষ করে প্রতিশ্রুত সংযোগের অপেক্ষায় আছেন। এ গ্রাহকরা গ্যাস সংযোগের জন্য টাকাও জমা দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে কেউ নতুন কারখানায় সংযোগের আবেদনের পাশাপাশি কেউ কারখানা সম্প্রসারণ আর কেউ লোড বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছেন।

সর্বশেষ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ১৩ এপ্রিল নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। শিল্পমালিকদের আপত্তির পরও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পে সরবরাহ বাড়ানো হবে বলা হয়। কিন্তু এ সময়ে নতুন কোনো সংযোগ দেওয়া হয়নি। জানুয়ারি থেকে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ আছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রতিশ্রুত সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকারে আছে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত যাঁরা ডিমান্ড নোট পেয়েছেন তাঁদের প্রতিশ্রুত গ্রাহকের তালিকায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৩৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে শিল্পে যাচ্ছে ১২০ কোটি ঘনফুট। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কর্মকর্তারা জানান, শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে তিন ক্যাটাগরিতে। এর একটি হচ্ছে যেসব শিল্পকারখানায় তিন দিনের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব। দ্বিতীয়ত যেখানে তিন মাসের মধ্যে সংযোগ দেওয়া যাবে আর তৃতীয়ত আগামী ছয় মাসের মধ্যে যেসব শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, ‘শিল্পে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন করে একটি ধারা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন সংযোগ দেওয়া বা লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিতরণকারী কোম্পানিকে অবশ্যই গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ শিল্পে গ্যাসের দাম বেশি। শিল্পে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আমাদেরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এদের মধ্যে যেসব কারখানায় এখনই অর্থাৎ তিন দিনের মধ্যেই সংযোগ দেওয়া যাবে সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলা মিলে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি সশরীরে গিয়ে এসব কারখানা পরিদর্শন করছে। এর মধ্যে জালালাবাদ, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্রাহকদের জন্য এ পরিদর্শন শেষ হয়েছে। তিতাসের ক্ষেত্রেও এ পরিদর্শন শিগগিরই শেষ হবে। আর এটি শেষ হলেই এ পর্যায়ে আমাদের সংযোগ দেওয়া হবে। সশরীরে গিয়ে কারখানাগুলো পরিদর্শন করার কারণে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। ’

অর্থনীতি

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, এখন চালের মান অনেক ভালো। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ নিয়েছি, যে চাল বাজারে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়- তা ওএমএসে ৩০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে, আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সেই চাল ১৫ টাকায় পাওয়া যাবে।

বুধবার বিকালে সাড়ে ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, খারাপ মানের জিনিস কিন্তু দেওয়া হয় না। এক সময় রেশনের চাল রান্না করলে অনেক গন্ধ বের হতো। আগে চালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র দেওয়া হতো, এখন সেদিন চলে গেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি রয়েছে চাল। আমন ফসল ভালো হলে আমদানিও খুব বেশি করতে হবে না।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ১৭ আগস্ট খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। গত বছর পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে পাঁচ মাস ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এবার এটি সম্প্রসারিত করে ৫৫ লাখ পরিবার ও ছয়মাস করা হয়েছে। তার মধ্যে আগস্ট থেকে নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে চাল দেওয়া হবে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সাধারণত আমন ফসল আসে, সেজন্য মাঝে এ দুমাস বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারাও সচেষ্ট রয়েছেন।

অর্থনীতি

বিদায়ি অর্থবছরের শেষ বা চতুর্থ প্রান্তিকে আগের বা তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ১১ দশমকি ৯২ শতাংশ। যদিও সার্বিকভাবে রপ্তানি আয় বেড়েছে। ওই প্রান্তিকে রপ্তানি আয় কমার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে সৃষ্ট অস্থিরতা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মীদের কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি। এতে রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত তৈরি পোশাক রপ্তানি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত জুন পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ি অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল-জুনে দেশ থেকে ৯১১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি তার আগের প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। গত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাত বেশ কিছু গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ছিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও বাণিজ্যনীতির পরিবর্তন। যা ওই প্রান্তিকের রপ্তানি দক্ষতাকে দুর্বল করে দেয়। নীতিগত পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ (পরে কমে হয়েছে ২০ শতাংশ) অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ। তখন পর্যন্ত সেটি কার্যকর না হলেও বিদেশি ক্রেতারা রপ্তানির আদেশ স্থগিত করায় অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিয়েছিল।

মার্কিন প্রশাসন গত ৩১ জুলাই অন্য অনেক দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্যের অতিরিক্ত শুল্কের হার সংশোধন করে। এবারে বাংলাদেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক কমে ২০ শতাংশ হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। কারণ, এ বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী ভিয়েতনামের অতিরিক্ত শুল্ক ২০ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতের ওপর পালটা শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আর চীনের শুল্ক এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়, যা পণ্যের চালান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। সময়মতো পণ্য পাঠানোকে উল্লে­খযোগ্যভাবে ব্যাহত করে। এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি, দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন ব্যয় ও রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্যহীনতার কারণেও রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়।

এতে আরও বলা হয়, বিদায়ি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কিছুটা কমেছে। এই প্রান্তিকে দেশ থেকে মোট ৯১১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে ৩৯৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানি হয়। মূল্য সংযোজন দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ছিল ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।

অর্থনীতি

জাপানের মানুষেরা সাধারণত দীর্ঘায়ু হন। সেই দীর্ঘায়ু মানুষের এক অনন্য প্রতিনিধি এহেন শিগোকো কাগাওয়া, যার বয়স এখন ১১৪ বছর। এ শতায়ু ২০২১ সালে মশাল দৌড়েও অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি জানালেন, দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্যের কথা। তিনি ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের ভূমিকা পালন করেছিলেন। এখনো দৈনিক সংবাদপত্র পড়েন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে।

বর্তমানে শিগোকো কাগাওয়া দেশের সবচেয়ে বেশি আয়ুসম্পন্ন মানুষ। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল— কী করে দীর্ঘায়ু হলেন তিনি? এর উত্তরে শিগোকো বলেন, আমি যখন চিকিৎসক ছিলাম, তখন তো এত গাড়ি-টাড়ি ছিল না, হেঁটেই এখান থেকে ওখান যেতে হতো। আর এ কারণেই হয়তো এত শক্তিশালী ও সুস্থ থাকতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমার এনার্জি আমার সবচেয়ে বড় অ্যাসেট। আমি যেখানে খুশি যেতাম, যা খুশি খেয়েছি, যা খুশি করেছি, স্বাধীন থেকেছি আগাগোড়া।

তবে তার জীবনযাপনের একটা রুটিন ছিল বলে জানান শিগোকো। দিনে তিনবার নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাবার খেয়েছেন। ঠিক সময়ে শুতে গেছেন, উঠেও পড়েছেন ঘড়ি ধরে। ফলে যা খুশি করে বেড়ালেও এক ছন্দোবদ্ধ জীবন ছিল তার। আর সে কারণেই হয়তো তিনি দীর্ঘায়ু হতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে জাপানে সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচার রেকর্ড ছিল মিয়োকো হিরোয়াসুর। মৃত্যুর আগে তিনিও জানিয়েছিলেন— স্বতঃস্ফূর্ত জীবনযাপন করে যাওয়াটাই তাকে দীর্ঘ জীবন দিয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত তিনিও কাগজ পড়েছেন, ছবি এঁকেছেন এবং তাস খেলেছেন। অর্থাৎ জীবনকে বেঁচে নিয়েছেন প্রাণভরে। আর এভাবে বেঁচে থাকাটাই হয়তো দীর্ঘ জীবন দিয়েছে তাকে। যেমন দিয়েছে শিগোকোকেও।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৩০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী হিসেব করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমান ২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।