আন্তর্জাতিক

আবারও উত্তাল পাকিস্তান। বিভিন্ন ইসলামি দল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ফের অস্থিরতা বেড়েছে দেশটিতে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাঞ্জাব ও ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত কার্যকর হবে।

পাকিস্তানি প্রশাসন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, ১৪৪ ধারা কোনো অবস্থায়ই লঙ্ঘন করা যাবে না। জামায়াতে ইসলামি (জেআই) বিদ্যুতের দামের ব্যাপক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

কারণ দেশজুড়ে বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তান সরকার। জামায়াতে ইসলামির (জেআই) পাশাপাশি জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এবং অন্যান্য ধর্মীয় দল শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। এ দুই ইস্যুকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানে বিক্ষোভ করছিল দলগুলো। অন্যদিকে পিটিআই ঘোষণা করেছে, তারা শুক্রবার দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তির জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এ নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশ।

এরপর এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘শুক্রবার থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ জারি করা হলো। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। জনসাধারণকে কোনো অবস্থায়ই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রাজধানীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে এবং নাগরিকদের কোনো অবৈধ কার্যকলাপে অংশগ্রহণ এড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি (জেইউআই-এফ) এবং পিটিআই-এর একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দুইদিন ধরে এসব দলের নেতাকর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

এদিকে পাঞ্জাবে ২৬ থেকে ২৮ জুলাই ১৪৪ ধারা বলবৎ করার ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে এ সময় জনসমাগম, সমাবেশ, অবস্থান এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রশাসন পাঞ্জাবজুড়ে এই আদেশের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।’

আদেশে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের সমাবেশগুলো গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। জনসাধারণের শান্তি ও শৃঙ্খলা ব্যাহত করার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে জনসাধারণের জন্য উল্লেখযোগ্য অসুবিধার কারণ হতে পারে। তাই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, শান্তি বজায় রাখতে এবং স্থাপনা ও ভবন রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বা অপ্রীতিকর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের জোর সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। শুধু আর্থিক দিক থেকেই নয়, মৌখিকভাবেও তেল আবিবকে সাহায্য করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরাইল সমর্থনে বেশ শক্ত অবস্থানেই দেখা গেছে। কিন্তু গাজা ইস্যুতে ‘স্রোতের বিপরীতে’ দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে। গাজা যুদ্ধের এবার সমাপ্তি চাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আলজাজিরা, এএফপি।

কমলা হ্যারিস বলেন, ‘গাজায় ৯ মাসে যা কিছু ঘটেছে, তা ভয়াবহ। মৃত শিশুদের ছবি এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মরিয়া হয়ে পালাতে থাকা ক্ষুধার্ত মানুষ, যাদের কাউকে কাউকে দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থবারের মতো বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে, তাদের ছবি দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় এসব হৃদয়বিদারক ঘটনা থেকে আমরা দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে পারি না। এমন দুর্ভোগ দেখার পর আমরা চুপ থাকতে পারি না এবং আমি নীরব থাকব না।’

গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্যও নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কমলা। তবে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ‘নৃশংস সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসাবে উল্লেখ করেন সম্ভাব্য এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। কমলা বলেন, এ যুদ্ধ অবসানের সময় এসেছে। আর তা এমনভাবে এর শেষ করতে হবে যেন ইসরাইল নিরাপদ থাকে, সব জিম্মি মুক্তি পায়, গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ শেষ হয় এবং ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চর্চা করতে পারে। অন্যদিকে গাজায় শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবেই গুলি করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন মার্কিন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে বাইডেন ও কমলাকে চিঠি দিয়েছেন তারা। সেখানে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে- এমন ৪৫ জন মার্কিন চিকিৎসক এবং নার্সদের একটি গ্রুপ বিষয়টি তুলে ধরেন।

ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, সম্ভবত এ সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৯২ হাজারের বেশি হয়েছে। এ সংখ্যা হতবাক করার মতোই। কারণ, এটা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক চিকিৎসাকর্মী জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনের যেসব শিশুদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তারা লিখেছেন, আমাদের প্রত্যেকেই প্রতিদিন এমন সব শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছি, যাদের মাথা এবং বুকে গুলি করা হয়েছে। অল্পসংখ্যক মানুষ বাদে গাজার প্রায় প্রত্যেকেই অসুস্থ, আহত বা দুই ধরনের সমস্যার সঙ্গেই লড়াই করে যাচ্ছে। তারা আরও লিখেছে, ‘আমরা নারী ও শিশুদের প্রতি অসহনীয় নিষ্ঠুরতার দৃশ্যগুলো ভুলতে পারি না, যা আমরা নিজেরাই দেখেছি।’

এদিকে ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরও রয়েছে। সে আলজাজিরাকে জানিয়েছে, হামাস এবং সেখানে জিম্মি করে রাখা লোকজনের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি কয়েকজন বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের নামে।

খবর আল জাজিরার।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। সাত ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং অবৈধ তল্লাশি ফাঁড়ি স্থাপনকারী একটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

কট্টরপন্থী ওই গোষ্ঠীর নাম হিলটপ ইয়ুথ। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দিয়ে অপরাধ করেছে গোষ্ঠীটি, বলেন ওং। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন বসতি স্থাপনকারীরা মারধর, যৌন হামলা এবং নির্যাতনের মতো অপরাধ ঘটিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এক বিবৃতিতে ওং বলেন, বসতি স্থাপনকারী সহিংস অপরাধীদের জবাবদিহি করতে এবং তাদের চলমান বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাই। এসব কর্মকাণ্ড উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনাকে আরও দুর্বল করে।

অস্ট্রেলীয় সরকারের পদক্ষেপ সাধারণত তার মিত্র যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপানের অনুরূপ পদক্ষেপ অনুসরণ করে থাকে।

গত ১১ জুন ইসরায়েলের একনিষ্ঠ সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং উগ্র-ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী লেহাভার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আন্তর্জাতিক

ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুধু যুদ্ধাপরাধী নন, তিনি একই সঙ্গে মিথ্যাবাদীও। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর দেওয়া ভাষণের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বার্নি স্যান্ডার্স একথা বলেন। আনাদোলু এজেন্সি।

স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী। গাজা যুদ্ধ অবসানের জন্য আমাদের সবকিছু করতে হবে এবং সেখানে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে হবে।’

সামাজিক মাধ্যম এক্স পেজে দেয়া এক পোস্টে স্যান্ডার্স এসব কথা বলেন। মার্কিন এ সিনেটর আরও বলেছেন, ইসরাইলিরা নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়। এজন্য আগাম নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে তার নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে এসেছেন।

ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে স্যান্ডার্স সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেসে কোনো যুদ্ধাপরাধীকে সম্মান জানানোর এটিই প্রথম কোনো ঘটনা। এর আগেও স্পষ্টবাদী স্যান্ডার্স বহুবার ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন। এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দমন-পীড়নমূলক নীতি অনুসরণ করে আসছে তার প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর সমালোচনা করে থাকেন বার্নি স্যান্ডার্স।

মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাসও। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যায় পরিপূর্ণ এবং তিনি যুদ্ধবিরতি চান না বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষণ থেকে বোঝা যায় যে তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চান না। এক সাক্ষাৎকারে আবু জহুরি আরও বলেছেন, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ ঢাকতে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মুখে নিজেদের ব্যর্থতা ও পরাজয় ঢাকতে তিনি সফল হবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন ওই সিনিয়র কর্মকর্তা।

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য দেন নেতানিয়াহু। ভাষণে ইরানকে মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি নিরাপত্তা জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে আবু জহুরি বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনো দলের জোট হবে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে চলমান এ হামলায় আহত হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

আন্তর্জাতিক

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে চীন সফর শেষে বুধবার রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এই রিট্রিটে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং নীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ড. হাছান মাহমুদ বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগদান করে বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে অব্যাহত সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরী দল প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। অপরদিকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া লামসাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ’ সংক্ষেপে বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে সৃষ্ট এই জোটের সদস্য।
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন। বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরো অনেকগুলি ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের পেশাওয়ার বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একটি বিমান অবতরণের সময় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিমানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার পেশাওয়ারের বাচা খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালেও এ ঘটনায় ২১ জন ক্রু ও ২৭৬ যাত্রীর সবাই নিরাপদে রয়েছেন।

পাকিস্তানের সামা টিভির খবর অনুযায়ী, এসভি-৭৯২ বিমানটি সৌদি আরবের রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে পাকিস্তানের পেশাওয়ারে পৌঁছায়। বিমানটি অবতরণের সময়ই এর ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুন ধরে যায়। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেন এবং বিমানের আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

এ সময় ইমার্জেন্সি স্লাইড ব্যবহার করে ধীরে ধীরে যাত্রীদের বিমান থেকে নামানো হয়। সৌভাগ্যক্রমে যাত্রী বা ক্রু সদস্যদের মধ্যে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান সিভিল আভিয়েশন কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতি মতে, বিমান ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা বিমানের বাম ল্যান্ডিং গিয়ার থেকে ধোঁয়া ও আগুনের ঝলকানি দেখতে পান এবং পাইলটদের সতর্ক করেন। তারা বিমানবন্দরের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসকেও খবর দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস দ্রুত পৌঁছায় এবং ল্যান্ডিং গিয়ারের আগুন দ্রুত নেভাতে সক্ষম। এর ২৭৬ জন যাত্রী এবং ২১ জন ক্রু সদস্যকে একটি স্ফিত স্লাইড দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরব ও বিমান কর্তৃপক্ষ উভয় তরফেই জানানো হয়েছে, বিমানে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বিমানটিতে যান্ত্রিক কাজ করা হচ্ছে। যাবতীয় ত্রুটি সারিয়ে ফেলার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরিদর্শন এবং পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ মেরামত করা হচ্ছে।

এদিকে পেশোয়ার বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি চালু রয়েছে এবং সব ফ্লাইটই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলবে।

আন্তর্জাতিক

অবশেষে ফিলিস্তিনের সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করেছে ব্রাজিল। ইসরাইলকে অগ্রাহ্য করে ফিলিস্তিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করা ব্রাজিলের একটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। এ চুক্তি ইসরাইলকে তিরস্কারের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি দেশটির দৃঢ় সমর্থনের প্রকাশ।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে সোমবার ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ চুক্তিটি অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি বাস্তব অবদান। যাতে দেশটি প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে।

ব্রাসিলিয়ায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আল জেবেন ব্রাজিলের সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী, সমর্থনমূলক এবং সময়োপযোগী’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনে শান্তি সমর্থনের কার্যকর উপায়।

রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তিনি আশা করছেন মেরকোসুরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বছরে তা মাত্র ৩২ মিলিয়ন ডলার রয়েছে।

ব্রাজিল ২০১০ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দেশটির রাজধানীতে একটি ফিলিস্তিনি দূতাবাস স্থাপনের অনুমতিও দিয়েছে। শুক্রবার লাতিন আমেরিকার মেরকোসুর বাণিজ্য ব্লক ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি অনুমোদন করেছে।

অন্য মেরকোসুর সদস্যরা একই পদক্ষেপ নেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার ডানপন্থি সরকার এটি করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেয়নি।

৭ অক্টোবর থেকে অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে স্পেন, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, বাহামাস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, জ্যামাইকা, বার্বাডোস ও আর্মেনিয়া।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নগর মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি আর্থিক পরিষেবা খাতের তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে এও বলা হয়েছে, টিউলিপের নিয়োগের ব্যাপারে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি।

যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহের নির্বাচনে জয় পায় লেবার পার্টি। নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি লেবার পার্টির এমপি হিসেবে ছায়া মন্ত্রী হয়ে কাজ করছিলেন। এবার তাকে নগর মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দল।

৪১ বছর বয়সী টিউলিপ ২০২১ সাল থেকে লন্ডনের সিটি অব ফিন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্টে কাজ করেছেন।

চলতি বছরের মে মাসে টিউলিপ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ‍ব্রিটেনের শ্রম বাজারকে প্রতিযোগিতামূলকতা ও এর প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তিনি আরও বেশি কাজ করবেন।

নগরমন্ত্রী হিসেবে টিউলিম স্থলাভিষিক্ত হবেন বিম আফোলামিরের। বিম একজন সাবেক এইচএসবিসি ব্যাঙ্কার। তিনি এর আগের রক্ষণশীল সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

টিউলি এবারের নির্বাচনে মোট ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভের ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ভোটের চেয়ে টিউলিপের এবছরের ভোটের সংখ্যা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৫ সালে প্রথম হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসনের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন টিউলিপ। তখনই প্রথম হাউস অব কমন্সে তার প্রবেশ ঘটে। তারপর ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনেও একই আসন থেকে জয় পান তিনি। ওই বছর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১ হাজার রাজনীতিবিদের তালিকায় তার নামও উঠেছিল।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে চলেছে। আজ ওয়াশিংটনে শুরু হবে এ সম্মেলন। তিন দিনের এ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৩২ সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। এএফপি।

ন্যাটোকে একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী জোট হিসাবে দেখানোই এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। তবে এমন সময় জোটের নেতারা ওয়াশিংটনে জড়ো হচ্ছেন যখন ইউক্রেন যুদ্ধে একেবারে বিধ্বস্ত এবং আটলান্টিকের উভয় পাশে মধ্যপন্থি ও উগ্র ডানপন্থিদের মধ্যে চলছে নির্বাচনি ঝড়।

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে বিপর্যয়কর ফলের পর নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে লড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ন্যাটো জোটের প্রতি ট্রাম্পের অঙ্গীকার নিয়ে মিত্রদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আপাতত বাইডেন নির্বাচনি প্রচার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা নেতাদের স্বাগত জানাবেন।

উদীয়মান চীনের প্রভাব ঠেকাতে এশিয়ায় ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান ভূমিকার গুরুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন। তবে সম্মেলনে নজর থাকবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর। তিনি জোটের পক্ষ থেকে দৃঢ় সমর্থনের অপেক্ষায় আছেন। যদিও এবারও ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সামষ্টিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অংশ হিসাবে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ন্যাটো সামরিক জোটের।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর কিয়েভের পক্ষে দাঁড়ায় ন্যাটোর মিত্ররা। এর মাধ্যমে ন্যাটো মূলত জোটটির প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্যেই ফিরে গেছে। রাশিয়ার ত্বরিত বিজয় ঠেকিয়ে দিয়ে পশ্চিমাদের মন জয় করে নিয়েছেন ইউক্রেনীয়রা। তবে রুশ সেনারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পূর্বাঞ্চলে তারা অগ্রসর হচ্ছেন তারা।

ন্যাটো সম্মেলনের আগে একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, সম্মুখযুদ্ধে ইউক্রেন একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আটকে পড়ায় এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যেই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক পরিকল্পনার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ, ইউরোপের নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া এখন পুরোপুরি একটি স্বস্তিকর অবস্থায় আছে। তারা মনে করছে, শেষ পর্যন্ত তারা সফল হবে।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কোয় গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি এ সফরে গেলেন। তাছাড়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সেদেশে পা রাখলেন মোদি।

সোমবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মোদির বৈঠক করার কথা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধের মুখে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে করে রাখতে পশ্চিমা বিশ্বের চেষ্টার মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, তিনি মস্কোর সঙ্গে নিজের কূটনৈতিক পথে অটল রয়েছেন।

রাশিয়ায় রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আমন্ত্রণে ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি রাশিয়া সফর করছেন।

গত ১০ বছরে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে আমি বিভিন্ন আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করব। তাছাড়াও সফরকালে আমি রাশিয়ার বসবাস করা ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব।

ওদিকে ক্রেমলিন বলেছে, মোদির এই রাশিয়া সফরকে ভাল চোখে দেখছে না পশ্চিমারা। পশ্চিমা দেশগুলো মোদির রাশিয়া সফরকে কিভাবে দেখছে সে প্রশ্নের জবাবে এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ঈর্ষায় জ্বলছে। তারা নিবিড় ভাবে সফরের দিকে নজর রাখছে। তাদের এই নজরদারিই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে তো বটেই, সমসাময়িক নানা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হবে।

এনডিটিভি জানায়, মোদি সর্বশেষ রাশিয়া সফর করেছিলেন ২০১৯ সালে। এবার দু’দিনের সফর শেষে রাশিয়া থেকে অস্ট্রিয়ায় যাবেন তিনি। এর একদিন পর ফিরবেন ভারতে।