আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ড. ইউনূস অত্যন্ত যোগ্য। তার সক্ষমতার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে তার পৈতৃক বাড়িতে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের সম্পর্কে তার মূল্যায়ন জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস আমার পুরোনো বন্ধু। তিনি বিভিন্ন দিক থেকে একজন অসাধারণ মানুষ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সতর্ক করে অমর্ত্য সেন বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে। যে কারণে আওয়ামী লীগ সরকারকে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো দোষারোপ করেছিল।

তিনি বলেন, আপনি যদি হঠাৎ করে কোনো দেশের প্রধান হয়ে যান তাহলে আপনাকেও ড. ইউনূসের মতো কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন দল বিবেচনা করতে হবে। কারণ, সেখানে ইসলামিক দল রয়েছে, হিন্দু দলও রয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে, কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সাইডলাইন করার চেষ্টা না করে বাংলাদেশের উচিত ঐতিহ্যকে ধারণ করে একসঙ্গে কাজ করা। এ জন্য বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। আমি আশা করি, স্বাধীনতা ও বহুত্ববাদের প্রতি বাঙালির প্রতিশ্রুতি বজায় থাকবে।

বাংলাদেশ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন, তবে আশাহত নয়। তিনি আশা করেন, আগামী নির্বাচন অনেকের দাবির চেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে পরিবর্তনের অবকাশ আছে।

অমর্ত্য সেন তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় ঢাকায় কাটিয়েছেন এবং সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে তার শিক্ষাগ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, আমার পরিচয়ের সঙ্গে শক্তিশালী বাঙালিবোধ রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

এই নোবেলজয়ী মনে করেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ড. ইউনূসকে বহু পথ পাড়ি দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন এবং কক্সবাজারের শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের দূত এই তথ্য জানান।

বৈঠককালে তারা রোহিঙ্গা সংকট, এর সমাধানের নতুন উপায় অনুসন্ধান এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শিবিরে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য নতুন দাতাদের সম্পৃক্ত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ চলতি বছরের শেষের দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে। তিনি এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জুলি বিশপকে এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় মুখ্য ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড যৌথভাবে এ সম্মেলনের সহযোগী হতে সম্মত হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট লাঘব করতে এবং মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে নতুন শরণার্থীদের আগমন রোধে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির নতুন দিকনির্দেশনার প্রেক্ষিতে অনিশ্চয়তার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও দাতা সংগ্রহের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

বিশপ রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে ব্যাপভাবে সফল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ সম্মেলনটি দশকব্যাপী সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

আন্তর্জাতিক

শান্তির বিনিময়ে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

রোববার সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, ইউক্রেনের শান্তির বিনিময়ে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি কি না। জবাবে জেলেনস্কি বলেন, হ্যাঁ, আমি ইউক্রেনের শান্তির জন্য তা করতে রাজি।

জেলেনস্কি আরও বলেন, যদি আমার পদত্যাগের বিনিময়ে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পায় তাহলে পদত্যাগে আমার কোনো আপত্তি নেই।

২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জেলেনস্কি। গত বছর তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি দেশটিতে।

যথাসময়ে নির্বাচন না করার জন্য সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে ট্রাম্পের এ মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা।

ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের পর এই প্রথম মুখ খুললেন জেলেনস্কি।

ট্রাম্প আরও দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনে জেলেনস্কির সমর্থন রয়েছে মাত্র চার শতাংশ। তবে কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন বলছে, দেশটিতে তার সমর্থন রয়েছে ৬৩ শতাংশ। বিবিসিও বলছে, দেশটিতে ইউক্রেনের সমর্থন ট্রাম্পের দাবির চেয়ে বহুগুণ বেশি।

আন্তর্জাতিক

জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নিজেই গ্রেপ্তার হতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান জামায়াত আমির।

তিনি ওই পোস্টে লেখেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো বন্দি রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতা মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দি জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। ’

জামায়াত আমির আরও লেখেন, ‘তাকে (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি। এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব। ’

তিনি আরও লেখেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবেন, ইনশাআল্লাহ। ’

আন্তর্জাতিক

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আগমনের প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। রাষ্ট্রপতি শহিদ মিনারে উপস্থিত হওয়ার পর পরই ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান দেন তারা।

এছাড়া বিক্ষোভ থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, শেখ হাসিনার ফাঁসি ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আট দিন ধরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানরত ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

মিছিলটি শামসুন্নাহার হলের সামনের ব্যারিকেড অতিক্রম করে শহিদ মিনারের কাছে শিববাড়ী মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশের বাধার মুখে মিছিলটি আটকে যায়। তখন ছাত্র-জনতা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

বিক্ষোভ থেকে ‘শহিদ আবু সাঈদ জিন্দাবাদ’, ‘জুলাই বিপ্লব জিন্দাবাদ’, ‘ড. ইঊনূসকে রাষ্ট্রপতি করো বিপ্লবী সরকার গড়ো’ ‘অবৈধ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ চাই’, ‘রাষ্ট্রপতির ঠিকানা শহিদ মিনারে হবে না’, ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো’ স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম ও গালীব ইহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজু আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম ও কায়েস আহমেদ; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহমেদ ইফাত, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ; ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মাহি ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাকিব, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমেদ আলী প্রমুখ।

রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়ে রাজু ভাস্কর্যের গণঅবস্থানে ফিরে আসেন ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যে তারা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হবেন। এতে বিগত আওয়ামী লীগ রেজিমের ফ্যাসিস্টদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।

১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহিদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে।

গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে ইলন মাস্কের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর ভারতে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। এ খবরে ভারতীয়রা খুশি হলেও, বিষয়টি ভালোভাবে নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতে টেসলা যদি কারখানা চালু করে, তাহলে তাদের সঙ্গে ‘অন্যায়’ হবে বলে মনে করছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেখানে ভারতের ওপর সমহারে শুল্ক বসানোর কথা বলছেন, সেখানে তারই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ইলন মাস্ক ভারতে টেসলার কারখানা ও শোরুম খোলার পরিকল্পনা করছেন। এতেই ‘চটেছেন’ ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

একটি শো-তে ট্রাম্প বলে বসেন, ‘টেসলা যদি ওখানে (ভারতে) গিয়ে কারখানা বানায়, তবে তা নিজের দেশের (যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে অন্যায় হবে।’ ইলন মাস্কের পক্ষে ভারতে কোনো গাড়ি বিক্রি করা ‘অসম্ভব’ বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের ভাষ্য, বিশ্বের প্রতিটি দেশ আমাদের কাছ থেকে সুবিধা নেয় এবং তারা শুল্ক দিয়ে তা করে। বিশেষ করে ভারতে গাড়ি বিক্রি করা অসম্ভব (শুল্কের কারণে)। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য পরিকল্পনায় রয়েছে ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’। এর আওতায়, যেসব দেশ আমেরিকান পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক বসাবে।

ফক্স নিউজের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আমি বলি ২৫ শতাংশ, সবাই বলবে, ‘ওহ, এটা ভয়ানক।’ তাই এখন আমি আর তা বলি না। আমি শুধু বলি, তারা যা নেবে, আমরাও তাই নেব এবং জানেন কি এতে কী হয়? তারা থেমে যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে জানা যায়, শিগগিরই ভারতের বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছে টেসলা। ব্লুমবার্গ ও এনডিটিভি জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা সোমবার লিংকডইনে ১৩টি পদের জন্য প্রার্থী চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এসব পদের মধ্যে কাস্টমার সার্ভিস বা গ্রাহকসেবা ও ব্যাকএন্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদ উল্লেখযোগ্য। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সার্ভিস টেকনিশিয়ান ও বিভিন্ন উপদেষ্টার ভূমিকা সংবলিত পাঁচটি পদে মুম্বাই ও দিল্লি উভয় জায়গাতেই নিয়োগ দেওয়া হবে। আর কাস্টমার এনগেজমেন্ট ম্যানেজার এবং ডেলিভারি অপারেশনস স্পেশালিস্টের মতো কিছু পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে শুধু মুম্বাইয়ের জন্য। টেসলা এবং ভারত সরকারের মধ্যে কয়েক বছর ধরে আলোচনা চললেও উচ্চ শুল্কের কারণে কোম্পানিটি এতদিন দেশটিতে প্রবেশ করেনি।

তবে ভারত সরকার সম্প্রতি ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের বিলাসবহুল গাড়ির ওপর মৌলিক কাস্টমস শুল্ক ১১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭০ শতাংশ করেছে। কয়েক বছর ধরেই ভারতের বাজারে আসতে চাইছিল টেসলা। এজন্য কোম্পানিটি ২০০-৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে।

এর আগে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ইঙ্গিত দিয়েছিল, তারা ভারতে সাধারণত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ করতে চায়। তাদের লক্ষ্য ২৫-৩০ লাখ রুপির মধ্যে গাড়ি তৈরি করা। ভারতের আশপাশের দেশগুলোতে গাড়ি রপ্তানির পরিকল্পনাও তাদের আছে।

আন্তর্জাতিক

রাজধানী ঢাকার একটি বিলাসবহুল ১০তলা টাওয়ারের বাসিন্দা হিসাবে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম তালিকাভুক্ত ছিল। ওই ভবনের নামকরণ করা হয়েছে তারই পরিবারের নামে। শনিবার যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

‘টিউলিপ সিদ্দিক লিস্টেড অ্যাজ রেসিডেন্ট ইন লাক্সারি বাংলাদেশি টাওয়ার ব্লক’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার কর্মকর্তাদের ধারণা, ‘সিদ্দিকস’ নামে ঢাকার এ অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স ২০১৪ সালে টিউলিপের ‘স্থায়ী ঠিকানা’ ছিল। তখন তিনি যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর ছিলেন।

গুলশানের ওই ভবনটি যে এলাকায় অবস্থিত, তা মূলত বিদেশি কূটনৈতিক মিশন ও বড় করপোরেট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যলায়ের জন্য বিখ্যাত। আদালতের নথি ও সংবাদ প্রতিবেদনের সূত্রে বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে যুক্ত ‘পঞ্চম প্রপার্টি’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

তবে লেবার পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে টিউলিপের কোনো সম্পত্তি নেই বরং যে সম্পত্তি তার নয়, সে বিষয়ে তার কোনো প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দরকার নেই। তবে নগরমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের এক মাস পেরিয়ে গেলেও টিউলিপ সিদ্দিক এখনো তার সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয় ও বাংলাদেশে তার খালা শেখ হাসিনার শাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তদন্ত করে দেখেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির দেওয়া একটি ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপ অনিচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ট্রেজারি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে টিউলিপের দায়িত্ব ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। অথচ তার নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত চান। অভিযোগ, লন্ডনে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকটি সম্পত্তি তিনি ব্যবহার করেছেন।

উল্লেখ্য, ৭৭ বছর বয়সি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের আগস্টে এক রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়ন চালানোর পর তিনি গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান। তার নির্দেশে চালানো দমনপীড়নের ফলে ১ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়। হাসিনার শাসনামলে বিরোধীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও গোপনে কারাবন্দি করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গাজীপুরের কানাইয়ায় শেখ পরিবারের সংশ্লিষ্ট একটি পারিবারিক অবকাশকেন্দ্র খুঁজে পেয়েছে। এই বাড়ির মধ্যে ‘টিউলিপস টেরিটরি’ নামে একটি প্লট রয়েছে। দুদক সেটির তদন্ত করছে বলে খবর প্রকাশের একদিন পরই দ্য টেলিগ্রাফ টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও সম্পদের তথ্য প্রকাশ করে।

পুরোনো সরকারি নথি থেকে দেখা যায়, ওই সম্পত্তিকে টিউলিপের ‘বর্তমান’ ও ‘স্থায়ী’ ঠিকানা হিসাবে উলে­খ করা হয়েছিল। নথিটি ২০১৪ সালের মে মাসে ক্যামডেন কাউন্সিলরের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর তিন সপ্তাহ পরের তারিখে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে অবস্থিত ১০তলা ভবনটি ২০১০ সালের দিকে নির্মিত। একটি বিজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী, ওই ভবনে ছাদবাগান, দুই ও তিন বেডরুমের ঘরের ফ্ল্যাট এবং বারান্দাসহ আবাসিক ইউনিট রয়েছে। এ ধরনের বিশাল অ্যাপার্টমেন্টগুলোর সঙ্গে ঢাকার দুই কোটি মানুষের বসবাসের পরিবেশের বড় ধরনের বৈসাদৃশ্য আছে।

ওই ভবন টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক, তার দাদা বা পুরো পরিবারকে উদ্দেশ করে নামকরণ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

এ ভবনের মালিকানার বিষয়ে জানেন-এমন এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, এটি পরিবারের এক সদস্যের মালিকানাধীন জমির ওপর নির্মিত। তবে পরিবারটি এখনো ওই ভবনের কোনো ফ্ল্যাটের মালিক কি না বা ভবনটির নামকরণ কার নামে হয়েছে, এ বিষয়ে লেবার পার্টি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক ‘সাম্প্রতিক সময়’ পর্যন্ত ওই ভবনে ছিলেন বলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তার বায়োতে লেখা ছিল। শফিক আহমেদ শেখ রেহানার স্বামী। আর রেহানা হচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন।

আন্তর্জাতিক

রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ইউক্রেন একদিনে আরও ২৩৫ সৈন্য হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্যাটলগ্রুপ ইস্ট অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী একটি ট্যাঙ্ক, একটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান এবং ১৪০ জনের বেশি সৈন্য হারিয়েছে।

রুশ মন্ত্রণালয়ের মতে, ব্যাটলগ্রুপ ইস্ট-এর ইউনিটগুলো ফ্রন্টলাইনের পরিস্থিতি উন্নত করেছে এবং দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের নোভোসিয়োলকা, বারলাটস্কোয়ে, নভোপোল, নভোওচেরেতোভাতোয়ে এবং জাপোরোজিয়ে অঞ্চলের গুলিয়াইপোলের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর তিনটি যান্ত্রিক, ট্যাঙ্ক ব্রিগেড এবং তিনটি প্রতিরক্ষা ব্রিগেডের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।

একই সময়ে ব্যাটলগ্রুপ নর্থ ও ডিনেপ্রো অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ৯৫ জন সৈন্য, দুটি গোলাবারুদ ডিপো এবং তিনটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কেন্দ্র হারিয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে জানিয়েছে, খারকিভ ফ্রন্টে, ব্যাটলগ্রুপ নর্থের ইউনিটগুলো সিনেলনিকোভো, মালিয়ে প্রোখোদি এবং ঝোভটনেভে এলাকায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনী, প্রতিরক্ষা ব্রিগেড ও ন্যাশনাল গার্ড ব্রিগেডের ওপর হামলা চালায়। এতে ইউক্রেনীয় বাহিনী ৩০ জন সৈন্য, দুটি ফিল্ড আর্টিলারি গান ও একটি যান হারায়।

এদিকে ব্যাটলগ্রুপ ডিনেপ্রোর ইউনিটগুলো জাপোরোজিয়ে অঞ্চলের নোভোআন্দ্রেভকা, মালিয়ে শেরবাকি, কামেনস্কোয়ে, স্টেপনোগোরস্ক এবং খেরসন অঞ্চলের বেরিস্লাভ ও ওত্রাদোকামেনকায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর তিনটি যান্ত্রিক, দুটি উপকূল প্রতিরক্ষা এবং দুটি আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ব্রিগেডের ওপর হামলা চালিয়ে ৬৫ জন সৈন্য, একটি পদাতিক যুদ্ধযান ও সাতটি গাড়ি ধ্বংস করে। এছাড়া দুটি গোলাবারুদ ডিপো ও তিনটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কেন্দ্রও ধ্বংস করা হয়েছে। সূত্র: তাস

আন্তর্জাতিক

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস ২০২৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর ১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ১০ম স্থানে রয়েছে ইসরাইল।

নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সামরিক শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ফোর্বসের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

ফোর্বসের এ তালিকার পদ্ধতিটি পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলের অধ্যাপক ডেভিড রেইবস্টেইনের নেতৃত্বে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত বিএভি গ্রুপের গবেষকরা তৈরি করেছেন।

চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি শক্তিশালী দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদন আরো বলা হয়েছে, দেশটির জিডিপি ৩০ দশমিক ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার। জনসংখ্যা সাড়ে ৩৪ কোটি।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের জিডিপি ১৯ দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশটির জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশটির জিডিপি ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। জনসংখ্যা সাড়ে ৮ কোটি।

এদিকে, ৩ দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি এবং প্রায় সাত কোটি জনসংখ্যার যুক্তরাজ্য রয়েছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে থাকা জার্মানির জিডিপি ৪ দশমিক ৯২ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জনসংখ্যা সাড়ে ৮ কোটি।

অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সমন্বয়ের কারণে দক্ষিণ কোরিয়া তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এর জিডিপি ১ দশমিক ৯৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জনসংখ্যা ৫১ কোটি ৭০ লাখ।

তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। যার জিডিপি ৩ দশমিক ২৮ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জনসংখ্যা ৬৬ কোটি ৫০ লাখ।

জাপান রয়েছে অষ্টম স্থানে। দেশটির জিডিপি ৪ দশমিক ৩৯ ট্রিলিয়ন ডলার। জনসংখ্যা সাড়ে ১২ কোটি।

জিডিপি ১ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ৩৩ কোটি ৯০ লাখ জনসংখ্যার দেশ সৌদি আরব রয়েছে নবম স্থানে। এ ছাড়া তালিকায় ১০ম স্থানে রয়েছে দখলদার ইসরাইল। তাদের জিডিপি ৫৫১ বিলিয়ন ডলার। জনসংখ্যা প্রায় ৯৪ লাখ।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পেলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং।

বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে জন বৃত্তাসের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি। খবর নিউজ এইটিন।

লিখিত প্রশ্নে রাজ্যসভার সদস্য জন বৃত্তাস জানতে চান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে কিনা; চেয়ে থাকলে তারা কারণ হিসেবে কী বলেছে এবং ভারত সরকার তার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে কিনা।

জবাবে কৃতি বর্ধন বলেন, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা বিভিন্ন অপরাধ করেছেন। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি।

প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও অধিকাংশই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।

এর মধ্যেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে গণহত্যা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারাদেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অর্ধশতাধিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

প্রায় তিনশ মামলায় শেখ হাসিনার বিচার চলার মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে ‘কূটনৈতিকপত্র’ পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার।