আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে ফ্রান্স এবং জার্মানি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে আজ  সৌজন্য সাক্ষাতে এসে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি ম্যাসদুপুই এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।  দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমে ফ্রান্স ও পরে জার্মানির রাষ্ট্রদূত নবনিযুক্ত মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের অভিনন্দন বার্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন দুই রাষ্ট্রদূত।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,“ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পরপরই যে দেশগুলো আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, এই দেশ দু’টি তাদের  অন্যতম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হচ্ছে জার্মানি। ফ্রান্সও আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ওপরের দিকে। সম্পর্ক গভীর করতে আমাদের ‘বিজনেস বাস্কেট’ বিস্তৃত করা নিয়ে আলোচনা করেছি।”  তিনি জানান, ‘ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরে এটি আলোচনা হয়েছিল। আমাদের ইকোনোমি যখন পারমিট করবে, তখন আমরা পারব।’

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের যুদ্ধশিশুদের নিয়েছিল জার্মানি। ফ্রান্সও কিছু নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কারণেই ওই শিশুদের জন্ম হয়েছিল। জার্মানি ওই সময় অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদেরকে ব্যাপক হারে নিয়েছিল। আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধাও পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের বেশিরভাগকেই চিকিৎসা দিয়েছিল জার্মানি। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।

প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর সফরে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় -এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ আমাদের একটা অগ্রাধিকার। বিশেষ করে, আবহাওয়া বার্তা পাঠানোর জন্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে এটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে সেপ্টেম্বরে এমওইউ হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের নির্বাচন ছিল। নিশ্চয়ই কাজটি দ্রুত এগুবে।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা চলছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনাই দুই দেশের রাষ্ট্রদূত তোলেননি,  বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুণনির্বাচিত হওয়ায় জার্মানির চ্যান্সেলর ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন বার্তার হার্ডকপি আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রদূত।

আন্তর্জাতিক

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিতে দুদিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার নয়াদিলি­র ‘কর্তব্যপথে’ কুচকাওয়াজে হাজির থাকার পাশাপাশি দিলি­প্যারিস দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পাঁচ মাস পর, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সংবিধান গ্রহণ করে ভারত। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করে আসছে দেশটি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রথমে রাজস্থানের জয়পুরে অবতরণ করেন ম্যাক্রোঁ। সেখান থেকে যান ‘গোলাপি শহরের’ অন্যতম দর্শনীয় স্থান ‘আম্বর ফোর্ট’ দেখতে। হেঁটেই দুর্গে ওঠেন তিনি। এরপর যান জয়পুরের ‘বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র’ যন্তর মন্তর। সেখানেই মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বে কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে এটিই মোদির শেষ বৈঠক। গত জুলাই মাসে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ফ্রান্সের জাতীয় দিবস অর্থাৎ বাস্তিল দিবসের উদ্যাপন অনুষ্ঠানের বিদেশি অতিথি হিসাবে ছিলেন তিনি। এবার ম্যাক্রোঁ এলেন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু হোয়াইট হাউজ আগেই জানিয়েছিল যে, বাইডেন আসতে পারছেন না।

কূটনৈতিক মহলের মতে, কাশ্মীর সমস্যা, পরমাণু পরীক্ষা বিতর্ক বা চীনের সঙ্গে সংঘাতের মতো অনেক পরিস্থিতিতে বহু দশক ধরেই ফ্রান্সকে পাশে পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের সমর্থনে ফ্রান্সই প্রথম এগিয়ে এসেছিল। তা ছাড়া ১৯৭৪ এবং ১৯৯৮ এই দু’বছরে ভারতের পরমাণু শক্তি পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ পশ্চিমা দেশগুলো যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাতে যোগ দেয়নি ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের সময় ফ্রান্সই প্রথম ভারতকে সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল।

ম্যাক্রোঁর দু’দিনের ভারত সফরে আরও দৃঢ় হবে সেই মৈত্রীর বন্ধন। রাশিয়ার পর ফ্রান্সই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমরাস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে ২৫টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান এবং তিনটি স্করপিয়ন সাবমেরিন ক্রয় নিয়েও প্যারিসের সঙ্গে আলোচনা চলছে দিল্লির।

আন্তর্জাতিক

প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪। একেক দিনে একেক ইস্যুতে উত্তাল দুই বিরোধী শিবির ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান। সোমবার ছিল গর্ভপাত নিয়ে। দেশটির সবচেয়ে বিতর্কিত ও স্পর্শকাতর বিষয়টিতে শুরু থেকেই দুদলই দুই মেরুতে।

গর্ভপাতে রাজি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল। অন্যদিকে বিরুদ্ধে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান। আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে নারী ভোটারদের কাছে ধরাশায়ী করতে গর্ভপাতকেই প্রচার এজেন্ডা হিসেবে বেছে নিল ক্ষমতাসীন ডেমেক্র্যাট। এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতকে বৈধ করতে সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহাসিক ‘রো বনাম ওয়েড’ সিদ্ধান্তের ৫১তম বার্ষিকীতে সোমবার এই বিষয়ে দেশব্যাপী সফর শুরু করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সোমবার প্রথমদিনেই আসেন উইসকনসিনে। নারীদের প্রজনন অধিকার নিয়ে বক্তৃতা দিতে আজ যাবেন ভার্জিনিয়ায়। একটি বড় সমাবেশে অংশ নেবেন। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও থাকবেন সেখানে। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং হ্যারিসের স্বামী ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ ডগলাস এমহফও।

রো বনাম ওয়েড ৪১০ ইউ.এস. ১১৩ (১৯৭৩), মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ‘যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সাধারণত গর্ভপাতের অধিকারকে রক্ষা করে’ এ সম্পর্কিত একটি রায় দেওয়া হয়েছিল সেসময়। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে ট্রাম্প সুপ্রিমকোর্টের তিন বিচারপতিকে মনোনীত করেছিলেন যারা রো বনাম ওয়েডকে বাতিল করার জন্য ভোট দিয়েছিলেন।

নিউউয়র্ক টাইমসরে প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতের সিদ্ধান্তের পর থেকে ১৪টি মার্কিন রাজ্য গর্ভপাতের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর অন্য সাতটি রাজ্য সময়সীমা আরোপ করেছে।

ভার্জিনিয়ার সমাবেশে বাইডেন এবং অন্য বক্তারা ২০২৪ সালে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গর্ভপাতের নিষিদ্ধের হুমিকসহ ‘প্রজনন স্বাধীনতা কি ঝুঁকির মধ্যে আছে’ তা নিয়ে কথা বলবেন। এর আগে শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে হ্যারিস বলেছিলেন, ‘ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি প্রতিটি রাজ্যে গর্ভপাতের এই আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কসভায় (জেনারেল ডিবেট) তিনি এ আহবান জানান।

দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলো শক্তিশালী দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সক্ষম হবে, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. হাছান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সমতা ও মানবিক মূল্যবোধের বাণী এখনও প্রাসঙ্গিক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দেন যার মধ্যে রয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন বাস্তবায়নের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ, বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো সংস্কার, প্রযুক্তিগত বিভাজন মোকাবেলা, নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।

ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী উন্নয়ন নীতির ফলে গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার ভাষণে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

এর আগে এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় দেশগুলো, ইসরায়েল, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ব্যতীত এশিয়া মহাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বাদে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে দক্ষিণ বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের নতুন চেয়ার উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি দু’দিন ব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস, চীনের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং ২য় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

তুরস্কের সামরিক বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিশ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়েছে। রাতভর হামলায় ২৩টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস হয় বলে মঙ্গলবার জানায় তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

খবর আল জাজিরার।

এ অভিযান তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করল। আর গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা তো অব্যাহত রয়েছেই।

শুক্রবার উত্তর ইরাকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নয় তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পর সংঘর্ষের সূচনা হয়। আঙ্কারা উত্তর সিরিয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় বিমান হামলা ও সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এর জবাব দিল।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে তুরস্কের সামরিক বাহিনী ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মেটিনা, গারা হাকরুক ও কান্দিলের পাশাপাশি সিরিয়ার উত্তরে হামলা চালায়। তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের অভিযান সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং হামলা ঠেকাবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহার করা গুহা, আশ্রয়স্থল, সুরঙ্গ, অস্ত্র গুদাম ও সরবরাহ সামগ্রীসহ ২৩টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ে আরও গ্রাহক বাড়ানোসহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে পলক বলেন, আমেরিকা আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। যে ৬০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার রপ্তানি করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় আমেরিকায়। কীভাবে এটা আরও বাড়াতে পারি, সে বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে রূপকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন, সেটা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়েও কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনার মূল তিনটি উদ্দেশ্য ছিল।

১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসোর্স ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করার বিষয়েও কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার তাতে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সঙ্গে আমেরিকার কীভাবে জি-টু-জি সহযোগিতা হতে পারে এবং আমেরিকার যে কোম্পানিগুলো আছে, বিশেষ করে আমাজন, স্টারলিং, স্পেসএক্স, গুগল ও ফেসবুকের বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি হতে পারে, সেগুলো নিয়েও কথা বলেছি।

পলক বলেন, সব মিলিয়ে বলতে পারি, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পেতে পারি এবং একই সঙ্গে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে কথা বলেছি।

সর্বশেষ সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন, সে বিষয়েও আলাপ হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক

জেফ্রি এপস্টাইন ও গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল দম্পতির মানবপাচার মামলা সম্পর্কিত নথির তৃতীয় অংশ ফাঁস হয়েছে। শুক্রবার ফাঁস হওয়া নথিতে বাদী ভার্জিনিয়া জিউফ্রে ও জোহানা জোবার্গের দেওয়া সাক্ষ্যে ‘১৩ ক্ষমতাধর সাক্ষীর’ মধ্যে সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের নামও উঠে এসেছে। খবর এনডিটিভির।

জিউফ্রে এপস্টাইন ও ম্যাক্সওয়েল পাচারকৃত অসংখ্য অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে একজন। ২০১৫ সালে জিউফ্রে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মানবপাচারের শিকার হওয়া নিয়ে মামলা করেন।

নতুন প্রকাশিত নথিতে এপস্টাইনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাক্ষ্যের উদ্ধৃতি রয়েছে। এ বন্ধুরা তাকে মানবপাচার কারবার পরিচালনা করতে সাহায্য করেছিলেন। জিওফ্রে ও জোবার্গের অধিকতর জবানবন্দিতে এপস্টাইন ও ম্যাক্সওয়েলের মানবপাচারের কারবারে কিভাবে কিশোরীদের ফাঁদে ফেলা হতো তা নিয়ে আরও বিস্তারিত রয়েছে।

নতুন এ নথি অনুসারে, ভার্জিনিয়া জিউফ্রের উল্লেখিত ১৩ জন নির্দিষ্ট সাক্ষীর মধ্যে হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। আদালতে দাখিল করা এ নথিতে অবশ্য তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

যৌন ব্যবসায়ী এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটন, ট্রাম্পসহ যাদের নাম জড়িয়ে গেলযৌন ব্যবসায়ী এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটন, ট্রাম্পসহ যাদের নাম জড়িয়ে গেল
এপস্টাইনের সাবেক গৃহপরিচারিকা হুয়ান অ্যালেসি বলেন, প্রিন্স অ্যান্ড্রু প্রায়ই এপস্টাইনের পাম বিচ হোমে থাকতেন। সেখানে তিনি প্রত্যেকদিন ম্যাসাজ নিতেন। নথিতে আরও বলা হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এপস্টাইনের সাউথ ফ্লোরিডার বাড়িতে যেতেন। তবে, ট্রাম্প কখনোই ওই বাড়িতে অবস্থান করেননি উল্লেখ করেন জুয়ান।

পেডো আইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ফাঁসকৃত নথি অনুসারে, যৌনদাসী হিসেবে আনা প্রত্যেক মেয়ের বিনিময়ে ২০০ ডলারে চুক্তি করতেন এপস্টাইন। বেশ কিছু মেয়ে তাকে ম্যাসেজ করার বিনিময়ে টাকা পেয়েছে।

গত বুধবার থেকে মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ১৮০ টিরও বেশি নথি ফাঁস হয়েছে। ২০১৯ সালে জুলাইয়ে এপস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন দাসত্ব ও মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়। তবে বিচারকার্য শুরু হওয়ার আগেই তিনি ম্যানহাটনের কারাগারে আত্মহত্যা করেন। একই অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন ম্যাক্সওয়েল।

মার্কিন আদালত বলছে, ধনসম্পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এপস্টাইন কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন করতেন।

আন্তর্জাতিক

 

বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ হবে। এদিন ৩০০টি আসনে ভোট নেওয়ার কথা থাকলেও একজন চূড়ান্ত প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ এ ভোট বাতিল করা হয়েছে।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১৯৬৯ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৯৬ জন নারী ও দুজন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া), বাকি সব পুরুষ। এ নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। বিএনপিসহ ১৬টি রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যে এ নির্বাচন শেষ হতে যাচ্ছে।

ইসি জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৩৪টি দেশের ১২৬ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন (অ্যাক্রিডিটেশন) পেয়েছেন। এ ছাড়া ইসির আমন্ত্রণে ৩২ জন পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন।

সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষক অনুমোদন পাওয়া সবাই আসেননি। ৭০-৮০ জন ঢাকায় এসেছেন।  ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য মিশন যথাক্রমে তাদের ২৯ এবং ১০ জন কর্মীর পর্যবেক্ষণের অনুমতির জন্য আবেদন করে। পরে ওই দুটি মিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না বলে ইসিকে জানিয়ে দেয়।

এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশিদের তালিকায় সংখ্যার শীর্ষে আছে কমনওয়েলথ। সংস্থাটির ১৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর এনডিআই এবং আইআরআইয়ের ১২ জন, আফ্রিকার ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্সের ১০ জন এবং ইইউর চারজন প্রতিনিধি যুক্ত থাকবেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে। বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ঢাকায় জাপান দূতাবাসের ১৬ জন কর্মী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

আন্তর্জাতিক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘শেনজেন এরিয়া’ বা সীমান্ত-মুক্ত অঞ্চল। বাধা-ধরা নিয়ম ছাড়াই চলাচল করা যায়। হোক সেটা স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথ। নির্দিষ্ট এই এলাকায় বর্তমানে ২৭টি দেশের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ অবাধে যাতায়াত করতে পারেন। তবে মুক্ত সীমান্তে চলাচলের এই সুযোগ পেতে যুক্ত হচ্ছে আরও দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া। ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ইউরোপের সীমান্তহীন শেনজেন ভ্রমণ অঞ্চলে আংশিকভাবে যোগ দেয় দেশগুলো। রাজনৈতিক চুক্তিটি রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়াকে শুধু আকাশ ও সমুদ্রপথে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। স্থল সীমান্তের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আরও আলোচনার প্রয়োজন। তুর্কি এবং পশ্চিম বলকান রুটে দিয়ে ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমনের উদ্বেগের কারণে অস্ট্রিয়া দেশ দুটিকে শেনজেনে প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল। অবশেষে আংশিকভাবে তাদের চুক্তিটিতে যুক্ত করা হয়। ইউরো নিউজ, রয়টার্স।

রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ মুক্ত-সীমান্ত অঞ্চলে প্রবেশাধিকার চাইছিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী মার্সেল সিওলাকু বলেছেন, ‘তেরো বছর পর, রোমানিয়া অবশেষে সেনজেনে যোগ দেবে- আমাদের একটি রাজনৈতিক চুক্তি হয়েছে। নতুন বছরের মার্চ পর্যন্ত, রোমানিয়ানরা আকাশ ও সমুদ্রপথে শেনজেন এলাকার সুবিধাগুলো থেকে উপকৃত হতে পারেন। আমি এও নিশ্চিত যে, ২০২৪ সালে আমরা স্থল সীমান্তে আলোচনায়ও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাব।’ বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই ডেনকভ বলেন একটি ‘জটিল আলোচনার’ পরে চুক্তিটি হয়েছ। তিনি আরও বলেন, ‘খুব বেশি অগ্রগতি ছাড়াই ১২ বছর পর, আজ আমরা বুলগেরিয়ার এই অবিসংবাদিত সাফল্যের জন্য নিজেদের অভিনন্দন জানাতে পারি।’

ইউরোপীয় কমিশন ২০১১ সাল থেকে উভয় দেশকে শেনজেন যোগদানের জন্য প্রস্তুত বলে বিবেচনা করেছিল, কিন্তু ইইউ রাজ্যগুলো আইনের শাসন এবং অভিবাসন বৃদ্ধির আশঙ্কায় চুক্তিটি অবরুদ্ধ করেছিল।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অরিন্দম বাগচী বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে ভারত সেদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশের স্বপ্নকে সমর্থন করে যাবে।

ভারত সরাসরি ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছে এবং আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে’ বলে বিএনপির মুখপাত্রের সাম্প্রতিক অভিযোগের বিষয়ে বাগচী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা তৃতীয় কোনো দেশের নীতির বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের ভারতে সাম্প্রতিক বহুল আলোচিত ‘সফর’ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগচী জানান, তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভারত সফর নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছেন।

তিনি বলেন, এটি একটি ব্যক্তিগত সফর হতে পারে। কিন্তু আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তাই আমার কাছে এই মুহূর্তে বলার কিছু নেই।