খেলাধুলা

অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। হাতে ছিল একটি উইকেট। বাংলাদেশ তখনও পিছিয়ে ১৮১ রানে। সেখান থেকে যে কোনো দলই যতক্ষণ পারে ব্যাটিং করার চেষ্টা করবে।

তবে চতুর্থ দিন সকালেই সবাইকে চমকে দিল বাংলাদেশ। ওই রানে পিছিয়ে থেকেই ইনিংস ঘোষণা করলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংস ঘোষণার ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অবশ্য বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্পতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

পেসার তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিং তোপে দুই সেশন শেষ হওয়ার আগেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা, ১৫০ রানেই। এদিন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারসহ গুণে গুণে ৬টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন টাইগার পেসার, ৬৪ রানের বিনিময়ে।

তাসকিন বাদে অধিনায়ক মিরাজ ২টি এবং শরিফুল ও তাইজুল ১টি করে উইকেট শিকার করেন। তাতেই প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৩ রান।

এদিন নতুন বলে বাংলাদেশকে দ্রুত ব্রেক-থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা মিকাইল লুইসকে এবার ৮ রানের বেশি করতে দেননি এই ডানহাতি পেসার। তাসকিনের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন লুইস। রিভিউ নিলেও সফল হননি।

লুইসের পর কিসি কার্টিকেও ফেরান তাসকিন। ডানহাতি এই পেসারের বলে তৃতীয় স্লিপে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছের ১ রান করা কার্টি। তাতে ৩৫ রানে ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।

তাসকিনের পর উইকেট-পার্টিতে যোগ দেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়েছেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে। উইন্ডিজ অধিনায়কও স্লিপে জয়ের হাতে ধরা পড়েন। ২৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ফলে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এরপর দ্বিতীয় স্পেলে এসে ফের শিকারে মাতেন তাসকিন। একে একে ফেরান কাভেম হজ (১৫), আগের ইনিংসে শতক হাঁকানো জাস্টিন গ্রিভস (২), কেমার রোচ (১২) ও শামার জোসেফকে (৪)। এরমধ্যে জাস্টিন গ্রিভস ও শামার জোসেফকে সরাসরি বোল্ড করেন তাসকিন। সেইসঙ্গে প্রথমবার ফাইফার উদযাপনে মাতেন ও গোটা দলকে মাতান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৬.১ ওভারে ১৫২ (ব্র‍্যাথওয়েট ২৩, লুই ৮, কার্টি ৩, হজ ১৫, আথানেজ ৪২, গ্রেভস ২, দা সিলভা ২২, আলজারি জোসেফ ১৭, রোচ ১২, শামার জোসেফ ৪, সিলস ১*; তাসকিন ১৪.১-১-৬৪-৬, হাসান ৬-২-২০-০, শরিফুল ৭-৪-৯-১, মিরাজ ১৪-৩-৩১-২, তাইজুল ৫-১-২৫-১)

খেলাধুলা

আত্মবিশ্বাসী শুরু করলেও টিকলেন না জাকির হাসান। জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না মাহমুদুল হাসান জয়। দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪৫০ রানের জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ।

আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে খেলা শেষ হওয়ার আগে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ৪০ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনও ৪১০ রানে পিছিয়ে তারা। ফলোঅন এড়াতে প্রয়োজন আরও ২১১ রান।

২৩ বলে ৭ রানে খেলছেন মুমিনুল হক। ১ চারে ৩১ বলে ১০ রান করে অপরাজিত শাহাদাত হোসেন।

উইকেটে বোলারদের জন‍্য কিছুটা সহায়তা আছে এখনও। তবে চাইলে টিকে থাকা খুব কঠিন কিছু নয়। শেষ বেলায় চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সেটা দেখিয়েছেন মুমিনুল ও শাহাদাত। ফলোঅন এড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছাকাছি যেতে তাদের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২০ ওভারে ৪০/২ (জয় ৫, জাকির ১৫, মুমিনুল ৭*, শাহাদাত ১০*; রোচ ৪-০-৬-০, সিলস ৬-৪-১৫-১, আলজারি জোসেফ ৫-৩-২-১, শামার জোসেফ ৩-১-৮-০, হজ ১-০-৩-০, আথানেজ ১-০-৪-০)।

খেলাধুলা

ভালো শুরুর পর হুট করেই যেন তৃতীয় সেশনে খেই হারাল বাংলাদেশ। কিছুটা এলোমেলো বোলিংয়ে সুবিধা নিয়ে তরতর করে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিরোধ গড়া দুই ব‍্যাটসম‍্যান জাগাল সেঞ্চুরির আশা। তাদের নব্বইয়ের ঘরে থামিয়ে লড়াইয়ে ফিরল বাংলাদেশ।

আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ৮৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ২৫০। ২১ বলে দুই চারে ১৪ রানে খেলছেন কিপার-ব‍্যাটসম‍্যান জশুয়া দা সিলভা। এক চারে ২৬ বলে জাস্টিন গ্রিভসের রান ১১।

প্রথম সেশনে ২৫ রানে ২ উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশকে হতাশ করেন মিকাইল লুই ও আলিক আথানেজ। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলা লুই ৯০ রানে জীবন পাওয়ার পর স্বচ্ছন্দ হতে পারেননি। বেরিয়ে এসে মেহেদী হাসানকে ছক্কা মারার চেষ্টায় ফেরেন। ৯৭ রানে তার বিদায়ে ভাঙে ১৪০ রানের জুটি।

প্রথম দুই সেশনে রানের জন‍্য সংগ্রাম করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় সেশন রান করে দ্রুত। এতে বড় অবদান আথানেজের। নড়বড় শুরুর পড় আক্রমণাত্মক ব‍্যাটিংয়ে তিনি খেলেন ৯০ রানের ইনিংস।

দ্বিতীয় নতুন বল এখনও বেশ নতুন। দ্বিতীয় দিন সকালে স্বাগতিকদের দ্রুত গুটিয়ে দিতে এই বলই হয়তো বাংলাদেশের বড় আশা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৮৪ ওভারে ২৫০/৫ (ব্র‍্যাথওয়েট ৪, লুই ৯৭, কার্টি ০, হজ ২৫, আথানেজ ৯০, গ্রিভস ১১*, ডা সিলভা ১৪*;

হাসান ১৮-৩-৫৪-০, শরিফুল ১৩-৪-২৭-০, তাসকিন ১৫-২-৪৬-২, তাইজুল ২২-৪-৬৭-১, মিরাজ ১৬-২-৪৭-১)

খেলাধুলা

ঘরের মাঠে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য বসুন্ধরা কিংস। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মোহামেডানের বিপক্ষে আরও একবার তা প্রমাণ করল গত মৌসুমের ট্রেবলজয়ীরা।

পিছিয়ে পড়েও কোচ ভালেরিউ তিতার শিষ্যরা লিখলো দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের গল্প। সেই গল্পের শেষে শিরোপা জিতে মৌসুম শুরু করল তারা।
আজ (শুক্রবার) ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হলো ‌‘বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপ’ দিয়ে। গত মৌসুমের দুই সেরা দল বসুন্ধরা কিংস এবং মোহামেডান নামলো সেই লড়াইয়ে। যেখানে সুলেমান দিয়াবাতের গোলে পিছিয়ে পড়ে বিরতিতে যাওয়া কিংস শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ৩-১ গোলে।

ঘরোয়া ফুটবলে নতুন আকর্ষণ চ্যালেঞ্জ কাপ। ইউরোপীয় ফুটবলের আদলে বাংলাদেশে এমন টুর্নামেন্ট প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করলো। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অনেক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। তাদের স্মরণ করতে ও শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ ২.০ নামকরণ হয়েছে। ম্যাচটির আগে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শহীদ সাঈদ-মুগ্ধর গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। স্টেডিয়ামকে সাজানো হয়েছে বিপ্লবের স্মৃতি জড়িয়ে। সেই টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলেছে কিংস। এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি এবং টিকিট বিক্রি হতে প্রাপ্ত অর্থ দেওয়া হবে জুলাই ফাউন্ডেশনে।

আজ ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহামেডান। বাঁ প্রান্ত থেকে এমানুয়েল সানডের ক্রস হেডে জালে জড়ান সুলেমান দিয়াবাতে। কিছুই করার ছিল না বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। কিন্তু তখনও ম্যাচের নাটকীয়তার ঢের বাকি। ৩১তম মিনিটে প্রথম পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করেছিল কিংস। কিন্তু মিগেল ফিগেইরো দামাসেনার কাছ থেকে নেওয়া শট সহজেই রুখে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। তিন মিনিট পরে আরও একবার মিগেলের শট রুখে দেন সাদা-কালো শিবিরের গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের ভেতর সতীর্থের ক্রসে হেড করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মিগেল। তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে প্রথমার্ধে আর সমতায় ফেরা হয়নি কিংসের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে কিংস। আক্রমণের ধার বাড়ানো দলটি একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে। ‍শুরুতেই ফ্রান্সের ফুটবলার জারেদ খাসার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তার ক্লাব ক্যারিয়ারে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের লিগে। সবশেষ খেলেছেন ইউক্রেনের দল কারপাতি লভিভে। বাংলাদেশে এসে অবশ্য সুবিধা করতে পারছেন না। চোট লেগেই আছে। চোট কাটিয়ে দলে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া ছিলেন এই ফুটবলার। ৫৮তম মিনিটে মিগেলের ক্রস বক্সের ভেতরে পেয়ে যান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তার বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

৬১তম মিনিটে ঘটে অনাকাঙ্খিত এক ঘটনা। মাঠের মধ্যে স্মোক ফ্লেয়ার ছুঁড়ে মারে সমর্থকরা। ফলে খেলা বন্ধ রাখতে হয় প্রায় মিনিট দশেকের মতো। চারটি লাল রংয়ের স্মোক ফ্লেয়ারে মাঠ ভরে যায়। মাঠের যে পাশে মোহামেডান খেলছিল, সেখানের অনেকটা জায়গায় লাল আভা ছড়িয়ে পড়ে। এই স্মোক ফ্লেয়ার থেকে কিছুটা বারুদের গন্ধ ছড়ায়। এই কারণেই সময় নিয়ে মাঠে নামতে চান কোচ আলফাজের শিষ্যরা। ড্রপ বল দিয়ে আবারও খেলা শুরু হয়। এমন ঘটনা ঘরোয়া ফুটবল এর আগে খুব কমই দেখা গেছে।

খেলা শুরু হলে ম্যাচের ৭২তম মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা মেলে বসুন্ধরা কিংসের। মিগেলের কর্নার থেকে বল পেয়ে আলতো ছোঁয়ায় দলকে সমতা ফেরান তপু বর্মন। বক্সের ভেতর একদম আনমার্ক অবস্থায় ছিলেন তপু। বসুন্ধরার সেন্টার-ব্যাককে বক্সের ভেতর আনমার্ক অবস্থায় রাখার ভুলের মাশুল কড়ায়-গন্ডায় দিতে হয়েছে আলফাজের শিষ্যদের। বল জালে জড়াতেই ঘরের মাঠে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে কিংসের সমর্থকরা।

৮১তম মিনিটে সমর্থকদের উল্লাস দ্বিগুণ করে দেন বসুন্ধরা কিংসের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে মিগেলের ক্রস প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ওই গোলের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহামেডান। উল্টো যোগ করা সময়ের সাত মিনিটে মিগেল দামাসেনোর গোলে ব্যাধান বাড়ায় কিংস। সেই সঙ্গে দলের জয়ও নিশ্চিত করে ফেলেন এই ব্রাজিলিয়ান। কিংস আর গোল না পেলেও সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।

গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের প্রধান প্রতিপক্ষের ভূমিকায় ছিল মোহামেডান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ফেডারেশন কাপ সব প্রতিযোগিতায়ই বসুন্ধরাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল কোচ আলফাজের শিষ্যরা। সব প্রতিযোগিতায়ই বসুন্ধরার কাছে শিরোপা খুইয়েছিল সাদা কালোরা।

খেলাধুলা

ক্যারিবিয়ান অধিনায়ককে ফিরিয়ে অ্যান্টিগা টেস্টে বল হাতে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। এরপর তিনে নামা ক্যাসি কার্টির উইকেটও ঝুলিতে পুরেছেন এই পেসার। দলীয় ২৫ রানেই হারিয়ে কিছুটা বিপাকে-ই পড়েছে স্বাগতিকরা।

এর আগে শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদ মিলে শুরু থেকেই চাপে রাখেন দুই উইন্ডিজ ওপেনারকে। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান-ই তুলতে পারেননি ব্র্যাথওয়েট ও অন্য ওপেনার মিকাইল লুইস।

দুই ব্যাটারের মধ্যে বেশি চাপে ছিলেন ব্র্যাথওয়েট। ৩৮ বল খেলে ৪ রানের বেশি তুলতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তাসকিনের বলে ফিরেছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। আউট থেকে বাঁচতে রিভিউ নিলেও তার বিপক্ষে যায় রায়।

তিনে নেম সুবিধা করতে পারেননি ক্যাসি কার্টিও। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খোলা হয়নি তার। তাসকিনের স্ট্রেইট লাইনের বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।

এর আগে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়া মিরাজ।

খেলাধুলা

এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বৃহস্পতিবার দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এবারের আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।

সেই লক্ষ্যে ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। এছাড়া রিজার্ভ খেলোয়াড় রাখা আছে ৪ জন।

আগামী ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অপর দুই সঙ্গী শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে- ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ শেষে ১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপাল ও ৩ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। দুবাই ও শারজাহ দুই ভেন্যুতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের ১৫টি ম্যাচ।

এদিকে ২৪ নভেম্বর আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। ২৬ নভেম্বর শারজাহতে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমরা।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াড:

আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, সাদ ইসলাম রাজিন।

স্ট্যান্ডবাই: কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত, সানজিদ মজুমদার।

খেলাধুলা

মাঠেই ক্ষত-বিক্ষত আম্পায়ার। সরাসরি বলের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এক আম্পায়ার।

অস্ট্রেলিয়ার পার্থে তৃতীয় শ্রেণির একটি ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ারিং করার সময় ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন টনি ডি’নব্রেগা।

ম্যাচে ব্যাটসম্যানের নেওয়া জোরালো একটি শট সোজা গিয়ে লাগে আাম্পায়ার টনির মুখের ডানদিকে। তিনি চেষ্টা করেও বলের লাইন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেননি।

আম্পায়ারের ডান চোখের ঠিক নিচে জোরালো আঘাত লেগেছে। চোখের নিচের অংশ এতটাই ফুলে গিয়েছে যে, প্রায় ঢেকে গেছে একটি চোখ। চোয়ালে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। লাল হয়ে রয়েছে পুরো মুখ। ঠোঁটের কোনাও ফোলা। রক্ত জমে কালশিটে দাগ হয়ে গিয়েছে।

আম্পায়ার টনির শারিরীক অবস্থার আপডেট জানিয়েছে ওয়েস্ট ওস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। সৌভাগ্যক্রমে টনির চোয়ালের কোনো হাড় ভাঙেনি বলে তারা নিশ্চিত করেছে।

তবে ওই আম্পায়ারের মুখে কোনো অস্ত্রোপচার লাগবে কি না সেটি এখনও জানা যায়নি। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যাটসম্যানের একটি স্ট্রেট-ড্রাইভে বল গিয়ে লাগে টনির মুখের ডানদিকে। সারারাত হাসপাতালে কাটানোর পর জানা গেছ, তার মুখের কোনো হাড় ভাঙেনি। যদিও এখনই অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তাররা তার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন।

খেলাধুলা

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের বিদায়ী ম্যাচে রানের দেখা পেলেন না ইমরুল কায়েস। আগের দিন প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছিলেন ১৬ রান করে।

এবার দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

ইমরুলের বিদায়ী ম্যাচের দিনে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অমিত হাসান। আগের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। এবার ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন সিলেট অধিনায়ক। তার ১০১ রানের ইনিংসেই দ্বিতীয় দিন শেষে ভালো অবস্থানে রয়েছে সিলেট।

অমিতের সঙ্গে আসাদুল্লাহ আল গালিবের ৫৬ ও মুবিন আহমেদ দিশানের ৪৩ রানের ইনিংসে সিলেটের প্রথম ইনিংস থামে ৩৭৬ রানে। ২৪৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ঢাকা মেট্রো। এখনো ১৯৭ রানে পিছিয়ে আছে তারা।

অন্যদিকে মিরপুরে ইমরুলের বিদায়ী ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে হারের সামনে দাঁড়িয়ে খুলনা। প্রথম ইনিংসে খুলনা করেছিল ১৭২ রান। জবাবে ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা। খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার আল আমিন হোসেন, মাসুম খান টুটুল ও বাঁহাতি স্পিনার আরিদুল ইসলাম। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে হারের পথে খুলনা। ইমরুলের মতো তার দলের বাকিরাও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। পেসার এনামুল হক ৪টি ও বাঁহাতি স্পিনার মাহফুজুর রহমান ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচ আর মাত্র ১০৪ রান করতে হবে ঢাকাকে।

এছাড়া রাজশাহীতে রংপুরের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রান করেছে বরিশাল। তানভীর ইসলাম করেন ৫২ রান। ৫ উইকেটে ২১৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে রংপুর। আরেক ম্যাচে নিজেদের প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রাম ২৫২ রানে অলআউট হয়েছে। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২০২ করে ৬২ রানে এগিয়ে আছে রাজশাহী।

খেলাধুলা

নভেম্বরের ২৪ ও ২৫ তারিখে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে বসবে ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলাম। এবারের নিলামে উঠছে ৫৭৪ জন ক্রিকেটারের নাম।

যাদের মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয় এবং বাকি ২০৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার।

আইপিএল কর্তৃপক্ষ আজ সন্ধ্যায় প্রকাশ করেছে শর্টলিস্টে থাকা ক্রিকেটারদের নাম। যেখানে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। যদিও নাম দিয়েছিলেন ১৩ জন। তালিকায় আছেন আইপিএলে বাংলাদেশের দুই পুরনো মুখ সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। আছেন রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানার মতো তরুণ ক্রিকেটারও।

বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য মোস্তাফিজুর রহমানের (২ কোটি রুপি)। ১ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য থাকছে মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদের। আর বাকিদের ভিত্তিমুল্য ৭৫ লাখ রুপি।

এবারের আইপিএলে প্রথমবার দেখা যেতে পারে ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনকে। কারণ ক্যারিয়ারের শেষবেলায় নিলামে নাম লিখিয়েছেন এই ৪২ বছর বয়সী কিংবদন্তি পেসার। সবমিলিয়ে এবার ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি মোট ২০৪টি স্লট পূরণ করবে, যাদের মধ্যে দল পাবেন ৭০ জন বিদেশি ক্রিকেটার।

আইপিএল নিলামের শর্টলিস্টে থাকা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের তালিকা: মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেন, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, শেখ মেহেদি হাসান, হাসান মাহমুদ এবং নাহিদ রানা।

খেলাধুলা

বড় ইনিংস খেলার জন্য সামর্থবান ও প্রচুর রানক্ষুধা সম্পন্ন ব্যাটার অমিত হাসান টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছেন বলেই জানিয়েছে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হান্নান সরকার।

তবে অমিতকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের জন্য বাংলাদেশ এ অথবা হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের মতো প্রতিনিধিত্বমূলক দলের হয়ে আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মূলত অমিতের নামটি সামনে আসে চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায়। ২১৩ রানের অনদবদ্য এক ইনিংস খেলেই আলোচনায় আসেন উইকেট কিপার এই ব্যাটার। যদিও আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য ঘোষিত টেস্ট দলে জায়গা পাননি ২৩ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার।

এদিকে বর্তমানে ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের এই সফরে টেস্ট দলে অনুপস্থিত। লংগার ভার্সনের এই ফরম্যাটে সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালও এখন আর খেলছেন না। যে কারণে সলিড টেস্ট মেজাজের ব্যাটারের অভাবে ভুগছে বাংলাদেশ দল।

এ বিষয়ে নির্বাচক হান্নান সরকার বলেন, অমিত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত রান সংগ্রহ করে আসছে। আর রান করার ক্ষেত্রে এটাই তার প্রথম সিজন নয়। তবে পরবর্তী ধাপ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে খেলা। সে এই স্তরে তিন বছর ধরে খেলছে। আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ম্যাচও খেলেছে। সে এই বছর অস্ট্রেলিয়ায় হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের দলে ছিল। সেখানে সে চারটি ইনিংস খেলেছে এবং আমি সেই সফরে তার ভালো ব্যাটিং দেখেছি।

২৩ বছর ৬০ দিন বয়সি অমিত হাসান ২০১৯ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক করার পর থেকেই ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ রান সংগ্রাহক। ৪৯.৪৮ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ২,৪২৫ রান। তার কনভার্শন রেটও চিত্তাকর্ষক। ১৭টি ফিফটির সঙ্গে শতক হাঁকিয়েছেন ৮টি।

নারায়ণগঞ্জের এই তরুণ তুর্কি সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) ম্যাচে খুলনা ডিভিশনের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে করেছেন ২১৩ রান।

অন্যদিকে উইন্ডিজ সফরে ডাক পাওয়া শাহাদাত হোসেন দিপু এই সিজনে এনসিএলে একটি সেঞ্চুরি করেছেন। যদিও তিনি আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম চার ম্যাচে বিশেষ কিছুই উপহার দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে হান্নান সরকার জানান, তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য অমিতকে বিবেচনা করেছিলেন, যখন শান্তের জায়গায় একজন ব্যাটার বেছে নেওয়া হচ্ছিল। দলে থাকা নতুন দুই ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং জাকের আলীও গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের টেস্ট অভিষেক করেছেন। যে কারণে নতুন আর কেউকে ডাকা হয়নি, আগে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় দিপুকেই আরেকটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

তবে অমিতের প্রসঙ্গে হান্নান সরকার বলেন, আমিতের পরবর্তী ধাপ হবে প্রতিনিধিত্বমূলক দলগুলোতে তার ব্যাটিংয়ের উন্নতি করা। কারণ বাংলাদেশি ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হবে তার প্রস্তুতিকে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা। যাতে তাকে কঠিন মঞ্চে না ঠেলে দেওয়া হয়। আমরা তাকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে চাই।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী ২২ নভেম্বর এবং ৩০ নভেম্বর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। যা বর্তমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে বাংলাদেশের শেষ টেস্ট সিরিজ।

এরপর সেখানে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে টাইগাররা।