খেলাধুলা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট লিগও বলা হয়ে থাকে এটিকে। যেখানে খেলতে গিয়ে লোভনীয় পারিশ্রমিকের পাশাপাশি বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক ড্রেসিংরুমে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মেলে।

আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার একমাত্রা আছেন মোস্তাফিজ। এবারের আসরে খেলা হচ্ছে না সাকিবের। তবে আলো ছড়াচ্ছেন এই পেসার।

জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে আইপিএলের মাঝ পথেই তাকে দেশে ফিরতে হবে। তবে মোস্তাফিজের দেশে ফেরার আগে তাকে নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস। যেখানে তিনি বলেছিলেন— আইপিএলে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই।

বুধবার তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজকে আইপিএলে খেলে শেখার কিছু নেই। তার লার্নিং প্রসেস এখন শেষ। বরং মোস্তাফিজ থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক খেলোয়াড়। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।’

জালাল ইউনুসের সেই বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করলেন দেশসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। মোস্তাফিজকে নিয়ে জালালের বক্তব্যসংবলিত একটি গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন— এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি। এর পর অনেকটা খোঁচা মেরে বলেন, দুর্দান্ত চিন্তাভাবনা। সঙ্গে কয়েকটি হাসির ইমোজি যুক্ত করে দেন।

এর পর আরও লিখেছেন, ‘আমার শোনা সেরা জোকস। আল্লাহ মাফ করো।’

খেলাধুলা

বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আগামী মে মাসে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

আসন্ন এ সিরিজে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চান না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।

গতকাল রোববার জিম্বাবুয়ে সিরিজ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সুজন বলেন, ‘যাদের ওপর আমার বিশ্বাস থাকবে, যারা বিশ্বকাপে খেলবে, যাদের কোচ, অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্ট বিশ্বাস করবে তাদেরই আসলে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানো উচিত। কারণ হাতে বেশি সময় নেই।’

সুজন আরও বলেন, ‘এ রকম না যে, দুইটা ইনিংস এ খেলল, দুইটা ইনিংস ও খেলল। দুজনই ফেল করল। তারপর পাঁচ নম্বর ইনিংসে আপনি কাকে খেলাবেন? আপনি আত্মবিশ্বাস নষ্ট করছেন দুজন ছেলের। এগুলো না করে একটা ছেলেকেই চারটা ম্যাচ খেলান। ও যদি দুই ম্যাচে ফেলও করে, ওর সুযোগ থাকবে তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে রান করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার।’

আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। দুই দলের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩ মে। এরপর ৫, ৭, ১০ ও ১২ মে চারটি ম্যাচ খেলবে দুই দল। সিরিজের সব ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

খেলাধুলা

তর্কযোগ্যভাবে চট্টগ্রামের ব্যাটিং কন্ডিশনের সুফল ভোগ করার আভাস প্রথমদিনই দিয়ে রাখল টসজয়ী শ্রীলংকা। শুকনো খটখটে উইকেটে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন শেষে সফরকারীরা অনেকটা নির্ভার স্কোর বোর্ডে চার উইকেটে ৩১৪ রান জমা করে।

ছয়টি দুই অঙ্কের রান, তিনটি হাফ সেঞ্চুরি এবং তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি (এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ)-দিনটি শ্রীলংকারই। দুই ম্যাচের সিরিজে শ্রীলংকা এগিয়ে ১-০তে। সিলেটে প্রথম টেস্টে তারা জয়ী হয় ৩২৮ রানে।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিশান মাদুশকা ও দিমুথ করুনারত্নের উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান যোগ হয়। ২৮ ওভারের বেশি ব্যাট করে এ দুজন লংকানদের বড় পুঁজির সন্ধান দিয়ে রাখেন। নতুন বলে বাংলাদেশের পেসাররা এ সময় সামান্যতম সুযোগ পাননি।

অগত্যা সপ্তম ওভারে আক্রমণে নিয়ে আসা হয় সিরিজে প্রথম খেলতে নামা সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু তিনিও তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। এর মধ্যে গোটাদুয়েক ক্যাচ মিস এবং একটি রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করায় উদ্বোধনী সেশনে শ্রীলংকা অক্ষত রয়ে যায় কোনো উইকেট না হারিয়ে।

ওপেনার নিশান মাদুশকার (৫৭) রানআউটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম সফলতা পায় লাঞ্চের পর। এরপর আবার দীর্ঘ উইকেটখরা। দ্বিতীয় উইকেটে দিমুথ করুনারত্নে (৮৬) ও কুশল মেন্ডিসের (৯৩) ১১৪ রানের জুটি অপেক্ষা বাড়ায় বাংলাদেশি বোলারদের।

চা-বিরতির আগে করুনারত্নে ১৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। অভিষিক্ত হাসান মাহমুদের ডেলিভারি টেনে আনেন স্টাম্পে।

শ্রীলংকা ততক্ষণে ২০০ পার করেছে। মেন্ডিসকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন সাকিব। স্লিপে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নয় ওভার পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে (২৩) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। দিনেশ চান্দিমাল ও অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বাকি সময় পার করে দেন যথাক্রমে ৩৪ ও ১৫ রানে অপরাজিত থেকে। হাসান মাহমুদ দুটি উইকেট নেন ৬৪ রান দিয়ে।

খেলাধুলা

গত ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে আইপিএল। তবে এর আগে কেবল ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ সূচি দেওয়া হয়েছে।

এক যুগ পর আইপিএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে। যা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠ। এই দলের হয়েই খেলছেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ২৬ মে মাঠে গড়াবে ফাইনাল। এছাড়াও প্লে-অফের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার আয়োজন করবে চিপক স্টেডিয়াম। প্লে-অফের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

বরাবরের মতো এবারও ১০টি দল ১৬টি করে ম্যাচ খেলবে। ১০ দলের হোম ভেন্যু ছাড়াও দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিশাখাপত্তনম, ধর্মশালা ও গুয়াহাটিতে।

আইপিএলে চেন্নাই ম্যাচের সূচি:

তারিখ   প্রতিপক্ষ
২৬ মার্চ গুজরাট টাইটান্স
৩১ মার্চ দিল্লি ক্যাপিটালস
৫ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
৮ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্স
১৪ এপ্রিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
১৯ এপ্রিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
২৩ এপ্রিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
২৮ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
১ মে পাঞ্জাব কিংস
৫ মে পাঞ্জাব কিংস
১০ মে গুজরাট টাইটান্স
১২ মে রাজস্থান রয়্যালস
১৮ মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
খেলাধুলা

সিলেট টেস্ট চতুর্থদিনে গড়াল বটে কিন্তু ম্যাচের কোনো আকর্ষণ আর অবশিষ্ট নেই। শ্রীলংকার রান-পাহাড়ে পিষ্ট হওয়ার পর রোববার শেষ বিকালে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংধসে তৃতীয়দিন শেষেই পরাজয়ের ডাক শুনছে বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাঁচ উইকেটে ৪৭ রানে তৃতীয়দিন শেষ করা স্বাগতিকরা দাঁড়িয়ে নিশ্চিত হারের মুখে। সর্বোচ্চ রান তাড়ার নতুন বিশ্বরেকার্ড গড়ে জিততে বাকি পাঁচ উইকেটে করতে হবে আরও ৪৬৪ রান! সাত রানে অপরাজিত মুমিনুল হকের সঙ্গে ক্রিজে আছেন তাইজুল ইসলাম (৬*)।

সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে ‘হরর শো’ বললেও কম বলা হবে। যে উইকেটে শ্রীলংকার দুই ব্যাটার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস গড়েছেন জোড়া সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি, সেখানেই প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র নয় ওভারের মধ্যে ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে উইকেট বিলিয়ে আসেন সবাই। বিশ্ব ফার্নান্ডোর করা প্রথম ওভারেই এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। পরের ওভারে রাজিথার অফ-স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান। পালটা আক্রমণে চাপ কমানোর ব্যর্থ চেষ্টায় জাকির হাসানও (১৯) টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। নবম ওভারে টানা দুই বলে শাহাদত হোসেন ও লিটন দাসকে শূন্য রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে খাদের কিনারে ঠেলে দেন বিশ্ব ফার্নান্ডো।

এর আগে পাঁচ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয়দিনের খেলা শুরু করা শ্রীলংকার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ৪১৮ রানে। বাংলাদেশের নিষ্প্রভ বোলিং ও ছন্নছাড়া ফিল্ডিংয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাল বাকি পাঁচ উইকেটে আরও ২৯৯ রান যোগ করেছে তারা। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একই ম্যাচে এক দলের দুই ব্যাটারের জোড়া সেঞ্চুরির মাত্র তৃতীয় নজির এটি। এর আগে এই কীর্তি ছিল শুধু অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল ও ইয়ান চ্যাপেল এবং পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক ও আজহার আলীর। সেঞ্চুরির আগে ও পরে দুবার জীবন পাওয়া ধনঞ্জয়াকে ১০৮ রানে থামিয়ে সপ্তম উইকেটে ১৭৩ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়কের বিদায়ের পর সেঞ্চুরি পূর্ণ করা কামিন্দু লেজের ব্যাটারদের নিয়ে বাংলাদেশকে আরও ভুগিয়ে শেষ ব্যাটার হিসাবে আউট হন ১৬৪ রানে। মিরাজের চার উইকেটের পরও বাংলাদেশের আশার বেলুন ততক্ষণে চুপসে গেছে। এরপর শেষ বিকালে সেই বিভীষিকাময় ব্যাটিং।

খেলাধুলা

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে এক বছরের ব্যবধানে অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। কিন্তু সাদা পোশাকে তার ফেরাটা আরও দীর্ঘ হলো।

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন এই স্পিনার। এর আগে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাসারাঙ্গা। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৮ ধারা ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাকে। এনিয়ে গত দুই বছরে মোট আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট চারটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপ নেবে। ফলে শাস্তি হিসেবে দুটি টেস্ট কিংবা চারটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দলের বাইরে থাকতে হবে এই স্পিনারকে। কিছুদিন পরই শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাই খেলতে পারবেন না তিনি।

গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারের সমালোচনা করে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে তিনি আইপিএল খেলতে যাবেন বলেই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু অবসর ভেঙে টেস্ট দলে ফিরে চমকে দেন এই লেগ স্পিনার। তবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডেতে তার অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ডই শেষ পর্যন্ত বাধা হয়ে দাঁড়াল।

ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৭তম ওভারে। আম্পায়ারিংয়ের উপহাস করে আম্পায়ারের কাছ থেকে নিজের ক্যাপ কেড়ে নেন হাসারাঙ্গা।  যা ভালো চোখে নেননি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট।

একই ম্যাচে অপরাধ করে বসেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও। ম্যাচ শেষে করমর্দনের সময় আম্পায়ারকে গালিগালাজ করেন তিনি। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.১৩ ধারা ভঙ্গ করায় তাকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। গত ২৪ মাসে এটাই তার প্রথম অপরাধ। ম্যাচ শেষে মেন্ডিস ও হাসারাঙ্গা দুজনেই নিজেদের শাস্তি মেনে নেন।

এদিকে, আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে সিলেট টেস্ট। ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

খেলাধুলা

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে নেপাল থেকে দেশে ফিরেছে অর্পিতা বিশ্বাসরা। আজ দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে কোচ সাইফুল বারীর শিষ্যরা।

দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মেয়েদের জয়রথ ছুটছেই। গত মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে যুগ্ম-চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন লাল-সবুজের মেয়েরা।

রোববার টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে নেপালের মাটিতে শিরোপা উৎসব করেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। টাইব্রেকারে জয়ের কারিগর গোলকিপার ইয়ারজান বেগম। ভারতের পাঁচ শটের তিনটিই তিনি ফিরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে সাফ শিরোপাজয়ীরা।

আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৬ দলের মেয়েরা তো ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন। তাদেরকে আমি ডাকব এবং প্রাইজমানি দিয়ে উৎসাহিত করব।’

এদিকে দেশে ফিরে অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস বলেছে, ‘যাওয়ার আগে বলেছিলাম, ভালো কিছু করতে পারব। সেটা করে দেখিয়েছি। আমি সাবিনা আপু, মনিকা আপুদের দেখেছি। তাদের ফলো করে খেলেছি। গোলকিপার ইয়ারজানের প্রতি আলাদা বিশ্বাস ছিল যে, সে সেভ করতে পারবে। প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে সে। সুরভী আকন্দ তার মতো করে খেলেছ। যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি।’

টুর্নামেন্টে পাঁচ গোল করা সুরভী আকন্দের ভাষ্য, ‘একজন স্ট্রাইকারের কাজই গোল করা। আমারও তাই। আন্তর্জাতিক আসরে আমার ১৮টি গোল রয়েছে। ভবিষ্যতে গোলের সেঞ্চুরি করতে চাই। গ্রুপপর্বে ভারতের বিপক্ষে করা গোলটিই আমার কাছে সেরা।’

খেলাধুলা

ভারতের মাটিতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তামিম ইকবালকে নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। অধিনায়কত্ব ছাড়া থেকে শুরু করে জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার ঘটনা আলোচনায় ছিল লম্বা সময়। ঘটনা গড়িয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত। সেসব নাটকীয় ঘটনায় চাউর হওয়া নানা কথার কিছুই জানেন না বাংলাদেশ দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।

ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সাক্ষাৎকারে তামিম প্রসঙ্গে পরিষ্কার করে কিছু বলতে চান কিনা এমন প্রশ্ন ছিল হাথুরুর দিকে। লঙ্কান কোচ উল্টো প্রশ্ন ছোঁড়েন, ‘কোন ঘটনা? আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করছি, বলুন তো শুনি। আমি আগে কিছু শুনিনি। সত্যি বলতে আমি আজ অবধি জানি না কেনো অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।’

সেই ঘটনার পর তামিমের সঙ্গে কথাও হয়নি হাথুরুসিংহের। দুজনের মধ্যে কথা বলানোর চেষ্টাও করায়নি বিসিবি। ৫৫ বর্ষী কোচ বলেছেন, ‘সে অবসর নিয়েছে এবং সেটি এমন একটি পর্যায় যেখানে আমরা কিছুই করতে পারি না। তবে আমার পুরো মনোযোগ অবশ্য দলের দিকে। জানেন, সবসময় এই কথা বলেছি, দলের চেয়ে কোনো ব্যক্তিই বড় নয়।’

বর্তমানে বিপিএলে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক ৩৪ বর্ষী তামিম। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে তাকে দেখা গেলেও লাল-সবুজের জার্সিতে বাঁহাতি ওপেনারের ভবিষ্যৎ এখনও অজানা।

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বিশ্বমানের হচ্ছে কি না, এই প্রশ্নে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমাদের যথাযথ কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। এটা শুনতে অদ্ভুত লাগবে। তবে বিপিএল যখন দেখি, মাঝেমধ্যে টিভি বন্ধ করে দিই। কিছু খেলোয়াড় তো কোনো মানেরই নয়। এই চলমান পদ্ধতি নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন আছে।’

বিপিএলে বড় কোনো বিদেশি ক্রিকেটার পুরো মৌসুম খেলছেন না। এই যেমন বাবর আজম, তিনি রংপুরের হয়ে এবারের বিপিএল খেলেছেন। তবে পিএসএল খেলতে ৭ ফেব্রুয়ারিতেই বিপিএল ছেড়েছেন। অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে আজ বিপিএলে আসছেন ডেভিড মিলার। এমন অনেকেই বিপিএলে আছেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। হাথুরুসিংহের কাছে এটা একটা সার্কাসের মতো।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আইসিসির এখানে হস্তক্ষেপ করা উচিত। অবশ্যই কিছু নিয়ম থাকতে হবে। একজন খেলোয়াড় একটা টুর্নামেন্ট খেলছে, পরে আরেকটা খেলছে। এটা সার্কাস। খেলোয়াড়েরা তাদের সুযোগের কথা বলবে, কিন্তু এটা ঠিক নয়। মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, আমি আগ্রহ হারিয়েছি।’

খেলাধুলা

আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডার তালিকায় শীর্ষে থাকার রাজত্ব শেষ হলো বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের।

পাল্লেকেলেতে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সাকিবকে সরিয়ে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি।

২০১৯ সালের ৭ মে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন  সাকিব। এরপর ১৭৩৯ দিন শীর্ষস্থান ধরে রাখেন তিনি। যা ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে এই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি সময় শীর্ষে থাকার নজির। সব মিলিয়ে রেকর্ড ৪,২৭৬ দিন শীর্ষে ছিলেন সাকিব। যা সাড়ে ১১ বছরেরও বেশি সময়ের মত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩,৮১৬ দিন শীর্ষে ছিলেন কপিল দেব। এরমধ্যে ১,৩৭৬ এবং ১,৩৭৫ দিন করে দু’বার শীর্ষে ছিলেন তিনি।

বাঁ-চোখে রেটিনার সমস্যা ও ইনজুরির কারনে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশি কিছু সিরিজ মিস করেন সাকিব। এতে তার র‌্যাংকিংয়ে সেই প্রভাব পড়ে। খুব শীঘ্রই শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের কোন সুযোগ নেই সাকিবের। কারণ আগামী মাসে ঘরের মাঠে শুরু হতে যাওয়া শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলছেন না তিনি।

এরআগে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর অলরাউন্ডার ছিলেন নবি। ১৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে অলরাউন্ডার টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিলেন ৩৯ বছর এক মাস বয়সী নবি। এক্ষেত্রে আগের রেকর্ডটি ছিলো শ্রীলংকার তিলকরতেœ দিলশানের। ২০১৫ সালের জুনে ৩৮ বছর আট মাস বয়সে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন দিলশান।

আফগানিস্তাানের অন্য খেলোয়াড় হিসেবে এর আগে  র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ স্থান দখল করেছেন  রশিদ খান (ওয়ানডে বোলার ও অলরাউন্ডার, টি-টোয়েন্টি বোলার) এবং মুজিব উর রহমান (টি-টোয়েন্টি বোলার)।

খেলাধুলা

ভারতের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার। জীবনের পথচলায় তাকে থামতে হয়েছে ৯৫ বছর বয়সে।

দত্তজিরাও গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। তার মৃত্যুর পর দেশটির জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক টেস্ট ক্রিকেটার এখন চিংলেপুট গোপিনাথ, যার বয়স ৯৩ বছর ৩৪৯ দিন।

বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন গায়কোয়াড়।  ১৯৫২ সালে অভিষেক হওয়ার পর ৯ বছরে ১১টি টেস্ট খেলেন তিনি। ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড  সফরে চারটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন ভারতকে। ১১ ম্যাচে ৩৫০ রান করেন এই ব্যাটার। এছাড়াও ১১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৫ হাজার ৭৮৮ রান করেছেন তিনি। ১৭টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২৩টি ফিফটিও আছে তার। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর কোচিংই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান।

গায়কোয়াড়ের পরের দুই প্রজন্মও নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেটে। তার ছেলে অংশুমান গায়কোয়াড় ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেন। নাতি শত্রুঞ্জয় গায়কোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪৩ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।

গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান লেখেন, ‘মোতিবাগ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নীল রঙের মারুতি গাড়ি থেকে বেরিয়ে বট গাছের তলায় তিনি একাধিক ক্রিকেটারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আজ গায়কোয়াড় স্যারের জন্যই বরোদা ক্রিকেট সহ গোটা ভারতীয় ক্রিকেট একাধিক তারকা পেয়েছে। উনি ভবিষ্যৎ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। ওনার প্রয়াণ আমাদের সকলকেই কষ্ট দিয়েছে। একটা বড় ক্ষতি হলো ক্রিকেট জগতের। ‘