খেলাধুলা

২০২৫ উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি।

আগামী উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। প্রথম পর্বে বাংলাদেশ তাদের সাত ম্যাচ খেলবে ভারতের তিনটি ও শ্রীলঙ্কার একটি মাঠে।

টুর্নামেন্ট শুরুর ও নকআউট পর্বের দিনক্ষণ এবং ভেন্যু এই মাসের শুরুতে প্রকাশ করেছিল আইসিসি। সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সূচি।

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে আট দলের টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ভারতের চারটি মাঠের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার একটি মাঠে হবে খেলা। কলম্বোর সেই আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে পাকিস্তান। এই মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচ হবে সব মিলিয়ে ১১টি, যার চারটি শ্রীলঙ্কার।

ভারতের চার ভেন্যু হলো বেঙ্গালুরুর চিন্নাসোয়ামি স্টেডিয়াম, গুয়াহাটির এসিএ স্টেডিয়াম, ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়াম, ভিশাখাপত্তমের এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়াম।

আগামী ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান। ৭ অক্টোবর গুয়াহাটিতে নিগার সুলতানাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশ তাদের পরের তিনটি ম্যাচ খেলবে ভিশাখাপত্তমে। এখানে ১০ অক্টোবর নিউ জিল্যান্ড, ১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে তারা।

এরপর আবার কলম্বোয় ফিরবে বাংলাদেশ, সেখানে ২০ অক্টোবর তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

এই মাঠেই ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। ১ অক্টোবর ইন্দোরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

কলম্বোয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ হবে ৫ অক্টোবর।

আগামী ২৯ অক্টোবর প্রথম সেমি-ফাইনাল হবে গুয়াহাটি অথবা কলম্বোয়। ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল হবে বেঙ্গালুরুতে। বেঙ্গালুরু অথবা কলম্বোয় ফাইনাল হবে ২ নভেম্বর। পাকিস্তান সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেই কেবল ম্যাচ দুটি হবে কলম্বোতে।

পাকিস্তানের আয়োজিত পুরুষদের গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ম্যাচগুলো হয়েছিল যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনেক টানাপোড়েনের পর দুই প্রতিবেশী দেশ আইসিসিতে একটি সমঝোতায় পৌঁছে যে, ২০২৪-২০২৭ সালের চক্রে পাকিস্তানে আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে ভারতের সব ম্যাচ হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, তেমনি ভারতে আয়োজিত টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সব ম্যাচও হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।

রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ অনেক বছর ধরে। সম্প্রতি সীমান্তে দুই দেশের তুমুল সংঘাতে আরও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।

প্রথম পর্বে ম্যাচ হবে মোট ২৮টি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চার দল উঠবে সেমি-ফাইনালে।

স্বাগতিক ভারতসহ ২০২২-২৫ আইসিসি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। অন্য পাঁচ দল- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা। আর বাছাই পেরিয়ে মূল পর্বের টিকেট পেয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

মূল টুর্নামেন্টের আগে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি দল খেলবে দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ। ভারতের দুটি ছাড়া অন্য প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর সূচি এখনও প্রকাশ করেনি আইসিসি।

খেলাধুলা

লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জিতে অবশেষে কাটল প্রোটিয়াদের আইসিসি ট্রফি-খরা।

দিনের তৃতীয় ওভারে টেম্বা বাভুমার বিদায়। পরে ট্রিস্টান স্টাবসের আউটে লড়াইয়ে উত্তেজনা ফিরল কিছুটা। তবে নাটকীয় বা অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। এইডেন মার্করামের বীরোচিত ইনিংসে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সঙ্গে কাটল তাদের প্রায় ২৭ বছরের আইসিসি ট্রফি-খরা।

ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসে ২০২৩-২৫ চক্রের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৫ উইকেটে। ২৮২ রানের লক্ষ্য চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ছুঁয়ে ফেলে বাভুমার দল।

সেই ১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের (এখনকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক ট্রফি জিততে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।

প্রোটিয়াদের স্মরণীয় এই সাফল্যের নায়ক মার্করাম। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর, লক্ষ্য তাড়ায় ১৪ চারে ২০৭ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলে জয় থেকে স্রেফ ৬ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন এই ওপেনার।

বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক বাভুমাও। তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে তার। হাঁটছিলেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার পরও চালিয়ে যান ব্যাটিং। ১৩৪ বলে ৫ চারে ৬৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি।

তৃতীয় উইকেটে মার্করাম ও বাভুমার ২৫০ বল স্থায়ী ১৪৭ রানের দুর্দান্ত জুটিই মূলত গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

তৃতীয় দিনেই কাজ অনেকটা এগিয়ে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিন শনিবার জয়ের জন্য ৮ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ছিল ৬৯ রান। অনায়াসে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

দিনের শুরুটা যদিও তাদের জন্য সুখকর ছিল না। আগের দিনের সঙ্গে আর এক রান যোগ করেই মিচেল স্টার্কের চমৎকার ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাভুমা।

আগের দিন ১০২ রানে অপরাজিত থাকা মার্করাম দলকে এগিয়ে নেন স্টাবসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। স্টার্কের বলে স্টাবস বোল্ড হয়ে ফেরেন যখন, তখনও জয় থেকে ৪১ রান দূরে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া হয়তো আশায় বুক বাঁধছিল নতুন করে। তবে তাদের কোনো সুযোগ দেননি মার্করাম। ডেভিড বেডিংহ্যামকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান তিনি। বাকিটা সারেন বেডিংহ্যাম ও কাইল ভেরেইনা।

স্কোর সমান হওয়ার পর আরেকটি উইকেট যদিও পেতে পারত অস্ট্রেলিয়া। স্টার্কের বলে ভেরেইনার কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার, অস্ট্রেলিয়ার বাকি ছিল না কোনো রিভিউ। রিপ্লেতে বলে ব্যাটের স্পর্শের প্রমাণ মেলে।

এক বল পরই কাভারে ঠেলে কাঙ্ক্ষিত রানটি নেন ভেরেইনা। লর্ডসের ব্যালকনিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন অন্য ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা। অনেকে ছুটে যান মাঠে। চলতে থাকে দীর্ঘ খরা কাটানোর উল্লাস।

এই ফাইনালে পরিষ্কার ফেভারিট হয়ে নেমেছিল গত চক্রের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তবে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিন ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া স্টিভেন স্মিথ ও বাউ ওয়েবস্টারের ফিফটিতে যেতে পারে ২১২ পর্যন্ত।

জবাবে ১২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ১৩৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের মূল্যবান লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার রাবাদার দারুণ বোলিংয়ে একপর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৭৩। ৯ নম্বরে নেমে স্টার্কের অপরাজিত ৫৮ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০৭ রান করে তিনশর কাছাকাছি লক্ষ্য দিতে পারে তারা।

প্রথম দুই দিনে ১৪টি করে উইকেট পতনের পর পিচ ব্যাটিং সহায়ক হয়ে ওঠে অনেকটা। তবে ফাইনালের মঞ্চে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রান তাড়া করা সহজ ব্যাপার নয় মোটেও। বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ে সেটাই করে দেখালেন মার্করাম-বাভুমারা।

গত বছর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ দিকে তালগোল পাকিয়ে হেরে গিয়েছিল মার্করামের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। হৃদয় ভাঙার অনেক উপাখ্যানের পর অবশেষে রচিত হলো তাদের স্বপ্নপূরণের গল্প।

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ২০২৫ সালে বিভিন্ন দল ও খেলোয়াড়ের অপূর্ণতা কাটানোর ধারায় নতুন সংযোজন হলো দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাফল্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২১২

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৩৮

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ২০৭

দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ‍্য ২৮২) ৮৩.৪ ওভারে ২৮২/৫ (মার্করাম ১৩৬, বাভুমা ৬৬, স্টাবস ৮, বেডিংহ্যাম ২১*, ভেরেইনা ৪*; স্টার্ক ১৪.৪-১-৬৬-৩, হেইজেলউড ১৯-২-৫৮-১, কামিন্স ১৭-০-৫৯-১, লায়ন ২৬-৪-৬৬-০, ওয়েবস্টার ৫-০-১৩-০, হেড ২-০-৮-০)

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন

ম্যান অব দা ম্যাচ: এইডেন মার্করাম

খেলাধুলা

বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন জোয়ার এলো। সেই জোয়ারের সূচনাবিন্দুতে হার। হতাশ ফুটবলপ্রেমীরা। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রায় ২৩ হাজার সমর্থকের সামনে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।

এই হারের পরও এএফসি বাছাইপর্বে সি-গ্রুপে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। হংকংয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে ভারত গ্রুপের তলানিতে। এক গোল করায় বাংলাদেশ গোল ব্যবধান ও পয়েন্টে সমান থাকলেও ভারতের উপরে আছে। পরের রাউন্ডে ওঠার পথ অবশ্য মসৃণ নয় লাল-সবুজদের।

সি-গ্রুপে বাকি চারটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশের পরের মিশন হংকং। গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল এএফসি কাপে যাবে। আপাতত সেই অবস্থান দখলে রেখেছে সিঙ্গাপুর। তারা যদি বাকি সব ম্যাচ জেতে, তাদের পয়েন্ট হবে ১৬। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৩ পয়েন্ট পাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছে। ভারতেরও পয়েন্ট হতে পারে ১৩। বাকি চার ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী হবে, বোঝা যাবে অক্টোবরে। সেই উইন্ডোতে পাঁচদিনের ব্যবধানে দুবার হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ নিজেদের মাঠে, পরেরটি হংকংয়ে। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের সব ম্যাচেই জয় দরকার। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরকে ফিরতি ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াতে হবে বাংলাদেশের কাছে। তাদের পয়েন্ট তখন হবে ১৩।

এদিকে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর দুই দলই ১৩ পয়েন্ট করে পেলে নিয়ম অনুযায়ী, হেড-টু-হেডে পয়েন্ট দেখা হবে। সেখানেও সমতা (একটি করে জয়) থাকলে দেখা হবে গোল ব্যবধান। তাতেও যদি সমতা থাকে, তবে যারা বেশি গোল করেছে তারাই এগিয়ে থাকবে।

খেলাধুলা

দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে সোমবার সকাল ১১ টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সোজা হোটেলে আসেন তিনি। তারপর মাত্র ঘণ্টাখানেকের বিশ্রাম শেষ করেই রওনা দেন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে।

২৬ ফুটবলারকে প্রাথমিক ক্যাম্পে ডেকেছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। কিন্তু ২৪ জন নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন তিনি। তৃতীয় সেশনে এসে যোগ দেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা হামজা চৌধুরী। এখন অপেক্ষা কানাডা প্রবাসী শামিত সোমের। বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা কানাডা জাতীয় দলে দুই ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডারের।

হামজা ঢাকা স্টেডিয়ামে আসছেন- এই খবর বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে ফুটবল অঙ্গনে। দর্শকরা হামজার অনুশীলন দেখতে জাতীয় স্টেডিয়ামে জড়ো হলেও তাদের অনুশীলন দেখার সুযোগ হয়নি। রোববারের মতো এই দিনও ক্লোজড-ডোর অনুশীলন করিয়েছেন ক্যাবরেরা। গণমাধ্যমকর্মীদের অনুশীলন দেখার সুযোগ হয়নি যে কারণে।

তবে হামজাদের অনুশীলনের সময় মাঠের চারদিকে কিছু মানুষ দেখা গেছে। দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, বাফুফের এমন কর্মকর্তারাও ছিলেন মাঠের পাশে। প্রায় দুই ঘণ্টা অনুশীলন করেছে জাতীয় ফুটবল দল।

৪ জুন এই স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১০ জুন খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এই দুই ম্যাচ ঘিরে ফুটবল অঙ্গনে এখন টিকিটের জন্য হাহাকার।

খেলাধুলা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর যেন কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সামনে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

সেটি শুরু হবে আগামী পরশু। এরই মধ্যে আজ পাকিস্তানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
পাকিস্তান সফরকে সামনে রেখে সতর্ক ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফাহিম বলেন, “আমিরাতে আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। সব সময় পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলিনি। তবে এটা কোনো অজুহাত নয়। পাকিস্তানে আমরা আরো সতর্ক হব, আরো দায়িত্বশীল ক্রিকেট খেলতে চাই। ”

পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে আমিরাত সিরিজকে দেখা হলেও সেটির মানসিক প্রভাব মাঠের পারফরম্যান্সে পড়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। “আমিরাতে আমাদের মানসিক দৃঢ়তা ততটা ছিল কি না, সেটা প্রশ্ন হতে পারে। হয়তো অনেকেই ভেবেছে, পাকিস্তানেই ভালো খেলব। কিন্তু সেটার প্রস্তুতি এখানে শতভাগ হয়নি,” বলেন নাজমুল।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলমান দুর্দশাও অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন বিসিবির এই শীর্ষ কর্তা। তিনি বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও কাঠামোগত অনেক ঘাটতি আছে। প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরিতে আমরা পিছিয়ে আছি, খেলোয়াড়দের চাপ সামলানোর মানসিকতা তৈরি হয়নি। ”

তবে সব দুঃসময়ের মাঝেও পাকিস্তানে লড়াকু ক্রিকেটের আশা ছাড়ছেন না তিনি, “আশা করি, পাকিস্তানে আমরা ভালো কিছু দেখতে পাব। যদি আমরা ভালো খেলি, তাহলে পাকিস্তানকে হারানো অসম্ভব নয়। ”

এদিকে ইনজুরির কারণে পাকিস্তান সফর থেকে ছিটকে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে খেলার সময় বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান এই পেসার। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ায় অন্তত দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। তার পরিবর্তে পাকিস্তান সফরের দলে জায়গা পেয়েছেন ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ।

খেলাধুলা

আগের ম্যাচে তাও একটা উইকেট পেয়েছিলেন। সাকিব আল হাসান পাকিস্তান সুপার লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ব্যাটে-বলে ছিলেন পুরোপুরি ফ্লপ। তবে তার বাজে রাতে আলো কেড়ে নিলেন তারই স্বদেশি রিশাদ হোসেন, তুলে নিলেন তিন উইকেট। আর তাতেই ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। ৯৫ রানের বিশাল এক জয় নিয়ে পা রেখেছে ফাইনালে।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লাহোর বড় পুঁজি পায়। মোহাম্মদ নাঈম ঠিক ২০০ স্ট্রাইক রেটে করেন ৫০। এরপর কুশল পেরেরা ৩৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস দলটাকে বড় স্কোরের দিশা দেয়। শেষ দিকে ভানুকা রাজাপাকশের ১৩ বলে ২২, আর আসিফ আলীর ৭ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে দলটা ৮ উইকেট খুইয়ে পেয়ে যায় ২০২ রানের বিশাল এক পুঁজি।

সাকিবকে যে দলটা স্রেফ একজন বোলার হিসেবেই খেলাচ্ছে, তা বোঝা গেল এই অলরাউন্ডারের ব্যাটিং পজিশন থেকে। একের পর এক উইকেট যাচ্ছে, কিন্তু সাকিবের দেখা মিলছিল না। অবশেষে ছয় উইকেট পতনের পর অষ্টম ও শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে তাকে উইকেটে পাঠায় লাহোর। তার আগেই অবশ্য শাহিন আফ্রিদি নেমেছিলেন।

তাকে এত পরে কেন নামানো হলো, সে প্রশ্নের জবাবটাও মিলে গেল একটু পরই। দুই বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন সাকিব। লাহোরের হয়ে এর আগে যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন গ্রুপ পর্বের ম্যাচে, পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে সে ম্যাচেও রানের খাতাটা খুলতে পারেননি বাংলাদেশি এই ‘সাবেক’ অলরাউন্ডার।

এমনকি বাংলাদেশের হয়ে স্বীকৃত শেষ ম্যাচটা যখন খেলেছিলেন, তার শেষ ইনিংসেও তিনি রান করতে পারেননি একটিও। সাকিবকে শুধু বোলার হিসেবে খেলানোটাই যে যৌক্তিক, সে যুক্তির সপক্ষে প্রমাণ এর চেয়ে বেশি কী হতে পারে?

সাকিব এরপর বল হাতেও বিফল হয়েছেন। বড় পুঁজি নিয়ে শাহিন আফ্রিদি আর সালমান মির্জার তোপে যখন ইসলামাবাদকে চেপে ধরেছে লাহোর, সাকিব আক্রমণে এসেছিলেন তখন। তবে এরপরও তিনি উইকেটের দেখা পাননি। ৩ ওভার করে ২৭ রান দিয়েছেন তিনি।

তার এমন বাজে দিনে আলো কেড়ে নিয়েছেন রিশাদ। ব্যাট হাতে সাকিবের পর নেমে ২ বলে ৫ রান করেছিলেন। তবে তার মূল ভূমিকা যেটা, সে বোলিংয়ে তিনি করেছেন দারুণ। ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়েছেন বটে, তবে সালমান আলী আগা, শাদাব খান আর জেমি নিশামের উইকেট তুলে নিয়ে অধিনায়কের চাওয়া পূরণ করেছেন ভালোভাবেই।

রিশাদের এই ৩ উইকেটের সঙ্গে শাহিন আর সালমানও ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন শাহিন, এক মেইডেনসহ ৩.১ ওভার থেকে রান দিয়েছেন মোটে ৩টি। ইসলামাবাদ সে চাপটাই আর সামলাতে পারেনি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ১৫.১ ওভারে ১০৭ রান তুলে অলআউট হয়েছে।

আর তাতেই আরও একবার ফাইনালে উঠে গেছে লাহোর কালান্দার্স। রোববার কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে শাহিন আফ্রিদির দল।

খেলাধুলা

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশের যুবারা। এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ সমতায় ছিল দুই দল।

অরুণাচল প্রদেশের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে রোববারের (১৮ মে) ফাইনালে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফ্রি কিকে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক সিঙ্গামায়ুম শামি। তার দূরপাল্লার ফ্রি কিক অসচেতনতার কারণে ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশ গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিন।

প্রথমার্ধে তার ভুলে ব্যবধান বাড়ানোর আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিল ভারত। তবে ফিনিশিং দুর্বলতায় তারা শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যমে মাঠে নামে বাংলাদেশের যুবারা। স্বাগতিকদের অর্ধের শুরু থেকেই চাপে রাখার সুফল মেলে ৬১ মিনিটে। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল জটলার মধ্যে পেয়ে শট নেন বদলি হিসেবে নামা জয় আহমেদ। তার জোরালো শটে বল ভারতীয় গোলকিপার সুরাজ সিংয়ের হাতে লেগে ঠাঁই পায় জালে। এর মধ্য দিয়ে ম্যাচে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।

নির্ধারিত সময়ের শেষ পর্যন্ত দুই দল আর জাল খুঁজে না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে প্রথম তিন শটে বাংলাদেশের পক্ষে লক্ষ্যভেদ করেন যথাক্রমে মিঠু, মুরশেদ এবং জয়। অন্যদিকে ভারতের প্রথম তিন শটের মধ্যে দ্বিতীয়টি মিস করে বসেন ভারতের রোহান সিং। তার শটটি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান বাংলাদেশ গোলকিপার মাহিন।

কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে পরের দুটি শট মিস করে বসেন অধিনায়ক ফয়সাল এবং শাহেদ। ফয়সাল তার শট লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি। আর শাহেদের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ভারতীয় গোলকিপার।

অন্যদিকে ভারতের দুই ফুটবলার তাদের চতুর্থ এবং পঞ্চম শটে লক্ষ্যভেদ করলে আনন্দের জোয়ার ওঠে গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে। হতাশায় মুষড়ে যাওয়া বাংলাদেশের ফুটবলাররা মাঠেই বসে পড়েন।

খেলাধুলা

বোলিং অ্যাকশনে ক্রটি থাকায় লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন সাকিব। তবে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে নতুন অ্যাকশনে ফিরছেন তিনি।

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ মাঠে ফিরতে পারেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় পেশোয়ার জালমির হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। এর আগে অনুশীলনে ঘাম ঝরান এই অলরাউন্ডার। লাহোর কালান্দার্সের ভিডিওতে দেখা যায় তার প্রস্তুতির কিছু দৃশ্য। লম্বা সময় পর মাঠে ফিরে তার চেহারায় ফুটে উঠেছে উচ্ছ্বাস। যদিও ওজন বেড়েছে কিছুটা। তবে অনুশীলনে দেখা গেছে তাকে ফুটবল খেলতে, করেছেন ফিল্ডিং, বল হাতে ঘাম ঝরিয়েছেন বোলিং সেশনেও। এরপর ব্যাট হাতেও কাটিয়েছেন কিছু সময়।

ভিডিওতে সাকিব বরেন, ‘কয়েক ওভার বল করলাম, ছন্দে ফেরাটাই মূল লক্ষ্য ছিল। মনে হচ্ছে, যা চেয়েছিলাম তা করতে পেরেছি। অনেকদিন পর ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি, কিছুটা মরচে তো থাকেই। কিন্তু এখন নিজেকে তৈরি মনে হচ্ছে। ’

সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। এরপর বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে নিষেধাজ্ঞা পান তিনি। পরে কয়েক দফায় হয় পরীক্ষা। লম্বা সময় পর ফিরলেন অবশেষে। অনুশীলনের পর জানালেন, প্রস্তুতির এই একমাত্র সুযোগটাই তিনি কাজে লাগিয়েছেন পুরোদমে।

তিনি বলেন, ‘এই ট্রেনিং সেশন থেকেই যতটা সম্ভব সেরাটা আদায় করে নিতে চেয়েছি। দিনটা খুব ভালো গেছে। ঘুম, রিকভারি, অনুশীলন—সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি। ’

সাকিব এবার পিএসএলের মূল ড্রাফটে দল না পেলেও টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার পর পুনরায় শুরুর সময় পেশোয়ারের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হন। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে করাচি কিংস ও পেশোয়ারের হয়ে খেলেছিলেন, তবে সেসব মৌসুমে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি।

আট বছর পর এই টুর্নামেন্টে ফিরছেন সাকিব। পিএসএল তার জন্য নতুন কিছু নয়, কিন্তু দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফেরা তার জন্য বিশেষ এক উপলক্ষ হয়ে থাকছে।

খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ কেটেছে মেহেদী হাসান মিরাজের। দুই টেস্টের সিরিজে দারুণ পারফর্ম্যান্সের ফলটা তিনি পেলেন এবার। আইসিসির চোখে এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটার বনে গেছেন তিনি।

আইসিসির মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন, আগেই জেনেছিলেন মিরাজ। এক্ষেত্রে তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স, যিনি গেল মাসে দুই ওয়ানডে খেলে তুলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। এছাড়াও এই তালিকায় ছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি, যিনি প্রথম টেস্টে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে।

তবে তাদের পেছনে ফেলে মিরাজ বনে গেছেন মাসসেরা। তিনি গেল মাসে দুটো টেস্ট খেলেছেন। দুই ম্যাচেই গড়েছিলেন অবিশ্বাস্য সব কীর্তি। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই তুলে নিয়েছিলেন পাঁচটি করে উইকেট। পরের টেস্টের শেষ ইনিংসে ফাইফার তুলে নিয়েছিলেন, তার আগে পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরির দেখাও। ব্যাটে বলে এমন পারফর্ম্যান্সই মিরাজকে এনে দিয়েছে মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার।

মিরাজের ক্যারিয়ারে এটি প্রথম মাসসেরার পুরষ্কার। সব মিলিয়ে তিনি তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরষ্কার জিতলেন। তার আগে এই পুরষ্কার জিতেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গেল মাসে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। গড়ে ফেলেছিলেন একাধিক রেকর্ডও। সাকিব আল হাসান এই সিরিজের আগ পর্যন্ত ২০০০ রান আর ২০০ উইকেটের ডাবল ছোঁয়া একমাত্র বাংলাদেশি ছিলেন। এই সিরিজে ১১৬ রান আর ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ কীর্তি গড়েন। সাকিব এ কীর্তি গড়েছিলেন ৫৪ ম্যাচে, মিরাজ সেটা ৫৩ ম্যাচেই ছুঁয়ে ফেলেন। ফলে তিনি রেকর্ডটাও নিজের ঝুলিতে পুরে ফেলেন।

এর আগে সিলেট টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে তৃতীয় বার ম্যাচে দশ উইকেটের কীর্তি গড়েন তিনি, যে কীর্তি নেই কোনো বাংলাদেশির। এরপরের টেস্টে সেঞ্চুরি তাকে এনে দেয় বিরল এক রেকর্ড। এক সিরিজের এক ম্যাচে ১০ উইকেট আর আরেক ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি তার আগ পর্যন্ত দেখেছিল ৬ বার, সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে এ কীর্তি নিজের করে নেন মিরাজ।

এমন সব রেকর্ডের পর মাসসেরা না হলে মিরাজের প্রতি বুঝি অবিচারই হয়ে যেত। সেটা হয়নি শেষমেশ। মিরাজ যোগ্য হিসেবেই জিতে নিয়েছেন আইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ক্রিকেট কাঠামো ও নেতৃত্ব প্রসঙ্গে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

তার মতে, যে কেউ নিজের জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ, তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক সমিতির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, “আমার অনুরোধ থাকবে—ক্রিকেট বোঝেন, এমন লোককেই কাউন্সিলর করা হোক। যাদের স্বপ্ন আছে—জেলার ক্রিকেট, দেশের ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার। তারা যেন বোর্ডের দায়িত্বে আসেন। ”

“বোর্ডে এসে নিজের জেলা ভুলে যাওয়া ঠিক নয়”

তামিম অতীতে দেখা বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “অনেক সময় দেখা যায় কেউ জেলা বা বিভাগ থেকে বিসিবিতে আসেন, তারপর পরিচালক হন। কিন্তু পরে নিজ জেলা বা অঞ্চলের কথা ভুলে যান। এটা মোটেও কাম্য নয়। বরং নেতৃত্ব মানেই হচ্ছে নিজের ঘরের উন্নয়নে অবদান রাখা। ”

“বরিশালেও মানসম্পন্ন ক্রিকেট লিগ নেই”

আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামোর দুর্বলতার কথাও অকপটে বলেন দেশসেরা এই ওপেনার। “কয়েকদিন আগে বরিশালে গিয়েছিলাম। দেখলাম, সেখানেও ভালো মানের একটি লিগ পর্যন্ত হয় না। অথচ আমরা বলি, ক্রিকেট আমাদের সবচেয়ে বড় খেলা!”

তিনি মনে করেন, শীর্ষ নেতৃত্বে আসার আগে স্থানীয় পর্যায়ের কার্যক্রমকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করানো জরুরি।

“ঘরোয়া উন্নয়ন ছাড়া বোর্ডে দায়িত্ব অযৌক্তিক”

তামিম ইকবালের ভাষায়— “ক্রিকেট যদি দেশের সবচেয়ে বড় খেলা হয়, তাহলে নিজের জেলা বা বিভাগের ক্রিকেট উন্নত না করে বোর্ডে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। আগে ঘরের কাজ ঠিক করতে হবে, তারপর জাতীয় দায়িত্ব নিতে হবে। ”