জাতীয়

বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিক্ষোভ চলাকালে প্রকাশ্যে সহিংসতার ডাক দেয়নি। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ।

একইসঙ্গে তারা বিএনপি এবং জামায়াত নেতাদের এমন কোনো বক্তব্য খুঁজে পায়নি, যেখানে তারা সমর্থকদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, পুলিশ বা সরকারি স্থাপনার ওপর হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা এই প্রতিবেদন বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের সহজবোধ্যভাবে বোঝার সুযোগ করে দিতে  ইংরেজি থেকে হুবহু বাংলায় অনুবাদ করেছে। বাংলায় অনুদিত সেই প্রতিবেদনটি ধারাবাহিকভাবে পাঠকদের কাছে সংবাদ আকারে তুলে ধরা হচ্ছে। আজ থাকছে সেই প্রতিবেদনের ১১তম পর্ব।

ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল একই ছাতার নিচে পরিচালিত আন্দোলন, যা বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখাসহ বিভিন্ন ধরনের ছাত্রদের একত্রিত করেছিল।

১৮ জুলাই থেকে পুরোপুরি অবরোধের মাধ্যমে প্রধান সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থার কৌশলগতভাবে এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন সম্প্রসারণের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এই আহ্বানের প্রতিধ্বনি করে এবং তাদের বহুসমর্থকসহ সাধারণ জনগণের বড় একটি অংশ এই ডাকে সাড়া দেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনা পরিকল্পিত এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল। তারা প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যে, বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্থাপনা, সরকারি ভবন এবং পরিবহন অবকাঠামোতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ওএইচসিএইচআর এই দাবির সমর্থনে কোনো তথ্য পায়নি। বরং, এটা অনুমান করা যায় যে, দেশব্যাপী পুলিশ এবং পূর্ববর্তী সরকার দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে যে গুরুতর বলপ্রয়োগ করেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্নস্থানে জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং কারো নির্দেশনা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুলিশ ও সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে, যেসব এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পুলিশের নিপীড়ন বেশি ছিল, যেমন যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও আশুলিয়া, সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলা তীব্র ছিল।

ওএইচসিএইচআর যতটুকু নিশ্চিত হতে পেরেছে, বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিক্ষোভ চলাকালে প্রকাশ্যে সহিংসতার ডাক দেয়নি। অন্যদিকে তাদের সমর্থকদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, পুলিশ বা সরকারি স্থাপনার ওপর হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে, এমন কোনো বক্তব্যও খুঁজে পায়নি।

জাতীয়

রাখাইনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘আলাদা রাজ্য’ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী যে ‘প্রস্তাব’ দিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

দেশটি বলেছে, এর মাধ্যমে দেশটির সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের জান্তা সরকারের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইরাবতী।

ঢাকার গুলশানে ২৭ এপ্রিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সঙ্গে জামায়াতের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের পর দলটির ব্রিফিংয়ের সূত্র ধরে সেদিন একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, যাতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য জামায়াতে ইসলামী আলাদা একটি স্বতন্ত্র রাজ্য গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।

পরের দিন এ বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিও পাঠায় দলটি। তাতে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, প্রেস ব্রিফিংয়ে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি।

জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) যদি বেশি শর্ত দেয়, তবে বাংলাদেশ আর এই ঋণ নিতে আগ্রহী থাকবে না। কারণ আইএমএফের সব শর্ত মেনে ঋণ নিতে গেলে দেশের অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের জন্য অতিরিক্ত শর্ত চাপিয়ে দিলে বাংলাদেশ ঋণের চুক্তি থেকে সরে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। সেমিনারে কৃষি অর্থনীতিবিদরা সরকারের প্রতি কৃষি খাতে বাজেট বাড়ানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের আহ্বান জানান। তারা পোল্ট্রি খাতে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট হ্রাস, কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি ও প্রণোদনার সুযোগ বাড়ানোরও সুপারিশ করেন।

আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। এর প্রস্তুতি নিতে অর্থনীতির বেশ কিছু দুয়ার খুলে দিতে হচ্ছে। অনেক খাতে সংস্কার করতে হচ্ছে।

বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে। এর আওতায় তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করেছে আইএওমএফ। শর্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংস্থাটি ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় করেনি। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি আগামী জুনে এক সঙ্গে ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণের শর্তের বিষয়ে আইএমএফের সমঝোতা হয়নি। এ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।

জাতীয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, তারা খুন হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন দুইজন। প্রথমে সাগর ও পরে ছুরিকাঘাত করা হয় রুনিকে। হত্যার আগে সন্তান মেঘকে নিয়ে একই খাটে শুয়ে ছিলেন তারা। তবে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) অস্পষ্টতায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তদন্তের জন্য আরও সময় লাগবে উল্লেখ করে সম্প্রতি হাইকোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আলোচিত এ মামলাটির তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স।

টাস্কফোর্সের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল (পিবিআই প্রধান) শনিবার (৩ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে কি কি কাজ করা হয়েছে। সেগুলোই হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে।’

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তদন্তে দাম্পত্য কলহ, চুরি বা পেশাগত কারণে খুনের তথ্য পায়নি টাস্কফোর্স। ভিসেরা রিপোর্টেও চেতনানাশক বা বিষজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। রান্না ঘরে থাকা ছুরি ও বটি দিয়ে হত্যা করা হয় তাদের। ক্ষত নিয়েও অনেকক্ষণ জীবিত ছিলেন তারা। আগে থেকে বাসায় কেউ ছিল না, আর জোর করে কেউ প্রবেশ করেনি।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে র‌্যাবের কাছ থেকে সাগর-রুনি হত্যার তদন্তের দায়িত্ব সরিয়ে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি নতুন টাস্কফোর্সের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। র‌্যাব ২০১২ সালে মামলাটির দায়িত্ব নেওয়ার পর বছরের পর বছর ধরে তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট থেকে এমন নির্দেশ দেয়। এর পর নবগঠিত টাস্কফোর্সকে চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি তারা। এখন পর্যন্ত নতুন করে ৭ সাংবাদিকসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টাস্কফোর্স।

সম্প্রতি জমা দেওয়া টাস্কফোর্সের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে খুন হন সাগর-রুনি। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি জানায়, প্রথমে সাগর ও পরে ছুরিকাঘাত করা হয় রুনিকে। হত্যার আগে সন্তান মেঘকে নিয়ে একই খাটে শুয়ে ছিলেন তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হত্যায় সাগর বাধা দিতে পারে- এমন ধারণায় তার হাত-পা বাঁধা হয়। রুনি নারী হিসেবে দুর্বল চিন্তা করে তার হাত-পা বাঁধার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। ‘ব্লাড প্যাটার্ন’ পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হয়, আগে মারা গেছেন রুনি। আর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে সমীকরণ মিলিয়ে টাস্কফোর্স বলছে, সাগরের মৃত্যু হয়েছে পরে।

হাইকোর্টে দাখিল করা টাস্কফোর্সের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন (হত্যার রাতের পরদিন সকাল) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। এর আগে গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয়দের পায়ের ছাপে ধ্বংস হয়ে যায় আলামত। তবে রান্নাঘরের বারান্দা সাড়ে ১৪ ইঞ্চি ও সাড়ে ৮ ইঞ্চির ভাঙা অংশটি সম্পূর্ণ নতুন ছিল। তা দিয়ে সহজে মানুষ ঢুকতে ও বের হতে পারে। যদিও সেখানকার পূর্ণাঙ্গ ফুটপ্রিন্ট পাওয়া যায়নি।

এদিকে সিআইডির সঙ্গে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে টাস্কফোর্স জানায়, একসঙ্গে দুই বা তিনজনের ডিএনএ থাকলে শনাক্ত করা সম্ভব। সংখ্যায় এর বেশি হলে শনাক্ত করা কঠিন। নমুনায় ৫ থেকে ৬ জনের ডিএনএ থাকায় তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ওই সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে কর্মরত ছিলেন সাগর। আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

জাতীয়

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময়) রোমে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ইতালির উদ্দেশে কাতার ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছালে সেখানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।

স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা সেন্ট পিটার স্কয়ারে গিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে আবার সেন্ট পিটার স্কয়ারে যাবেন।

এর আগে সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন পোপ ফ্রান্সিস, যিনি জন্মেছিলেন হোর্হে মারিও বেরগোলিও নামে।

জাতীয়

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের প্রতিবেদন ইসলামবিরোধী। তাই অবিলম্বে তা বাতিল করতে হবে। তিনি ইসলামী ব্যক্তিত্বদের দিয়ে নতুন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের প্রতিবেদন বাতিল এবং ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল কাদের বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তার ১০টির মতো প্রস্তাবনা সরাসরি কুরআনের বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কমিশনের প্রতিবেদনে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। মুসলিম পারিবারিক আইন সংস্কার করে সব ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে- যেখানে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে নারী-পুরুষের কথিত সমান অধিকার থাকবে। স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে পারবে। যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করারও প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট- দেশের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে এবং নারীদের স্বার্থে এই কমিশন বাতিল করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এই কমিশন দাঁড়িয়েছে। তারা পরিবার ও সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা করছে। পাশ্চাত্য জীবন দর্শনে প্রভাবিত কমিশনের এসব সদস্যরা বাংলাদেশের নারীদের সর্বসাধারণের আদৌ প্রতিনিধিত্ব করেন না। এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের প্রস্তাবনাগুলো মেনে নিলে তা হবে ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। কমিশনের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই কমিশন বাতিল ঘোষণা করা পর্যন্ত সবাইকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে ওয়াকফ আইন সংস্কারের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পত্তি উচ্ছেদ ও বাজেয়াপ্ত করছে বিজেপি সরকার। কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর ফিলিস্তিনের গাজার মতো গণহত্যা চালানোর জন্য বিজেপি নেতারা উসকানি দিচ্ছে। আমরা ভারতীয় মুসলমানদের ওপর উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদের সব আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাই। ভারত সরকারকে তার নিজ দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।’

খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার।

জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের অধীনে পরিচালিত ‘এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স ইন পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স’ (ইএমপিজি) প্রোগ্রামের সামার সেশন-২০২৫ এর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রোগ্রামটির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আসিফ মাহমুদ নামে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে আমরা জানতে পারি, তিনি মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আসিফ মাহমুদ নামের একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে আমরা জানতে পারি, তিনি মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা।

তিনি আরও জানান, আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সেখানে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তারাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

এর আগে দুপুরের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়ে এবং এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ইতিবাচক আলোচনা শুরু হয়।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ পরিচালিত এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স ইন পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (ইএমপিজি) একটি বিশেষায়িত মাস্টার্স প্রোগ্রাম। এটি নীতিনির্ধারক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী ও গবেষকদের জন্য প্রস্তুতকৃত একটি শিক্ষা কার্যক্রম। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাবলিক পলিসি, প্রশাসনিক দক্ষতা, নেতৃত্ব এবং সুশাসন বিষয়ক সমন্বিত জ্ঞান প্রদান করা হয়।

প্রোগ্রামের আওতায় সরকারি নীতিনির্ধারণ ও বিশ্লেষণ (পাবলিক পলিসি অ্যানালাইসিস), শাসন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান বিষয়ক পাঠ, নীতিনির্ধারকদের জন্য অর্থনীতি, গবেষণা পদ্ধতি, জনপ্রশাসন ব্যবস্থাপনা, নেতৃত্ব ও কৌশলগত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয়ে পাঠদান করা হয়ে থাকে।

জাতীয়

‘নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ’ থিমে এবারের বাংলা নববর্ষ উদযাপনে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমধর্মী ড্রোন শো। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সর্ববৃহৎ ড্রোন শো প্রদর্শিত হয়েছে।

ঢাকার আকাশে দেখা গেল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো ‘আবু সাঈদ’, ‘পানির বোতল হাতে প্রতীকী মুগ্ধ’, ‘২৪-এর বীর’, ‘পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম’ এবং ‘ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনার’ ছবি।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এ ড্রোন শো আয়োজন করা হয়।

জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রতিবাদও শোতে স্থান পেয়েছে প্রতীকীভাবে।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এ ড্রোন শো কেবল বিনোদনের নয়, বরং এটি বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গণআন্দোলন, মানবিক বিপর্যয় এবং আশা-ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।

ড্রোন শোর আগে বেলা ৩টা থেকে শুরু হয় বৈশাখী কনসার্ট। কনসার্টের শুরুতেই পরিবেশনায় অংশ নেয় বান্দরবানের বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল। এরপর গারো ও আরএনআর ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’ সংগীত পরিবেশন করে।

শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি। একক সংগীত পরিবেশন করেন মিঠুন চক্র ও পালাকার ইসলামউদ্দিন। রাকিব ও সাগর দেওয়ান পরিবেশন করেন দ্বৈত ও একক সংগীত, আরজ আলী ওস্তাদের সঙ্গে রাকিব পরিবেশন করেন আরও দুটি দ্বৈত গান।

আতিয়া আনিশা পরিবেশন করেন ‘চলো নীরালায়’ সহ তিনটি একক সংগীত, আহমেদ হাসান সানি গেয়েছেন ‘মাঝে মাঝে তুমি এলে’, ‘মানুষ কেন এরকম’ ও ‘গল্প না’। শেষে ‘জুলাই আন্দোলন’সহ তিনটি গান পরিবেশন করেন পারশা। অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর‌্যায়ে মঞ্চ মাতান ‘অ্যাশেজ’ ব্যান্ড।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সোমবার এক ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

সেটি রেকর্ডের জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গাছের নিচে একটি সাধারণ টেবিলে দু-তিনটি গামছা দিয়ে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। চটের ছালায় তুলির আঁচড় দেওয়া হয়, আর ঠিক সেই মুহূর্তে আশ্চর্যজনকভাবে কোকিলের কলরব বার্তাটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

ভাষণের মাঝে হঠাৎ করে কোকিলের গান কিভাবে আসল? সে বিষয়টি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ফেসবুকে লেখেন,‘ইউনূস স্যারের বাংলা নববর্ষের ভাষণ রেকর্ড করছিলাম।কাল (আজ) সকালে প্রচারিত হবে। রেকর্ডিংটা করার জন্য বেছে নিয়েছিলাম যমুনারই ছায়াঘেরা এক সবুজ লন। রেকর্ডিং শুরু করব—কোথা থেকে উড়ে এলো একটা কোকিল। কুহু সুরে গান গাইতে শুরু করল আমাদের মাথার ওপরের গাছে বসে। স্যার হাসিমুখে বললেন, ‘যাক, আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের আর দরকার হবে না! সাড়ে তিন মিনিট ধরে চলল স্যারের ভাষণ। আর সেই কোকিল পুরোটা সময় গান গেয়ে সঙ্গ দিল আমাদের।’

এদিকে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।’

জাতীয়

বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে যে শোভাযাত্রা বের হয়, তার নাম বদলেছে। আগে এর নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম শেখ এ কথা জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপক এই আয়োজনের লক্ষ্যে শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’, যার ছায়াতলে দেশের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটবে। প্রতিফলিত হবে বর্তমানের সব শ্রেণির মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ফুটে উঠবে শোভাযাত্রার প্রকৃত আনন্দ।

তিনি বলেন, এবারের নববর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এক নতুন এবং অগ্রসর দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একই ভূখণ্ডে বসবাসরত সব ভাষা ও সংস্কৃতির অশীজনেরা একসঙ্গে ঐকতান করতে যাচ্ছেন। এবারের নববর্ষ বাংলাদেশি প্রতিটি মানুষের। এবারের প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

কাজী আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, এ বছরের আয়োজনকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বাক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মননের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা দিতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির লক্ষ্যই হচ্ছে মানবিক ও উদার একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ করা। এবারের বৈশাখ হবে সবার। আমাদের ভূখণ্ডে বসবাসরত সব জাতিগোষ্ঠী এবারের বৈশাখ বরণের অংশীদারত্ব অর্জন করেছে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড় থেকে সমতল, সবাই একসঙ্গে বর্ষবরণ উদযাপন করব। এবারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে একপেশে সংস্কৃতি চর্চার সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উদার ও শুদ্ধ চর্চার দিকে অগ্রসর হতে পারব বলে আশা করছি।