জাতীয়

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে, তা নিয়ে তরুণদের ওপর জরিপ পরিচালনা করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং একশনএইড বাংলাদেশ। তাদের জরিপে দেখা যায়, নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি। এরপরে জামায়াতে ইসলামী ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে।

চলতি বছরের ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। দেশের আটটি বিভাগের প্রতিটি থেকে দুটি জেলা এবং প্রতি জেলার দুটি করে উপজেলা থেকে তরুণদের বাছাই করা হয়। এতে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) মতামত নেওয়া হয়েছে।

তরুণদের মতে, যদি কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায় তাহলে ১৫ দশিমক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে। এছাড়া দেশের অন্যান্য ইসলামিক দল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

এই জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণদের ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এখনো ভোটার হননি।

জরিপের ফলাফল নিয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, কেবল ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে যে মতামত এসেছে, তা শুধু বাছাই করা ওই তরুণদের মতামত। এটাকে দেশের পুরো জনগোষ্ঠীর বা অন্যান্য বয়সের মানুষের মতামত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। বিশেষ করে রাজনীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে তা কখনোই করা সংগত হবে না।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা সম্পর্কিত এ জরিপটি সোমবার প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের গবেষণা সহযোগী সাফা তাসনিম। অনুষ্ঠানে তরুণদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতার পেছনে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা উঠে এসেছে জরিপে। অন্তত ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ সামাজিক মাধ্যম থেকে রাজনীতির তথ্য পান।

জরিপের একটি প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে তরুণ নেতৃত্বের দলগুলোর রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করেন কি না। এতে ৪২ শতাংশের বেশি তরুণ আশাবাদী বলে জানান।

এছাড়া এই তরুণদের দলগুলো তরুণদের চাহিদা ও প্রয়োজনকে উপস্থাপন করতে পারছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে জরিপে দেখা যায়, নিশ্চিত নন ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ তরুণ এবং ৩০ শতাংশের বেশি তরুণ বলেছেন, এ দলগুলো তরুণদের চাহিদা ও প্রয়োজন কিছুটা উপস্থাপন করতে পারছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৬০ শতাংশ তরুণ পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার অবসান বিষয়ক সংস্কার চান। তরুণদের প্রায় ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ মনে করেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সহায়ক। আর সহায়ক নয় বলে মনে করেন ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ তরুণ। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমবর্ধমান উত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ। একেবারে উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ৩০ শতাংশ বলেছেন কখনো কখনো উদ্বিগ্ন বা এ বিষয়ে মতামত নেই।

কত সময়ের মধ্যে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসবে—এর উত্তরে ৩৯ শতাংশের বেশি বলেছেন, তারা জানেন না এবং সাড়ে ২২ শতাংশ বলেছেন, কখনোই না। অন্যদিকে ১১ শতাংশের বেশি বলেছেন, পাঁচ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, রাজনীতিতে যেসব তরুণ আসেন তারা সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায় নাকি সত্যিকারের পরিবর্তন বা আদর্শ নিয়ে আসেন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব সব সময় তরুণেরাই দিয়েছেন, কিন্তু নীতিনির্ধারণে গিয়ে আর এই তরুণেরা থাকেন না।

অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, সবকিছু মিলিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা হচ্ছে সেখানে এই সময়টুকুকে কতটা কাজে লাগানো যাচ্ছে তা দেখতে হবে। পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনেরা যদি সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তাহলে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানের আশা বাস্তবায়িত হবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার।

জাতীয়

মুর্শিদাবাদ শহরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হাজার দুয়ারী আর ইমামবাড়া থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলে রাস্তার পাশেই একটা ভগ্নপ্রায় সিংহদরজা। লাল ইট বেরিয়ে এসেছে, কোথাও ভেঙেও পড়েছে।

সিংহদরজাটা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই কেমন যেন গা ছম ছম করে ওঠে– বিশেষ করে একটা পুরনো নীল রঙের বোর্ডে চোখ পড়লে মনে হয় যেন টাইম মেশিনে চেপে পিছিয়ে গিয়েছি ২৬৮ বছর আগে।

যেন দেখতে পাচ্ছি ১৭৫৭ সালের জুলাইয়ের এক বা দুই তারিখে এই সিংহদরজা দিয়ে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক তরুণ বিধ্বস্ত বন্দিকে। তার নানা উপাধি। কখনো সম্বোধন করা হয়, বা কয়েকদিন আগেও করা হতো মনসুর-উল-মুলক, কখনো বা হিবুত জং বলে।

তার পুরো নাম অবশ্য মীর সৈয়দ জাফর আলি খান মির্জা মুহাম্মদ সিরাজউদ্দৌলা। ছোট করে বললে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা। আর যে সিংহদুয়ার দিয়ে বন্দি সিরাজউদ্দৌলাকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, লোকমুখে আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় ধরে সেটির নাম ‘নিমকহারাম দেউরি’। কেন এরকম একটা নামকরণ হলো- সেটা আন্দাজ করা কঠিন হবে না, যদি জানতে পারেন যে ওই প্রাসাদটি কার।

‘নিমকহারাম দেউরি’

পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে মীর জাফরের প্রাসাদকে স্থানীয় মানুষ নিমকহারাম দেউরি বলেই ডাকেন। কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়েছিল এই প্রাসাদেই, আবার ভিন্ন মতও আছে। সেই মতটা হলো গঙ্গার পশ্চিম তীরে সিরাজের প্রাসাদ– মনসুরগঞ্জ প্রাসাদেই বন্দি সিরাজকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং সেখানেই মীর জাফরের পুত্র মীরণের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়।

এ বিষয়ে লালবাগ কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করার পরে তার শরীর টুকরো করে ফেলা হয় এবং হাতির পিঠে চাপিয়ে সেই দেহখন্ডগুলো মুর্শিদাবাদ শহরে ঘোরানো হয়েছিল। মীর জাফরের বংশধরদের কাছ থেকেই জানা গেছে, এখন যেখানে সরাইখানা এলাকা, সেখানে যখন ওই হাতিটি নিয়ে যায় সিপাহীরা, সেখানকার মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

অধ্যাপক ফারুক বলেন, একটা জনরোষ তৈরি হয়েছিল, যার মোকাবিলা করতে সাহস দেখাননি সিপাহীরা। দেহখণ্ডে ভরা বস্তাটি তারা একটি কুয়োতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। সেই থেকেই ওই এলাকাটি সিরজউদ্দৌলা বাজার বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন আর তার কোনো অস্তিত্ব নেই।

আবার মীর জাফরের বংশধরদের অনেকে বিশ্বাস করেন পারিবারিকসূত্রে পাওয়া আরেক কাহিনী। সেটা হলো- মীরণের নির্দেশে নয়, সিরাজকে গুলি করে হত্যা করেছিল দুই ব্রিটিশ সৈনিক।

এই ইতিহাসবিদের কথায়, আমি এটাও ওই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছেই শুনেছি যে, সিরাজকে বন্দি করার পরে সম্ভবত মীর জাফর ইংরেজদের চালটা ধরতে পেরেছিলেন এবং তিনিই মীরণকে পাঠিয়েছিলেন, যাতে সিরাজ পালিয়ে যেতে পারেন। সেখানে পাহারায় ছিল দুই ব্রিটিশ সিপাহী। তারা এই পরিকল্পনাটা জেনে ফেলে এবং সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করে মেরে ফেলে সিরাজউদ্দৌলাকে।

মীর জাফরের বংশধরেরা কোথায়?

মীর জাফরের বংশধরেরা অনেকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন মুর্শিদাবাদসহ বিশ্বের নানা জায়গাতেই। মীর জাফরদের বংশধরদের এখনো নবাব, ছোটে নবাব বলে ডাকা হয়। লালবাগের কেল্লা নিজামতের ভেতরেও থাকেন ওই বংশের বেশ কয়েকজন।

ছোটে নবাব বলে পরিচিত সৈয়দ মুহাম্মদ রাজা আলি মির্জা বলছিলেন, আমাদের ফ্যামিলির তিন হাজারের মতো সদস্য আছেন। অনেকে এখানেই থাকেন, কেউ ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা বাইরে চলে গেছেন। তবে তাদের সবার বাড়ি এখানে রয়েছে।

আলি মির্জা আরও দাবি করছিলেন, পাকিস্তানের চতুর্থ ও শেষ গভর্নর জেনারেল এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার আলি মির্জাও তাদেরই পরিবারের সদস্য এবং মীর জাফরের বংশধর। এই কেল্লা নিজামতেই তার জন্ম, পরে যুক্তরাজ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন ইস্কান্দার মির্জা।

ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের বংশধর মীর জাফর

মীর জাফরের পূর্বপুরুষরা আরব থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়। মীর জাফরের বংশধরেরা দাবি করেন যে তারা ইমাম হাসান ও হোসাইনের উত্তরপুরুষ।

বেশ কয়েকটি প্রামাণ্য ইতিহাস গ্রন্থেও মীর জাফরের বংশ পরিচয়ের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে যেমন আছে ১৯০৫ সালে প্রকাশিত পূর্ণচন্দ্র মজুমদারের লেখা ‘মসনদ অফ মুর্শিদাবাদ’, তেমনই আছে বাংলায় সমকালীন মুসলমানদের নিয়ে লেখা খন্দকার ফজলে রাব্বির আকর গ্রন্থ ‘হাকিকত মুসলমান-ই-বেঙ্গালাহ’-ও। পূর্ণচন্দ্র মজুমদারের বইটিতে তাদের বংশতালিকাও পাওয়া যায়।

ইতিহাসবিদ রজতকান্ত রায় বলছিলেন, মীর জাফর বাংলার মুঘল অশ্বারোহী বাহিনীর বকশী ছিলেন, অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে বলে পে মাস্টার জেনারেল বা প্রধান সেনাপতি। তার পরেই ছিলেন রায় দুর্লভরাম সোম। তিনি ছিলেন বিদেশি, আরব বিদেশি– নাজাফ থেকে এসেছিলেন।

রজতকান্ত রায় বলছেন, তিনি যখন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, তখন সাধারণ অশ্বারোহী ছিলেন। তারপরে ধীরে ধীরে তার পদোন্নতি হয় বিশেষ করে আলিবর্দি খাঁয়ের সময়ে। রায় দুর্লভ ছিলেন নিজামত দেওয়ান আর মীর জাফর ছিলেন বকশী। আলিবর্দি খাঁ এদের দিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন যে তারা সিরাজের পক্ষে থাকবে যে কোনও যুদ্ধে।

পলাশীর ‘বিশ্বাসঘাতক’

ভারতের, বিশেষ করে বাঙালীদের একটা বড় অংশ জেনে এসেছেন যে মীর জাফরের ষড়যন্ত্রের জন্যই পলাশীর যুদ্ধে ক্লাইভের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। তবে মীর জাফরের বংশধরেরা সেকথা বিশ্বাস করেন না।

তারই বংশধর, সৈয়দ মুহাম্মদ বাকের আলি মির্জার কথায়, যুদ্ধটা হল কিসের জন্য– কে নির্দেশ দিয়েছিল! মীর জাফর ভাবলেন যে আমি প্রধান সেনাপতি, কিন্তু যুদ্ধের নির্দেশটা কে দিল!

তিনি বলছেন, ট্রেচারি বলা হয় – কী ট্রেচারি করেছিলেন তিনি? যুদ্ধ হচ্ছে কিন্তু তিনি ভাগ নিলেন না – সেইজন্যই উনাকে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়। যুদ্ধে অংশ না নেওয়ার জন্য যদি বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায়, সেটা তো মানা যায় না। আজ পর্যন্ত তো কেউ প্রমাণ করতে পারল না যে উনি গদ্দারি করেছেন।

এই দাবি যেমন অনেক ইতিহাসবিদ মানেন না, তেমনই সাধারণ মানুষের বড় অংশই মীর জাফরকে এখনও বিশ্বাসঘাতক বলেই মনে করেন আর তা নিয়ে গত ২৬৮ বছর ধরেই নানা বিদ্রূপ শুনতে হয় তার বংশধরদের।

সৈয়দা তারাৎ বেগম, মীর জাফরের অষ্টম প্রজন্মের বংশধর সৈয়দা তারাৎ বেগম বলছিলেন, মীর জাফরকে নিয়ে ইংরেজরা তো খেলা করল– একটা গোটা বংশকে নিয়ে খেলা করল। দেশের মানুষ সেটা বুঝতে না পেরে মীর জাফরকে একটা শিখণ্ডী খাড়া করে উনাকে বিশ্বাসঘাতক করে দিল।

তার প্রশ্ন, এখন কেন নতুন ভাবে আপনারা জানতে চাইছেন – যদি ট্রেইটার হয়ে থাকে, তাহলে ট্রেইটার। এখনও পর্যন্ত এই পরিবারের খারাপ কোনো কাজ হলে লোকে বলে মীর জাফরের বংশধর আর ভাল কিছু করলে বলে এটা মুর্শিদাবাদের লোক।

মীর জাফরকে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়ে থাকে তিনি ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে, তবে সেই ব্রিটিশ বনিকরা কিন্তু তাকেও সরিয়ে দিয়েছিল মসনদে বসার বছর তিনেকের মধ্যেই।

তার জামাই মীর কাশিমকে নবাব বানায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যদিও তিন বছর পরে আবারও মীর জাফরকে ফিরিয়ে আনা হয় বাংলার মসনদে।

জীবনের শেষ দিন – ১৭৬৫ সালের পাঁচই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মীর জাফরই ছিলেন বাংলার নবাব। প্রাসাদের সামনেই তাদের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন মীর জাফর।

জাতীয়

বাংলাদেশে চব্বিশের জুলাই-আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছে সেটি নানা কারণে পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য। সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে এই বিপ্লব হয়েছে। যেটির নেতৃত্বে ছিলেন তরুণ-যুবকরা। তারুণ্যের শক্তি যে রোখা যায় না, সেটি আবারও প্রমাণ হলো ঢাকায়। তরুণদের ডাকে শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষ এতে যোগ দেয়। যেটি পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।দুই মাসব্যাপী রক্তাক্ত আন্দোলনের সফলতা ধরা দেয় ৫ আগস্ট, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পলায়নের মধ্য দিয়ে।

পৃথিবীর যেখানেই বিপ্লব হয়েছে সেখানেই কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব কিংবা সংগঠন অথবা ক্যারিশম্যাটিক লিডার সামনে ছিলেন। ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবে নেপোলিয়ন বেনাপোর্ট, ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লবে ভ্লাদিমির ইলিয়চ লেনিন, ১৯৪৯ সালে চীনা বিপ্লবে মাও সে তুং, ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি নেতৃত্ব দিয়ে চূড়ান্ত বিপ্লব বয়ে আনেন। বিপ্লব ছাড়াও বড় যেকোনো আন্দোলনের সফলতার জন্যও বড় কোনো নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়; বাংলাদেশে জুলাইর বিপ্লবের সেই অর্থে ছিল ব্যতিক্রম। চব্বিশের আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব ছিল না। বিপ্লবের নাটাই ছিল না কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের হাতের মুঠোয়। তরুণ ছাত্র-শক্তি ছিল বিপ্লবের অগ্রভাগে। তৎকালীন অরাজনৈতিক সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই বিপ্লবের নিউক্লিয়াস। এই আন্দোলনের নেতারা ১৮ কোটি মানুষের ভবিষ্যত নির্মাণে জীবন ঝুঁকি নিয়েছেন।পুলিশ-র্যাব মার দিয়েছে, ডিবি তুলে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্ভাব্য সব স্থানে তাদের খোঁজাখুঁজি করেছে, রাষ্ট্রের অন্যান্য বাহিনী নির্মূলের হুমকি দিয়েছে। এতোসব বাধা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে গেছেন নাহিদ, হাসনাত, আসিফরা। টলে নি। তাদের দৃঢ়চেতা নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৭ বছরের অন্ধকার ভেদ করে আলোর দেখা মিলেছে।

৫ আগস্ট এদেশে গণআকাঙক্ষার বিজয় হয়েছে। দর্প চূর্ণ হয়েছে ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার। যেটি ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত অনেকের কল্পনায়ও স্থান পায়নি। একনায়ক ও জবরদস্তিমূলত রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। গুলি-গ্রেনেড-হামলা-মামলার মুখে বিরোধী দলের একের পর এক আন্দোলনের ব্যর্থতায় একটা সময় দেশের মানুষ মনে করতে শুরু করে যে এই জগদ্দল পাথরকে বাংলার জমিন থেকে সরানো যাবে না। আন্দোলন করে লাভ হবে না। সেই ধারণার মূলে কুঠারাঘাত করেছে তারুণ্য। রাজপথে তাদের দৃঢ়তা ফ্যাসিবাদী শক্তির মূল উৎপাটন করে দিয়েছে। যার ফলে মুক্ত পরিবেশে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে ১৮ কোটি মানুষ।

জুলাই বিপ্লবের বার্ষিকীতে আমাদের পিছু ফিরে তাকানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ৫ জুন সরকারি চাকুরির নিয়োগ ব্যবস্থায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যে ২০১৮ সালে সরকার কর্তৃক জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। ঘোষণার পরপরই, শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে এবং বিভিন্ন শ্রেণীর লোকদের জন্য ৫৬% চাকরি সংরক্ষণ করার সুবিধা দেওয়ার কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

সরকার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেও শিক্ষার্থীরা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে অস্বীকার করে এবং কোটা বাতিলের নতুন নির্বাহী আদেশের দাবি জানায়। মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিণতি পেয়েই জুলাই বিপ্লবে রূপ নেয়। যেই গণআন্দোলনে ১৫০০ তাজা জীবন ঝরে যায়। আমরা কী একবার ভেবে দেখেছি, যদি এই আন্দোলন ব্যর্থ হতো কী হতো নাহিদ-হাসনাতসহ লাখো তরুণদের?

জুলাই বিপ্লব আরও কিছু কারণে স্মরণকালের ইতিহাসে অনন্য। ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। সাঈদ অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বুলেটের সামনে নিজের বুক যেভাবে বিছিয়ে দিয়েছেন এটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শুধু গল্পেই মানায়। সেদিন গুলি লাগার মুহূর্তে রাজপথে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদের ছবি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে মানুষ শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসেন। এই আন্দোলনই রূপ নেয় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে।

আন্দোলনরত তরুণদের তৃষ্ণা নিবারণে মুগ্ধর ‘পানি লাগবে পানি’ এই ডাক এখনও কানে বাজে। আন্দোলনকারীদের তৃষ্ণা নিবারণ করায় হাসিনার পেটুয়া বাহিনী সড়কের ফেলে মুগ্ধকে যেভাবে খুন করল তাকে কি বুঝতে অসুবিধা হয় যে, তাদের রক্তের নেশা পেয়ে বসেছিল। সাঈদ-মুগ্ধর মতো দেড় হাজার তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে হাসিনার পোষা লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী।

জোহরের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার সময় পুলিশের গুলিতে শহিদ হন ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী শাইখ আস-হা-বুল ইয়ামিন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন দমনে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় ১৭ জুলাই নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিল পুলিশ। জোহরের নামাজ পড়ে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলেন ইয়ামিন। ঠিক তখনই গুলিবিদ্ধ হন ইয়ামিন। তাকে পুলিশ তাদের সাঁজোয়া যান এপিসিতে উঠায়। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনের নিথর দেহ পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়। আর এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই বর্বরোচিত ঘটনা দেখে দেশের মানুষ বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যায়। আন্দোলন আরও গতি পায়।

যাত্রবাড়ি অনেকটা লেলিনগ্রাদের মতো রূপ নেয়। সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা পুলিশের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তা দেখলে গা শিউরে উঠে।

চব্বিশের বিপ্লবে বাবা-মা তাদের সন্তানদের ঘরে বেধে রাখতে পারেননি। তারা ছুটে এসেছেন রাজপথে। সন্তানদের পথ ধরে বাবা-মাও এসেছেন রাজপথে। ঢাকার সড়কে এক বাবা তো ঘুরে ঘুরে বলেই বেড়াচ্ছিলেন যে-আমার সন্তান এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে; আপনার সন্তানদেরকেও পাঠান। তুমুল আন্দোলনের মুখে এক সন্তানকে হাতকড়া বেঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল আইনশৃংখলা বাহিনী; তখন মা সন্তানকে সাহস দিয়ে বলছিলেন-যাও ভয় পেও না।

চব্বিশের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌসের রাজপথে থেকে শিক্ষার্থীদের প্রেরণা যোগানো, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার আবৃত্তি করে সাহস যোগানো, ড. সলিমুল্লাহ খানের ঘোষণা-অপরাধীর কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই, সরকারের পতন ঘটাতে হবে—এই স্মৃতিগুলো এখনও হৃদয়ে নাড়া দেয়।

জুলাই বিপ্লবের নেপথ্যে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের অবদানও কি জাতি ভুলতে পারবে? বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী, কওমী আলেমদের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, আন্দালিব রহমান পার্থের বিজেপি নেপথ্যে থেকে জোরালো ভূমিকা রাখে। এই দলগুলোর বহু নেতাকর্মী রাজপথে থেকে আন্দোলনকে পরিণতি এনে দেয়।লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার দলের নেতাকর্মীদের ছাত্রদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন। বিএনপি-ছাত্রদলের কয়েকশ নেতাকর্মী এই গণআন্দোলনে নিহত হয়।

এই বিপ্লবে রাজনীতির রঙ না লাগানোর আরও একটা কারণ ছিল। যদি এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা সামনে আসতেন তাহলে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিতে পারত। তৎকালীন সরকার বিশ্ববাসীকে বোঝাতে সক্ষম হতো যে, এটি নিছক ছাত্রদের আন্দোলন নয়। রাজনৈতিক আন্দোলন। সেই অছিলায় সেভাবেই ক্র্যাকডাউন চালানো হতো।

জাতীয়

গণতন্ত্রের প্রশ্নে টানা ১৬ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে গণতন্ত্র কবরস্থ করেছিলেন, তা পুনর্জাগরণের জন্যই বিএনপি আন্দোলন করে যাচ্ছে।

নানা নির্যাতনের পরেও বিএনপি কখনো থেমে যায়নি।
শুক্রবার (৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র যখনই ধ্বংস কিংবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে, তখনই খালেদা জিয়া বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন। পরমত সহিষ্ণুতাও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের কেউ যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্যই এই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।

অপরাধ করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনৈতিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান-‘জিরো টলারেন্স’ বলেও উল্লেখ করেন এই নেতা।

এ সময় রিজভী জানান, ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সারাদেশে কয়েকজন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও হাবিব-উন নবী খান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

টাঙ্গাইলের কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার সময় কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মৃদুল হাসানকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক।

মৃদুল কালিহাতীর শাজাহান সিরাজ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি। কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব মো. মজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার এইচএসসি পর্যায়ের ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে কলেজ কেন্দ্রের ভেতরে নকল সরবরাহ করতে যান মৃদুল। এ সময় দায়িত্ব পালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে ধরা পড়েন তিনি। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব মো. মজিবর রহমান বলেন, আটক মৃদুল হাসানের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত নির্দেশনা পেয়েছি। কলেজের সিনিয়র স্যারদের পরামর্শক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কালিহাতী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, আটক মৃদুল হাসান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

জাতীয়

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।

পরে তারা শাহবাগ মোড় থেকে ব্লকেড তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন।

তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বিকেল ৪টায় মিছিল নিয়ে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে তারা শাহবাগ মোড়ে যান।

সংঘর্ষের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, শাহবাগে ব্লকেড পালন করা আন্দোলনকারীদের আমরা প্রথমে অনুরোধ করেছি, তারা যেন মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন না ঘটান। পরে তাদের কয়েক দফা সময় দিয়েছি। হঠাৎ করে কয়েকজন ছেলে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আহত করে।

মাসুদ আলম আরও বলেন, আমরা বারবার বলি যে কারো দাবি দাওয়া থাকতেই পারে। শাহবাগে এসে ১০ মিনিট থেকে চলে যেতে পারে। কিন্তু এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে তো লাভ নেই।

আন্দোলনরত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সালেহীন সিয়ন বলেন, আমরা শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্যের দিকে চলে আসছিলাম। হঠাৎ পুলিশ পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করে। এতেই সংঘর্ষ শুরু হয়।

আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে ঘোষণা দেন, ৪৪তম বিসিএস-এ পদ সংখ্যা বৃদ্ধি, চূড়ান্ত ফলাফলের সাথে লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ, চূড়ান্ত ফলাফল প্রদানের পূর্বে ক্যাডার চয়েস সংশোধনের সুযোগ দান, একই ক্যাডারে একই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার সুপারিশ না করা, নন-ক্যাডার বিধিমালা-২০২৩ বাতিল বা সংশোধনপূর্বক ভাইভায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থীকে চাকরি প্রদান, যেসব প্রার্থীর স্নাতকে পঠিত বিষয়ের বিষয় কোড নেই, তাদেরও সংগতিপূর্ণ নন-ক্যাডার পদে আবেদনের সুযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন দাবি না মানলে রাজু ভাস্কর্যে রাত-দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

জাতীয়

গত ২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সে বৈঠকে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জল্পনা-কল্পনা ছিল তুঙ্গে। কিছু রাজনৈতিক দল তো বৈঠকের এজেন্ডা প্রকাশের দাবিও জানিয়েছিল।

অবশেষে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সিইসি নাসির উদ্দিন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের সিইসি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চান ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল নির্বাচন। তিনি সুষ্ঠু ভোট করতে অনেক আন্তরিক। তবে জাতীয় নির্বাচনের কোনো তারিখের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হলে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই আপনারা জানতে পারব।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও কিছু বিষয় আলোচনায় এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা জানিয়েছি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-র সঙ্গে ফোনালাপেও আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্যতার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

জাতীয়

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন। ফলে ফাঁকা রয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ, যা মোট পদের প্রায় ২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।

সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, গত কয়েক বছরে শূন্যপদের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০১৮ সালে ফাঁকা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি পদ, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি, ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টিতে এবং ২০২৩ সালে ছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১টি।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে, ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দফতরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদফতর ও পরিদফতরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

জাতীয়

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি। তাই এই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সব অংশীজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার রাজধানীতে এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

‘ওয়ার্কশপ ফর সেকেন্ড সাইকল অব দ্য ন্যাশনাল ফরেস্ট ইনভেন্টরি অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ন্যাশনাল ভ্যালিডেশন অ্যান্ড ওয়ার্কশপ অন দ্য জেনারেশন অব দ্য ল্যান্ড কাভার অ্যান্ড ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপ অ্যান্ড ডেভেলপিং ইন্টিগ্রেটেড কোলাবোরেটিভ ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে বন অধিদপ্তর।

বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বনকে কার্বন ট্রেডিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে অক্সিজেন সরবরাহকারী ও জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে হবে। উন্নত বিশ্ব যদি শুধু কার্বন ক্রেডিট কেনে, তারা প্রকৃতপক্ষে নির্গমন কমাবে না। ডিগ্রেডেড বন পুনরুদ্ধার, কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

জাতীয়

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে খুলনা প্রেসক্লাবে অবরুদ্ধ করেছেন বলে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্য খবর প্রচার করেছে। তবে প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করতে নয়, কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে প্রেসক্লাব ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (২৮ জুন) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে আমরা অবরুদ্ধ করিনি। তিনি আমাদের খুলনার অতিথি। আমরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (কেএমপি) জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে গিয়েছি। গত চার দিন যে আন্দোলন করছি, খুলনার আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে—এসব বিষয় আমরা প্রেস সচিবকে জানাতে গেছি। আমরা চেয়েছি খুলনার পরিস্থিতি তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আমাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবগত করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে খুলনা প্রেসক্লাবে এলে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ক্লাব ভবনে উপস্থিত হয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর খানজাহান আলী রোড গ্লাক্সোর মোড়ে কেএমপি হেড কোয়ার্টার ঘেরাও, সড়ক অবরোধ ও রাস্তায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর বিকেল ৫টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা খুলনা প্রেসক্লাবের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় সময়ে আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি মামলা রয়েছে। এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেপ্তার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।