জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার (১ আগস্ট) এক পোস্টে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।

শুল্ক হার কমানোর ঘোষণার পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তা জানান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এর দুই ঘণ্টা পর বাণিজ্য উপদেষ্টাকে নিয়ে ইংরেজিতে আরেকটি পোস্ট দেন এই উপদেষ্টা।

‘শেখ বশিরউদ্দীন—আমাদের অসাধারণ বাণিজ্য উপদেষ্টা’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে শেখ বশিরউদ্দীনসহ কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করার দায়িত্ব পাই, সম্ভাব্য বাণিজ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগের জন্য। ফোনে তাকে ধরি ভোলায়, তখন তিনি একটি ব্যবসায়িক সফরে ছিলেন। পরে আমরা দেখা করি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে, আমার অফিসে।

তিনি বলেন, পূর্বপরিচয় না থাকলেও আমরা এক ঘণ্টা খোলামেলা কথা বলি।

আমার অফিস থেকে যে নাশতা দেওয়া হয়েছিল, তিনি বিনয়ের সঙ্গে সেটি নেননি! তবে আমি তার মধ্যে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা হলো দেশপ্রেম, যুক্তিহীন কোনো কিছু সহ্য না করার দৃঢ় মনোভাব, আর অনেক তথ্য একসঙ্গে গুছিয়ে বিশ্লেষণ করার অসাধারণ দক্ষতা। আমি আমার এই অনুভূতিগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে জানাই।

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর রহমতে, দেশ ও জাতির জন্যই বলা যায়, প্রধান উপদেষ্টা তাকে (শেখ বশিরউদ্দীন) দায়িত্ব দেন। আর তিনিও তা গ্রহণ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে। আল্লাহ তাকে (বাণিজ্য উপদেষ্টা) হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন, যাতে তিনি দেশকে সেবা দিতে পারেন—হোক তা সরকারে বা বেসরকারি খাতে।

জাতীয়

‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যরা তাদের শাহবাগ মোড় থেকে সরিয়ে দেন।

একইসঙ্গে তাদের মঞ্চটিও অপসারণ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) থেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে একটি পক্ষ শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে।

শুক্রবার বিকেলে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ আরেকটি পক্ষ অবরোধের বিরোধিতা করলে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে সংঘাত এড়াতে পুলিশ উভয়পক্ষকে শাহবাগ মোড় থেকে সরিয়ে দেয়।

অবরোধের বিরোধিতাকারী ‘জুলাই যোদ্ধারা’ সাংবাদিকদের বলেন, প্রকৃত জুলাই যোদ্ধারা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারেন না। কিন্তু জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে কিছু মানুষ শাহবাগ মোড় অবরোধ করে সাধারণ মানুষদের হেনস্থা করছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশের সংস্কারগুলো শেষ করুন এবং সনদ ঘোষণা করুন। আর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন।

মানুষকে তার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ আয়েজিত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ খবরের কাগজে দেখলাম ১২টি মৌলিক বিষয়ের পরিবর্তনে সবগুলো দল একমত হয়েছে। এজন্য আমি আলী রিয়াজকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের অনেকে খোঁটা দেয়, আমরা নাকি সংস্কার চাই না। কিন্তু, সংস্কারের চিন্তাটাই তো আমাদের। সংস্কারের শুরুটা হয়েছে আমাদের দিয়ে। আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না, আমরা সংস্কারকে স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি আমাদের দেশের মানুষ বোঝেই না। যারা এখনো ইভিএমে ভোট দিতে পারে না, তারা পিআর বুঝবে কীভাবে? দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল এটাকে প্রমোট করে। শুধু প্রমোট নয়, তারা পণ করে বসে আছে এটা (পিআর পদ্ধতি) না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, এ দেশের মানুষ যেটাতে অভ্যস্ত, সেই ভোটের ব্যবস্থা করুন। প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা এবং পার্লামেন্টে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। বাইরে থেকে এসে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না।

স্মরণ সভায় এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, শফিউল বারী বাবুর সহধর্মিণী বিথীকা বিনতে হোসাঈনসহ আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন নীলা ইস্রাফিল। সোমবারই (২৮ জুলাই) এ ঘোষণা দেন তিনি। এরপর দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, নীলা ইস্রাফিল এনসিপির কেউ নয়। তবে সে নাগরিক কমিটিতে ছিল।

আখতার হোসেনের এমন মন্তব্যের পর এনসিপির কাছে নীলা ইস্রাফিলের প্রশ্ন, আপনারা এত দিন আমাকে কিসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন?

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সোমবার রাতে এক পোস্টে এ প্রশ্ন করেন নীলা।

তিনি বলেন, আজ যখন আপনাদের নেতার অপরাধ, অনাচার এবং লিপ্সার বিরুদ্ধে আমি মুখ খুলেছি, তখন আমি আপনাদের কেউ না? এত দিন আমার কণ্ঠ, আমার পরিচয়, আমার ত্যাগ আপনাদের পক্ষে ছিল তখন তো কোনো সমস্যা ছিল না! আপনারা কি দল করেন, নাকি কেবল ক্ষমতা আর নারীকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলার একটা কারখানা চালান?

নীলা ইস্রাফিল আরও বলেন, আপনাদের অপরাধ ঢাকার জন্য আজ আমাকেই অস্বীকার করছেন? সত্য বললেই কি নারীকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়? এটাই কি আপনাদের নৈতিকতা? এই প্রশ্ন আজ শুধু আমার না এই প্রশ্ন প্রতিটি নারীর, যাকে আপনারা দলীয় পরিচয়ে ব্যবহার করেছেন, আর পরে ‘অপরিচিত’ বানিয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি আজ আমাকে অস্বীকার করছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আপনারা কি আমাকে সত্যিই কখনো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, নাকি কেবল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতেন?

তিনি বলেন, আমার কণ্ঠ যখন আপনাদের পক্ষে ছিল, তখন তো ‘আমাদের নেত্রী’, ‘আমাদের শক্তি’ বলে গলা ফাটাতেন। এখন যখন আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি, তখন ‘সে তো আমাদের কেউ না’? এটা কি কোনো রাজনৈতিক দলের মূল্যবোধ? নাকি এটি প্রমাণ করে, দল নয়, আপনারা ব্যক্তি রক্ষায় ব্যস্ত? জনগণ দেখছে, বুঝছে এবং প্রশ্ন করছে এই দল কি আদৌ জনগণের ন্যায় ও নৈতিকতার প্রতিনিধিত্ব করে?

নীলা বলেন, আমি অবাক হই না যে আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি আমাকে অস্বীকার করছে। কারণ সত্য বললেই অনেক সময় আপনজনই মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু আমি একটিই প্রশ্ন করতে চাই যদি আমি আপনাদের কেউ না হয়ে থাকি, তাহলে আমার কণ্ঠ, আমার পরিচয়, আমার মাঠের উপস্থিতি এতদিন আপনারা কেন ব্যবহার করেছেন? একজন নারী যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তখনই তাকে দলহীন, আশ্রয়হীন প্রমাণ করতে পারাটাই কি রাজনীতির নতুন রীতি? আমি কারো পরিচয়ে নই, আমি আমার ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো একজন মানুষ। আমাকে অস্বীকার করে সত্যকে অস্বীকার করা যাবে না।

জাতীয়

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়িবহরে হামলার জেরে সংঘটিত দুইপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের রাউজানের সর্ত্তারঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে গোলাম আকবর খন্দকার নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তার গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়িবহরে হামলা করলে এ সংঘর্ষ বাধে।

অভিযোগ আছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাউজানে নিজেদের অধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় গোলাম আকবর খোন্দকার ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং তাদের অনুসারীরা মরিয়া হয়ে উঠেন। এর জের ধরে গত ৮ মাসে অন্তত ১০টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনাটিও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং তা ধরে রাখার লড়াইয়ের অংশ বলে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

গোলাম আকবর ছাড়াও তার অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন- আনোয়ার হোসেন, নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, অর্জুন কুমার নাথ, আসিকুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, আওরঙ্গজেব সম্রাট, নাঈম উদ্দিন মিনহাজ, মোহাম্মদ হুমায়ুনসহ ২০ জন।

অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী গ্রুপের মধ্যে আহত যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন- মো. হেলাল, তাফসি, সুমন, গাজী সুলতান, রেওয়াজ উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, অনিক, মিরাজ, জনি, রিয়াদ, আজগর, শাহাদাত মির্জা, রিবন, আমির, সাজ্জাদ, সুমন, সাইমুন, রিপন, গিয়াস উদ্দিন মুন্না, তারেক, সোহেল, রবিউল, আবদুস শুক্কুর প্রমুখ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে উপজেলার সুলতানপুরে উপজেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদের কবর জিয়ারত করতে যান গোলাম আকবর খোন্দকার। একই দিন আগামী ৯ আগস্ট সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে পূর্বনির্ধারিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার কর্মসূচি ছিল গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের। গোলাম আকবর তার গাড়িবহর নিয়ে সর্ত্তারঘাট এলাকায় পৌঁছলে সেখানে অবস্থান নেওয়া গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের মুখোমুখি হন।

প্রথমেই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়িবহর লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। ওই সময়ে পালটা পাথর নিক্ষেপ করে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন আকবরের অনুসারীরা। একপর্যায়ে গোলাম আকবর খোন্দকার যে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন সেই গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে বের হয়ে আসেন গোলাম আকবর খোন্দকার।

সরেজমিন দেখা যায়, গোলাম আকবরের ব্যবহৃত পাজেরো জিপের সামনের পেছনের কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এ সময় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল। ঘটনার পরপরই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে পুলিশ আসার পর সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, আমরা রাউজানে প্রয়াত বিএনপি নেতা মহিউদ্দিনের কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছিলাম। সর্ত্তারঘাট এলাকায় পৌঁছার আগেই গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীরা গহিরা সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা যখন রাউজান সত্তারহাট এলাকায় পৌঁছি তখন আমাদের ওপর তার ৪০-৫০ জন অনুসারী হামলা শুরু করে। তারা এসময় গুলিও করে। তখন আমার ঘাড়ে ছররা গুলির আঘাত লেগেছে।

ব্যক্তিগত সহকারী অর্জুনসহ ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, আমি আগে থেকেই খবর পাচ্ছিলাম এ রকম কিছু একটা ঘটবে। সেই কারণে আমি জেলা পুলিশের এসপিকে জানিয়েছিলাম বিষয়টি। পুলিশের পক্ষ থেকে অভয় দেওয়ার পর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমি রাউজানে যাই। এরপরও হামলার ঘটনা ঘটল।

তবে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী দাবি করেছেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।

যদিও গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ আহমেদ বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এটি ছিল পরিকল্পিত হামলা। যুবদলের শান্তিপূর্ণ মোটর শোভাযাত্রায় এলোপাতাড়ি গুলি করেছে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। তিনি শান্ত রাউজানকে অশান্ত করছেন বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে। মঙ্গলবার হামলার ঘটনায় তাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে দাবি করেন এই বিএনপি নেতা।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, একপক্ষ কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছিল, আরেকপক্ষের শোভাযাত্রা ছিল। সর্ত্তারঘাট এলাকায় গোলাম আকবর খোন্দকার তার অনুসারীদের নিয়ে গাড়িবহরে যাওয়ার সময় দুইপক্ষ মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হয়। পরে তাদের টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরুতে কিছুটা সময় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে স্বাভাবিক হয়।

রাউজানে গত বছরের ৫ আগস্টের পর সহিংসতায় মোট ১৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। বিএনপির দুইপক্ষে সংঘর্ষ হয় শতাধিকবার। এসব ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হন।

জাতীয়
জাতীয়
  • ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা আটক
  • হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী
  • মামলা উঠাতে দেয়া হচ্ছে হুমকি
  • চোখ বেঁধে হাতুড়ি ও প্লাস দিয়ে নির্যাতন

খুলনায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ফুলতলা শাখার স্টোর রুমে গ্রাহকের চোখ ও মুখ বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং প্লাস দিয়ে নখ উঠানোর সংবাদ যুগান্তরে প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। সংবাদ প্রকাশের পরপরই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেন।

বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশের পর পরই ব্যাংকে সকল কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এ সময় একটি রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে ভুক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরীর মামা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা সহ ৭/৮ জনকে অজ্ঞতানামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জেল্লাল হোসেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর মামা বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, মিজানুর রহমান এবং আব্দুল আল মামুনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরী গতকাল দুপুরে জানান, মামলা করার পর থেকে হুমকিতে আছে। মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে যে টাকা পাবে সেটা দিতে রাজি হয়েছি। আমাদের কাছ থেকে একাধিক ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প লিখে নিয়েছে তারা। তারপরেই অমানুষিক নির্যাতন। দুইজনের বিপক্ষে মামলা করায় উল্টো আমাদেরই হুমকিতে রেখেছে তারা। এমন অবস্থায় আমরা কি করব বুঝতেছি না। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থাও খুব ভালো হচ্ছে না। আগামীকাল এখান থেকে অন্য হাসপাতালে যাবো উন্নত চিকিৎসার জন্য।

কি ঘটেছিল ব্যাংকে 

ভূক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরী বুধবার খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতিবেদককে জানায়, মঙ্গলবার ফুলতলার ইসলামী ব্যাংক শাখায় আমাকে যেতে বলা হয়। আনুমানিক বিকাল ৪টার দিকে আমি ব্যাংকে যাই। ঐসময় আমার বাবাও ব্যাংকে ছিলেন। ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমাকে এজেন্ট ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে বিভিন্নভাবে দোষারপ করার চেষ্টা করে।

আমি তাদের বলি আমরা যদি টাকা আত্মসাত করতাম তাহলে এভাবে চলাফেরা করতাম না। তাছাড়া আমার বাবা জমি বিক্রি করে খুব দ্রুতই এই ক্ষতিপূরণ দিবে। ইতিমধ্যে আপনারা ব্ল্যাংক চেক ও ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন।

তখন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলে, দ্রুত টাকা পরিশোধ করতে হবে না হলে সমস্যা। পাশাপাশি আমার ব্লাংক চেকে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি তখন আমার বাবাকে চেকবই আনার জন্য বাড়িতে পাঠায়। এই সুযোগে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আশিক আমার হাত ধরে ব্যাংকটির ষ্টোর রুমে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে ৪/৫জন। এরপর তারা হাতুড়ি দিয়ে আমার পায়ের তালু এবং হাটুতে পেটাতে থাকে। পাশাপাশি প্লাস দিয়ে আমার নখ উঠানোর চেষ্টা করে। এরপর তারা ষ্ট্যাম্প, চেকসহ সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর করিয়ে রাখে।

নির্যাতনের নেপথ্য

নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ইষ্টার্ন গেট এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের মালিক মেসার্স হাজেরী এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী এ এইচ এম শফিউল্লাহ হাজেরীর ছেলে ভুক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরী। চলতি মাসে এজেন্ট ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসা করে পালিয়ে যায় এজেন্ট ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ কাগজি মাহবুবুর রহমান এবং মার্কেটিং অফিসার মনিরুল গাজী।

এই ঘটনার পর ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একটি টিম সেখানে আসে। পাশাপাশি দুইজন প্রিন্সিপাল অফিসার দিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। অন্যদিকে গ্রাহকদের তাগেদা এবং ব্যাংকটির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে ফুলতলার ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে পড়ে। তারা এজেন্ট ব্যাংকটির মালিক শফিউল্লাহ হাজেরীর নিকট থেকে একাধিক ব্ল্যাংক চেকসহ ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগীর বাবা এ এইচ এম শফিউল্লাহ হাজেরী বলেন, গ্রাহকের টাকা পরিশোধের জন্য আমরা জমি বিক্রির কাজ শুরু করেছি। ব্যাংকের কথা অনুযায়ী চেক ও ষ্ট্যাম্পেও স্বাক্ষর করেছি। তারপরও আমার ছেলেকে এইভাবে ব্যাংকের ভিতর নির্যাতন করাটা ঠিক হয়নি।

ইসলামী ব্যাংকের ফুলতলা শাখা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান জানান, ঘটনার সময় আমি ব্যাংকে ছিলাম না। কি হয়েছে এবং কেন হয়েছে এটা আমি পরিষ্কারভাবে জানি না। যে কর্মকর্তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জাতীয়
জাতীয়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা শুধু সংবিধানে উল্লেখ থাকলেই যথেষ্ট নয়, তার কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে উপযুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৮তম দিন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা অতীতে বলে এসেছি যে, প্রতিটি সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবিধানে আলাদা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এনে, সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে সেই সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সংবিধানে আলাদা করে উল্লেখ করা যায়—এই ক্ষেত্রে আমরা একমত।

তিনি জানান, সংলাপে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন কমিটি গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। এই কমিটিতে থাকবেন—জাতীয় সংসদের স্পিকার (সভাপতি), বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি।

এই কমিটি নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রার্থী খুঁজে বের করতে একটি অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যেখানে সিভিল সোসাইটি, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণ নাম জমা দিতে পারবে। সংসদে একটি আইন প্রণয়ন করে এই অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটির কাঠামো নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সার্চ কমিটি জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সেটি সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। কমিটি চাইলে এই তালিকা থেকে অথবা নিজেরা আরও প্রার্থী বিবেচনায় নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।

তিনি উল্লেখ করেন, কমিশন গঠনে আগে যে প্রস্তাবে প্রতিটি পদের জন্য দুটি করে নাম সুপারিশ করার কথা ছিল, বর্তমান প্রস্তাবে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিটি পদের জন্য একটি করে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। নিয়োগের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এছাড়া সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের উপধারায় একটি নতুন সংযোজনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করবে এবং তাদের জন্য আচরণবিধি নির্ধারণ করবে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই, যারা কার্যত স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তাই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কার্যক্রম পর্যন্ত সবখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। অতীতে আমরা দেখেছি, একাধিকবার নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, কিন্তু কার্যত তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। জাতি আজ ঐক্যবদ্ধভাবে সে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এখন শুধু আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া বাকি। আমরা ধরে নিচ্ছি, পরবর্তী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। সেই বিবেচনায় একটি কার্যকর, স্বাধীন এবং জবাবদিহিতামূলক নির্বাচন কমিশন গঠনে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গঠিত ঐক্যকে তিনি স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই গঠন প্রক্রিয়া এবং কমিশনের ভবিষ্যৎ কাজের দিক নির্দেশনা নির্ধারণে যে সর্বসম্মত প্রস্তাব এসেছে, তা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি তৈরি করবে।

জাতীয়

গভীর রাতে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।

আজ বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,ওইদিন রাতে (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুলের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে অনেক রাত পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কথা হচ্ছিল।

আমরা (উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা) সে বিষয়ে কথা বলে অনেক রাতে বাসায় ফিরছিলাম। রাতে যখন বাসায় ফিরছি তখনই পরীক্ষার বিষয়টা সামনে আসলো। কেউ কেউ চাচ্ছিলেন পরীক্ষা হউক আবার অনেকে জানতে চাচ্ছিলেন পরীক্ষা হবে কিনা এবং সেই প্রক্রিয়ায় কয়েকজন উপদেষ্টার সাথেও আমাদের কথা হয়। এ ধরনের একটা বিষয়ে হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না এবং এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারও কারো নেই।

তিনি বলেন, এভাবে একটি পরীক্ষা নিতে হলে যেমন একটি রোল আপ করতে হয় তেমনি পরীক্ষা পেছাতে হলেও রোল ডাউন করতে হয়। তাছাড়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যেহেতু সারাদেশে পৌঁছানোর একটা বিষয় ছিল এবং এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ের প্রশাসনকেও জানাতে হয় প্রশ্নপত্র ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সব বিষয় ভেবে চিন্তে আমাদেরকে হয়তো পরীক্ষা স্থগিত করতে একটু সময় নিতে হয়েছে। তাও সেটা আমি মনে করি যথা সময়েই হয়েছে। অনেকে বলেন, পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তটা মনে হয় অনেক আগেই নেওয়া যেত এ ধারণাটা আসলেই ঠিক না। ডিউ প্রসেস ফলো করে পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। অনেকে বলেছিলেন পরীক্ষা নেয়ার জন্য সেটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হয়েছিল।

শিক্ষা উপদেষ্টা এ সময় একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগের দাবি করলেও বিষয়টা প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার। দুর্ঘটনার পর কোনো অব্যবস্থাপনা হয়নি। তাই তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন না। শিক্ষা সচিবকে কেনো প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা তার জানা নেই। তবে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলেও জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২২ ও ২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুক পোস্টে ২২ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানান।