জাতীয়

প্রার্থীরা ইমোশন (আবেগী) হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। নির্বাচনের দিন দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া বাকি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলেও দাবি তার।

ইসি সচিব বলেন, আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক যে, মহেষখালী ও কুতুবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন করে দুইজন লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আরও ২৪ জন আহত হয়েছেন। আমাদের কাছে যে তথ্য তাতে এসব ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। যে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবো। সামনে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সজাগ থাকবো।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শেষে ইসি সচিব এসব কথা বলেন। তিনি জানান, ৫টি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে প্রায় ৫০ শতাংশ, পৌরসভায় ৫৫ শতাংশ ও ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।

নির্বাচনে সহিংসতার কারণ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যান। মহেষখালীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। কুতুবদিয়ায় ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার সময়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা গুলি করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ডোর টু ডোর নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থীরা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যান যে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। বড় অনেক দল অংশ না নেওয়ার পরও নির্বাচনে সহিংসতা ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ইউপি নির্বাচন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকা এলাকা দ্বন্দ্ব থাকে, প্রার্থীরা ও তাদের সমর্থকেরা ইমোশনাল হয়ে যান। তখনই এ দ্বন্দ্ব হয়ে যায়। তিনি বলেন, অনিয়মের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছেন।

ভোটের আগের রাতে একজন নারী মারা যাওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৭০ বছর বয়স্ক একজন বৃদ্ধ নারী মারা গেছেন। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে আমাদের জানাতে বলেছি। সহিংসতার বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ বিষয়ে তিনি বলেন, কুতুবদিয়ায় যে ৭ নম্বর কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রার্থীদের পক্ষে একদল সন্ত্রাসী ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে হুমকি দিচ্ছিল। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফায়ার ওপেন করেছে। অর্থাৎ এ বিষয়ে সর্বোচ্চভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি হয়েছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ বা নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে তা কোনোভাবেই বলবো না। কারণ তিনটি। প্রথমত: একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, দ্বিতীয়ত: যারা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তারা যদি নিয়ম-নীতি না মানেন তাহলে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হবে খুবই স্বাভাবিক, তৃতীয়ত: যোগ্য প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো না- তাহলে তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী জয়ী হবেন।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ১৬ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম।

এর আগে সর্বশেষ ২৭ মে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেদিন ২২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তারপর থেকে দৈনিক মৃত্যু ক্রমেই বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে দৈনিক মৃত্যু দুইশর ঘর ছাড়িয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে।

গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হল ২৭ হাজার ২৫১ জন।

সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেশে আরও ১ হাজার ৫৫৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জনে।

গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ ছিল।

শুধু ঢাকা বিভাগেই ১ হাজার ১০৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭১ শতাংশ।

যে ১৬ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ১৫ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন নারী, আর পুরুষ মারা গেছেন ১১ জন। আগে দেশে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় নিয়মিতভাবে পুরুষের সংখ্যা বেশি থাকলে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ শুরুর পর অগাস্ট থেকে নারীদের মৃত্যুহার বেড়েছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৫৬৫ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৩ হাজার ১০৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের কোভিড পরিস্থিতির সাপ্তাহিক যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে গত এক সপ্তাহে (১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় (৬ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর) ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে; মৃত্যু কমেছে ২০ দশমিক ১১ শতাংশ।

গত সপ্তাহে মোট ১২ হাজার ২৭০ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ২৯৪ জনের। তার আগের সপ্তাহে ১৫ হাজার ৯৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মারা গিয়েছিরেন ৩৬৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭টি নমুনা।

এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জন বাদে খুলনা বিভাগের ২ জন এবং বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বাসিন্দা ছিলেন ১ জন করে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের মধ্যে ২৩ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৮৫ লাখের বেশি রোগী।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৪ জন কম মারা গেছেন। গতকাল ৫৬ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২০ ও নারী ৩২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৩৬ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৪৯৭ জন।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ২৫৯ জন, ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং নারী ৯ হাজার ৪৭৭ জন, ৩৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৬ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ২ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয়  সর্বোচ্চ ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ২ জন করে এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রয়েছে। এদের মধ্যে ৩৯ জন সরকারি, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে ও ৩ জন বাসায় মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ২৭ হাজার ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ২৭ হাজার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৩৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১৪২ জন কম শনাক্ত হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৬২ শতাংশ কম।

এদিকে  ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১৩ হাজার ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৬ জন। ঢাকায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতকাল এই জেলায় ১৩ হাজার ৮৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৮ জন। যা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৯ জন। গতকাল ১১ জন মারা গিয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৯১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৫ হাজার ৫৬৭ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৭২৭ জন কম সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২১ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯৬ দশমিক ১১ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৩৭৮ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২৭ হাজার ৪৬৬ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৮৮টি নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫২৮ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ হাজার ২৩৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২৯৫ টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের ওপর শুনানি নিয়ে আজ এই  রায় দেন।

রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি বাসসকে জানান। তিনি বলেন, রায়ে আদালত বলেন, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করবে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে দেয়া আদেশ অনুযায়ী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তভুক্তির জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে আদালত। ওইদিন ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্ট। আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দেয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণের আঙ্গুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য একটি কমিটি করতে বলে আদালত।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ড. বশির আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আজকের এই রায় যুগান্তকারী ও মাইলফলক। এর ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে।

জাতীয়

অধিদপ্তরের হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনা সংক্রমিত হয়ে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬২ জন।

আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন ৮৬ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৩৫৭ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর)।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বুধবার কোনো মিটিং অনুষ্ঠিত হয়নি। এখনও টেকনিক্যাল কমিটির মতামত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে টেকনিক্যাল কমিটির মতামত পাওয়া যেতে পারে।

তিনি জানান, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫২৫ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার ১০২ জনের মৃত্যু ও ৪ হাজার ৬৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলো।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ২৯৪ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৮টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৪৩টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৮৪৬ জনের।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭০ জন।

নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬১৩, ময়মনসিংহে ৮৭, চট্টগ্রামে ৭৩২, রাজশাহীতে ২০৬, রংপুরে ২৪৪, খুলনায় ৩১৩, বরিশালে ১৪২, সিলেটে ১৮৮ জন রয়েছেন।

এছাড়া মৃত্যু ১১৭ জনের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ এবং ৬১ জন নারী। এদেরমধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪০, চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ১১, বরিশালে ৬, সিলেটে ১০, রংপুরে ৫ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮১৬ জন এবং নারী ৯ হাজার ৩০ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২১ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী নৌকা ও বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লইস্কা বিলে একটি বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নৌকাটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে লাশ উদ্ধার হওয়ার পরেই একে একে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসছেন উদ্ধার কর্মীরা। আহত-নিহতদের দেখতে ও খোঁজ নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, কোনোরকম বিশৃংঙ্খল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার মো. আবু সাঈদ শামীম বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ শান্ত রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। মরদেহগুলো শনাক্তে স্বজনদের খোঁজ করা হচ্ছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলার বিজয় নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি জেলা সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইস্কা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়।

জাতীয়

দেশে দিন দিন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৫ হাজার ৭২৯ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেখানে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ১৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৪ হাজার ৬৯৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৩১৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৫ জন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ১০২ জনের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১০ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ৫০ জন। যাদের মধ্যে বাসায় একজন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন মারা গেছেন।

জাতীয়

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও বাড়ানো হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সেই ছুটি এবার ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়লো।