বিনোদন

ভালোবাসা আর এক ‘হৃদয়ে গোপন’ গল্পের সিনেমা ‘পাপ পুণ্য’। কিছু দুর্বলতার পরও সিনেমা দেখে বাইরে আসার পর অনেক ভাবনা ও দীর্ঘশ্বাসের নাম পাপ পুণ্য।

মানুষ যখন অন্তর্জ্বালায় ভোগে, সেই বেদনা সে ছাড়া অন্য কেউ স্পর্শ করতে পারে না। তাই ছবি দেখে নির্দ্বিধায় মনে হবে বেদনার সব কথা মানুষ বলে না! মনে হবে মানুষ চলে যায়, কিন্তু তার গল্প বেঁচে থাকে। মনে হতে পারে পরিচালক সিনেমার সব গল্প খোলাসা করে দিতে চাননি। মনে হতে পারে সিনেমার নাম পাপ পুণ্য তাহলে কেন?

গিয়াস উদ্দীন সেলিমের চতুর্থ (মনপুরা, স্বপ্নজাল ও গুণিন) সিনেমা পাপ পুণ্য মুক্তি পেয়েছে ২০ মে।

চঞ্চল চৌধুরী এলাকার চেয়ারম্যান। কোনো রকম কপটতা, চাতুরি বা ছলনা নেই তার। সে চায় প্রকৃতভাবে জনগণের সেবা করতে। এমপি মামুনুর রশীদের ডান হাত সে। বাম হাত গাওসুল আলম শাওন। শাওনের এক আত্মীয় মনির খান শিমুল গ্রামের এক মেয়েকে ধর্ষণ করলে চঞ্চল ধর্ষককে শাস্তি দিতে চায়। শাওনের অনুগত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান বাবু আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার দাবি করে ধর্ষককে বাঁচাতে চায়। চঞ্চল চৌধুরীর কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও শাওনের লোকরা কোপাতে আসে চঞ্চলকে। চঞ্চলের বডিগার্ড কাম ‘ভাইস্তা’ (সারা সিনেমায় চঞ্চলকে কাকা বলেই ডাকে!) সিয়াম পিস্তল বের করে গুলি ছুড়লে শাওনের লোকরা পালিয়ে যায়। সৎ ও পুণ্যবান চেয়ারম্যান চঞ্চল চৌধুরীর পুণ্য কি এতে খোয়া যায় একটুও?

যদিও বাউল রতনের জমি যা সরকার আয়ত্তে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে এবং শাওন সেটা কেড়ে নিতে চাইলেও চঞ্চল রতনের পক্ষে দাঁড়ায়। চঞ্চল আর শাওনের দ্বন্দ্ব আরও বাড়ে, এমপি মামুনুর রশীদও এই দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেন না।

অন্যদিকে ‘ভাইস্তা’ সিয়াম (সিনেমায় নাম আল আমিন) ভালোবাসে চঞ্চল চৌধুরীর মেয়ে শাহনাজ সুমী ওরফে সাথীকে। এই প্রেম টের পায় সিয়ামের মা আফসানা মিমি। মিমি চঞ্চলের বাসায় কাজ করেন। তিনি ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে চঞ্চলের স্ত্রী নাজনীন চুমকির কাছে অনুরোধ করেন। চঞ্চল চৌধুরী তাতে রাজি হন না। কিন্তু সিয়াম আর সুমীর প্রেমে আরও বেশি জোয়ার এলে সিয়ামের মা চঞ্চলের স্ত্রীকে জানিয়ে দেন। নাজনীন চুমকি চঞ্চল চৌধুরীকে জানালে তার ভাবনার জগতে পরিবর্তন আসে। সে সিয়ামকে বিদেশ পাঠাতে ঢাকা নিয়ে আসে। ট্রেনে করে ফেরার পথে চঞ্চল জড়িয়ে যায় রতন হত্যা মামলায়।

চঞ্চল জেলে যাওয়ার পর ছবির গল্পের নাটকীয়তা আরও বাড়ে। জানা যায় বোমা ফাটানো এক তথ্য। পত্রিকায় আসে সিয়ামের মৃত্যুর খবর। একা একা সিয়ামের মা মিমি জেলখানায় দেখা করতে যায় চঞ্চল চৌধুরীর সাথে। সে সিয়ামের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলে সিয়াম চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে! চঞ্চল চৌধুরী চলে যায় এক ঘোর ও অন্তর্জ্বালার জগতে। সে জেলখানায় তার স্ত্রী ও কন্যার সাথে দেখা করতে চায় না। পরে সে দেখা করতে চায় সিয়ামের মা আফসানা মিমির সাথে। সাজানো বিচারে চঞ্চলের ফাঁসি হয়, কিন্তু জানা যায় বিদেশে পাঠানোর আগেই চঞ্চল সিয়ামকে হত্যা করেছে!

এই সিনেমা দেখলে কিছু প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে মনে। দেখে জানা যায় না কে বা কারা কীভাবে হত্যা করেছে বাউল রতনকে, অথচ এই হত্যা মামলায় চঞ্চলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়! ফেরার পথে ট্রেনে দুজন অচেনা লোক একটা ট্রাংক রেখে গেলে চঞ্চল সেটা নিজ দায়িত্বে বগিতে তোলে। একজন চেয়ারম্যান যার শত্রু আছে তার একা একা ফেরাটা কি স্বাভাবিক? কীভাবে সে অচেনা লোকের ট্রাংক নিজ দায়িত্বে নেয়? আবার সিয়ামকে হোটেলে খুন করে চঞ্চল কীভাবে তাকে ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দিল? সিয়ামের শরীর কি ব্যাগে ঢোকানো সম্ভব ছিল? নাকি টুকরো টুকরো করে তার দেহ ব্যাগে ঢোকানো হয়েছিল? একা একা সেটা সম্ভব? ফাঁসির আসামিকে যম টুপি কখন পরানো হয়? ফাঁসির মঞ্চে নাকি কয়েদী যে রুমে থাকে সেখান থেকে পরিয়ে তাকে মঞ্চে নেওয়া হয়? জেলে কয়েদীদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকে, জেলে চঞ্চল চৌধুরীকে কী সবসময কয়েদীর পোশাকে দেখা গেছে? ফাঁসির রায় দেওয়ার সময় বিচারক সাধারণত স্বাক্ষরের পর কলমের মুখটা ভাঙেন যেন এই কলম দিয়ে আর কোনো ফাঁসির রায় লিখতে না হয়- যা এই সিনেমায় নেই। নেই চঞ্চলের জীবনের সেই গোপন গল্পের পরবর্তী ধাপ যেখানে আফসানা মিমি, নাজনীন চুমকি আর শাহনাজ সুমির মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বটা জমে উঠতে পারতো!

তারপরও এই সিনেমা গিয়াস উদ্দীন সেলিমের আগেরগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম। সিনেমাজুড়ে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের সুন্দর অভিব্যক্তি ছিল চঞ্চলের। চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও মামুনুর রশীদ, ফারজানা চুমকি, শাহনাজ সুমি, গাউসুল আলম শাওন সুন্দর অভিনয় করেছেন। সিয়ামের অভিনয় মনে রাখার মতো। মৃধা বনাম মৃধার যে সিয়াম, শান সিনেমার সিয়াম তার চেয়ে ঢের আলাদা। শান সিনেমার যে সিয়াম তার থেকে অনেক বাস্তব পাপ পুণ্য’র সিয়াম। ভিন্ন প্রেক্ষিতে দিন রাতের আলোর সঙ্গে আলোর ব্যবহার দেখে মনে হতে পারে বাড়তি আলোক সংযোজন না করেই এই ছবির শুটিং করা হয়েছে, যেটি প্রসংসা পেতেই পারে। গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সিনেমায় প্রকৃতি দেখানোর আয়োজন থাকে, যা এতেও ভরপুর আছে। গিয়াসউদ্দীন সেলিমের সিনেমায় মনকাড়া কিছু গান থাকবে এটা মনপুরা থেকেই হয়ত দর্শক প্রত্যাশা। এই সিনেমার গানগুলোও জনপ্রিয় হতে পারে।

সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী। ইমন নিজে আতিয়া আনিসার সাথে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন যার শিরোনাম-‘তোর সাথে নামলামরে পথে’। গানের কথা লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ । ছবিতে কবিয়াল বিজয় সরকারের লেখা, সুর করা ও একদা তার কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া ‘চোখ গেল পাখি কেন তুই ডাকিসরে’ গানটি ছবির জন্য বগা তালেবকে দিয়ে গাওয়ানো হয়েছে। বিজয় সরকারের সুরেলা দীর্ঘশ্বাস তালেবের গানে কতটা আছে সেটা অনুল্লেখ থাক। দর্শক এবং শ্রোতাদের উপরেই তোলা থাক এই গানের বিচারের ভার!

বাংলা সিনেমার এই ধারা অব্যাহত থাকুক। গিয়াসউদ্দীন সেলিমের পাপ পুণ্য সিনেমার জন্য শুভকামনা রইলো।

বিনোদন

পরপর দুই অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর কলকাতার আরেক অভিনেত্রী, মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মায়ের দাবি, ঘনিষ্ট বান্ধবী বিদিশার মৃত্যুতে তীব্র হতাশা আর অবসাদে ভুগছিলেন মঞ্জুষা; এর জেরেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

সদ্য প্রয়াত আরেক অভিনেত্রী পল্লবী দের সঙ্গেও মঞ্জুষার যোগাযোগ ছিল।

পুলিশ এ ঘটনায় কোনো ‘সুইসাইড নোট’ পায়নি। তবে ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হিসেবেই তদন্ত শুরু করেছে তারা।

শুক্রবার আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন-চার দিন আগে কলকাতার পাটুলিতে বাবার বাড়িতে আসেন মঞ্জুষা, ওই বাড়ি থেকেই তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতায় বিনোদন জগতে এ নিয়ে তৃতীয় ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত ১৫ মে দক্ষিণ কলকাতার গরফা এলাকায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।

বুধবার অভিনেত্রী ও মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নাগেরবাজারে তার ফ্ল্যাটে। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার কাঁকিয়ানাড়ায় হলেও কলকাতার দমদম এলাকায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি।

শুক্রবার এল মঞ্জুষার মৃত্যুর খবর। সর্বশেষ একটি টেলিভিশনের ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন তিনি, পাশাপাশি থিয়েটারেও কাজ করছিলেন।

আনন্দবাজার লিখেছে, বৃহস্পতিবারও ফটোশুটে অংশ নেন এই ফ্যাশন মডেল। ওই দিন মঞ্জুষাকে বাবার বাড়ি থেকে নিতে তার স্বামী এসেছিলেন, কিন্তু মায়ের অনুরোধ ছিল মেয়ে যেন আরও কয়েকদিন থেকে যায়।

পুলিশের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছেন, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মঞ্জুষার মরদেহ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। বিদিশার মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বিনোদন

তরুণ নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মশারি’ আটলান্টা চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে।

বিনোদন

অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা অভিনয়ে ব্যস্ত থাকলেও পড়াশোনা ছাড়েননি। ইংল্যান্ডের রেক্সহ্যাম গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন তিনি।

২০২১ সালের নভেম্বরে আনন্দের খবরটি জানিয়েছিলেন ভাবনা নিজেই।
তবে ওই সময়ে হাতে সনদ পাননি ভাবনা। বুধবার (১১ মে) সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। লন্ডনে ক্যাম্পাসে উপস্থিত থেকে সনদ নিয়েছেন ভাবনা।

সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে খবরটি জানান ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার নায়িকা। এরপর থেকেই বন্ধু-শুভাকাঙক্ষী আর ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন ভাবনা।

তবে ভাবনাকে এই সার্টিফিকেট অর্জন করতে অনেক পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। সেই কথা তুলে ধরে ভাবনা স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কেউ বিশ্বাস করুক আর না-করুক নিজেকে বিশ্বাস করা সবচাইতে জরুরি। কেউ পাশে থাকুক না থাকুক নিজের পাশে নিজের থাকাটা জরুরি। খুবই জরুরি। আমার জীবনে আমি অনেকবার মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছি। তবুও পরিবারের অন্যরা সব সময় আমার মা-বাবাকে আমার পড়াশোনা নিয়ে একটু খোঁচা দিয়ে কথা বলতে ছাড়তো না। কারণ মেয়ে নাচ করে, অভিনয় করে, পড়াশোনা তো আমাকে দিয়ে হবেই না। আমার মা-বাবা আমাকে জীবনে কোনদিন ক্লাসে ফার্স্ট হওয়ার জন্যে বলেনি। সব কিছুতেই আমার মা-বাবা আমার পাশে ছিল। যত বার আমি হেরে যাই আম্মু আব্বু আমাকে সাহস দেয়। ’

ভাবনা আরো লেখেন, ‘আমার লেখাপড়ার জার্নিটা একদম সোজা ছিল না, অনেক কাজ মিস হয়েছে, অনেক কঠিন হয়েছে স্পেশালি এই করোনার সময়, তবু ও আমি লেগে ছিলাম শুটিংয়ের সময় ও অনলাইনের ক্লাস মিস করিনি। আমার মা-বাবা, আমার বোন যাদের কারণে আমার মনে হয়েছে পড়তে হবে। তবে আমি তাদেরকে বেশি করে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা আমাকে জাজ করে, যারা আমাকে ছোট করে কথা বলতে ভোলে না, যারা আমাকে টেনে ফেলে দিতে চায়, যাদের আমাকে দেখলে অনেক হাসি পায়, আমি সত্যি আপনাদের বেশি ভালোবাসি। আপনাদের কারণেই আমি চলতে থাকি নিজের মতো করে, আমি শুধু এতটুকু বলব আমার লেখাপড়া কেবল শুরু। আরও অনেক কাজ করতে চাই। একটি দিনও আমি বসে থাকতে চাই না। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করবেন। ’

ভাবনার একাডেমিক পড়াশোনার বিষয়ে জানা যায়, ২০১০ সালে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ থেকে এসএসসি এবং ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর দুই বছরের গ্যাপ দিয়ে ২০১৪ সালে ভর্তি হন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিষয়ে। কিন্তু দুটি সেমিস্টার শেষ করার পর ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমায় নাম লেখান ভাবনা। যার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া আর সম্ভব হয়নি তার।

তবে হাল ছাড়েননি ভাবনা। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে গিয়ে রেক্সহ্যাম গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন তিনি। সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে প্রায় দুই বছর ক্লাস করেন তিনি। এরপর করোনা সংকটে অনলাইনে ক্লাস করেন তিনি। তবে সব সংকট কাটিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে দারুণ উচ্ছ্বসিত ভাবনা। খুব শিগগির স্নাতকোত্তরে ভর্তি হবেন এই অভিনেত্রী।

এদিকে অভিনয়ের বাইরে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন ভাবনা। এরই মধ্যে বেশ কটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার। এগুলো হলো উপন্যাস ‘গুলনেহার’, ‘তারা’, ‘গোলাপী জমিন’ এবং কবিতার বই ‘রাস্তার ধারের গাছটির কোনো ধর্ম ছিল না’।

বিনোদন

সুন্দরী প্রতিযোগিতা দিয়ে মিডিয়ায় এলেও এখন চিত্রনায়িকা হিসেবেই বেশি পরিচিত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। এরই মধ্যে ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘রাত জাগা ফুল’ নামে তার অভিনীত দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দুটি সিনেমাতেই ঐশীর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এদিকে এই চিত্রনায়িকা আরও দুটি নতুন সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এগুলো হলো ‘নূর’ ও ‘আদম’। চলতি বছরেরই সুবিধাজনক সময়ে সিনেমা দুটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

এ প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, আমি এখনো অভিনয়ে নবীণ। প্রতিনিয়তই শিখছি। আমার অভিনীত প্রথম দুটি সিনেমা কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পেয়েছে। দর্শকের কাছ থেকেও এগুলোর জন্য দারুণ সাড়া পেয়েছি। যার কারনে অভিনয়ে আমার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি মুক্তিপ্রতিক্ষীত সিনেমা দুটিও দর্শকের ভালো লাগবে।

বিনোদন

বলিউডের অন্যতম আলোচিত জুটি মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুরের প্রেমের বিষয়টি সবারই জানা। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন তারা।

এবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন এই আলোচিত প্রেমিক যুগল। এমনটিই জানালেন ‘আইটেম গার্ল’খ্যাত মালাইকা। জানিয়েছেন কবে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধবেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালাইকা বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে পরবর্তী পদক্ষেপ চিন্তা ভাবনার সময় এসেছে। আমরা একে অপরকে সত্যি করে চাই। একসঙ্গে ভবিষ্যৎ দেখতেই পছন্দ করব। আর দেখছি কবে এই পদক্ষেপ (বিয়ে) নেওয়া যায়। ’

তিনি আরো বলেন, ‘যে কোনো সম্পর্কেই নিশ্চয়তা খুবই জরুরি। আমি খুশি যে আমরা এই বিষয়ে দুজনেই ইতিবাচক চিন্তা করি। সবসময় ওকে বলি যে, আমি ওর সঙ্গেই বৃদ্ধা হতে চাই। ’

অর্জুনকে কবে বিয়ে করবেন, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরি কোনো সিদ্ধান্ত নেব। ’

১৯৯৮ সালে আরবাজ খানকে বিয়ে করেছিলেন মালাইকা। এরপর ২০১৬ সালে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। সাবেক এই দম্পতির একমাত্র ছেলে আরহান খান।

আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই ১২ বছরের ছোট অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মালাইকা। প্রথমে বিষয়টি গোপন থাকলেও পরবর্তীতে তা প্রকাশ করেন তারা।

বিনোদন

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল এটি পরিচালনা করেছেন। এতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ।

মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পোস্টারটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সময় জনতার উদ্দেশে হাত উঁচিয়ে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু রূপী শুভ। তার চেহারায় বঙ্গবন্ধুর ছাপ অনেকটা স্পষ্ট। বোঝাই যাচ্ছে, সিনেমার জন্য তিনি নিজেকে ভেঙে-গড়েছেন।
কেবল নতুন পোস্টার নয়, দেওয়া হয়েছে ‘মুজিব’ সিনেমার মুক্তির ঘোষণাও। আগামী সেপ্টেম্বরে এটি মুক্তি পাবে। যদিও তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

উল্লেখ্য, ‘মুজিব’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। দুই দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে এর শুটিং হয়েছে। এতে শুভ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন- নুসরাত ফারিয়া, নুসরাত ইমরোজ তিশা, চঞ্চল চৌধুরী, দিলারা জামান, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, প্রার্থনা দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ শতাধিক শিল্পী। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ভারতের শান্তনু মৈত্র।

বিনোদন

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের ৩৪ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আলোচিত সিনেমা ‘শান’। মুক্তির প্রথম দিনেই ভালো সাড়া পাচ্ছে সিনেমা।

ঢাকার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সিনেমাটি দেখতে দর্শকরা ভিড় করছেন।

এই সিনেমাটি দিয়ে ‘পোড়ামন ২’-এর পর ফের একবার জুটি বেঁধে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হলেন সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরী। ঈদের দিন দুপুর থেকে রাজধানীর প্রেক্ষাগৃহগুলো ঘুরে ঘুরে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানছেন তারা।

প্রথমে তারা যান মতিঝিলের ‘মধুমিতা’ হলে। সেখানে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।

সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘হলে আসার পর মনে হলো আমার ঈদ শুরু হয়েছে। দর্শকদের সঙ্গে দেখা করতে পারব, ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে পারব- সেজন্যই প্রেক্ষাগৃহে আসা। এখন পর্যন্ত ‘শান’ কেমন চলছে- সেটা বিস্তারিত জানি না। তবে সামাজিক মাধ্যম থেকে যতটুকু জেনেছি, খুব ভালো যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ্‌। ’

পূজা বলেন, ‘ঢাকার যেসব হলে ‘শান’ মুক্তি পেয়েছে এর সবগুলোতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। রিভিউ ভালোই পাচ্ছি। এখন দেখি সামনে কী হয়। ’

মধুমিতা থেকে শ্যামলী সিনেমা হলে গিয়েছে ‘শান’ টিম। সন্ধ্যায় তারা থাকবে মিরপুরের স্টার সিনেপ্লেক্সে।

‘শান’ পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা এম রাহিম। সত্য ঘটনা অবলম্বনে পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার গল্পে এটি নির্মিত।

জানা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়াতেও একযোগে ঈদের দিন মুক্তি

সিনেমাটির গল্প লিখেছেন প্রযোজক আজাদ খান। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন যৌথভাবে আজাদ খান ও নাজিম উদ দৌলা।

সিয়াম-পূজা ছাড়াও ‘শান’-এ আরো অভিনয় করেছেন তাসকিন রহমান, সৈয়দ হাসান ইমাম, চম্পা, অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ। সিনেমাটির অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করেছেন বলিউডের আব্বাস আলি মোঘল।

বিনোদন

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগে দুর্বৃত্তদের স্থান নেই।

আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা জিতেন্দ্র গুহের ওপর হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে যারা দলের পরীক্ষিত নেতাদের নিগৃহিত করে এমন দুর্বৃত্তদের স্থান আওয়ামী লীগে নেই।

তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা পটিয়া

উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন্দ্র গুহকে দেখতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি আহত জিতেন্দ্র গুহের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

ড. হাছান বলেন, জিতেন্দ্র গুহ আমাদের দলের একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আজকের পর্যায়ে এসেছেন। তার ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি শুধু নিন্দনীয় নয়, এটি জঘন্য। যারা হামলা করেছে তারা দল থেকে বহিস্কৃত হবে।

তিনি বলেন, ‘পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের যে জসিম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে তাকে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হবার কারণে দল থেকে আগেই বহিস্কার করা হয়েছিল। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করছি অন্যান্য আসামীরাও সহসা গ্রেপ্তার হবে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দলের সমস্ত নেতাকর্মীরা জিতেন গুহের সাথে আছে। যারা হামলা করেছে তাদের মত দুস্কৃতিকারীদের আমাদের দলে কোন স্থান নাই। যারা এই ধরনের দুর্বৃত্ত আছে, দলের নাম ভাঙিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, পরীক্ষিত নেতাদের নিগৃহিত করে তাদের কোন স্থান আমাদের দলে নেই।’

ড. হাছান বলেন, এ ঘটনার অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে আগেই বহিস্কার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে থানা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে যেন আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়।

আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ খ ম শামসুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ উল্লাহ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ চৌধুরী, কাউছার নুর লিটন প্রমুখ মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

বিনোদন

ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ এখন সুখী সংসারী। নেটমাধ্যমে মাঝেসাঝে তাদের ছবি-ভিডিও সে কথাই বলে।

তবে তার পরেও নিজেদের দাম্পত্যের রসায়ন নিয়ে খোলাখুলি সেভাবে তেমন কথা বলতে দেখা যায়নি ‘ভিক্যাট’কে।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য সেটাই করে ফেললেন ভিকি কৌশল।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

রাজস্থানের দুর্গে চোখ ধাঁধানো বিয়ে, তার ছবি দেখে অনুরাগী মহলে আনন্দের জোয়ার— সব পেরিয়ে এখন সুখী সংসারী ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন স্ত্রী ক্যাটরিনাকে। সাক্ষাৎকারে ভিকি সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি ভাগ্যবান, ক্যাটরিনাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি।

ও খুব বিচক্ষণ, বুদ্ধিমতী এবং সহমর্মী। রোজ আমি ওর থেকে কিছু না কিছু শিখি। আমার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ওর অনেকখানি প্রভাব রয়েছে।’