খেলাধুলা

পাকিস্তানকে বিদায় করে আবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেল শ্রীলংকা। এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে এনিয়ে ১৩বার ফাইনালে উঠল লংকানরা।

অতীতের ১৫ আসরের মধ্যে ১২ আসরে ফাইনালে খেলে ৬বার শিরোপা জিতে নেয় শ্রীলংকা।

আগামী রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা।

বৃহস্পতিবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করেছে পাকিস্তান।

দলের হয়ে ৭৩ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এছাড়া ৫২ রান করেন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। ৪৭ রান করেন ইফতেখার আহমেদ।

টার্গেট তাড়া করতে নেম শেষ বলে ২ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে শ্রীলংকা। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন কুশাল মেন্ডিস। ৪৮ রান করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন চারিথা আসালঙ্কা।

খেলাধুলা

এশিয়া কাপে বড় আশা নিয়ে গিয়ে একরকম ভরাডুবিই হয়েছে বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের কিছুদিন আগে তামিম ইকবাল অধিনায়কত্ব ছাড়লে নেতৃত্ব নেন সাকিব আল হাসান।

তার অধীনে এ দফায় শুধু আফগানিস্তানের বিপক্ষেই জিতেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে বেশ।
সুপার ফোরের প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামা এখন হয়ে গেছে অনেকটাই নিয়মরক্ষার। এ ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বারবারই করলেন পাল্টা প্রশ্ন। এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পর এখন বিশ্বকাপের আগে দলের প্রতি কোনো বার্তা থাকবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলছেন, সব দায়িত্ব তার না।

বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কায় তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস হচ্ছে সব দায়িত্বই এখানে আমার না। সবার সব দায়িত্ব আছে। আমি নিশ্চিত সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবে। আলাদা আলাদাভাবে যদি সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। ’

‘আলাদা কাজগুলো একসঙ্গে যোগ করলে, তখন হয়তো আমরা ভালো করব। সবাই চেষ্টা করবে আমি জানি, তার জায়গা থেকে একটুও কম কাজ করবে না, যাতে যে বিশ্বকাপ ভালো করতে পারে। আমি আশাবাদী আমাদের দল ভালো করবে। ’

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ হচ্ছে। এবারের ম্যাচটি অবশ্য খুব বেশি মূল্য নেই টুর্নামেন্ট বিবেচনায়। এ ম্যাচে থাকছেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবুও ভালো খেলার তাড়না থাকবে বলেই জানিয়েছেন সাকিব।

তিনি বলেন, ‘খেলার আগে কিভাবে বলব সহজ হবে না কঠিন হবে। আমরা যাবো যতটা সম্ভব ভালো খেলা যায় জেতার জন্য, বাকিটা আসলে খেলার পরে আপনারাই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। ’ কী লক্ষ্য নিয়ে নামবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আপনি নামলে কি করতেন নামার আগে? আমরাও সেটাই করব (জয়ের জন্য)। ’

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরে। এরপর আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নেয়। কিন্তু এই পর্বের দুটি ম্যাচেই হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। তবুও দলের পারফরম্যান্সে কি আলাদা করে কোনো সন্তুষ্টির জায়গা আছে?

সাকিব বলেন, ‘এগুলো আসলে মিডিয়াতে বলার বিষয় না– কোন জায়গা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট, কোন জায়গা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না। এগুলো আসলে আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের আলোচনা করার বিষয় এবং ওখান থেকে সমাধান বের করার বিষয়। ’

 

খেলাধুলা

পাকিস্তানের পর শ্রীলংকাকে হারিয়ে সবার আগেই ফাইনালে উঠে গেলে ভারত। এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে এনিয়ে ১১বার ফাইনালে খেলবে ভারত। অতীতের ১৫ আসরের মধ্যে ভারত সাতবার শিরোপা জিতে নেয়।

মঙ্গলবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

এছাড়া ৩৯, ৩৩ ও ২৬ রান করে করেন লোকেশ রাহুুল, ইশান কিশান ও অক্ষর প্যাটেল। শ্রীলংকার হয়ে ৫ উইকেট নেন দুনিথ ওয়েলালাগে। আর ৪ উইকেট নেন চারিথ আসালঙ্কা।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪১.৩ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন দুনিথ ওয়েলালাগে। ৪১ রান করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ২২ রান করেন চারিথ আসালঙ্কা। ভারতের হয়ে ৪ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ ও রবিন্দ্র জাদেজা।

৪১ রানের জয়ে সবার আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।

ভারত এর আগে সোমবার সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে পাকিস্তানকে ১২৮ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়।

মঙ্গলবার লংকান দুই স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগে ও চারিথ আসালঙ্কার বলে বিভ্রান্ত হয়ে ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানেই গুঁড়িয়ে যায় রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা।

আগের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়া ভারত মঙ্গলবার আড়াইশ রানও করতে পারেনি।

সোমবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১২৮ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় ভারত। পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে ফাইনালের পথেই রয়েছে কোহলিরা।

আজ মঙ্গলবার শ্রীলংকা অথবা পরের ম্যাচে শুক্রবার বাংলাদেশকে হারালেই ফাইনালে উঠে যাবে ভারত। এমন সহজ সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল।

এরপর তরুণ স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগের বলে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ভারত হারায় ৩ উইকেট।

২৫ বলে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ রান করে ফেরেন শুভমান গিল। ১২ বলে ৩ রানে ফেরেন আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৪ বলে ১২২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা বিরাট কোহলি। ৪৯ বলে ৭টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করে ফেরেন রোহিত শর্মা।

চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন লোকেশ রাহুল ও ইশান কিশান। এই জুটিতে তারা ৮৯ বলে ৬৩ রান যোগ করেন। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়।

৩ উইকেটে ১৫৪ রান করা ভারত, এরপর মাত্র ৩২ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। শেষ উইকেটে পেস বোলার মোহাম্মদ সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ বলে ২৭ রানের জুটি গড়ে দলের স্কোর দুইশো পার করেন অক্ষর প্যাটেল।

৩৬ বলে ২৫ রান করা প্যাটেল বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয় ভারত।

শ্রীলংকার হয়ে ১০ ওভারে ৪০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন দুনিথ ওয়ালালাগে। ওয়ানডেতে এটাই তার সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া ৯ ওভারে ১৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন চারিথ আসালঙ্কা।

খেলাধুলা

শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে তীরে গিয়ে তরী ডুবল আফগানিস্তানের। শ্রীলংকার বিপক্ষে রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে বেঁধে দেওয়া টার্গেটের শেষ বলে ৩ রান করতে না পারায় সুপার ফোরের লড়াইয়ে ছিটকে যায় আফগানিস্তান।

এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে কোয়ালিফাই করার জন্য শ্রীলংকার বিপক্ষে আফগানদের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭.১ ওভার তথা ২২৩ বলে ২৯২ রান। অসম্ভব এ লক্ষ্যকে সম্ভব করতে ইনিংসের শুরু থেকেই ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলে যায় আফগানরা; কিন্তু শেষদিকে টপাটপ উইকেট পতনের কারণে কোয়ালিফাই করতে পারেনি আফগানরা।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হয় শ্রীলংকা-আফগানিস্তান। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৯১ রান করে শ্রীলংকা।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ বলে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন কুশাল মেন্ডিস। এছাড়া ৪১ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ৩৬, ৩৩ ও ৩২ রান করে করেন চারিথ আসালঙ্কা, দুনিথ ওয়ালালাগে, দিমুথ করুনারত্নে। ২৮ রান করেন ও মহেশ থিকসানা।

শ্রীলংকার ইনিংস শেষ হওয়ার পরই এশিয়া কাপের সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার জন্য আফগানদের টার্গেট দেওয়া হয় ৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান। লংকানদের বিপক্ষে এমন কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলে আফগানরা।

৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করে বিপাকে পড়ে যায় আফগানিস্তান। চতুর্থ উইকেটে হাশমতউল্লাহ শহিদির সঙ্গে ৬৩ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ। ৪০ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রানে ফেরেন রহমত।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় উপহার দিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই চার-ছক্কা হাঁকাতে থাকেন। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৬ ওভারেই দলীয় স্কোর ২০০ পূর্ণ করে আফগানিস্তান।

২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন নবি। তার আগে ৩২ বলে ৬টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ রান করে ফেরেন নবি।

মোহাম্মদ নবি যখন সাজঘরে ফেরেন তখন জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ৬৪ বলে ৯১ রান। ৪৮ রানে ব্যাটিং করে যান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।

শেষদিকে করিম জানাত, নজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবিরা ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেও সুপার ফোর নিশ্চিত করতে পারেননি।

খেলাধুলা

আফগানিস্তানকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে কার্যত সুপার ফোরে উঠে গেছে বাংলাদেশ দল। রান রেটে আফগানিস্তান এখনও পিছিয়ে রয়েছে। রশিদ খানরা শ্রীলংকাকে ছোট ব্যবধানে হারালেও বাংলাদেশকে টপকে যাওয়া সহজ হবে না। অন্যদিকে শ্রীলংকা যদি বড় ব্যবধানে হারে, তাহলে তাদের রানরেট নেমে আসবে বাংলাদেশের নিচে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের সুপার ফোর প্রায় নিশ্চিত বলা চলে।

রোববার মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।

৩৩৫ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে টাইগার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ে বি গ্রুপ থেকে কার্যত সুপার ফোর নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

এদিন পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল টাইগাররা। সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ বাংলাদেশকে জিততেই হতো।

এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের সঙ্গে ৬০ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ।

এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৮ আর ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন নাইম শেখ ও তাওহিদ হৃদয়।

তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন মিরাজ-শান্ত। এই জুটিতে তারা ১৯০ বলে ১৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।

১৯৪ রানের জুটি গড়ার পথে জোড়া ফিফটি হাঁকান মিরাজ-শান্ত। দুজনেই নিজের ফিফটির ইনিংসটাকে সেঞ্চুরিতে পরিনত করতে সক্ষম হন। মেহেদি হাসান মিরাজ ১১৯ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১১২ রান করে হাতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন।

১০৫ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ রান করে রান আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরাজ-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ।

ইনিংসের শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ১৫ বলে ২৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আউট হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ৯৭ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান।

ইনিংসের শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করে যাওয়া জাদরানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। তার বলে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম। তার আগে ৭৪ বলে ১০টি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন।

এরপর নজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫২ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন হাশমতউল্লাহ শহিদি। একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ১৯৩ রান। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৫২ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানেই অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে ৭৪ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ৬০ বলে ৫১ রান করেন অধিনায়ক হাশমতবউল্লাহ শহিদি।

৮৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে ৮.৩ে ওভারে ৪৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ৩ উইকেটে নেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

খেলাধুলা

এশিয়া কাপ নিয়ে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছিল বেশ অনেকদিন ধরেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ধাক্কা খায় পরিকল্পনায়।

তামিম ইকবাল পিঠের চোটের কারণে যেতে পারেননি। শুরুতে জ্বরের কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি লিটন দাস। পরে তিনি ছিটকে যান টুর্নামেন্ট থেকেই। তার বদলে ম্যাচ শুরুর একদিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দেন এনামুল হক বিজয়।

দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের অনুপুস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদমই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৬৪ রানে অলআউট হওয়া ম্যাচে শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তার সঙ্গী নাঈম শেখ করেন ২৩ বলে ১৬ রান। রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সংবাদ সম্মেলনেও আসে তামিম-লিটনের না থাকার প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, ‘টপ-অর্ডারে এরকম অভিজ্ঞতা না থাকা যেকোনো দলের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা ইনজুরি নিয়ে কিছু করতে পারি না। এখানে যারা আছে, তাদেরই সমর্থন জানাতে হবে। তাদের প্রতিভা আছে বলেই নেওয়া হয়েছে। ’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশ নিয়ে সমালোচনা ছিল বেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কি কোনো বদল আসবে? হাথুরু বলেন, ‘আমরা এখানে কেবল এসেছি। এখনও উইকেট দেখিনি। যদি উইকেট আলাদা হয়, তাহলে আমরা আলাদা কম্বিনেশন দেখবো। ’

এশিয়া কাপের কিছুদিন পরই হবে বিশ্বকাপ। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবেও অনেকে দেখছে এশিয়া কাপকে। বাংলাদেশ দলের হেড কোচ অবশ্য ভাবছেন না তেমন কিছু। তার চিন্তায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না এই মুহূর্তে। ফোকাস হচ্ছে এশিয়া কাপ খেলা। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য। ’

লাহোরের গরম কোনো সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে হাথুরু বলেন, ‘আমার তেমন মনে হয় না। এখানে সবাই এশিয়ার দেশ। আমরা যখন মিরপুরে অনুশীলন করেছি, তখনও গরম ছিল। আমার মনে হয় না আমাদের পারফরম্যান্সে কোনো ইম্প্যাক্ট বলবে। ’

খেলাধুলা

বৃষ্টিতে ভেসে গেল ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ। তৃতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংস তথা পাকিস্তান ব্যাটিং করতে পারেনি। যে কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া ভারত-পাকিস্তান উভয় দল ১ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করে।

পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায়। শনিবার ভারতের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচে ১ পয়েন্ট পায় পাকিস্তান। দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এ গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করে বাবর আজমরা।

ভারত নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে পেল ১ পয়েন্ট। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয় পেলে এ গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করবে।

শনিবার শ্রীলংকার পাল্লেকেল্লে স্টেডিামে মুখামুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। এদিন শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর গতিতে বিধ্বস্ত ভারত। এই তিন তারকার গতির মুখে পড়ে ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি ভারত। এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের তৃতীয় ম্যাচে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানেই ইনিংস গুটায় ভারত।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফের গতিতে বিপাকে পড়ে যায় ভারত। ১৪.১ ওভারে দলীয় ৬৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন ভারতের চার তারকা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, স্রেয়াশ আইয়ার ও শুভমান গিল।

রোহিত-কোহলিকে বোল্ড করে দলীয় ২৭ রানেই সাজঘরে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। স্রেয়াশ আইয়ার শিকার হন হারিস রউফের বলে ফখর জামানের দুর্দান্ত ক্যাচে। আর শুভমান গিলকে বোল্ড করেন রউফ।

দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন ইশান কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া। পঞ্চম উইকেটে তারা ১৪১ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেই জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। তাদের দায়িত্বশীল জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার পুঁজি পায় ভারত।

একটা পর্যায়ে ৪ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ছিল ২০৪ রান। এরপর মাত্র ৬২ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। দলের কঠিন চাপের মুহূর্তে ৮১ বলে ৯টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৮২ রান করে ফেরেন ইশান কিশান। ৯০ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় ৮৭ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া।

ইশান-পান্ডিয়া আউট হওয়ার পর আসা-যাওয়া মিছিলে অংশ নেন লেজের ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে প্রত্যাশিত রান না আসায় শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানেই অলআউট হয় ভারত।

পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৮.৫ ওভারে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন নাসিম শাহ। ৯ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইটে নেন হারিস রউফ।

খেলাধুলা

শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর গতিতে বিধ্বস্ত ভারত। এই তিন তারকার গতির মুখে পড়ে ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি ভারত। এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের তৃতীয় ম্যাচে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানেই ইনিংস গুটায় ভারত।

শনিবার শ্রীলংকার পাল্লেকেল্লে স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফের গতিতে বিপাকে পড়ে যায় ভারত। ১৪.১ ওভারে দলীয় ৬৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন ভারতের চার তারকা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, স্রেয়াশ আইয়ার ও শুভমান গিল।

রোহিত-কোহলিকে বোল্ড করে দলীয় ২৭ রানেই সাজঘরে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। স্রেয়াশ আইয়ার শিকার হন হারিস রউফের বলে ফখর জামানের দুর্দান্ত ক্যাচে। আর শুভমান গিলকে বোল্ড করেন রউফ।

খেলাধুলা

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে তারুণ্যের ভারই বেশি। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে।

ইনজুরির ও জ্বরের কারণে এশিয়া কাপের দল থেকে আগেই ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তাই অনভিজ্ঞ ওপেনারদের নিয়েই নামতে হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। যেখানে মুখ থুবড়ে পড়েন নাঈম শেখ ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম।
তামিম-লিটন না থাকায় দায়িত্বটা বেড়ে গিয়েছিল দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের প্রতি। কিন্তু তারাও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। গতকাল ৫ উইকেটে হারের পর তাই নিজের পাশপাশি দায়টা ব্যাটিং ব্যর্থতার ওপরই চাপলেন সাকিব। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের এই মন্তব্য মোটেও ভালো লাগেনি রমিজ রাজার। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটারের মতে, সাকিবের কথা দলের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ রাজা বলেন, ‘আমার ভালো লাগেনি, যখন ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে সাকিব বললেন যে লিটন ও তামিম নেই। এটা বলা ঠিক নয়। কারণ এমন মন্তব্যের পর সব দলই ভেঙে পড়ে। তারা মনে করে, আমাদের ওপর ভরসা নেই, আমাদের স্কিলের ওপর অধিনায়কের ভরসা নেই, আমাদের গোনায় ধরছেন না এবং তার চোখে আমরা ম্যাচ উইনার নই। ‘

‘আপনাকে কৌশলগত ও বিশ্লেষণগতভাবে এই হারের কারণ বের করতে হবে। দ্রুত এর সমাধান করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ভালো ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশকে বাংলাদেশে হারিয়েছে। তাই সাকিবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের মানসিকতা ভালো অবস্থায় রাখা এবং এই হার থেকে শেখা। কারণ এটা কঠিন উইকেট ছিল। ‘

রমিজের মতে, বাংলাদেশের সমস্যা হলো সাকিব ছাড়া আর কোনো ভালো মানের অলরাউন্ডার নেই। তিনি বলেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য শ্রীলঙ্কা কঠিন উইকেট থাকে। কারণ এখানে বল আটকে আসে, এখানে হাফ স্পিনারও পুরো স্পিনার হয়ে যায়। সাকিবের বলেও স্পিন হচ্ছিল। সাধারণত সে খুব বেশি বল স্পিন করে না। বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সমস্যা হলো, তাদের কাছে দুই-একজন কোয়ালিটি অলরাউন্ডার নেই। সাকিব বাদে বাকি কোনো অলরাউন্ডার নেই। ‘

‘দ্বিতীয়টা হলো বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার অপরিপক্ক বোলারদের চড়াও হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছে। ২১ বছর বয়সী ওয়েললাগের থেকে ওভারে মাত্র ৪ এর ওপর রান নিয়েছে, এটাও এক ভুল ছিল। পাথিরানার কাছে ক্লাস, স্পিড আছে, স্লিংগিং অ্যাকশনের কারণে কিছুটা মুশকিল বোলার। কিন্তু থিকশানাকে চড়াও হতে দিয়েছে। কোনো জায়গায় মনে হয়নি, যে পরিকল্পনা ছিল। ‘

‘পরিকল্পনা এই কারণে ছিল না যে, এসব বোলারদের ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি। এমনকি আগ্রাসন দেখায়নি, জুটিও হয়নি। যখন উইকেট পড়তে থাকে, তখন জুটি গড়া জরুরি। ভারত বাদে এশিয়ান দলগুলোর বাবর আজমকে অনুসরণ করা উচিত। ‘

খেলাধুলা

রোববার লিটন দাস যেতে পারেননি দলের সঙ্গে। তখন থেকেই আলাপটা টুকটাক চলছিল- এশিয়া কাপ কি খেলা হবে তার? শেষ অবধি জ্বর থেকে সেরে না উঠায় লিটন খেলছেন না এই টুর্নামেন্ট।

তার জায়গায় অনেকটা চমক জাগিয়েই নেওয়া হয়েছে এনামুল হক বিজয়কে।

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডাক পাননি ৩২ সদস্যের স্কোয়াডে। পরে ১৭ সদস্যের স্কোয়াড, রিজার্ভ, বিশেষ ক্যাম্প কোথাও অনুমিতভাবেই ছিলেন না বিজয়। তার হুট করে সুযোগ পাওয়া তাই কিছুটা হলেও বিস্ময়ের।

নির্বাচকরা ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন, লিটনের অনুপুস্থিতিতে উইকেটরক্ষক টপ অর্ডার ব্যাটার দরকার ছিল তাদের। এজন্যই বেছে নেওয়া বিজয়কে। যদিও তেমন হলে জায়গা পেতে পারতেন জাকির হাসান। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ছিলেন বিসিবির সব ক্যাম্পে।

কেন বেছে নেওয়া হলো বিজয়কে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমাদের দলে একজন অতিরিক্ত উইকেটরক্ষক নেই, এটা একটা কারণ। লাইক ফর লাইক বদলি আমার মনে হয়। এছাড়া লিটন টপ অর্ডারে ব্যাট করে, বিজয়ও টপ অর্ডার ব্যাটার। মুশফিক ভাইয়ের যদি কিছু হয়, বিশেষ করে ম্যাচের সময়, দেখা গেল ওই দিন তিনি খেলতে পারছেন না। যেহেতু এখন একটা সুযোগ আছে উইকেটরক্ষক ম্যাচে না খেললেও কিপিং করতে পারবে তাই বিকল্প হিসেবে বিজয়কে নেওয়া। ’

লিটন দলের জন্য ছিলেন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দলের সহ-অধিনায়ক তো বটেই, আরেক অভিজ্ঞ উদ্বোধনী ব্যাটার তামিম ইকবালের অনুপুস্থিতিতে গুরু দায়িত্বটাও ছিল তার কাঁধে। দুজনের না থাকায় সাকিব আল হাসানের কি নিজেকে ব্যাটিং-অর্ডারে উপরে তুলে আনার কোনো সম্ভাবনা আছে?

বিসিবির পাঠানো ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এখন আসলে যদি পরিকল্পনা থাকেও সেটা আমি আপনাকে বলতে পারবো না। এটা হচ্ছে কথা। কিন্তু অবশ্যই আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। ব্যাক আপ প্লেয়ার যারা আছে, তাদের চেষ্টা করার একটা সুযোগ। নতুন যে প্লেয়ার আসবে তার জন্য একটা সুযোগ এখানে ভালো কিছু করার। ’