খেলাধুলা

৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে আসা কানাডার জালে এক হালি গোল দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপের ম্যাচে কানাডাকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

এ জয়ে মরক্কোর সঙ্গে পয়েন্ট সমান থাকলেও গোল গড়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠল ক্রোয়েশিয়া।

ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটের মাথায় কানাডার আলফোন্সো ডেভিস এ বিশ্বকাপের সবথেকে দ্রুততম গোল করেন। কিন্তু এরপর বাকি চমক দেখায় ক্রোয়েশিয়া।

রাশিয়া বিশ্বকাপে রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি কাতারে। মরক্কোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার পর তাদের সামনে ছিল বেলজিয়ামের কাছে হেরেও উজ্জীবিত কানাডা। কিন্তু নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয়টা দিয়ে দিল লুকা মদ্রিচের দল।

খেলার ৩৬ মিনিটে ক্রামারিচের গোল সমতায় ফেরায় ক্রোয়েশিয়াকে। এর ৬ মিনিট পরেই দলকে এগিয়ে দেন লিভাজা। পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ক্রোয়েশিয়া।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ক্রামারিচ নিজের ২য় এবং ক্রোয়েশিয়ার ৩য় গোল করে কানাডার ম্যাচে ফেরার আশা ক্ষীণ করে তোলেন। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে কানাডার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মাজার। ম্যাচ শেষ হয় ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ৪-১ ব্যবধানে।

এ জয়ের ফলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেল ক্রোয়েশিয়া, নক-আউট পর্বে উঠার লড়াইয়ে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে তারা। অপরদিকে দুই ম্যাচই হেরে বাড়ির পথ ধরা কানাডা নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে মরক্কোর বিপক্ষে।

খেলাধুলা

কাতার বিশ্বকাপে বেলজিয়ামকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক আউটে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল মরক্কো। আজ দোহার আল-থুমামা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শেষ মুহূর্তের নাটকে শক্তিশালী রেড ডেবিলসদের ২-০ গোলে পরাজিত করে এটলাস লায়ন্সরা। বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকা দলটির হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি করেছেন যথাক্রমে আব্দেলহামিদ সাবিরি ও জাকারিয়া আবুখালা।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বেলজিয়াম। কম যায়নি মরক্কোও। প্রথম ম্যাচে জয় না পেলেও গত আসরের রানার আপ ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিয়েছিল তারা। গোল শুন্য ড্র করে আদায় করে নেয় মুল্যবান একটি পয়েন্ট। তবে যেহেতু জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে নক আউট পর্ব, তাই মরক্কোর বিপক্ষেই কাজটি সেরে আজ নিতে চেয়েছিল বেলজিয়াম।

আর মরক্কো চেয়েছিল র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থনীয় দলকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে। শেষ পর্যন্ত সেটি করতে সক্ষম হয় তারা।

যদিও প্রথমার্ধের পুরোটা সময় জুড়েই মরক্কোর মধ্যে সেই দক্ষতা দেখা যায়নি। বরং একের পর এক আক্রমন চালিয়ে তাদের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে বেলজিয়াম। মরক্কো বেলজিয়ামের পোস্টে যে কয়বার হানা দিয়েছে তাতে ছিলনা কোন পরিকল্পনা। প্রতি আক্রমন থেকেই তারা কিছুটা ফায়দা নেয়ার চেস্টা করেছে। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ¯্রােতের বিপরীতে গিয়ে সেরা সফলতা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল মরক্কো। হাকিম জিয়েচ ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ সুন্দর একটি শটে বল বেলজিয়ামের জালে পাঠালেও সেটি ভিএর প্রযুক্তিতে বাতিল করেন কর্তব্যরত রেফারি।

এর আগে ম্যাচের পঞ্চম মিনিট আক্রমণে যায় বেলজিয়াম। পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে মিশি বাটশুয়াই’র ডান পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন মরক্কোর গোলরক্ষক মোহাম্মদি। এ সময় পরপর দুইটি কর্নার পায় বেলজিয়াম তবে সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়।

১০ম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনাকে ডি বক্সের লাইনে ফেলে দিলে ফ্রি কিক পায় বেলজিয়াম। তবে ব্রুইনার নেয়া ফ্রি কিকের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৮ মিনিটে বেলজিয়ামের আমাডু ওনানার দুর্বল শটের বল সহজেই গ্রীবে পুরে নেন মরক্কোর গোলরক্ষক। এর ২ মিনিট পর প্রতিআক্রমনে যায় মরক্কো। বাঁ প্রান্ত দিয়ে হাকিম জিয়েচ একক প্রচেস্টায় বল নিয়ে গিয়ে জোড়ালো একটি শট নিলেও সেটি গোল লাইনের বাইরে চলে যায়।

ম্যাচের ৩২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বেলজিয়ামের থমাস মুইনারের মাটি কামড়ানোর শট ধরে ফেলেন মরক্কোর গোলরক্ষক। ২ মিনিট পর ডান প্রান্ত দিয়ে মরক্কোর আচরাফ হাকিমির ডান পায়ের শট নিলেও সেটি বারের দেখা পায়নি। ৩৯ মিনিটে ব্রুইনার ফ্রি কিকের বল পোস্টের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

এর পর প্রধমার্ধের সেরা সুযোগটি লাভ করে মরক্কো। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত হিসেবে এক মিনিট যুক্ত করার নির্দেশ দেন ম্যাচের চতুর্থ রেফারি। ওই সময় গোল পোস্টের ডান প্রান্তে হাকিম জিয়েচকে বেলজিয়ামের রক্ষনের খেলোয়াড়রা ফেলে দিলে ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন রেফারি। জিয়েচ নিজেই ফ্রি কিক থেকে বাঁকানো শটের বলটি সরাসরি বেলজিয়ামের জালে পাঠিয়ে দেন ।

কিন্তু ভিএর প্রযুক্তিতে সেটি বাতিল করেন কর্তব্যরত রেফারি। ফলে লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া হয়নি মরক্কোর।

বিরতি থেকে ফিরে আরো উজ্জীবিত হয়ে খেলা শুরু করে এটলাস লায়ন্সরা। ৫৭ মিনিটে মরক্কোর সোফিয়ানে বুফাল বাঁ প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের জোড়ালো শট নিলে অল্পের জন্য সেটি রেড ডেভিলদের পোস্ট মিস করে। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ডান প্রান্তের ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় মরক্কো। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে দারুন এক কৌনিক শটে বলটি জালে পাঠিয়ে দেন বদলী হিসেবে মাঠে নামা আব্দেলহামিদ সাবিরি (১-০)। নাটকীয় এই গোলে প্রথমার্ধের অতৃপ্তি পুর্ন হয় মরক্কোর।

গোল করার পর আরো আগ্রাসী হয়ে উঠে এটলাস লায়ন্সরা। একের পর এক আক্রমন চালিয়ে কোনঠাসা করে ফেলে বেলজিয়ানদের। এর সুফলও ঘরে তোলে তারা। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে (৯০+২) আরো একটি গোল করে জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় মরক্কো। মধ্য মাঠ থেকে উড়ে আসা বল নিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে দ্রুত ঢুকে পড়েন হাকিম জিয়েচ। পোস্টের ডান প্রান্ত থেকে তিনি সেটি পেছনে ঠেলে দেন পিছু নেয়া সতীর্থ জাকারিয়া আবুখালার কাছে। চলন্ত বলটি ঠান্ডা মাথায় আলতো টোকা দিয়ে থিবো কোর্তোয়ার মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ান তিনি (২-০)।

এর আগে বিশ্বমঞ্চে পরস্পরের বিপক্ষে একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল রেড ডেভিলস ও এটলাস লায়ন্সরা। ১৯৯৪ সালের ওই ম্যাচে অবশ্য ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল মরক্কো।

আগামী ১লা ডিসেম্বর কানাডার মোকাবেলা করবে মরক্কো। একই রাতে ক্রোয়েশিয়ার মুকোমুখি হবে বেলজিয়াম।

খেলাধুলা

গোড়ালির চোটের কারণে ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না নেইমারের। গ্রুপপর্বে ব্রাজিলের তৃতীয় ম্যাচ ক্যামেরুনের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও নেইমারের খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আগামী ২৮ নভেম্বর সুইজারল্যান্ড আর ২ ডিসেম্বর ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল।

বৃহস্পিতবার সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৮০তম মিনিটে ব্রাজিলের সুপারস্টার নেইমারকে এক পায়ের বুট খুলে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়।

মাঠ থেকে নেইমারকে কাঁদতে কাঁদতে বের হতে দেখে সমর্থকদের মনে প্রশ্ন জাগে, নেইমারের বিশ্বকাপ কি চোটের কারণে শেষ হয়ে গেল?

ব্রাজিলের কোচ তিতে বলেন, আমি বুঝতে পারিনি যে নেইমারের চোট লেগেছে। এ চোট সারিয়ে ফেরার ক্ষমতা ওর আছে।

নেইমারের চোট নিয়ে ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রড্রিগো লাসমার জানান, সার্বিয়ার ফুটবলারের হাঁটুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পান নেইমার।

ব্রাজিলের এই তারকাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল

ফুটবলার

রিচার্লিসনের জোড়া গোলে বৃহস্পতিবার রাতে সার্বিয়াকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করে ব্রাজিল। অথচ এই তারকাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

এ শহরের এক দিনমজুর পরিবারে রিচার্লিসনের জন্ম। তার বাবা দৈনিক মজুরিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। মা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিক্রি করতেন আইসক্রিম। রিচার্লিসন হচ্ছেন মা-বাবার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। ছোটবেলায় ঠিকমতো তিনবেলা খাবারও জুটত না তাদের ভাগ্যে। অনেক রাত না খেয়ে ঘুমাতে হয়েছে তাকে।

টাইমসের সঙ্গে আলাপচারিতায় অতীতের সেই আক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন রিচার্লিসন। তিনি বলেন, আমার অনেক বন্ধু রাস্তায় মাদক বিক্রি করত। সহজে অর্থ আয়ের সেটিই ছিল দারুণ সুযোগ। ঠিকঠাক মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে পারলে বেশ ভালো অর্থ পাওয়া যেত। কিন্তু আমার মা-বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন, এভাবে অর্থ আয় করা ঠিক নয়, সেটি অন্ধকার উপায়।

আমি তখন আমার মায়ের সঙ্গে চকলেট, আইসক্রিম বিক্রি করতাম। বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য বেছে নিতাম বড়লোকদের গাড়ি ধোয়ার কাজ। এই কাজগুলোকেই আমি টাকা আয়ের সঠিক উপায় হিসেবে জানতাম, বিশ্বাস করতাম। আমি আমার মাকে সাহায্য করতাম, যতটা পারতাম।

তিনি আরও বলেন, আমার যখন ১৪ বছর বয়স, তখন কোনো একদিন রাস্তায় ছোটদের সঙ্গে খেলা করছিলাম। হঠাৎ এক মাদক ব্যবসায়ী আমাদের খেলা থামিয়ে আমার মাথায় বন্দুক তাক করল। সে ভেবেছিল আমি হয়তো তার দলেরই লোক কিন্তু এখন পালিয়েছি। সে আমাদের তার দলের হয়ে কাজ করার জন্য তাগিদ দেয় এবং কাজ না করলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।

বাবার উৎসাহে ফুটবলার হওয়া প্রসঙ্গে রিচার্লিসন বলেন, একদিন বাবা হঠাৎ করেই আমার জন্য কয়েকটি ফুটবল কিনে নিয়ে আসলেন। তিনি সব সময়ই চাইতেন, আমি ভালো ফুটবলার হই। আমরা রাস্তায় ফুটবল খেলতাম। স্যান্ডেল দিয়ে গোল বানাতাম।

খেলাধুলা

টি-টেন লিগে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলা টাইগার্স। নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সকে তারা হারায় ১৯ রানে। বাংলা টাইগার্সের হয়ে এ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন সাকিব আল হাসান।

বুধবার আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে সাকিবের দল। ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১২ রানে থামে স্ট্রাইকার্সের ইনিংস।

ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি সাকিবের দলের। জাজাই ও জো ক্লার্কের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন কলিন মুনরো ও এভিন লুইস। মুনরো ৩০ রান করে বিদায় নিলেও অর্ধশতক তুলে নেন লুইস। ব্যাট হাতে ৬ বলে ১৪ রান করেন সাকিব।

১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কাইরন পোলার্ড। বল হাতে ২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব।

খেলাধুলা

দোহার খলিফা স্টেডিয়ামে বুধবার জার্মানির বিপক্ষে জয় পেয়েছে জাপান। যে জাপানি ফরোয়ার্ডের নৈপূন্যে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হৃদয় ভেঙে গেছে, সেই তাকুমা আসানো আট বছর আগে খেলে গেছেন বাংলাদেশে।

২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় দল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল জাপান অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিপক্ষে। ২০১৬ রিও অলিম্পিকের প্রস্তুতি হিসেবে তখন বিভিন্ন দেশে প্রীতি ম্যাচ খেলছিল জাপানের দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ দিনের সফরে সেবার থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে আসে জাপানের যুবারা।

জাপানি যুবদলকে সেদিন মাঠে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণ, মামুনুল ইসলাম, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসরা। ছোট ছোট পাস, টেকনিক আর স্কিলের ঝলক দেখিয়েছিলেন তারা।

বাংলাদেশ জাতীয় দল সেদিন পাত্তাই পায়নি জাপানের অনূর্ধ্ব-২১ দলটির কাছে। ১৫ মিনিটের জাপানি সুনামিতে উড়ে যায় বাংলাদেশ। মামুনুলদের জালে সেদিন ৩ গোল দেয় জাপান।

এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে প্রথম ও তৃতীয় দুটি গোল করেন আসানো। সেই গোল যেন বুধবার আবারও করলেন এই জাপানি ফরোয়ার্ড। তিনি শুধু গোলই করেননি, এই জয়ে এশিয়ার ফুটবলের নতুন সূর্যোদয়ও যেন দেখাতে শুরু করেছে জাপান।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেদিন ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে জাপানি ফুটবলাররা একটি করে চাবির রিং উপহার দেন বাংলাদেশের ফুটবলারদের। আসানোর গোলের পর ঢাকায় বসে সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তপু বর্মণের, ‘আসানো গোল দিতেই আমার ওই দিনের ম্যাচের কথা মনে পড়ল। ওরা সেদিন খুবই ভালো খেলেছিল। আমরাও দুই-তিনটি সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু গোল করতে পারিনি। জাতীয় সংগীত গাওয়া শেষে হাত মেলানোর সময় ওরা আমাদের একটা চাবির রিং দিয়েছিল। আমার কাছে সেই চাবির রিংটি এখনো আছে।’

মামনুল বলেন, ‘ওরা একটা লক্ষ্য নিয়ে খেলে আজ এখানে। বিশ্বের যে কোনো দল লিগে বা দেশের হয়ে যখন খেলবে, তাদের অবশ্যই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। ঘরোয়া ফুটবল বা জাতীয় দল, আমাদের কোথাও সেই পরিকল্পনার ছাপ নেই। ওরা যখন এসেছে, তখন আমরা খেলেছি জাতীয় দলের হয়ে। আর ওরা অলিম্পিকের দলটা নিয়ে এসেছিল। আজ থেকে আট বছর আগে ওরা যে লক্ষ্য নিয়ে খেলতে শুরু করেছিল বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে সেই সফলতার একটি প্রমাণ দিয়েছে জাপান।’

আসানো যেন চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিলেন সুন্দর পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের ফল কী হয়।

খেলাধুলা

এবারের অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দেশে ফিরে আগামী মাসের শুরুতেই ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে টাইগাররা। তারকায় ঠাসা পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশে আসছে ভারত।

দেশে ফিরে বর্তমানে ছুটিতে থাকলেও টি-২০ ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা ইতি মধ্যেই ভারত সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। মিরপুরে নিয়মিত অনুশীলন করছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তামিম ইকবালরা।

ওপেনিংয়ের ব্যর্থতা নয় টুর্নামেন্ট জুড়ে বাংলাদেশ ভুগেছে মিডল অর্ডারের খেই হারানো ব্যাটিংয়ে। আর সেখানেই মাহমুদুল্লাহকে মিস করেছে সাধারণ ক্রিকেট ভক্ত থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও। শুধু কি ভক্ত সমর্থক? নাকি রিয়াদকে মিস করেছেন তাসকিনরাও?

ফিজ-রিয়াদের উষ্ণ আলিঙ্গন দিয়ে শেষ হয়েছে এ বছরের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের হিসাব-নিকাশ। এখন শুধু চোখ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভারত সিরিজে। মাঠে নামার পালা তামিম-রিয়াদদের। ভারত-বাংলাদেশ খেলা মানেই তো আকাশ ছোঁয়া উত্তেজনা।

বোর্ড-ম্যানেজমেন্টও কি একই রকম গুরুত্বের সাথে দেখছেন আসন্ন ভারত সিরিজকে? সে ব্যাপারে কথা বললেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

বিসিবি’র সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, “ইন্ডিয়া সিরিজ অবশ্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আজকে মিটিং হয়েছে, আমরা ফ্যাসিলিটিজগুলো সরেজমিনে দেখছি। আপনারা অলরেডিই জানেন যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে”।

ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ভেন্যুর দিকে নজর দিয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা হতে পারে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ফিরবেন টি-২০ বিশ্বকাপ না খেলা অনেক ক্রিকেটার।

অনেক দিন থেকে ইমরুলকে ওয়ানডে দলে চাচ্ছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ২০২৩ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে ইমরুলকে দলে রাখার প্রবল সম্ভাবনা আছে ভারতের বিপক্ষে। স্কোয়াডে স্থান পাবে এনামুল হক বিজয়ও। টি-২০ বিশ্বকাপের পর ২০২৩ ওয়ান্ডে বিশ্বকাপের জন্য আবারও এক্সপেরিমেন্ট চালাতে পারে বিসিবি।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য স্কোয়াড ঘোষণা

তামিম ইকবাল (c) , লিটন দাশ ,এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম(Wk), আফিফ হোসেন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন , তাসকিন আহমেদ ,মুস্তাফিজুর রহমান,শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাসুম আহমেদ।

খেলাধুলা

পাকিস্তানের এই দলকে নিয়ে যে কেউ বাজি ধরতেই পারেন। যারা ভারত-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায়ের শিঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। সেই অবস্থা থেকে ধারাবাহিক ম্যাচ জিতে সেমির বাধা ডিঙ্গিয়ে চলে এসেছে ফাইনালে।

আর মাত্র একটি ম্যাচ। ফাইনালে বাবর আজমদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। যে ইংল্যান্ড ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে।

রোববার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান।

ফাইনাল ম্যাচের আগে অতীতে দুই দল টি-টোয়েন্টিতে ২৮ বার মুখোমুখি হয়। দুই দলের সেই সাক্ষাতে ১৮টিতে জয় পায় ইংল্যান্ড আর ৯টিতে জয় পায় পাকিস্তান। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অতীতে দুইবার সাক্ষাৎ হয় পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের। সেই সাক্ষাতে জয় পায় ইংল্যান্ড।

শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের এবারের আসর শুরুর আগে অক্টোবরে পাকিস্তান সফরে যায় ইংলিশরা। সেই সফরে স্বাগতিক পাকিস্তানকে সাত ম্যাচের সিরিজে ৪-৩ ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড।

অতীত সমীকরণ এবং দল কম্বিনেশনে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ইংলিশরা; কিন্তু পাকিস্তান বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হারের পর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হেরে বড় ধরনের ধাক্কা খায়।

সেই ধকল কাটিয়ে খেলায় ফিরে একটানা ৪ ম্যাচে জিতে সোজা ফাইনালে উঠেছে। তাদের জয়ের সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে শিরোপা জেতা কঠিন হবে না বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটির।

খেলাধুলা

প্রভাবশালী তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কী করতে হবে, এজন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।

পাকিস্তানের সামা টিভির এক আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার আফ্রিদি বলেন, তোমার স্কিল যত ভালো হবে তুমি তত প্রভাবশালী খেলোয়াড়ে পরিণত হবে। সুতরাং তোমাকে নিজের শট উন্নত করতে হবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেটা খুবই জরুরি।

পাকিস্তানের হয়ে ৩৯৮টি ওয়ানডে, ৯৯টি টি-টোয়েন্টি আর ২৭টি টেস্ট ম্যাচে অংশ নিয়ে ব্যাট হাতে ১১টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ১১ হাজার ১৯৬ রান সংগ্রহের পাশাপাশি বল হাতে ৫৪১ উইকেট শিকার করেন আফ্রিদি।

সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেন, ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ভালো করতে হলে মাঠের বিভিন্ন পজিশন দিয়ে ছক্কা মারার কৌশল রপ্ত করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। সবশেষ ৯ ম্যাচে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন (৬১*, ৩০, ৬৮, ৫১*, ১৫, ৫০, ৫২, ৮ ও ৬১) ভারতীয় এই তারকা ক্রিকটার। সূর্যকুমারের ভূয়সী প্রশংসা করে সামা টিভির সঞ্চালক বলেন, সূর্যকে দেখে তরুণদের শেখা উচিত।

সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া আফ্রিদি বলেন, একদম ঠিক কথা। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দুইশ-আড়াইশ ঘরোয়া ম্যাচ খেলে সূর্যকুমার ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছে। সে নিজের খেলা বোঝে, যেসব শট সে খেলে সেগুলোর বেশিরভাগ ভালো বলেই মারে। সেগুলো সে প্র্যাকটিসও করে। ও জানে ম্যাচে ভালো বলের মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে।

খেলাধুলা

রোববার ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের মধ্য দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের খেলা শেষ। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার হবে দুই সেমিফাইনাল। আগামী রোববার হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের শুরু থেকেই অনেক অঘটন ঘটেছে। বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে চমকিয়ে দেয় আইসিসির সহযোগী সদস্য নামিবিয়া।

বাছাইপর্বের দ্বিতীয় দিনেও ঘটে অঘটন। সেদিন বিশ্বকাপের দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের বিপক্ষে হেরে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া উইন্ডিজ এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা হারায়।

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভেও ঘটে অঘটন। গ্রুপ-১ এ ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফের চমক দেখায় আয়ারল্যান্ড। সেই হারের কারণেই সেমিফাইনালের আগে বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও তাদের সেমিতে উঠতে সমস্যা হয়নি। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগেই ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে কেন উইলিয়ামসনরা।

গ্রুপ-২-এ সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটনায় আইসিসির সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দারুণ ক্রিকেট খেলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পথেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সেমির পথে এগিয়ে থাকা দলটি নিজেদের শেষ ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে হারালেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারত। কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে হেরে সেমির আগেই বিদায় নেয় প্রোটিয়ারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়ের পর সেমিফাইনালে খেলার সমীকরণ সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য। এই ম্যাচ শুরুর আগেই নিশ্চিত হয় জয়ী দল সরাসরি সেমিতে খেলবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ১২৮ রানের টার্গেট তাড়ায় ১১ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

অথচ পাকিস্তানেরই সেমিফাইনালে ওঠার পথ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত আর জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে পরপর দুই ম্যাচে হেরে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে যায় বাবর আজমরা। এরপর শেষ তিন ম্যাচে নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। আর গ্রুপ-২ থেকে ভারত-পাকিস্তান।

আগামী বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ঠিক পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।

দুই সেমিফাইনালে যারা জিতবে তারা আগামী রোববার দুপুর ২টায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে। শিরোপা নির্ধারণী সেই ম্যাচের মধ্য দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের পর্দা নামবে।

খেলাধুলা

যো জিতা ওহি সিকান্দার – এমন সমীকরণে মাঠে নেমে হেরে গেলেন সাকিব আল হাসান। সিকান্দার হয়ে গেলেন বাবর আজম।

রোববার ভোরে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে হাসল নেদারল্যান্ডস। কারণ এই জয়ের সঙ্গে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কমলা দলটি।

ডাচদের সঙ্গে হেসেছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। তবে তাদের উপলক্ষ্য ছিল ভিন্ন। প্রোটিয়াদের হারে ভারত নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল, অন্যদিকে সেমির পথ অনেকটা পরিষ্কার হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের।

আর সেই পথ ধরে শেষ চারের সিঁড়িটা ধরে ফেলেছে পাকিস্তান। বাবর আজমদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে গেছে টাইগাররা।

তবে এ পরাজয়ের পরও পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সম্ভাবনা জেগেই রইল বাংলাদেশের। তিন পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ। এতে র‌্যাংকিংয়ে ৯ নম্বর নিয়ে ২০২৪ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা অনেকটা নিশ্চিত বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের সঙ্গে ১০ নম্বর দল হিসেবে আফগানিস্তানও সেই যোগ্যতা অর্জন করেছে।

রোববার ক্রিকনইনফো তাদের ফেসবুক পেজে ২০২৪ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করা দলগুলোর নাম প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা গেছে, শীর্ষ আট দল হিসেবে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে – নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস।

এরপর নবম ও দশম দল হিসেবে রয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের নাম।

২০২৪ বিশ্বকাপ আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। সে হিসেবে এ দল দুটোসহ মোট ১২ দলের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ২০ দলের। স্বাগতিক দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে।

তবে বাংলাদেশকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত র‌্যাংকিং দশের মধ্যে থাকলেই বাছাইপর্ব খেলতে হবে না বাংলাদেশ দলের। তবে এই মুহূর্তে র‌্যাংকিংয়ে ৯ নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে সাকিব বাহিনী। ১৪ নভেম্বরের আগে নিচের দিকের দলগুলোর খেলা না থাকায় বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ বেশি।

চলতি বছর ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দশ নম্বরে থাকা দুই দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সরাসরি খেলার সুযোগ আছে—তা একপ্রকার নিশ্চিতই।