জাতীয়

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচনে সভাপতি পদে সমান ৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম তপু।

দুজন সমান ভোট পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন দুই বছরের কমিটি পরিচালনার জন্য টসের উদ্যোগ নেয়। টস অনুযায়ী প্রথম বছর দায়িত্ব পালন করবেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও পরের বছর দায়িত্ব পালন করবেন সাজ্জাদ আলম খান তপু।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফরিদ হোসেন সোমবার রাতে এ ফল ঘোষণা করেন। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার হোসেন ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোলাম মুজতবা ধ্রুব সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪৭ ভোট।

অন্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদকে আসাদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মামুন শেখ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- জি এম মাসুদ ঢালী, নাসরিন বেগম গীতি, এ এম শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাজেদা হক, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, রারজানা সুলতানা ও অনজন রহমান।

জাতীয়

দাগী অপরাধী, অ-বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়া একটি চক্রের ২৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, অপরাধী, অ-বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়া একটি চক্র শনাক্ত করেছে ডিবি।

বিপুল পরিমাণ ডকুমেন্টস, আনসার সদস্য, রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও দালালসহ এ চক্রের ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয়

মহিমান্বিত রাত লাইলাতুল বরাত সারা দেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। প্রতিটি মসজিদ দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে।

এশার নামাজে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। বাবা, চাচা, মামার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করতে আসে ছোটরাও।

তাদের কেউ কেউ নিয়ে আসে নিজের জায়নামাজও। বড় বড় মসজিদ, মাজার, দরগা, খানকাহকে ঘিরে বসেছে আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, পাঞ্জাবি, নামাজ শিক্ষা, দোয়া দরুদসহ ইসলামি বই, আগরবাতি, মুখরোচক খাবার, চা, পিঠা, খেজুর ও শরবতের স্টল।

কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এশার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে ছিল পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা। এরপর মিলাদ মাহফিল, দরুদ, জিকির, কিয়াম, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত।

সরেজমিন ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও নগরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশের বেশিরভাগ মসজিদ সাজানো হয়েছে বর্ণিল বাতি দিয়ে। বেশি মানুষ যাতে মাগরিব ও এশার জামাতে অংশ নিতে পারেন তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাটহাজারীর হজরত শেরে বাংলা (র.) মাজার ও মসজিদের আলোকসজ্জা অনেক দূর থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল পথচারীদের। চশমা হিলের মসজিদের দৃষ্টিনন্দন সাজও দূর থেকে নজর কাড়ছিল নগরবাসীর। আলোকসজ্জা করা হয়েছে  বিশ্ব মসজিদ খ্যাত দামপাড়ার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদেও। এ মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশের সড়ক ও ফুটপাতে অর্ধশতাধিক অস্থায়ী স্টল বসেছে।

শবে বরাতকে ঘিরে বিকেল থেকে চাঙা হয়ে ওঠে ইফতারির দোকানগুলো। সারা দিন যারা নফল রোজা রেখেছিলেন তাদের জন্য ইফতার কিনছিলেন স্বজনরা। চট্টগ্রামের রেওয়াজ হিসেবে, অনেকে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী বিশেষ করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া রুটি, মাংস, পরোটা, উন্নতমানের খাবার বিলি করেছেন। এর জন্য কয়েকদিন ধরে বাজার সওদা করেছেন তারা। তাই চাঙা ছিল মুরগি, গরু, ছাগল, মহিষের মাংসের বাজারও। সওয়াবের আশায় অনেকে গরিব, মিসকিনদের দান-সদকা দিতে দেখা গেছে। নামাজ ও মোনাজাতের পর মুসল্লিরা ছুটে যান স্বজনদের কবর জেয়ারতে। অনেকে বিভিন্ন আউলিয়ার মাজার জেয়ারত করেন এ সময়।

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে নামাজ শেষে চৈতন্য গলি বাইশ মহল্লা কবরস্থানে যাচ্ছিলেন রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি শবে বরাতে বাবা-মা, মুরুব্বিরা সারা রাত নফল এবাদত করতেন, স্বজনদের কবর জেয়ারত করতেন, কোরআন তেলাওয়াত করতেন। গরিব ও স্বজনদের খাওয়াতেন। এখন বাবা-মা কবরের বাসিন্দা। জেয়ারতের জন্য ছেলেকে নিয়ে কবরস্থানে যাচ্ছি। এ রাত গুনাহ মাফ চাওয়ার রাত। এ রাত ভাগ্য বণ্টনের রাত। এ রাত ভালো কাজ করার রাত।

জাতীয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি। এসব আসনে দলটির মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ জনে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেবে দলটি। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মতবিনিময় করেন। পরে তাঁর সভাপতিত্বে গণভবনে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে ওবায়দুল কাদের জানান, সংরক্ষিত নারী আসনে ১ হাজার ৫৫৩ জনের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই শেষে ৪৮ জনকে বেছে নিতে হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমতি ও সর্বসম্মতিক্রমে ৪৮টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নাম প্রকাশ করছি।

তালিকা অনুযায়ী, রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট), কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফরজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রশীদ (পটুয়াখালী) ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মি ফারজানা ছাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিয়া বিনতে আমিন (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ), আরমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা), বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ (বরিশাল), নাহিদ ইজাহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা হাসান (ফরিদপুর), সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ), শাহেদা তারেখ দীপ্তি (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম (টাঙ্গাইল), আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর), অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), হাছিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর), আশ্রাফুননেছা (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলোয়ারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম (ঢাকা), নাছিমা জামান ববি (রংপুর)। এদের মধ্যে কানন আরা বেগমকে নাম ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের বিবেচনায় মনোনীত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি। এসব আসনে দলটির মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ জনে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ, যা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায়। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলের আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। আপিল দায়ের ২২ ফেব্রুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ হবে ১৪ মার্চ।

জাতীয়

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ। তবে রমজান শুরুর সময় ১২ মার্চ ধরে ঢাকার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সময়সূচি অনুযায়ী, ১২ মার্চ প্রথম রমজানে ঢাকায় সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৫১ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬টা ১০ মিনিট।

তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ৯ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সাহরি ও ইফতার করবেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে।

জাতীয়

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার একুশে পদক পাচ্ছেন দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন দুই জন। তারা হলেন—মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)।

শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেয়েছেন এই পদক। সংগীতে পেয়েছেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। অভিনয়ে ডলি জহুর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।

ভাষা ও সাহিত্যে এবার একুশে পদক পেয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন—মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)। এছাড়া শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু রয়েছেন এ তালিকায়।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ আজ বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে। এ লক্ষ্যে দুপুর ১২টায় গণভবনে ডাকা হয়েছে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। একটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পায়। এ হিসাবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ ৪৮ আসনে দলের মনোনয়ন দেবে। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ১৫৪৯টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এ বাবদ দলটির আয় হয়েছে সাত কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সংখ্যাগত হিসাব অনুযায়ী প্রতিটি আসনের জন্য গড়ে ৩২ জনের বেশি নারী ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনে তিন হাজার ৩৬২টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রতিটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিল ১১ জন। সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে এর প্রায় তিনগুণ মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছেন।

জানা গেছে, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীসহ অন্যান্য সংগঠনের পদধারীরা রয়েছেন। এই তালিকায় আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী এবং সাবেক ও বর্তমান সংসদ-সদস্যদের স্ত্রীরাও। এ ছাড়া সাংস্কৃতি অঙ্গনের তারকা অভিনেত্রী, শহিদ পরিবারের সদস্য, এনজিওসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নারীরাও। আছেন আইনজীবী, ব্যবসায়ী, হিজড়াসহ বিভিন্ন পেশার নারীরাও। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন- দল ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নারী নেত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার স্বনামধন্য নারীদেরও মনোনয়ন দেওয়া হবে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমাদের দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু দেখেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন। আগামী দিনের জন্য নারী নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদের তিনি বেছে নেবেন। সেক্ষেত্রে শুধু দলই নয়, দলের ত্যাগী ও যোগ্যদের অবশ্যই প্রাধান্য দেবেন। কিন্তু পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যোগ্য নারীদেরও তিনি রাখবেন।

এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার দলীয় মনোনয়নে দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী, সহযোগী সংগঠনের নেত্রী এবং বিভিন্ন জেলায় পোড় খাওয়া নেত্রীদের বিবেচনায় রাখা হবে। এর বাইরেও জোট শরিকদের দু-একটি আসন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে পুরোনোদের সিংহভাগ এবার মনোনয়ন পাবেন না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলছেন, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চান তারা।

জাতীয়

রাস্তাঘাটের দুরবস্থার কারণে নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ-সদস্য এসএম শাহজাদা।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, অনেকগুলো কাজ, স্কুল-প্রতিষ্ঠান টেন্ডার হওয়ার পর থেকে সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অর্ধ সমাপ্ত হয়ে আছে। এখন অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, ওই রাস্তার কাজ যদি না ধরত তাহলেই ভালো হতো। কাজগুলো থেমে থাকার কারণে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল।

রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসএম শাহজাদা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য মো. আশরাফুজ্জামানও সাতক্ষীরা সদরের রাস্তাঘাটের বেহাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

আশরাফুজ্জামান নিজ এলাকার সড়কের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল যুগেও যেন আদিম যুগে আছি। সাতক্ষীরা শহরের পোস্ট অফিসের মোড় থেকে ফুড অফিস, সমবায় অফিস, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে যে মহাসড়কটি রয়েছে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি ওই রাস্তা দিয়ে আসে তাহলে রাস্তায়ই ডেলিভারি হয়ে যাবে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার আহ্বান জানান তিনি।

জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে রড বিক্রি হতো ৫০ হাজার টাকায় সেটা হচ্ছে এক লাখ টাকায়। যে সিমেন্ট ২০০, ৩০০ টাকায় বিক্রি হতো, সেটা ৫৫০ টাকা হয়ে গেছে। যেসব কাজে ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করেছিল, পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদাররা কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে।

আমরা বাস্তবতাটা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এসব উপকরণের দাম বৃদ্ধি করি। কিন্তু এর আগে যেসব ঠিকাদার কাজ করেছিল, তারা বাস্তব প্রতিক‚লতা মোকাবিলা করার কারণে তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছি, যেহেতু আমাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে, যে কাজগুলো তারা বাস্তবায়ন করবেন না, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন টেন্ডার করা ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই।

এ প্রক্রিয়াটি করতে গিয়ে আমাদের সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকাসহ অনেক এলাকায় ঠিকাদাররা কাজ পেয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তাদের এসব কাজ বাতিল করে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

 

জাতীয়

জাতীয় পার্টিতে (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০টি থানার ৬৭১ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন জাপার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য বহিষ্কৃত আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা নিশ্চয়ই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন পূর্বাপর জাতীয় পার্টির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন। জাতীয় পার্টিতে বর্তমানে যিনি চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত আছেন-সেই জিএম কাদের এক বছর আগে থেকেই বলে আসছেন, জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। সেইভাবে তিনি বক্তৃতা বিবৃতি এবং মিডিয়ায় কথা বলে এসেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে গরম গরম কথা বলে নিজেকে বিরোধী নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টাও করেছেন। আমরাও তার প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের আগে আমরা বুঝতে পারলাম, তিনি গোপনে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী মনোনীত করার পর মাত্র ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পাওয়ার বিনিময়ে গোটা পার্টিকেই বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। আর সমঝোতা করে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ মাত্র ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে এমপি হয়ে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টির নিবেদিত প্রাণ নেতা ও কর্মী সমর্থকরা চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। পার্টির তৃণমূল পর্যায় থেকে পার্টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবার জন্য চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের পদত্যাগের দাবি ওঠে। পার্টির এই দুরবস্থার মধ্যেও চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতার নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে পার্টির নিবেদিত প্রাণ নেতাদের একের পর এক অব্যাহতি দিয়ে চলেছেন।

তিনি পল্লীবন্ধু এরশাদের নাম নিশানা মুছে দেয়ার হীন চক্রান্ত করে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যান জি এম কাদের পার্টির নেতা কর্মীদের প্রতিবাদের ভাষা বুঝতে না পেরে প্রতিহিংসাবশত পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সংগ্রামী আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরীকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এছাড়াও কয়েকজন নেতাকে মৌখিক ভাবে অব্যাহতির কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

জাহাঙ্গীর আলম পাঠান আরও বলেন, আপনারা জানেন সারা দেশে করোনা মহামারির সময় আমাদের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টুর নেতৃত্ব ঢাকা মহানগরের ২৫টি থানা ও ৫৪টি ওয়ার্ড সম্মেলন সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। আর সেই ত্যাগী নেতাকে কোনোরকম কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান না করে সরাসরি অব্যাহতি দিয়েছেন। যাহা শিষ্টাচার বহির্ভূত। এমতাবস্থায় আমরা এরশাদ প্রেমিক নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন তার বিপর্যস্ত সংগঠনে অবস্থান করে প্রাণপ্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ধ্বংস দেখতে চাই না। তাই আমরা জি এম কাদেরের সংগঠন থেকে আজ গণ পদত্যাগের ঘোষণা করছি। একই সঙ্গে আপনাদের কাছে এই অঙ্গীকারও করে রাখছি-অল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা পল্লীবন্ধু-এরশাদের চেতনা প্রেরণা ও নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকব। সত্যের পথে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত, ইনশাল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে জাপার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য বহিষ্কৃত আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, জাপার চেয়ারম্যান ও মহাসচিব এটাকে নিজের দল মনে করেন। তারা এটাকে মুদি দোকান মনে করে। তারা সকালবেলা অফিসে আসেন, সন্ধ্যায় ফিরে যান। এখানেই খাওয়া-দাওয়া করেন।

জাপার চেয়ারম্যান একটি ফাঁদ তৈরি করেছেন অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, তিনি (জিএম কাদের) কিছু নির্ধারিত লোক তৈরি করেছেন। তারা সারাদিন দোকানদারি করেন। সন্ধ্যার পর তাকে (জিএম কাদের) হিসেব দেন। হিসাব নিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। তার আশপাশে যারা আছেন, তারা হলো ঘুঘুর ফাঁদ। এই ফাঁদে তিনি পড়ে গেছেন। এই ফাঁদ থেকে তিনি বের হতে পারবেন না। উনি জানেন না, উনি এখন লাট্টুর মতো ঘুরছেন। আর এই লাট্টুর সুতা মহাসচিবের হাতে।

জাপাকে জি এম কাদের ধ্বংস করে ফেলেছেন অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, এই দল করার যোগ্যতা আপনার নেই। আপনার পদত্যাগ দাবি করি। আমরা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দল করবো না। আমরা পল্লীবন্ধু এরশাদের ঝান্ডা, আদর্শ নিয়ে আগামীতে এগোব।

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০টি থানার ৬৭১ জন নেতাকর্মী গণপদত্যাগ করেন। থানাগুলো হলো- মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে-ই-বাংলা, হাতিরঝিল, পল্লবী, মিরপুর, বাড্ডা, রূপনগর, দারুস সালাম, ক্যান্টনমেন্ট থানা।

এই গণপদত্যাগ অব্যাহত থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীন আরা সুলতানা রিমা, বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরীসহ কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। আমরা দিন শেষে চাই গুজব বা রিউমারমুক্ত গণমাধ্যম। যেখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে এবং সরকার বা অথোরিটিকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকবে এবং সমালোচনার জায়গা থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন-এটকো’র সাথে এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেগুলো জেনে সুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার বা সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে অবশ্যই সমালোচনা হবে এবং সেটা যদি প্রথম পাতায় প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেক্টনিক মিডিয়াতে হেডলাইনে থাকে তাহলে সরকারের সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিবর্গ যে জবাব দিবেন সেই জবাবগুলো যাতে একইভাবে গুরুত্বসহকারে মিডিয়াতে আসে; যেন জনগণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। কারণ,
গণতন্ত্রে কিন্তু মানুষকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ইনফর্ম ডিসিশন নিতে হয়।

এ আরাফাত বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এক ধরণের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কীভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেমন মিসইনফরমেশনকে নির্মূল করতে চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই কিন্তু সেটি করতে যেয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে যেন ওভারস্টেপ না হয়। তবে দেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ এবং ত্রিশ লক্ষ শহিদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। এগুলো দেশবিরোধী কর্মকান্ড।

তিনি মনে করেন আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমালোচনার স্পেজ রেখে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেই চেষ্টা থাকবে।

বৈঠকে অ্যাটকো নেতৃবৃন্দ ইলেক্ট্রোনক মিডিয়ার সম্প্রসারণ ও উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী এ লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

ডিবিসি চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মতো ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি পৃথক প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক টিভির পরিচালক নাবিদুল হক, বৈশাখী টিভির উপ-ব্যবস্থাপক টিটু আলম মিলন, এনটিভির পরিচালক মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ।