জাতীয়

অবশেষে স্বাধীনতা দিবসে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-টরন্টো সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা।

সেজন্য সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গুছিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে ‘বিমান হাফ-ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী ২৬ মার্চ টরন্টোতে বিমানের ফ্লাইট যাত্রা করবে।”

এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে টরন্টোতে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।তবে মহামারীর কারণে সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।

ঢাকা-টরন্টো সরাসরি বিমান যোগাযোগ শুরুর বিষয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিমানের এই রুট চালু হলে কানাডার পাশাপাশি নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও উপকৃত হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১৩ সালে এ বিষয়ে সুপারিশ করার পর তখনকার বিমানমন্ত্রী ফারুক খান কানাডার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা জানিয়েছিলেন।

২০১৭ সালে ঢাকায় কানাডার হাই কমিশনারের সঙ্গে তখনকার বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে এক বৈঠকও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু ফ্লাইট আর চালু হয়নি।

বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী শুক্রবার বলেন, “আমরা ঢাকা টু নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। ঢাকা থেকে জাপানের নারিতাতে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সব কিছু চূড়ান্ত হয়েছে।

“শুধু করোনাভাইরাসের কারণে কার্যক্রম থেমে আছে। পৃথিবীর অন্য আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলোতেও বিমান অদূর ভবিষ্যতে ডানা মেলবে।”

সেবার মান নিয়ে ‘আপস করা হবে না’ মন্তব্য করে মাহবুব আলী বলেন, “বাংলাদেশের পতাকা বহন করে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান উড়ে যায়। আমরা চাই সেই বিমান মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

“যে কোনো ধরনের অভিযোগ আমাদের জানাবেন। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিমানের সেবার মান নিয়ে আমরা কোনো আপস করবো না।”
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, “২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা–টরেন্টো ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আগাচ্ছি। এই রুটে ফ্লাইট চালাতে গিয়ে ১৭টি শর্ত ছিল। এর মধ্যে ১৫টি পূরণ করা হয়েছে। বাকি দুটি শর্তপূরণের কার্যক্রম চলমান আছে। এরপর টরেন্টোতে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট যাবে।”

বিমানের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত হাফ-ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ১৮৬২ অ্যাথলেট। এর মধ্যে বিদেশি প্রতিযোগী ছিলেন ২৫ জন।

প্রতিযোগিতায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার পুরুষ হাফ ম্যারাথনে প্রথম হয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন স্নিগ্ধ, দ্বিতীয় হয়েছেন আলামিন এবং তৃতীয় হয়েছেন গোলাম রাহাত তোফায়েল।

সাড়ে ৭ কিলোমিটার নারী হাফ ম্যারাথনে প্রথম হয়েছেন আফসানা হালিমা, দ্বিতীয় হয়েছেন স্নেহা জান্নাত এবং তৃতীয় হয়েছেন সাদিয়া আক্তার রিনা।

২১ কিলোমিটার নারী হাফ ম্যারাথনে প্রথম হয়েছেন নাসরিন বেগম, দ্বিতীয় হয়েছেন হামিদা আক্তার জেবা এবং তৃতীয় হয়েছেন মৌসুমি আক্তার।
২১ কিলোমিটার পুরুষ হাফ ম্যারাথনে প্রথম হয়েছেন আসিফ বিশ্বাস, দ্বিতীয় হয়েছেন লিউক জেনারেল শো। তিনি চীনের বেইজিং থেকে সাইকেল চালিয়ে ঢাকায় এসেছেন। তৃতীয় হয়েছেন সামির হাসান খান।

প্রতি বছর এ ম্যারাথন আয়োজন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মার্চ আমাদের অহংকারের মাস। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। সুতরাং ভিন্ন আঙ্গিকে আজকের ম্যারাথনের আয়োজন। এখন থেকে প্রতিবছর বিমানের আয়োজনে আরও বড় পরিসরে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।”

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

ভোজ্যতেল, চাল-ডাল, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবার আগামী ২৮ মার্চ সারা দেশে আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অপরদিকে একইদিনে সারা দেশে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বাম জোট।

শুক্রবার পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীরউত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একই দিন অর্ধদিবস হরতালের ঘোষণা দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই হরতাল কর্মসূচিতে বিএনপিও সমর্থন দিতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী  বলেন, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির ১১ দিনের কর্মসূচি চলছে। বাম দলের ডাকা হরতালে সমর্থনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

এদিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘ওই দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল হবে। কর্মসূচি সফল করতে সোমবার থেকে ২৭ মার্চ সারা দেশে সভা, সমাবেশ, পদযাত্রা, মিছিল, বিক্ষোভ ও প্রচারপত্র বিলি করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’

মুক্তিভবনে সংবাদ সম্মেলন বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক জনগণকে নিজেদের বাঁচার প্রয়োজনে দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচি সফল করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সব বাম প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক দল, সংগঠন, শ্রেণি-পেশার সংগঠন ও নেতাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে একইদিন হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা, সমর্থন ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৭ জন। মারা গেছেন তিনজন। এ সময় ছয় বিভাগে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগের দিন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ৩২৩ জন ও মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৭ হাজার ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে আর একজন খুলনা বিভাগে।

দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার। গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক রোগী শনাক্ত ১৫ হাজারের ওপরে উঠেছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরেই ছিল। এরপর নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমছে। দেশে করোনা সংক্রমণ কমায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ।

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ২৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১০০ জনের। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৭৯ জন।

জাতীয়

করোনার টিকা কেনা ও টিকাদান কার্যক্রম মিলে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২২ উপলক্ষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। যা একটি রেকর্ড। এ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি ডোজ প্রথম, সাড়ে ৮ কোটি ডোজ দ্বিতীয় এবং ৫০ লাখ বুস্টার ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এত বড় একটি কর্মযজ্ঞে তেমন কোনো অনিয়ম বা ত্রুটি দেখা যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অল্প সময়ে ২২ কোটি দিয়ে করোনা মহামারি থেকে দেশকে রুখে দেওয়ায় ব্লুমবার্গ করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অষ্টম অবস্থানে তুলে এনেছে।করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। টিকা ক্রয় ও টিকা দান কার্যক্রম মিলে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দ্রুতই আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে।’

দেশে কিডনি বিকল রোগের ভয়াবহতা বাড়ছে মন্তব্য করে জাহিদ মালেক এখনই রোগটির বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনায় দিনে ২০ জন মানুষ মারা গেলে আমরা কত চিন্তায় থাকি। অথচ কিডনি বিকল হয়ে দিনে ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। ক্যান্সারে দিনে দুই থেকে তিনশ মানুষ মারা যাচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আমরা খুব বেশি সচেতন থাকি না।’

জাতীয়

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদসহ ৩০ বুদ্ধিজীবীর পরামর্শ নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এজন্য আগামী ১৩ মার্চ বিকেল তিনটায় এক বৈঠক আয়োজন করে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সংস্থাটি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বুধবার (৯ মার্চ) নির্বাচন ভবনে তার দপ্তরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্টজন, গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবেন এবং তাদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ নিয়ে তৈরি করবেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ। ধারাবাহিক সংলাপের প্রথম সভায় ৩০ বুদ্ধিজীবী/শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ইসি।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমিরেটস প্রফেসর ডক্টর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (আসিফ নজরুল), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসাইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, আইন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর বোরহানউদ্দিন খান, সোশিয়লজির অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

এছাড়াও রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক আখতার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য তানভির হাসান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ডক্টর মোবাশ্বের মোনেম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিম আরিফ সিদ্দিকি।

আগামী ২২ মার্চ বিশিষ্টজন এবং ৩০ মার্চ গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর পুরোদমে এখনো কাজ করেনি কমিশন। এর মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভোটার দিবস উদযাপন ও নানা আনুষ্ঠানিকতা করেছেন।

দায়িত্ব নেওয়ার পর এতো তাড়াতাড়ি আগের কোনো কমিশন মতবিনিময় বা সংলাপে বসার উদ্যোগ নেননি। অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন- আমরা দলগুলোকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারি।

নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন ২০১৭ সাল। সে বছর ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসেছিল তৎকালীন কেএম নূরুল হুদার কমিশন।

সর্বশেষ সংলাপ থেকে আসা সুপারিশের মধ্য থেকে দুটো প্রধান ভাগে ভাগ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে একটি অংশ নিজেদের এখতিয়ারভুক্ত। অন্যদিকে সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। সরকারের এখতিয়াভুক্ত সুপারিশগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় কমিশন। আর অন্যগুলো নিজেদের কর্মপরিকল্পনার ভেতর অন্তর্ভুক্ত করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ২০২৩ সালের শুরু থেকেই হাতে নিতে নির্বাচনী প্রস্তুতি। আর তার আগেই সংলাপের আয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল।

জাতীয়

সংক্রমণ কমার ধারায় দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ওমিক্রনের দাপট শুরুর আগের পর্যায়ে, জানুয়ারির পর প্রথমবারের মত দৈনিক মৃত্যু নেমে এসেছে এক জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৩২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার হায়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। পরদিন শনাক্তের হার ২ শতাংশের ঘর ছাড়ায়, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন এই হারকে জানুয়ারির শেষ দিকে নিয়ে যায় রেকর্ড ৩৩ শতাংশে। ফেব্রুয়ারি থেকে শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও কমতে শুরু করে।

বাংলাদেশ কোভিডে মৃত্যুহীন দিন দেখেছিল সর্বশেষ গতবছরের ৯ ডিসেম্বর। আর সর্বশেষ ১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল ৮ জানুয়ারি। এরপর রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।

তবে ওমিক্রনে মৃত্যু হয়েছে ডেল্টার সময়ের চেয়ে অনেক কম। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৪৩ জনের মৃত্যুই সংক্রমণের এবারের ঢেউয়ে সর্বোচ্চ। ডেল্টার সময় আড়াইশ ছাড়ানো মৃত্যুও বাংলাদেশ দেখেছে।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৯৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন দুই হাজার ৮২৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ

গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২৩৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা,যা মোট আক্রান্তের ৭৩ শতাংশের বেশি।

যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে তিনি পুরুষ। তিনি ছিলেন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা। তার বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬০ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৯৮ লাখের বেশি।

জাতীয়

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবারে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ৩ অথবা ৪ এপ্রিল। রমজান শুরুর সময় ৩ এপ্রিল ধরে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সময়সূচি অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল প্রথম রমজানে ঢাকায় সেহরির শেষ সময় ভোররাত ৪টা ২৭ মিনিট এবং ইফতারির সময় ৬টা ১৯ মিনিট।

তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১১ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ১০ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সেহরি ও ইফতার করবেন। এমনটি জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সংস্থাটি আরও জানায়, সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্ত শুরুর সময় সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পরে রাখা হয়েছে। অতএব, সেহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর আজান দিতে হবে। এছাড়াও সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলক ভাবে তিন মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয়

দেশে প্রথমবারের মতো ই সিম চালুর ঘোষণা দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন।

আগামী ৭ মার্চ থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে গ্রাহকরা ই সিম নম্বর নিতে পারবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে টেলিফোন অপারেটর কোম্পানিটি।

মোবাইল ফোনে এমবেড করা ই সিম ব্যবহার করে অপারেটরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে। এজন্য ইসিম সাপোর্ট করে এমন একটি মোবাইল ডিভাইস থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ জন্য আলাদা করে কোনো সিম কার্ড কিনতে হবে না। অর্থাৎ প্রচলিত প্লাস্টিক সিম কার্ড ছাড়াই গ্রাহকরা পাবেন মোবাইল সংযোগের সুবিধা।

প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “এ ধরনের উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রণী হিসেবে, এ যাত্রায় যুক্ত হতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোনের নতুন ই সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ইসিম সমর্থন (সাপোর্ট) করে এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) যেতে হবে।

সেখানে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে ইসিমের জন্য অনুরোধ করতে হবে। সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ইসিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে।

ই সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে থাকা ক্যামেরা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই সিম সক্রিয় করতে ইন্টারনেট সংযোগ (মোবাইল ডেটা অথবা ওয়াইফাই) চালু করতে হবে।

বহু নেটওয়ার্ক এবং নম্বর একটি ই সিমে সংযুক্ত করা যাবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটা নির্ভর করবে হ্যান্ডসেটের ওপর।

জাতীয়

মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা হয়।

এতে বলা হয়, সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ, দেশে ও দেশের বাইরে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সকল জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান উচ্চারণ করবেন। এছাড়া সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশ সমাপ্তির পর এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্যের শেষে শিক্ষকগণ ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান উচ্চারণ করবেন।

জাতীয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, করোনার কারণে বন্দিদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ। তাদের পরিবারের সঙ্গে সপ্তাহে একদিন ১০ মিনিট মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি ভিডিওকলের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

রোববার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কমপ্লেক্সে ১২তম ব্যাচ ডেপুটি জেলার এবং ৫৯তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কারাগারে দায়িত্ব পালন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভিন্নতর ও চ্যালেঞ্জিং। কারাগারের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। কারাগারের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বৃদ্ধি করা হয়েছে বন্দিদের সুযোগ-সুবিধা।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই ২০০ বছরের ইতিহাসের সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে চার দিন সবজি-রুটি, দুদিন খিচুড়ি, একদিন হালুয়া-রুটি দেওয়া হচ্ছে, যা যুগান্তকারী পরিবর্তন। বাংলা নববর্ষসহ বিশেষ দিবসগুলোতে উন্নত মানের খাবারের জন্য বন্দি প্রতি বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবন ও যৌবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন কারাগারের চার দেয়ালের ভেতরে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারাগারের ভেতরে বসেই। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক গ্রন্থ দুটিতে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন এবং কারাগারের বিষয়াবলি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই কারাগারেই নির্মমভাবে শহিদ হয়েছেন জাতীয় চার নেতা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শৈখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা জানি কারাগার ক্রিমিন্যাল জাস্টিস সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জনজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কারাগারে নিরাপদে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারীদের সাজা কার্যকর করা হয়েছে কারাগারে। এভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস ও কারাগারের নাম একসঙ্গে মিশে আছে I

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, কারাগার এখন কেবল শাস্তি কার্যকর করার জায়গা নয়; বরং কারাবন্দিদের বিভিন্ন প্রকার কর্মমুখী প্রেষণামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যম। দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে দেওয়ার ন্যায় গুরুদায়িত্ব পালন করছে কারাগারগুলো। দেশের সব কেন্দ্রীয় কারাগারসহ অধিকাংশ জেলা কারাগারে বন্দিদের যুগোপযোগী বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। বন্দি শ্রমে উৎপাদিত পণ্যের আয়ের অর্ধেক বন্দিকে দেওয়া হচ্ছে ।

তিনি আরও বলেন, কারাগারের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

পরে মন্ত্রী রিক্রুট ডেপুটি জেলাদের রেঙ্ক ম্যাচ প্রদান এবং রিক্রুট প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীদের অন-আর্মড কম্ব্যাট ও পিটি ডিসপ্লে উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন।