জাতীয়

অধিদপ্তরের হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনা সংক্রমিত হয়ে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬২ জন।

আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন ৮৬ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৩৫৭ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর)।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বুধবার কোনো মিটিং অনুষ্ঠিত হয়নি। এখনও টেকনিক্যাল কমিটির মতামত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে টেকনিক্যাল কমিটির মতামত পাওয়া যেতে পারে।

তিনি জানান, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫২৫ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার ১০২ জনের মৃত্যু ও ৪ হাজার ৬৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলো।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ২৯৪ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৮টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৪৩টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৮৪৬ জনের।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭০ জন।

নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬১৩, ময়মনসিংহে ৮৭, চট্টগ্রামে ৭৩২, রাজশাহীতে ২০৬, রংপুরে ২৪৪, খুলনায় ৩১৩, বরিশালে ১৪২, সিলেটে ১৮৮ জন রয়েছেন।

এছাড়া মৃত্যু ১১৭ জনের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ এবং ৬১ জন নারী। এদেরমধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪০, চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ১১, বরিশালে ৬, সিলেটে ১০, রংপুরে ৫ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮১৬ জন এবং নারী ৯ হাজার ৩০ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২১ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী নৌকা ও বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লইস্কা বিলে একটি বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নৌকাটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে লাশ উদ্ধার হওয়ার পরেই একে একে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসছেন উদ্ধার কর্মীরা। আহত-নিহতদের দেখতে ও খোঁজ নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, কোনোরকম বিশৃংঙ্খল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার মো. আবু সাঈদ শামীম বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ শান্ত রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। মরদেহগুলো শনাক্তে স্বজনদের খোঁজ করা হচ্ছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলার বিজয় নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি জেলা সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইস্কা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়।

জাতীয়

দেশে দিন দিন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৫ হাজার ৭২৯ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেখানে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ১৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৪ হাজার ৬৯৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৩১৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৫ জন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ১০২ জনের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১০ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ৫০ জন। যাদের মধ্যে বাসায় একজন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন মারা গেছেন।

জাতীয়

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও বাড়ানো হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সেই ছুটি এবার ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়লো।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৫১৩ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৪৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪ জন। মৃত ১১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন ও ৫৮ জন নারী।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৯০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৩৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৫টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৪৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ২২৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৭০৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৭ লাখ ২১ হাজার ১৪টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয় জন, খুলনা বিভাগে ১৩ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচ জন, সিলেট বিভাগে নয় জন, রংপুর বিভাগে ছয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৪ জন এবং বাড়িতে তিন জন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চার জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৩৪৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৪০৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ১৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৯১ হাজার ৪০৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬৫ হাজার ৭৫৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

জাতীয় সংগীতের অবমাননা করে টিকটক ভিডিও তৈরি করায় বগুড়ায় পাঁচজনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন, মো. মিশকাত হোসেন, মো. নূর-ই-ইসলাম আলিফ, মেহেদী হাসান অন্তর, আলিফ আহমেদ সুজন, মো. আরিফ আলী। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটকরা বগুড়া শহরের মালতীনগর স্টাফ কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিডিওটি ধারণ করে।

পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, কয়েকজন যুবক বগুড়া জেলার সরকারি কোনো একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে বিকৃত ও ব্যঙ্গ করে একটি ভিডিও পরিবেশন করছে। এই পোস্টটি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের দৃষ্টিতে আসে। তারা ভিডিওটি বগুড়া সদর থানার ওসি মো. সেলিম রেজাকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট যুবকদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও এসআই জাকির আল আহসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করে। সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে আটক করেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের হেড কোয়ার্টারের নির্দেশ অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তারা বগুড়া সদর থানা হেফাজতে রয়েছে। হেড কোয়াটারের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত করোনার কারণে বারবার ফিছিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। আর তাই ‌‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) ঠিক করছে’ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে। তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে- কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বসবে। পাবলিকলি বলে দেবে কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে হবে। ২টি বিষয় হলো- করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা।

এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার যে পর্যায়ে এলে বিজ্ঞানসম্মতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে সে সময় এলেই খুলে দেওয়া হবে।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৩৯৯ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭১৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫ জন। মৃত ১১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন ও ৬৪ জন নারী।

সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৯৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৩৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৪৬টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৭ হাজার ৩১৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৭৮৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৬টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশ ৫৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, বরিশাল বিভাগে এক জন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে নয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯৭ জন,বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন এবং বাড়িতে তিন জন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৪১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৬২০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮০৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৫৫ হাজার ৮১৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬৭ হাজার ৮১৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।