আন্তর্জাতিক

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, বোনের দুই সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে থাকা জমিসহ বাড়ি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের হিসাব অনুযায়ী এসব সম্পদের বাজারমূল্য আট কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৩২০ টাকা।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম এসব এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও টিউলিপ সিদ্দিক তাদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এসব স্থাবর জব্দ করা হোক।

শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

যেসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে— টিউলিপ সিদ্দিকের নামে থাকা গুলশানের ফ্ল্যাট, বাজারমূল্য ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ টাকা। জয় ও পুতুলের নামে ধানমন্ডিতে থাকা ১৬ কাঠা জমিসহ বাড়ি ‘সুধা সদন’, বাজারমূল্য তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা।

শেখ রেহানার নামে থাকা গাজীপুরে আট লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা দামের সাড়ে আট কাঠা জমি, গাজীপুরে আরেক জায়গায় তিন লাখ টাকা দামের এক দশমিক ৫৫ শতাংশ জমি এবং সেগুনবাগিচায় ১৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট।

রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে গুলশানে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ হয়েছে। এসব ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য চার কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা।

আন্তর্জাতিক

সম্প্রতি পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে স্বল্পপাল্লার একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। পাক-ভারত সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) সেই অস্ত্র মোতায়েন করেছেন ইসলামাবাদ। তবে এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০-এর জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ আকাশে ধ্বংস করতে রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০’-এর ওপর মূলত ভরসা রেখেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। বর্তমানে এর তিনটি ইউনিট মোতায়েন রয়েছে পাকিস্তান ও চীন সীমান্তে।

দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ‘ফতেহ টু’ ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রথম পরীক্ষা চালান পাকিস্তানের সেনাকর্মকর্তারা। গত বছরের মে মাসে সৈনিকদের এ অস্ত্রটি চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

ইসলামাবাদের দাবি, বর্তমান সময়ের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর ‘অ্যান্টিডট’ হিসেবে এ অস্ত্রটিকে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ চোখের নিমেষে ‘এস-৪০০’ র কবচ ভেদ করে ভারতীয় সীমান্তবর্তী সেনা ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ হানতে পারবে ‘ফতেহ টু’।

এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানা গেছে। যুদ্ধের সময়ে এর সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ সেতু, সেনাছাউনি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টার, এমনকি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ওড়ানো যাবে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।

‘এস-৪০০’কে ধ্বংস করার কথা মাথায় রেখেই নাকি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘ফতেহ টু’ নির্মাণের ছাড়পত্র দিয়েছে পাক সেনাসদর দপ্তর।

চলতি বছরের ৩ মার্চ ‘ফতেহ টু’ নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসির কাছে মোতায়েনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। এর সাহায্যে পাক সেনারা যে ভারতের মজবুত প্রতিরক্ষার বেড়াজাল ভাঙতে চাইছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শাহবাজ শরিফ সরকারের এ সিদ্ধান্ত ভারতীয় উপমহাদেশে অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় হাওয়া দিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা।

পাকিস্তানের সরকারি সংস্থা ‘গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিফেন্স সলিউশন’-এর (জিআইডিএস) হাত ধরে জন্ম হয়েছে ‘ফতেহ টু’র। এর আগে ‘ফতেহ-১’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে এই সংস্থা, যার পাল্লা ছিল মাত্র ১৪০ কিলোমিটার। ওই সময় থেকেই হাতিয়ারটির পাল্লা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ইসলামাবাদের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা।

নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ‘ফতেহ টুর’ মোতায়েন নিয়ে ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস’ বা আইএসপিআর।

তাদের কথায়, ‘এ ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে অত্যাধুনিক দিক নির্দেশকারী ব্যবস্থা (নেভিগেশন সিস্টেম)। এটিকে কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যে কায়দায় এটি উড়বে, তাতে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পক্ষেই একে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।’

উল্লেখ্য, বিশেষ ধরনের একটি গাড়ির ওপরে লঞ্চারে ‘ফতেহ টু’ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে রাখা হয়েছে। ফলে যুদ্ধের সময়ে দ্রুত একে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে পারবে পাকিস্তান আর্মি। ওই গাড়ি এবং লঞ্চার ইসলামাবাদকে চীনা প্রতিরক্ষা সংস্থা সরবরাহ করেছে বলে জানা গেছে। যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি আইএসপিআর।

ভারতের আকাশকে সুরক্ষিত করতে ২০২১ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ‘এস ৪০০’ প্রতিরক্ষা চুক্তি করে নয়াদিল্লি। দেশটির বিমান বাহিনীর হাতে অস্ত্রটি তুলে দিতে ৫৪০ কোটি ডলার খরচ করতে হয়েছে ভারতকে।

রুশ ‘এস-৪০০’কে দুনিয়ার আধুনিকতম ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম) বলে গণ্য করা হয়। গত তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে বেশ কার্যকর ব্যবহার দেখা গেছে এটির।

বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, মস্কোসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ শহরকে যে ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে কিয়েভ নিশানা করতে পারেনি, তার অন্যতম কারণ হল ‘এস-৪০০’। সেগুলোকে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করেছে ক্রেমলিনের এ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

বিশ্লেষকদের দাবি, এস-৪০০ ভেদ করার একমাত্র উপায় হল, ‘ফতেহ টুর’ মতো কয়েকশো ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ছুড়ে দেওয়া। পাশাপাশি ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসবে আত্মঘাতী ড্রোন। সেক্ষেত্রে সব কটি ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ আকাশে ধ্বংস করা ‘এস-৪০০’র পক্ষে সম্ভব হবে না। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এই গলদ গত দেড় বছর ধরে চলা পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধে নজরে এসেছে। পাক জেনারেলরা সেটাই ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ‘এস-৪০০’কে সরাসরি নিশানা না করে এর সঙ্গে যুক্ত রাডার এবং কমান্ড-কন্ট্রোল সিস্টেমকে ওড়ানোর ছক কষতে পারে পাকিস্তান বাহিনী। তাতে সাফল্য পেলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি হাতে থাকা সত্ত্বেও সেটিকে ব্যবহার করতে পারবে না বিমান বাহিনী। একেও নয়াদিল্লির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বল্পপাল্লার ‘ফতেহ টু’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের বিমান ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করতে পারে দেশটির সেনারা। গত কয়েক বছরে জম্মু-কাশ্মীরে সিন্ধু নদীর একাধিক শাখা নদীতে বাঁধ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে নয়াদিল্লি। ‘ফতেহ টু’র নিশানায় সেগুলোও থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। অস্ত্রটি ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে ইসলামাবাদ।

আন্তর্জাতিক

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনই পাচ্ছেন মরণোত্তর পুরস্কার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় এ সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে।

এবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।

এছাড়া সংস্কৃতিতে ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ এবং মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খানকে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্য শ্রেণিতে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে।

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা অন্যান্য কারণে দলীয় নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দায়ের করা চার হাজার ৬১৫টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশের জন্য গঠিত কমিটি ছয়টি সভায় মোট চার হাজার ছয়শত পনেরটি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা) এবং যুগ্মসচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব।

আন্তর্জাতিক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ভোটের অধিকারের ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জেনেভায় প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে বুধবার এ কথা বলেন উপদেষ্টা। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন জেনেভায় উপস্থাপনা করা হয়। এ সময় সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

প্রতিবেদনের বিষয়ে উপস্থাপনের পর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা বেশ কিছু প্রশ্ন ও মতামত ব্যক্ত করেন। এর মধ্যে সম্প্রতি সংখ্যালুঘ ইস্যু ও পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচন ইস্যুতে করা প্রশ্নের উত্তর দেন ড. আসিফ নজরুল।

এ সময় আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক সহিসংতার ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগ রিজিমের নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে। যারা বহু বছর ধরে মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করেছে।

আসিফ নজরুল বলেন, তবে এ সব হামলার ঘটনা অধিকাংশই ঘটেছে মুসলিমদের ওপর। সামান্য কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে। এটিকে সংখ্যালুঘুদের ওপর হামলা হিসেবে দেখার সূযোগ নেই। আওয়ামী রিজিমের সময় মানুষকে নির্যাতন ও হত্যার সাথে জড়িতদের ওপর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এসব ঘটনা। আমরা সেটার নিন্দা জানাই।

তিনি বলেন, এটি সংখ্যালঘু ইস্যু ব্র্যান্ড করা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আমাদের কাছে পরিসংখ্যান আছে। এ সম্পর্কে আমাদের কাছে ফ্যাক্ট চেকড তথ্য আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাচন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের ভোটের অধিকারের ব্যাপারে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল হোকা বা যেকোনো স্থানই হোক। আমরা এরই মধ্যে একটি কমিশন গঠন করেছি, যারা স্থানীয় সরকার ইস্যু নিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার ৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার পর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

আন্তর্জাতিক

শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তির বিকাশ ও অভিন্ন স্বার্থের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহী।’

বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে মূলত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের (আরএনপিপি) চলমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রকল্পটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারে পরমাণু শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রসাটমের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে প্রকল্পটি সময়মতো সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রসাটমের মহাপরিচালকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনার সহায়তা প্রত্যাশা করছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

মহাপরিচালক লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতির সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসকে অবহিত করেন এবং জানান নির্মাণকাজ পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলছে এবং ইতোমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

লিখাচেভ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য গ্রহণীয়।’

তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, প্রকল্পটির টেস্ট রান (পরীক্ষামূলক চালনা) চলছে এবং শিগগিরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন যে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে রসাটম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বৈঠকে দুই পক্ষ আন্তঃসরকারি ঋণ চুক্তি (আইজিসিএ) সংশোধনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন, সেখানে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে উভয় পক্ষ শিগগিরই আইজিসিএ-এর প্রটোকল নম্বর ২ স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়, যা প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করবে। এছাড়া কর্মী প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা প্রটোকল এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরসহ দীর্ঘমেয়াদি সফলতার জন্য অব্যাহত সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন, রাশিয়ার ফেডারেল এনভায়রনমেন্টাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সুপারভিশন সার্ভিস-এর ডেপুটি চেয়ারম্যান আলেক্সি ফেরোপোন্তভ, রসাটমের প্রথম ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আন্দ্রেই পেত্রভ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও এএসই জেএসই-এর সহসভাপতি আলেক্সি ডেরি উপস্থিত ছিলেন।

মহাপরিচালক লিখাচেভ বর্তমানে এক দিনের সফরে বাংলাদেশ রয়েছেন। এর আগে তিনি সর্বশেষ ২০২৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ড. ইউনূস অত্যন্ত যোগ্য। তার সক্ষমতার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে তার পৈতৃক বাড়িতে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের সম্পর্কে তার মূল্যায়ন জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস আমার পুরোনো বন্ধু। তিনি বিভিন্ন দিক থেকে একজন অসাধারণ মানুষ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সতর্ক করে অমর্ত্য সেন বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে। যে কারণে আওয়ামী লীগ সরকারকে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো দোষারোপ করেছিল।

তিনি বলেন, আপনি যদি হঠাৎ করে কোনো দেশের প্রধান হয়ে যান তাহলে আপনাকেও ড. ইউনূসের মতো কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন দল বিবেচনা করতে হবে। কারণ, সেখানে ইসলামিক দল রয়েছে, হিন্দু দলও রয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে, কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সাইডলাইন করার চেষ্টা না করে বাংলাদেশের উচিত ঐতিহ্যকে ধারণ করে একসঙ্গে কাজ করা। এ জন্য বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। আমি আশা করি, স্বাধীনতা ও বহুত্ববাদের প্রতি বাঙালির প্রতিশ্রুতি বজায় থাকবে।

বাংলাদেশ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন, তবে আশাহত নয়। তিনি আশা করেন, আগামী নির্বাচন অনেকের দাবির চেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে পরিবর্তনের অবকাশ আছে।

অমর্ত্য সেন তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় ঢাকায় কাটিয়েছেন এবং সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে তার শিক্ষাগ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, আমার পরিচয়ের সঙ্গে শক্তিশালী বাঙালিবোধ রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

এই নোবেলজয়ী মনে করেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ড. ইউনূসকে বহু পথ পাড়ি দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন এবং কক্সবাজারের শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের দূত এই তথ্য জানান।

বৈঠককালে তারা রোহিঙ্গা সংকট, এর সমাধানের নতুন উপায় অনুসন্ধান এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শিবিরে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য নতুন দাতাদের সম্পৃক্ত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ চলতি বছরের শেষের দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে। তিনি এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জুলি বিশপকে এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় মুখ্য ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড যৌথভাবে এ সম্মেলনের সহযোগী হতে সম্মত হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট লাঘব করতে এবং মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে নতুন শরণার্থীদের আগমন রোধে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির নতুন দিকনির্দেশনার প্রেক্ষিতে অনিশ্চয়তার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও দাতা সংগ্রহের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

বিশপ রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে ব্যাপভাবে সফল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ সম্মেলনটি দশকব্যাপী সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

আন্তর্জাতিক

শান্তির বিনিময়ে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

রোববার সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, ইউক্রেনের শান্তির বিনিময়ে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি কি না। জবাবে জেলেনস্কি বলেন, হ্যাঁ, আমি ইউক্রেনের শান্তির জন্য তা করতে রাজি।

জেলেনস্কি আরও বলেন, যদি আমার পদত্যাগের বিনিময়ে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পায় তাহলে পদত্যাগে আমার কোনো আপত্তি নেই।

২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জেলেনস্কি। গত বছর তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি দেশটিতে।

যথাসময়ে নির্বাচন না করার জন্য সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে ট্রাম্পের এ মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা।

ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের পর এই প্রথম মুখ খুললেন জেলেনস্কি।

ট্রাম্প আরও দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনে জেলেনস্কির সমর্থন রয়েছে মাত্র চার শতাংশ। তবে কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন বলছে, দেশটিতে তার সমর্থন রয়েছে ৬৩ শতাংশ। বিবিসিও বলছে, দেশটিতে ইউক্রেনের সমর্থন ট্রাম্পের দাবির চেয়ে বহুগুণ বেশি।

আন্তর্জাতিক

জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নিজেই গ্রেপ্তার হতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান জামায়াত আমির।

তিনি ওই পোস্টে লেখেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো বন্দি রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতা মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দি জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। ’

জামায়াত আমির আরও লেখেন, ‘তাকে (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি। এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব। ’

তিনি আরও লেখেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবেন, ইনশাআল্লাহ। ’