জাতীয়

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ৭৯১ জনে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৩ জন। মোট শনাক্ত ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮২৬ জন।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাবিষয়ক নিয়মিত পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮২১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো। দৈনিক শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। আজ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭১টি ল্যাবে ৩০ হাজার ৪৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৯ হাজার ৯০৪টি।

মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২ ও নারী ৮ জন। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে চারজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন।

একদিনে ঢাকা বিভাগে বেশি মৃত্যু হয়েছে। এ বিভাগে করোনায় মারা গেছে ১৩ জন। রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, বরিশাল একজন ও সিলেট বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে একজন। এদের মধ্যে ১২ জন সরকারি হাসপাতালে ও আটজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার করোনায় দেশে মারা গিয়েছিল ২৭ জন আর শনাক্ত হয়েছিল ৫ হাজার ২৬৮ জন। দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

জাতীয়

দলীয় সরকারের সুবিধাভোগীদের বিবেচনার বাইরে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, সৎ, যোগ্য ও সাহসী ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব এসেছে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায়।

তারা নতুন ইসিতে নারী, সংখ্যালঘু ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের রাখার পরামর্শও দিয়েছেন।

শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে আমন্ত্রিত শিক্ষক, আইনজীবী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, অধিকার কর্মীদের নিয়ে দুই দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি।

সকাল সোয়া ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা এবং ১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতি গঠিত অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন কমিটির সদস্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

বৈঠক শেষে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “অনুসন্ধান কমিটি জানতে চেয়েছেন কী প্রক্রিয়ায় নাম বাছাই করা হবে। আমি একটি বিশেষ বিষয় উপস্থাপন করেছি। সেটি হল-কোনো দলীয় সরকারের সময় এটা বর্তমান সরকার হোক বা আগের দলীয় সরকার হোক বিশেষভাবে সুবিধাবোগী কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন কমিশনে স্থান না পায়।

“এ দাবি আমরা জানিয়েছি এবং অনেকেই তা সমর্থন করেছেন।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা প্রত্যেকে আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তার মধ্যে বেশির ভাগ আমরা বলেছি, যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পাবে তারা যেন আগের কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগী না হন।”

তিনি বলেন, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে, চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার মাধ্যমে, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের মাধ্যমে কোনো কোনো সরকার তার বিশ্বস্ত লোকদের সুবিধা দিয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ধরনের ব্যক্তিরা যাতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে স্থান না পান।

“এই ধরনের লোক যেন নির্বাচন কমিশনে না আসেন। অনেকে অবসরে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সরাসরিভাবে, তারা যেন না আসেন। যাদের সাথে সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক আছে, তারা যেন না আসেন।”

নির্বাচন কমিশনে যারা আসবেন তাদের যেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার মত একটি মানসিকতা থাকে এবং সাহসিকতা ও ব্যক্তিত্ব থাকে এ বিষয়ে বিবেচনা করতে সার্চ কমিটিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনের এ অধ্যাপক।

এছাড়া নতুন কমিশনের জন্য যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তা সার্চ কমিটিকে আগেই প্রকাশ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানান আসিফ নজরুল।

“কমিটি যদি ৩০ জনের নাম প্রস্তাব করে, সেখানে যদি দেখা যায় কোনো একজন কোনো একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছে বা সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় কোনো একটি টক শোতে অংশ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেছেন তাদের যেন বাদ দেওয়া হয়।”

নির্বাচন ব্যবস্থা ‘খুবই সঙ্কটের মধ্যে আছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যে কারণে এই অনুসন্ধান কমিটির একটি বিরাট দায়িত্ব রয়েছে এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আনা। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্বের সরকার যাতে আগামীতে কায়েম হয়।”

প্রবীণ আইনজীবী আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, “অনুসন্ধান কমিটি যাদের মনোনয়ন করবেন তারা যেন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে।

“বৈঠকে যারা ছিলেন তারা সবাই আমার এই বক্তব্যকে সমর্থন করে অনুসন্ধান কমিটিকে অনুরোধ করেছেন, যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তারা যেন, সৎ, নিষ্ঠাবান এবং যোগ্য হন। আর্থিক মোহ বা যেকোনো মোহের বাইরে থেকে যেন নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করতে পারেন।”

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “নতুন যে নির্বাচন কমিশন হবে এই কমিশনের ওপর গুরু দায়িত্ব, এর কারণ হচ্ছে বিগত নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে নানা বিতর্ক ছিল। আগামী ‍নির্বাচনটি বাংলাদেশের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে হলে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। আর এটি করার দায়িত্ব পড়েছে এই সার্চ কমিটির ওপর।”

তিনি বলেন, “যে কোনো নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হয় সংখ্যালঘুরা। এই নির্বাচন কমিশনে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ছিল না। তাদের যাতে প্রতিনিধিত্ব থাকে।

“আমরা বলেছি- গণমাধ্যম থেকে প্রতিনিধিত্ব নিতে। যারা সিভিল সোসাইটিতে ভাল অধিকার আছে তাদের থেকে প্রতিনিধিত্ব নিতে।”

একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু বলেন, “যাদেরকে নিয়ে কমিশন গঠন করা হবে তাদের একজনকে নিয়েও যেন কোনো বিতর্ক না থাকে। আমরা বলেছি, যাদেরকে নির্বাচন করবেন তাদের নাম যেন ক’দিন আগেই মিডিয়ায় দেওয়া হয়। নামগুলো যদি জানতে পারে, তাহলে মানুষের কোনো অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবেন।”

তিনি বলেন, “যারা ধর্মীয় ও জাতিগত দিক থেকে সংখ্যায় কম, আমরা সংখ্যালঘু বলতে চাই না, এবং নারী তারা নির্বাচনে বেশি সহিংসতার সম্মুখীন হয়, সেখানে যেন তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে। এতে করে তারা ভোট দিতে সাহস পাবে।”

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আমরা বলেছি- সব নাম যেন প্রকাশ করা হয়। যত নাম এসেছে তা যেন প্রকাশ করা হয়। জনগণ যাতে দেখতে পারেন।”

সার্চ কমিটিতে কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বলেছি- যদিও বিএনপি ও আরও কিছু রাজনৈতিক দল আসছে না, তারা তাদের সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন করতে থাকুক, তাহলেও তো একটা নির্বাচন লাগবে। নির্বাচন কমিশনে যদি ভাল ও সাহসী লোক না যায়.. কেবল সরকার পরিবর্তন হলেই হবে না।”

নতুন কমিশনের জন্য সংখ্যালঘুদের থেকে একজন প্রতিনিধিত্ব রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে. আজাদ বলেন, “রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করা হবে, রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, উনি ১০ জনের বাইরে যেতে পারবেন না। কিন্তু সার্চ কমিটির দায়িত্ব সারা বাংলাদেশের মধ্যে, যে যোগ্য ব্যক্তিত্ব রয়েছেন তাদের খুঁজে বের করা। তারা অবশ্যই যোগ্য, সাহসী ব্যত্বিত্বদের নাম পাঠাবেন।”

এখন পর্যন্ত যাদের নাম এসেছে তাদের সবার নাম যেন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সেই অনুরোধ সার্চ কমিটির কাছে রেখেছেন বলে জানান তিনি।

সার্চ কমিটির প্রথম দফা বৈঠকে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রবীণ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান ও অধ্যাপক আসিফ নজরুল, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ ও ফেয়ার ইলেকশন মনটরিং অ্যালায়েন্স (ফেমা) সভাপতি মুনিরা খান বৈঠকে অংশ নেন।

দ্বিতীয় বৈঠকে ছিলেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, এনটিভির বার্তা সম্পাদক জহিরুল আলম ও সাংবাদিক স্বদেশ রায়।

গত শনিবার রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন। কমিটি দুটি বৈঠক করে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে থেকে প্রস্তাব নেওয়া, বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়।

শুক্রবার প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অন্তত পাঁচশ ব্যক্তির নাম জমা পড়ে সার্চ কমিটিতে।

এরমধ্যে নিবন্ধিত দুই ডজন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছয় পেশাজীবি সংগঠন প্রস্তাব করেছে নাম। এর বাইরে ব্যক্তিগত জীবন বৃত্তান্তও জমা পড়েছে কয়েকশ’।

জাতীয়

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ক্লাসে ফিরতে চান।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণে শাবিপ্রবিতে এসেছিলেন। মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের দাবি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের সব দাবি আন্তরিকতার সঙ্গে শুনেছেন এবং আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এজন্য আমরা মন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ৬টি দাবি এবং দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। আমাদের প্রথম দাবি ছিল উপাচার্যের পদত্যাগ, শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আচার্যের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আচার্য এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তাই আমরা আশা করছি, আচার্য আমাদের শিক্ষার মান ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমাদের কথা বিবেচনায় রাখবেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর মামলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নামে যে দুটি মামলা হয়েছে, সেটা অতিদ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মোবাইল সিম ও মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ থাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সব নম্বর ও মোবাইল ব্যাংকিং সচল করা হবে। পুলিশের স্প্রিন্টারে আহত সজল কুন্ডুসহ অনশনকারী সব শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা চলমান আছে ও থাকবে। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী সজল কুন্ডুর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।

তারা জানান, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আমাদের সব দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ায় তাদের প্রতি পূর্নআস্থা রেখে আমরা আমাদের আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করে নিলাম এবং আমাদের দাবি পূরণের অপেক্ষায় থাকলাম। আমরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ও ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশ ও বিদেশের যেসব মানুষ আমাদের পাশে ছিলেন, যারা আমাদের জন্য দোয়া করেছেন, রাস্তায় নেমেছেন, আন্দোলন করেছেন, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। গণমাধ্যমের সবাইকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই পুরোটা সময়জুড়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য।

জাতীয়

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের প্রবাসী শিক্ষার্থী পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিষয়টি ভাটেরা ইউনিয়ন অফিসে মঙ্গলবার রাতে নিষ্পত্তি হয়েছে।

ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ দেব, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সমাজচ্যুতির অভিযোগ তোলা ঝর্ণা চৌধুরীর বাবা আব্দুল হাই চৌধুরী এবং কৃষ্ণপুর গ্রামের মসজিদের সভাপতি মাখন মিয়া ও সম্পাদক আমিন মিয়া।

বৈঠক শেষে ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, তারা বয়স্ক মানুষ, তাই ইন্টারনেট চালাতে পারেন না।

তাছাড়া এলাকায় রটে যায়, ঝর্ণা একটি হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছে। তাই তার বাবাকে তারা (মসজিদের সভাপতি ও সম্পাদক) ডাকেন। কিন্তু উনি না আসায় তারা ‘উনি উনার মতো চলুক, আমরা আমাদের মতো চলবো।’ এখানে কোনো সামাজচ্যুতির ঘটনা ঘটেনি।

ইউএনও আরও জানান, আজ তারা ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঝর্ণার বাবার কাছে। সেই সঙ্গে মুচলেকা দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে আর এমন কিছু করবেন না। ঝর্ণার পরিবারও খুশি হয়েছেন, তারাও লিখিত দিয়েছেন যে তারা এখন খুশি।

উল্লেখ্য, কৃষ্ণপুর গ্রামের ঝর্ণা চৌধুরী উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি জমান গত ২৬ ডিসেম্বর। ঝর্ণা অভিযোগ করেন, তাকে বিদেশ পাঠানোয় দেশে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে স্থানীয় মসজিদ কমিটি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দেন ঝর্ণার বাবা আব্দুল হাই চৌধুরী।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯৩ জন। এই সময়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন ও নারী ১৯ জন।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গতকালের চেয়ে করোনা সংক্রমণ কমেছে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গতকাল সংক্রমণের হার ছিল ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। আজ তা কমে হয়েছে ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এতে আরও বলা হয়েছে, আজ ৩৬ জনসহ এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৬১ জনে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪ হাজার ৪৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৯৩ জন। গতকাল ৪৫ হাজার ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ১৩ হাজার ১৫৪ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) গত ২৪ ঘন্টায় ২৫ হাজার ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৩৪৭ জন। শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আজ এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন।

আজ ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে মারা গেছেন। তবে রংপুর বিভাগে আজ করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২০৩ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

জাতীয়

বাংলাদেশে পাঁচ মাস পরে আবার সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত বছরের অগাস্ট মাসের মাঝামাঝিতে সর্বশেষ একদিনে এতো বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ৮ হাজার ৪০৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে ২৩.৯৮ শতাংশ রোগী কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি চারজনের মধ্যে একজন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন।

বাংলাদেশে শুধুমাত্র রাজবাড়ী জেলা ছাড়া বাকি ৬৩টি জেলাতেই কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এই সময়ে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ অগাস্টের ১৩ তারিখে বাংলাদেশে ৮ হাজার ৪৬৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

এই বছরের চৌঠা জানুয়ারি থেকে প্রতিদিনই বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৬৪ জনের।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বর্তমানে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। তবে হাসপাতালে যারা ভর্তি হচ্ছেন, তাদের সবাই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।

বাংলাদেশে গত দুই বছর এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে। কিন্তু এই বছর জানুয়ারি মাস থেকেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

সোমবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে সার্বিক অবস্থা জানাতে যেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আইডিসিআরের যে তথ্য আছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঢাকা শহরে অমিক্রণের হার বেশি। অন্য শহরে কম। এখন পর্যন্ত সামগ্রিক বিচারে ডেল্টা ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা ৮০ শতাংশের উপরে।”

সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়াকে “একটা অশুভ ইঙ্গিত” বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মি. আলম বলেন, অমিক্রনের সংক্রমণ আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ হচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বেশি। ঢাকার বাইরে অমিক্রনের প্রাদুর্ভাব নেই বললেই চলে। তবে ঢাকায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বেশি প্রাধান্য বিস্তার করছে।

সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে তেরই জানুয়ারি থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশের সরকার।

জাতীয়

বস্তাবন্দি লাশের সঙ্গে পাওয়া প্লাস্টিকের সুতার সূত্র ধরে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে গ্রেফতার করা হয় শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল (৪৮) ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে (৪৭)।

পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী শিমুকে হত্যা করেন নোবেল। অথচ আগের দিনই কলাবাগান থানায় স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, লাশ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে এবং অভিনেত্রী শিমুর বাসায় গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। এ সময়ই একটি প্লাস্টিকের সুতার সূত্র ধরে উদঘাটিত হয় হত্যার মূল রহস্য।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, লাশ গুম করতে দুটো বস্তা যে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছিল, সেই সুতারই হুবহু এক বান্ডিল শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়। গাড়িটি ধোয়া ছিল এবং দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলকে আটক করে পুলিশ।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা হেফাজতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

( শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদ )

যেভাবে হত্যা করা হয় শিমুকে

শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি শিমুকে হত্যা করেছেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টা-৮টার দিকে তিনি শিমুকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর ফরহাদকে মুঠোফোনে কল করে ডেকে নেন।

পরে ফরহাদ ও নোবেল পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে বস্তা এনে শিমুর লাশ লম্বালম্বিভাবে দুটি পাটের বস্তায় ভরে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করেন। এরপর বাড়ির দারোয়ানকে নাশতা আনতে বাইরে পাঠিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের আসনে শিমুর লাশ নিয়ে বেরিয়ে যান।

লাশ নিয়ে আবার বাসায় ফিরেন নোবেল
প্রথমে নোবেল ও ফরহাদ মিরপুরের দিকে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে লাশ গুমের উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে তারা আবার বাসায় ফেরেন। রোববার সন্ধ্যায় আবার তারা লাশ গুম করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বছিলা ব্রিজ হয়ে কেরানীগঞ্জের দিকে যান। আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টায় মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার আলীপুর ব্রিজের ৩০০ গজ দূরে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর লাশটি ফেলে চলে যান তারা।

অভিনেত্রী শিমু সপরিবারে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন গ্রিন রোড এলাকায় থাকতেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার হযরতপুর ইউনিয়নের আলীপুর ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে শিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, পারিবারিক বিষয় ও দাম্পত্য কলহের কারণে চিত্রনায়িকা ও মডেল রাইমা ইসলাম শিমুকে (৩৫) হত্যা করেছেন তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল। এরপর শিমুর লাশ টুকরো করে বস্তায় ভরে গুম করতে সহায়তা করেছেন নোবেলের বন্ধু ফরহাদ। ঘটনাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মডেল শিমুর স্বামী ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেফতার দুজনই মাদকাসক্ত ও বেকার বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নোবেল ও ফরহাদকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জাতীয়

গাজীপুরের কাশেমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষকদের হাউজিং প্রকল্পের ভেতর নিজের বাড়ির কাজ দেখতে পাশেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা খালেক। বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে গিয়ে ‘রাজমিস্ত্রির হাতে’ প্রাণ গেছে তার।

প্রতিদিন সকালে অধ্যাপক সাইদা খালেক তার একটি বিদেশি কুকুর সঙ্গে নিয়ে হাউজিংয়ে ভেতরে গিয়ে নিজের বাড়ির কাজ দেখাশোনা করতেন এবং নির্মাণ শ্রমিকদের টাকা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে আবার ভাড়া বাসায় আসতেন।

এভাবেই অধ্যাপক সাইদা খালেকের প্রতিদিনের রুটিন কাজ চলছিল বলে জানিয়েছেন হাউজিংটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশেমপুর থানার পানিশাইল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাউজিং প্রকল্পে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, বাড়ির কাজ দেখার জন্য পাশেই ‘ভাই ভাই ভিলা’ নামের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। অধ্যাপক সাইদা খালেক একটি বিদেশি কুকুর নিয়ে প্রতিদিন সকালে এসে বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতেন। তার সঙ্গে এখানে কেউ থাকতেন না। প্রায় সময় তার নাতি আসত, এছাড়া আর কেউ না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই হাউজিংয়ে প্রায় পাঁচটি বাড়ি আছে। আমরা ৯ জন সিকিউরিটি এই হাউজিংয়ের দেখাশোনা করি। একেক সিফটে তিনজন করে ডিউটি করি। সেদিনের কিছু আমি বলতে পারব না। তবে আজ সকালে পুলিশ আসে অধ্যাপক সাইদা খালেকের বাড়ি দেখতে। পরে হাউজিংয়ের ভেতরে একটি রাস্তার পাশে তার মরদেহ দেখতে পায়। তার গলায় একটা ওড়না পেঁচানো ছিল। পরে পুলিশ তার মরদেহ নিয়ে যায়।

হাউজিংটির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি নির্জন স্থানে তাকে মেরে ফেলে রাখা হয়। সেই স্থানে পুলিশ চিহ্ন করে রেখেছে। তার নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন বাড়িটির সীমানা প্রাচীরের কাজ চলছে।

এ বিষয়ে ‘ভাই ভাই ভিলা’ বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, অধ্যাপক সাইদা খালেকের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। তিন মেয়ের দুজন অস্ট্রেলিয়ায় এবং একজন ঢাকায় থাকেন। একমাত্র ছেলে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করেন। আট-নয় মাস আগে আমার বাসায় তিন রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন তার ছেলের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। আমি আজ শুনি তিনি মারা গেছেন। তার সব কিছু এখানেই আছে।

কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রয় শুক্রবার গাইবান্ধা থেকে ওই বাড়ির নির্মাণশ্রমিক (রাজমিস্ত্রি) আনোয়ারুল ইসলামকে আটক করেছে।

দীপঙ্কর রয় বাংলানিউজকে বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) কাশেমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। জিডি সূত্র ধরে আনোয়ারুলকে গাইবান্ধা গিয়ে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাসে তিনি মরদেহের তথ্য দেন। সেই তথ্যে আমাদের অন্য দল সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আটক আনোয়ারুলকে নিয়ে তিনি ঢাকায় আসছেন।

টাকার জন্য অধ্যাপক সাইদা খালেককে হত্যা করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

কাশেমপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মাহবুব এ খোদা বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আনোয়ারুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে আনা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো মামলা হয়নি। আসামিকে নিয়ে আসার পর মামলা রুজু করা হবে।

জাতীয়

কোভিডে আক্রান্ত হলে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে তোলে এমন একটি জিন খুঁজে পেয়েছেন পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তা আগে থেকে বুঝতে এই গবেষণা নতুন পথ দেখাবে বলে তারা আশা করছেন।

মধ্য ও পূর্ব এশিয়ায় কোভিডে সর্বোচ্চ মৃত্যুহারের একটি কারণ হল টিকা নিতে অনিহা বা দ্বিধা। গবেষকরা আশা করছেন, যাদের শরীরে ওই জিন থাকবে, তাদের ঝুঁকির বিষয়টি বুঝিয়ে হয়ত টিকা নিতে উৎসাহ যোগানো যাবে। তাছাড়া আক্রান্ত হলে তাদের আরও নিবিড় চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হবে।

পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম নিডজিয়েলস্কি বলেছেন, “দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার পর (করোনাভাইরাসে) গুরুতর অসুস্থ হওয়ার জন্য দায়ী একটি জিন চিহ্নিত করা গেছে।

“এর ফলে কোভিডে মারাত্মকভাবে ভোগার প্রবণতা যাদের রয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের আমরা চিহ্নিত করতে পারব।”

‘মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব বিয়ালস্টক’ এর গবেষকরা জানিয়েছেন, কোভিডে একজন মানুষ কতোটা গুরুতর অসুস্থতায় ভুগবেন তা নির্ধারণে বয়স, ওজন এবং লিঙ্গের পর চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক এই জিন।

গবেষণা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক মার্সিন মনিউসকো বলেন, পোল্যান্ডের জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশের মধ্যে এই জিন রয়েছে,যা পুরো ইউরোপে ৮ থেকে ৯ শতাংশ এবং ভারতে রয়েছে ২৭ শতাংশের মধ্যে।

কোভিড-১৯ কতোটা গুরুতর হয়ে উঠবে তা বুঝে ওঠার জন্য অন্যান্য গবেষণাতেও জিনগত নিয়ামকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার তথ্য পাওয়া গেছে।

গত নভেম্বরে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, কোভিড- ১৯ আক্রান্তদের ফুসফুসকে অকার্যকর করার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে জিনের এমন একটি সংস্করণকে তারা চিহ্নিত করেছেন।

জাতীয়

কুমিল্লায় বেলুনে গ্যাস ভরার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ‘অনেকের শরীরে হাজারের বেশি লোহার টুকরো’ প্রবেশ করেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণে সিলিন্ডারের অনেকাংশ ‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হওয়ায়’ তাদের এই পরিণতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মোকরা ইউনিয়নের বিরলী গ্রামে এই বিস্ফোরণ হয়। এতে শিশুসহ অন্তত ৪১ জন আহত হন। শরীরে লোহার টুকরো বিদ্ধ হওয়া ছাড়াও পাঁচ-ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হন। আর হাত-পা ভেঙে গেছে কয়েকজনের।

আহতদের প্রথমে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও পরে অনেককে কুমিল্লা এবং পাঁচজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল বলেন, “বিস্ফোরণে সিলিন্ডারটির অনেকাংশ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। অনেকের শরীরে এক হাজারের বেশি স্প্লিন্টার প্রবেশ করেছে। ”

আহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৮ জনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুমিল্লা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেবদাস দেব জানোন।

তিনি আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে বলেন, আহতদের পাঁচ-ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হয়েছে স্প্লিন্টার ইনজুরি। এছাড়া অনেকে ব্লাস্ট ইনজুরিতে আহত হয়েছে। অনেকের হাত-পা ভেঙে গেছে। অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

পরে অনেকে হাসপাতাল থেকে ফিরে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে তিনি জানন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন বলেন, এখন তাদের হাসপাতালে গুরুতর আহত ১৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়েছেন তারা। তাছাড়া আরও দুইজনকে তাদের স্বজনরা নিজ দায়িত্বে ওই ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছেন।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও কুমিল্লা সদর হাসপাতালে পাঁচজন ও নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং সবার চিকিৎসা ভালোভাবে চলছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন।

ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন কারণ জানতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হক, নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম ও উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। তাদের আগামী কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, তারা ঘটনা তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবে তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের মোঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবছর পয়লা মাঘ শীতকালীন মেলা হয়। শনিবার সেই মেলা হওয়ার কথা। মেলায় বিক্রির জন্য বিরলী গ্রামের আনোয়ার হোসেন বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন। আর তা দেখার জন্য ভিড় করেছিল এলাকার শিশুরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বয়স্করাও অনেকে। হঠাৎ সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে উড়ে যায়। এতে পাশে ভিড় জমানো অন্তত ৪১ জন আহত হন। আহতদের বেশির ভাগই শিশু।

দুর্ঘটনায় আহত আলাউদ্দিন বলেন, “প্রায় ২০০ বছর ধরে মেলাটি হচ্ছে বলে শুনেছি। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসে। আমি আনোয়ার ভাইয়ের কাছ থেকে বেলুন নিয়ে মেলায় বিক্রি করি। ওই দিন বিকেলে গিয়েছিলাম কিছু বেলুন আনতে। এরই মধ্যে হঠাৎ বিস্ফোরণটি ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাড়ি রক্তে লাল হয়ে যায়।”

বিস্ফোরণে বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার ও তার মেয়েসহ পরিবারের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে তার বোন ফারজানা আক্তার জানিয়েছেন।

ফারজানা বলেন, “আমার ভাই বেশ কয়েক বছর ধরে মেলার জন্য পাইকারি বেলুন বেচে থাকে। খুচরাও বেচে।

“ভাই আর তার ছয় বছরের মেয়ে মরিয়ম আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া পরিবারের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।”

বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে দেশে মাঝে মাঝেই হতাহত হয় অনেকে। হাইড্রোজেন গ্যাসের এমন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি উঠলেও তাতে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি।