২০টি ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, ট্রেনে আগুন দেওয়াসহ প্রতিটি নাশকতার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত। বিএনপি বাস ও ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, যেন মানুষ ভোট দিতে না যায়।
শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও গোলাম রব্বানী চিনু।
ঢাকা-১৭ আসনের নৌকার প্রার্থী আরাফাত বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে। তারা বলছে- মানুষ যেন ভোট দিতে না যায়। এজন্য বিএনপি সারা দেশে লিফলেট বিতরণ করেছে। ভোটের দিন মানুষ যাতে ভোট দিতে না যেতে পারে, সেজন্য হরতাল ডেকেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরাফাত বলেন, আসলে তারা নিজেরাও বিশ্বাস করে না যে মানুষ ভোট বর্জন করবে। যেহেতু তারা এটা বিশ্বাস করে না, সেজন্য তারা প্রথমে লিফলেট বিতরণ করেছে, এরপর হরতালের ডাক দিয়েছে। নতুন করে নাশকতা করে এবং মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। হুমকি দিচ্ছে যেন মানুষ ভোট দিতে না যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের এই নেতা দাবি করেন, ২০টি ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, ট্রেনে আগুন দেওয়াসহ প্রতিটি নাশকতার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত।
আরাফাত বলেন, প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে, পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে হয় সে স্বেচ্ছাসেবক দলের, হয় ছাত্রদল, না হয় যুবদল, না হলে বিএনপির কোনো না কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী। তারা অনেকেই ধরা পড়ার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিচ্ছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, শুক্র ও শনিবার বিএনপি-জামায়াত দেশের ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্র আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। রাজবাড়ীর একটি স্কুলে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকেও তারা হত্যা করেছে। রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে। ডেমরা ও কুমিল্লায় দুটি বাসে আগুন দিয়েছে। ভোলায় বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে। এই চিত্র শুধু গত দুই দিনের। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস বিএনপির ডিএনএতেই আছে।
 
								 
                                                 
											