আন্তর্জাতিক

ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে ‘সংকট ও অশান্তি’ থেকে মুক্তি আসবে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়-জয়কারের মধ্যে চার বাংলাদেশি আমেরিকানেরও বিজয় ঘটেছে।

তারা হলেন- শেখ রহমান, আবুল বি খান, নাবিলা ইসলাম এবং মো. মাসুদুর রহমান।

তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে স্টেট পর্যায়ে সর্বোচ্চ পদমর্যাদায় নির্বাচিত প্রতিনিধি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি-আমেরিকান ফেডারেল পর্যায়ে (নেনেট অথবা কংগ্রেস) নির্বাচিত হতে পারেননি।

এর মধ্যে নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেটের রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে সপ্তম মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন আবুল বি খান (রিপাবলিকান)। এছাড়া ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে চতুর্থ মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন জর্জিয়া স্টেটের সেনেটর শেখ রহমান।

একই স্টেটে সেনেটর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট নাবিলা ইসলাম। কানেকটিকাট স্টেট সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৪ থেকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট মো. মাসুদুর রহমান।

পিরোজপুরের সন্তান আবুল খান রকিংহাম মোট ভোটের ৬৭% পেয়েছেন। অপরদিকে, জর্জিয়া স্টেট সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান ৬৭.৬% ভোট পেয়েছেন।

একই স্টেটের সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৭ থেকে ৫৫% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নোয়াখালীর সন্তান নাবিলা ইসলাম। কানেকটিকাট সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৪ থেকে ৬৪.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন চাঁদপুরের সন্তান মো. মাসুদুর রহমান।

৪ বাংলাদেশি-আমেরিকানের জয়ে প্রবাসীরা তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে বাংলাদেশি-আমেরিকান ভোটারের উপস্থিতি বেড়েছে বলে অভিমত তাদের।

প্রবাসীরা জানান, গাজা-লিবিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা ডনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী দেখতে চেয়েছিলেন। রিপাবলিকান পার্টির বিজয়ে ‘অর্থনৈতিক সংকট ও অশান্তি’ থেকে মুক্তি আসবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

আন্তর্জাতিক

বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। খবর এপি’র।

ফোনকলের মাধ্যমে ট্রাম্পকে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলাপের জন্য হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠকের দিনক্ষণ জানানো হবে।

এদিকে নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে বাইডেনের।

২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়েই হোয়াইট হাউজে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাইডেন। এবারের নির্বাচনেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল, তবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দলের পরামর্শে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

নির্বাচনে বাইডেনের বদলে ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হন বর্তমান সরকারে তার ডেপুটি কমলা হ্যারিস। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেরে উঠলেন না তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ২৯২টিই গিয়েছে ট্রাম্পের পকেটে, ২২৪ ভোট পেয়েছেন কমলা। প্রেসিডেন্ট হতে অবশ্য ২৭০ ভোটই যথেষ্ট।

আন্তর্জাতিক

নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হাল ধরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চার বছর পর ফের দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিপাবলিকান এই নেতা। এমন ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

সর্বশেষ সুইং স্টেট উইসকনসিনে জয় পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজ্যটিতে ১০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। এ জয়ের ফলে ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেলেন ট্রাম্প।

এ পর্যন্ত কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪টি ইলেকটোরাল ভোট। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৭টি ইলেকটোরাল ভোট।

এদিকে ট্রাম্পের জয়ী হবার খবর সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে তার শপথ নিয়ে।ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনে আগামী ২০ জানুয়ারি তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

১৮৪৫ সাল থেকেই এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে। সে সময় থেকেই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরিকল্পনা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং আইনি ও পদ্ধতিগত সুরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং শপথ গ্রহণের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখা হয়। নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের জন্য এই সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচনি ফল অনুযায়ী, দেশটির নির্বাচনে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২৭০টির প্রয়োজন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল পাঁচটায় এই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান। দেশটির নির্বাচনে ফল নির্ধারণী ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য খ্যাত জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, মেইন, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিনে লাল শিবিরের জয়ে হোয়াইট হাউসের মসনদ নিশ্চিত হয় ট্রাম্পের।

আন্তর্জাতিক

গাজা ও লেবাননে সংঘাতসহ নানা ইস্যুতে ইসরাইলের ওপর ক্ষুব্ধ ইরান। এরইমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে গেছে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবার তার সামরিক কর্মকর্তাদের ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক হামলার’ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।‘ তেহরান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে এই কথা জানা গেছে।

তেহরান টাইমস’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি আজ এ খবর জানিয়েছে।

ইরানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস অব ইসরাইল’ গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগামীকাল অনুষ্ঠেয় মার্কিন নির্বাচনের আগে হামলা চালাবে না ইরান।

তবে অন্যান্য গণমাধ্যম সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ইরান মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে।

তেহরানের যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস বলেছে, ইসরাইলি হামলায় ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ নেতা খামেনি গত সোমবার তার সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্য বস্তুর সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরআগে গত ৩০ অক্টোবর বুধবার একটি উচ্চপদস্থ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, ইরানের ওপর ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার একটি ‘সুনির্দিষ্ট’ এবং ‘বেদনাদায়ক’ প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। তা আগামীকালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই হতে পারে।

ইরান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র ‘সিএনএন’কে বলেছেন, ইহুদিবাদী শাসকদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে ‘সুনির্দিষ্ট’ এবং ‘বেদনাদায়ক’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।‘ সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিন ঘটবে।’

তবে, এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয় পাচ্ছেন, তা বিশ্বের সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মাত্র দুটি দলের আধিপত্য। রিপাবলিকান পার্টি আর ডেমোক্র্যাট পার্টি। বরাবর এই দুই দলের কোনো একটির প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

আন্তর্জাতিক

দখলদার ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা ও উত্তরের দখলকৃত অঞ্চলের বসতিগুলোর ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবারের এই হামলা গাজা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ এবং লেবাননের নিরাপত্তা রক্ষার অংশ হিসেবে চালানো হয়েছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ইসরাইলের দখলকৃত জারইত বসতিতে শত্রুদের সামরিক সমাবেশকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

পরবর্তী এক ঘোষণায় হিজবুল্লাহ জানায়, একই সময়ে শোমেরা ও এভেন মেনাচেম বসতিতেও শত্রুপক্ষের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

পরে সকাল ৮টায় ইসরাইলের মেটজুবা বসতিতে হিজবুল্লাহ রকেট হামলা চালায় এবং বার’আমের সামরিক অবস্থানও তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

অন্যদিকে ইসরাইলের রোশ হানিকরা বসতিতেও রকেট নিক্ষেপ করা হয় এবং সকাল ১০টায় শ্লোমি বসতিতে ব্যাপক হারে রকেট আক্রমণ চালানো হয়।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এসব হামলায় ইসরাইলি বাহিনী ও বসতিতে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সেইসঙ্গে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই পাল্টা আক্রমণও বন্ধ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোষ্ঠীটি। সূত্র: ইরনা

আন্তর্জাতিক

ভারতীয় গোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেস সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। ফলে এখন সেন্ট্রাল রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া পরিশোধের গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি গ্রুপ অর্থ পায়, তা সত্য। তাদের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। যে ব্যাকলগ (পূর্বের বিল) আছে, তার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল ফাইল অব ব্যাকলগ রেখে গিয়েছিল।

প্রেস সচিব বলেন, আদানি গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি, যা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো রিজার্ভে হাত না দিয়েই করতে পারছি। ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। তাও দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে পারব।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বছরে ১৬-১৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছিল, টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারে অর্থ পাচারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই অর্থ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। কত অর্থ পাচার হয়েছে, তা বের করতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। বিষয়টি দুই পক্ষের চুক্তির শর্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। সুতরাং, এ বিষয়ে জানানোর জন্য এখন আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। সময়মতো বকেয়া বিল না পেয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় রণধীর জয়সওয়ালের কাছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যকার ইস্যুতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। তাই এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি প্ল্যান্ট অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা জাতীয় উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর আগে তারা বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বলেছিল।

অন্যথায় ৩১ অক্টোবর ২০২৪ থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।

সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে এখন পর্যন্ত আদানির বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন ভোটাররা বাছাই করবেন তাদের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেই প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে। তাই মারিজুয়ানার ব্যবহার থেকে শুরু করে অভিবাসী কিংবা পররাষ্ট্র ইস্যুতে প্রার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই বাইরের পৃথিবীরও চোখ থাকে।

বিভিন্ন ইস্যুতে কমলা ও ডোনাল্ডের অবস্থান এবং সেসব বিষয়ে তাদের নীতি কী, তা তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়।

মূল্যস্ফীতি

কমলা হ্যারিস বলেছেন, প্রথম দিন থেকেই তার অগ্রাধিকার হবে শ্রমজীবী পরিবারের জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের খরচ কমানো।

নিত্যপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম নির্ধারণের প্রবণতা বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। প্রথমবার বাড়ি কেনায় সহায়তা এবং আবাসন খাতে প্রণোদনা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

বাইডেনের শাসনামলে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী হয়েছে। অবশ্য কোভিড পরবর্তী সময়ে সরবরাহ সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপের দেশগুলোকেও ভুগতে হয়েছে। তবে, সেসব দেশে পরবর্তীতে মূল্যস্ফীতি কমেছে।

ট্রাম্পের অঙ্গীকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সবকিছু মানুষের ক্রয় সামর্থ্যের মধ্যে আনবেন। তার ভাষায়, ‘মেইক আমেরিকা অ্যাফোর্ডেবল অ্যাগেইন’।

প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তেলের জন্য খনন বাড়ালে জ্বালানির মূল্য কমে আসবে।

তিনি সুদহার কমানোর অঙ্গীকারও করেছেন। যদিও সুদহার নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির নেই।

অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠালে আবাসনের ওপর চাপ কমবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প।

এ ছাড়া তিনি আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপের আভাস দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

কর

বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বছরে চার লাখ ডলারের বেশি আয় করা আমেরিকানদের ওপর কর বাড়াতে চান কমলা হ্যারিস।

অবশ্য, কোনো পরিবারের করের বোঝা লাঘব করতে, সন্তানের বিপরীতে কর ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছেন তিনি।

সম্পদ আহরণের ওপর বাইডেনের আরোপিত করের সঙ্গেও হ্যারিসের দ্বিমত রয়েছে।

ট্রাম্পও বিপুল পরিমাণ করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। একে তার ২০১৭ সালের করহ্রাসের নীতিরই বর্ধিত রূপ বলা চলে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনীদেরই সহায়তা করেছে।

তিনি বলেছেন, কর কমালে আয় যতটুকু কমবে তা তিনি উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং আমদানি শুল্ক দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারবেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দুজনের পরিকল্পনায়ই অর্থনৈতিক ঘাটতি বাড়াবে। তবে, ট্রাম্পের বেলায় সেটা বেশি বাড়বে।

গর্ভপাত

গর্ভপাতের অধিকারকে তার প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছেন কমলা হ্যারিস। তিনি সারা দেশের জন্য অভিন্ন প্রজনন অধিকার সুরক্ষা আইনের পক্ষে কথা বলছেন।

গর্ভপাতের ইস্যুতে নিজের বক্তব্যে স্থির থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। সুপ্রিম কোর্টে তার সময়ে নিয়োগ দেওয়া তিন বিচারকের হাতেই গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল হয়।

অভিবাসন

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের সংকট সামাল দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কমলা হ্যারিসকে। তিনি কোটি কোটি ডলার অনুদান সংগ্রহে ভূমিকা রাখেন, যার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ করে উত্তর অংশ অভিমুখে স্রোত ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০২৩ এর শেষ নাগাদ মেক্সিকো থেকে রেকর্ড সংখ্যক লোক প্রবেশ করেছে বটে কিন্তু পরবর্তীতে সংখ্যাটা কমে আসতে থাকে।

হ্যারিস তার প্রচারণায় নিজের দৃঢ় অবস্থানের কথা যেমন বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় আইনজীবী হিসেবে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে থাকেন।

ট্রাম্প এ দফায় সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে চান। সেই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে আরও বেশি করে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েনের অঙ্গীকার করছেন তিনি।

কিন্তু হ্যারিসের উদ্যোগে কঠোর অভিবাসন নীতি সম্বলিত কোনো ক্রস পার্টি আইন (সর্বদলীয়) প্রণয়নের অংশ না হতে রিপাবলিকানদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

হ্যারিস বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি এ বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবৈধ অভিবাসী প্রত্যর্পণ ঘটানোর অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প। গণহারে অবৈধ অধিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাবেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে বলেছেন, এই উদ্যোগ আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

পররাষ্ট্র নীতি

ইউক্রেনকে যতদিন প্রয়োজন ততদিন সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন কমলা হ্যারিস। তিনি নির্বাচিত হলে, চীন নয়, ২১ শতকের প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রই জিতবে, দিচ্ছেন এমন প্রতিশ্রুতিও।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে সোচ্চার। গাজা যুদ্ধ বন্ধে আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান ‘একলা চলো’ অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতার পক্ষে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে রাখতে চান তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানবেন। ডেমোক্রেটদের দাবি, এই পদক্ষেপ ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও শক্তিশালী করবে।

ইসরাইলের কট্টর সমর্থক হিসেবে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন কিভাবে, এ নিয়ে তাকে বিশেষ কিছু বলতে শোনা যায় না।

বাণিজ্য

ট্রাম্পের আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনার সমালোচনা করছেন কমলা হ্যারিস। তার মতে, এতে প্রকারান্তরে শ্রমজীবী মানুষের ওপর নতুন করে কর আরোপ করা হবে, যার ফলে একটি পরিবারকে বছরে প্রায় চার হাজার ডলার বেশি খরচ করতে হবে।

আমদানির ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে আরও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চান কমলা।

ইতোমধ্যেই বাইডেন প্রশাসন চীন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির মত কিছু পণ্য আনার ক্ষেত্রে যে শুল্ক চালু করেছে, সেটিই অনুসরণ করবেন কমলা হ্যারিসও।

নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্পের অঙ্গীকারের কেন্দ্রে রয়েছে শুল্ক ব্যবস্থা। বেশিরভাগ বৈদেশিক পণ্যের ওপর নতুন করে ১০ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের অভিপ্রায় তার। আর চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে সেই হার হবে আরও বেশি।

কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রেই পণ্য উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করতে কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প।

জলবায়ু

জো বাইডেনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে মূলস্ফীতি কমানোর আইন পাশে ভূমিকা রেখেছিলেন হ্যারিস। এই আইন পাশের ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন খাতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা মিলবে।

কিন্তু, ‘ফ্র্যাকিং’ পদ্ধতিতে খননের মাধ্যমে তেল-গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্রে বিরোধিতা থেকে সরে এসেছেন কমলা। পরিবেশবাদীরা এই পদ্ধতির বিপক্ষে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন পরিবেশ সুরক্ষার বহু উদ্যোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রত্যাহার করে নেওয়া তেমন উদ্যোগেরই একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ সীমিত রাখা।

এবারের প্রচারণায়, নির্বাচিত হলে তিনি জ্বালানির জন্য উত্তর মেরুতে খনন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে কথা বলছেন।

মারিজুয়ানা বা গাঁজা

বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে মারিজুয়ানা বা গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমলা হ্যারিস।

তার মতে, বহু মানুষকে শুধু সঙ্গে গাঁজা রাখার কারণে কারাগারে যেতে হয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ এবং ল্যাটিন নাগরিকদের গ্রেফতারে ক্ষেত্রে সংখ্যাগত অসামঞ্জস্যের দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি।

ট্রাম্প তার দৃষ্টিভঙ্গি নমনীয় করেছেন।

তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে অল্প পরিমাণ মারিজুয়ানা বহনের জন্য ‘অপ্রয়োজনে গ্রেফতার এবং কারাগারে পাঠানো বন্ধ করার’ এখনই সময়।

আন্তর্জাতিক