রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর তিন মাস বাকি। প্রধান উপদেষ্টা একাধিকবার জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে রাজনীতির মাঠ এখন সম্পূর্ণ নির্বাচনমুখী। আসনভিত্তিক সমাবেশ ও গণসংযোগে ব্যস্ত দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ঠিক এমন সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় উঠে এসেছে নতুন একটি শব্দ—‘সেফ এক্সিট’।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যেই এই আলোচনার সূত্রপাত। তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। তারা এখন নিজেদের সেফ এক্সিট বা নিরাপদ প্রস্থান নিয়ে ভাবছেন।’

তার এই বক্তব্য মুহূর্তেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় ফেলে দেয়। টেলিভিশনের টকশো থেকে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। অনেক রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এমনকি সরকারের ভেতরেও এ মন্তব্যকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, নাহিদ ইসলাম একসময় সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এখন বিরোধী অবস্থানে গেলেও ক্ষমতাসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। ফলে তার মুখ থেকে এমন মন্তব্য আসা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। তারা নিজেদের সেইফ এক্সিটের কথা ভাবতেছেন।এটা আমাদের অনেক পোহাতে হচ্ছে এবং পোহাতে হবে। কিন্তু তারা যদি এটা বিশ্বাস করতেন যে তাদের নিয়োগকর্তা ছিল গণ অভ্যুত্থানের শক্তি, রাজপথে নেমে জীবন দেওয়া ও আহত সাধারণ মানুষজন এবং তারা যদি তাদের ওপর ভরসা করতেন, তাহলে উপদেষ্টাদের এ বিচ্যুতি হতো না।’

নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের পর থেকেই একই ইস্যুতে আরও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তারা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো, দেশে থাকুক আর দেশের বাইরেই থাকুক। এ দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না। তারা এত শহীদের রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে ওখানে (সরকারে) আছেন। তারা যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না। যারা এ ধরনের চিন্তা করেন তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাক বাংলাদেশের মানুষ তাদের ধরবে।’

এনসিপির পক্ষ থেকে পরে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়—তারা সরকারের ব্যর্থতা ও কিছু উপদেষ্টার আর্থিক অনিয়মের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। দলের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, তাই ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গ এসেছে।

অন্যদিকে বর্তমান সরকারকে সমর্থন দেওয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার মন্তব্যে দারুণ বিরক্ত বলে জানান। তাদের মন্তব্য, কোনো কোনো উপদেষ্টা হয়তো ক্ষমতা আরো বেশিদিন উপভোগ করতে চান। এ কারণে কোনোভাবে নির্বাচন বানচাল করার পাঁয়তারা করছেন। পাশাপাশি নিজেরা সেইফ থাকার চেষ্টা করছেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী বলেন, ইউনূস সরকারের অনেক ভুল রয়েছে। এসব ভুলের কারণে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ফসল জনগণ পায়নি। এ কারণে নির্বাচনের আগে উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের কথা আসছে।

এদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বুধবার (৮ অক্টোবর) নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের তিব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট নিতে চান, এ বিষয়গুলো নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে। উনি যদি কখনো পরিষ্কার করেন, তখন সেটি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে। এর আগে এটি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের মতো নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সরকারের ভালো একটা ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ (কাজের সম্পর্ক) আছে। এটা উনি অভিমান থেকে বলেছেন নাকি উনার কোনো বিষয়ে গ্রিভেন্স (দুঃখবোধ) আছে। এ বিষয়গুলো উনাকেই পরিষ্কার করতে হবে। উনি যদি কখনো পরিষ্কার করেন, তখন সেটা নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে। সেটির আগে সরকারের বক্তব্যের কোনো সুযোগ নেই।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘নাহিদ ইসলামের বক্তব্য তাকেই খণ্ডন করতে হবে, আমার খণ্ডানোর বিষয় নয়। বক্তব্যটা স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো। এটা হয়তো তাদের ধারণা, তারা মনে করে এটি বক্তব্য হিসেবে বলেছে। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’

আসলেই কি উপদেষ্টারা এক্সিট খুঁজছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি একদম কোনো এক্সিট খুঁজছি না। দেশেই ছিলাম, এর আগেও বহু ঝড়ঝঞ্ঝা এসেছে। সেসব ঝড়ঝঞ্ঝা প্রতিহত করে দেশেই থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটিয়ে যাব।’

নাহিদ ইসলামের বক্তব্য নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রতিনিয়ত কথা বলে যাচ্ছেন, এটি তো তাঁদের অধিকার। এটাই তো গণতন্ত্রের চর্চা। এখন প্রতিটি বিষয় নিয়েই যদি আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাই, চিন্তা করি, তাহলে আমরা মন্ত্রণালয়গুলো কখন চালাব? যখন কোনো বিষয় সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে, তখন অবশ্যই সরকার সে বিষয়ে কথা বলবে। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।’

রাজনীতি

শিল্পমন্ত্রী ও নরসিংদী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত্যু খবরটি তার ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন অসুস্থ হলে গতকাল রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সোমবার সকাল সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নরসিংদীতে হত্যা, আক্রমণ ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৯ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০১৯ সালে প্রথমবার এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী হন।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাবেক শিল্পমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের মৃত্যু নতুন করে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। তাঁর মৃত্যুকে নিছক প্রাকৃতিক বলা যাবে না। বরং এ মৃত্যু প্রতিহিংসাপরায়ণ অবৈধ সরকারের চরম অবহেলা ও নিষ্ঠুরতার করুণ পরিণতি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাঁকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়নি ।
রাজনীতি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ এক ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’ অতিক্রম করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের আরও ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে অধ্যাপক ইউনূস রবার্ট এফ. কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বে শীর্ষ মানবাধিকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনাদের নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করা। প্রত্যেকবার আপনারা এলে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। শেষ পর্যন্ত আপনারাই জনগণের কণ্ঠস্বর।”

বৈঠকে তিনি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার সুরক্ষায় নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা একটি ভেঙে পড়া ব্যবস্থা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছি। গত বছরের হত্যাকাণ্ড তদন্তে আমরা জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তাদের প্রতিবেদনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। এরপর আমরা জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি, যা একটি বড় অগ্রগতি।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, জোরপূর্বক গুম করে ফেলার অভিযোগ তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। “মানুষ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনে আসছে। প্রত্যেকটি ঘটনা ভয়াবহ। বছরের পর বছর ধরে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। অনেক মানুষকে আয়না ঘরে রাখা হয়েছিল, অনেক সময় তারা জানতও না কেন সেখানে রাখা হয়েছে। কমিশন এখনও পূর্ণ প্রতিবেদন দেয়নি, তবে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এরই মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবসমূহ পর্যালোচনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোও এই প্রক্রিয়ার অংশ। আশা করছি, জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্কারগুলো অক্টোবরের মধ্যে খসড়া আকারে তৈরি হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলো তাতে স্বাক্ষর করবে।”

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা চাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ—এমন নির্বাচন যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। বছরের পর বছর ভোটার তালিকায় অনেকের নাম থাকলেও তারা ভোট দিতে পারেনি। এবার আমরা বিশেষভাবে নারীদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে চাই এবং তাদের অংশগ্রহণ উদযাপন করতে চাই। ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে মানুষকে জানাতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালাব। আমাদের লক্ষ্য দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা।”

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু শক্তি রয়েছে যারা চায় না নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা জানি না তারা কার হয়ে কাজ করছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে, যার সুবিধাভোগী রয়েছে দেশের ভিতরে ও বাইরে। তারা সুসংগঠিত—এটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়। সামনে কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অধ্যাপক ইউনূস অর্থ পাচার প্রতিরোধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। আমি আশা করি মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আওয়াজ তুলবে, যেন কোনো ব্যাংক এমন অর্থ লুকিয়ে রাখতে না পারে। এটি সত্যিকার অর্থেই জনগণের অর্থ।”

বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা তাসনিম জারা বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা কাঠামোগত সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছে, যাতে দেশ আর কখনো সেই পরিস্থিতিতে না ফিরে যায় যা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে।

মানবাধিকার কর্মীরা দেশের সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জন সিফটন বলেন, “যত বেশি সম্ভব সংস্কার নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যেন সংসদ গঠনের পরও তারা এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে।”

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—ক্যাথরিন কুপার, আইনজীবী, রবার্ট এফ. কেনেডি মানবাধিকার সংস্থা; মনদীপ তিওয়ানা, সাধারণ সম্পাদক, সিভিকাস; ম্যাথিউ স্মিথ, প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা, ফোর্টিফাই রাইটস; সাবহানাজ রাশিদ দিয়া, নির্বাহী পরিচালক, টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট; ক্যারোলিন ন্যাশ, এশিয়া বিষয়ক পরিচালক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল; মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, ভিজিটিং আন্তর্জাতিক পণ্ডিত, ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেসেলিনা রানা, জাতিসংঘ উপদেষ্টা, সিভিকাস।

রাজনীতি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্চি।

সোমবার সকালে ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াতে আমিরের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের কাউন্সিলন জিগড্রেল ওয়াই শেরিং উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সাক্ষাতে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলাপ হয়েছে। ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জামায়াত আমির ও রাষ্ট্রদূত।

রাজনীতি

‘জামায়াত ক্ষমতায় আসলে ভারত যদি বাংলাদেশে ঢুকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ যুবক স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে’- দলটির এক নেতার এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার এমন বক্তব্য দেশের জন্য বিপজ্জনক ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ববিরোধী।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রিজভী এ বিষয়ে কথা বলেন।

গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ‘আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। আমাকে অনেকে ভয় দেখায়— যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, পাশের দেশের (ভারত) লোকেরা ঢুকে পড়বে। আমি বলি, আমি দোয়া করি তারা ঢুকুক। ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে মিথ্যাভাবে চাপানো হয়েছে। তখন আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাব। কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে।’

জামায়াত নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির মুখপাত্র নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যে মানুষকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে— পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত) আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে— এই কথাগুলো কেন আসছে? এটা কি কোনো পাতানো বিষয়? হ্যাঁ, আমাদের অনেক অমীমাংসিত বিষয় আছে— পানি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি। এসব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে? এটাও মানুষকে ভাবাচ্ছে যে, বিষয়টি কি পরিকল্পিত? এমন বক্তব্য দেশের জন্য বিপজ্জনক ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ববিরোধী।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা একসময় একটি ফ্যাসিবাদের পতন দেখেছি। কিন্তু আজ আবারও নতুন করে মাটির ভেতর থেকে, পাতাল থেকে, আরেকটি ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কিনা— সেটি আজ মানুষের মনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু কর্মকাণ্ড সে আশঙ্কাকে উসকে দিচ্ছে। জামায়াত নেতার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণার কথার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। বড় ধরনের কোনো গেম প্ল্যান কিনা- তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। জামায়াত একটি ভয়ংকর নীলনকশার মধ্যে রয়েছে। এটা রাষ্ট্রবিরোধী কথা। দেশের স্বার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার ইঙ্গিত রয়েছে।’

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট রাত ১:৪০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন শুরু করে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এছাড়া তিনি একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ভাষণে তিনি বিগত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগ, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার তুলে ধরবেন।

সফরসঙ্গী হিসেবে ছয়জন রাজনৈতিক নেতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন। তারা হলেন: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এটি জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রথমবারের মতো এমন একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।

এই বৈঠক থেকে কার্যকর সমাধান উদ্ভাবনের জন্য গত মাসে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অংশীদার ও রোহিঙ্গা প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অধ্যাপক ইউনূসের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে, যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন পেয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ২৫ সেপ্টেম্বর যুবকদের জন্য কর্মপরিকল্পনার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও অংশ নেবেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরবেন। ভাষণে তিনি শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, নিরাপদ অভিবাসন, অবৈধ অর্থপাচার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো বিষয়ও তুলে ধরবেন।

সফরকালে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবং বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা, পিসবিল্ডিং কমিশন মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক, ‘জি-৭৭ ও চীন’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, নারী-শান্তি ও নিরাপত্তা ফোকাল পয়েন্ট নেটওয়ার্ক, ওআইসি বার্ষিক সমন্বয় সভা, বিমসটেক, সিকা এবং এলডিসি মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

রাজনীতি

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এলডিসি উত্তরণ (গ্র্যাজুয়েশন) এবং শ্রমিক ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

রোববার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়- জাতীয় নির্বাচনের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করছেন।

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুসহ ১১ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশ নেন।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী ও নাসিম মনজুর, এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ, প্রাণ গ্রুপের প্রধান আহসান খান চৌধুরী, বিকেএমইএর সভাপতি এমএ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজেএমইএর মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ প্রমুখ।

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তো শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন। একেবারে পরিষ্কার ভাষায় তারা বলছেন, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তারা (বিনিয়োগকারী) সব সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বৈঠকে বসার পেছনে দুটি কারণ আছে। একটা হলো- আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, আরেকটা হলো আমাদের লেবার ইস্যু। দুটিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। লেবার ইস্যু ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো আমরা বিস্তারিত শুনেছি। আলোচনায় পরিষ্কার হয়েছে- এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাওয়া মুহূর্তে বাংলাদেশের বর্তমান এবং আগামী দিনের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে না।

তিনি বলেন, বিগত দিনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া পরিসংখ্যানগুলো (স্ট্যাটিস্টিক্স) প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে এলডিসি স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরাও মতামত দিয়েছেন।

বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু উদ্বেগ আছে। এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ (কনসার্ন) হলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন। আরেকটা হলো- শ্রম আইন সংশোধন (লেবার ল অ্যামেন্ডমেন্ট)। ১২৪টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে আমরা ১২২টিতে একমত হয়েছি। দুটির বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি। এর বাস্তবসম্মত কারণও আছে।

তিনি আরও বলেন, ২০ জন শ্রমিক আবেদন করলেই ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একটা শিল্পে ৩ হাজার, ৫ হাজার বা ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক থাকলে কি হবে। সেখানে মাত্র ২০ জনের ট্রেড ইউনিয়নে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হলে অনেক রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু একটা শিল্পে সর্বোচ্চ পাঁচটা রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হলেই ওই শিল্প টিকবে না। এটা আমাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের (রুট লেভেল) বাস্তব অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয় হলো, যারা শ্রমের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেন তারা পিছিয়ে যাবেন। ২০ জন নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দিলে দেখা যাবে- যারা ঝুট ব্যবসা করেন বা যাদের খারাপ উদ্দেশ্য আছে তারা রেজিস্ট্রেশন নেবে। ব্যাঙের ছাতার মতো রাতারাতি হাজার হাজার ট্রেড ইউনিয়ন হয়ে যাবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আমরা স্থগিত (পোস্টপোন) করতে চাই না, সময় চাই।

রাজনীতি

তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয় নেতাকে নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সাধারণের মধ্যেও দেখা দিয়েছে কৌতুহল। কেন তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক আর বিশ্লেষণ।

প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ড. ইউনূসের এমন সফরকে বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অনেকেই বলছেন, বিশ্বকে ঐক্য দেখাতেই প্রধান উপদেষ্টা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার সরকার প্রধানে সঙ্গে নেতাদের এই সফরকে সরলভাবে দেখতে চান না অনেকেই। তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবিত করার মিশনও হতে পারে এই সফর।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে দেশ চালানোর দায়িত্ব যেহেতু রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকবে, তাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সফরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, আগে ক্ষমতাসীন দল বিদেশ সফরে গেলে নিজেদের দল বা জোটের কয়েকজন প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিত। কিন্তু এখন তো কোনো দল ক্ষমতায় নেই। তাই এবার কিছু নির্দিষ্ট দল থেকে প্রতিনিধি নেওয়াকে অনেকে বিশেষ কৌশল মনে করছেন। কেউ বলছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এখনো সমঝোতা হয়নি, তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ হিসেবেও এটি হতে পারে। আবার কেউ মনে করছেন, বিশ্বকে দেখানোর জন্য যে দেশে জাতীয় ঐক্য আছে, সরকার সেই বার্তাও দিতে চাচ্ছে।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। সেই হিসাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য এটি হতে পারে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার শেষ সুযোগ। তাই তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চান এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত করাতে চান। এই লক্ষ্যেই তিনি এবার রাজনৈতিক নেতাদের সফরসঙ্গী করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যেসব রাজনৈতিক নেতা নিউইয়র্ক যাচ্ছেন, তারা হলেন— বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান তারেক, যিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকেই প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের এই সফর নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ রোববার বলেন, এবারের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় আসবে, যার জন্য ধারাবাহিকতা জরুরি। সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে হওয়া সেমিনারেও দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের যুক্ত করা হয়েছিল। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ত রাখতে চায় সরকার।

সফর সংক্রান্ত প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যেহেতু বিএনপির নেতারাও যাচ্ছেন, তাই আমরাও একমত হয়েছি।

তিনি জানান, নেতারা জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নেবেন, যেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত থাকবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।

জুবায়েরের মতে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, কারণ সরকারের প্রধান নির্বাহী প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে আমরা যে ঐক্যমত্যে আছি, এ সফরের মধ্য দিয়ে জাতির সামনে সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ এ ব্যপারে বলেন, অতীতে ক্ষমতাসীন দল বিদেশ সফরে গেলে তাদের দলের প্রতিনিধি বা জোটের নেতাদের নেওয়া হতো। কিন্তু এখন কোনো নির্দিষ্ট দল ক্ষমতায় নেই। যারা অন্তর্বর্তী সরকার চালাচ্ছেন, তারা সবার সরকার। তাই তারা এমন নেতাদের নিচ্ছেন, যাদের নিয়ে গেলে কেউ আপত্তি করবে না।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে এখনো পূর্ণ ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি। এই সফরের মাধ্যমে সেই সমঝোতার পথে এগোনো সম্ভব হতে পারে বলে সরকার মনে করছে। পাশাপাশি বহির্বিশ্বকে দেখানো হতে পারে যে দেশে জাতীয় ঐক্য রয়েছে। সরকারের ধারণা, এই সফর হয়তো দেশের সংকট থেকে উত্তরণের একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে।

তবে প্রধান উপদেষ্টার সফরে ছয় নেতাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি বলেন, এক দলের এখনো নিবন্ধন সম্পূর্ণ হয়নি, আরও অনেক রাজনৈতিক দল আছে— তাদের কাউকেই নেওয়া হয়নি। তাছাড়া এ ধরনের সফর রাষ্ট্রের বাড়তি খরচ তৈরি করে, যা মোটেই কাম্য নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ হচ্ছে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেওয়া। তাই এই সফরে কোন কোন দলের নেতাকে নেওয়া হয়েছে, আমরা সেটিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি না।

সবার সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করায় জাসদ বিষয়টিকে একপাক্ষিক বলে মনে করছে। বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান জানান, বিষয়টিকে তারা ইতিবাচকভাবে দেখছেন না। তার মতে, এই উদ্যোগে মনে হচ্ছে যেন সরকার প্রমাণ করতে চাইছে যে এই নির্বাচিত কয়েকটি দলই ভবিষ্যতে ক্ষমতার অংশীদার হবে। তাই তাদেরই রাষ্ট্রীয় সফরে নেওয়া হচ্ছে। এতে বিষয়টি একপাক্ষিক হয়ে গেছে। এমন সফরের জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।

উল্লেখ্য, রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে পৌঁছবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এরপর ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘ অধিবেশনে তিনি বিগত এক বছরে দেশে সংঘটিত সংস্কার এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরবেন। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর ‘হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের সভায়ও অংশ নেবেন, যা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে। সফরের সময় তিনি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে আজ উপদেষ্টা পরিষদের ৪৩তম বৈঠকে তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ‘অর্থ সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ,

২০২৫’-এর খসড়া এবং ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রাজনীতি

দিনাজপুরের বিরামপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিতে যোগ দেওয়ার পাঁচ বছর পর আবারও জামায়াতে ফিরলেন দলটির সাবেক নেতা মেহেদী হাসান চৌধুরী। তাঁর নেতৃত্বে এবি পার্টির আরও ৪০ জন নেতা–কর্মী জামায়াতে যোগ দিয়েছেন।
এ সময় বিরামপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরাফাত আল আবীরও জামায়াতে যোগ দেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত আটটায় বিরামপুর শহরের ধানহাটি মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে গ্রহণ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের বিরামপুর উপজেলা শাখার আমির হাফিজুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমির আনিসুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শুরা সদস্য ও সাবেক আমির আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস এনামুল হক, সহকারী সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম, পৌর শাখার আমির মামুনুর রশীদ ও সেক্রেটারি শাহীনুর ইসলাম।

মেহেদী হাসান চৌধুরী ২০২০ সালে জামায়াতে ইসলামী–সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। ওই বছর তিনি এবি পার্টিতে যোগ দিয়ে সর্বশেষ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্পাদকীয় সদস্য ও দিনাজপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত বুধবার তিনি এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, ‘২০২০ সালের স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনকালে জামায়াতের সঙ্গে থেকে আমি বহু মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। সে সময় কিছু নেতার সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় আমি এবি পার্টিতে যোগ দিই। কিন্তু পরে সেখানে প্রত্যাশিত চেতনা খুঁজে পাইনি। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ ও কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাই আমি আবারও জামায়াতে ফিরলাম এবং আমার সঙ্গে এবি পার্টির ৪০ জন নেতা–কর্মীকে নিয়ে এখানে যোগদান করলাম।’