খেলাধুলা

আগে ব্যাট করে অল্প লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়াও লড়ে গেল শেষ বল পর্যন্ত।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর এক জয়ে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল সাইফ হাসানের দল।

চীনের হাংজুতে আজ চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন দেশের দশম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাইফ হাসান। দেশের জার্সিতে এদিন টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে কিপার-ব্যাটার জাকের আলি অনিক, বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, সুমন খান ও রিপন মন্ডলের।

আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জবাবে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তুলতে পারে মালয়েশিয়া। ফলে সেমিফাইনালে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত।

১১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে মালয়েশিয়া। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটার বীরেনদীপ সিং একপ্রান্ত আগলে রাখায় ১৯তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচটি মালয়েশিয়ার দিকেই ঝুঁকে ছিল। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। কিন্তু বাংলাদেশের পার্ট-টাইম অফ স্পিনার আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত বোলিং ঝলকে তারা নিতে পারে মাত্র ২ রান। আর তাতে হারতে বসা ম্যাচ ২ রানে জিতে নেয় বাংলাদেশ।

মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে বীরেনদীপ সিং একাই ৩৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তিনি ক্রিজে শেষ পর্যন্ত থাকলে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। মূলত তার ব্যাটিংয়েই ১৬ ও১৭তম ওভার মিলিয়ে ২৯ রান তুলে ফেলে মালয়েশিয়া। ১৮তম ওভারে অধিনায়ক সাইফ হাসান খরচ করেন ৬ রান।

১৯তম ওভারে ৫ রান খরচ করে একটি উইকেট তুলে নেন রিশাদ। বাকি কাজ সারেন আফিফ হোসেন। শেষ ওভারের প্রথম ৪ বলে কোনো রান খরচ করেননি তিনি। চতুর্থ বলে তিনি বিদায় করেন বীরেনদীপ সিংকে। পরের দুই বলে একটি করে সিঙ্গেল নিতে পারে মালয়েশিয়া।

বল হাতে আফিফ ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এছাড়া ৩ উইকেট গেছে রিপনের ঝুলিতেও। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান ও রিশাদ হোসেন।

বল হাতে সাফল্য পাওয়া সাইফ এর আগে ব্যাট হাতেও ফিফটি হাঁকিয়েছেন। ৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে তিনিই দায়িত্ব নিয়ে টেনে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে ৫২ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। এছাড়া আফিফ ১৪ বলে ২৩ ও শাহাদাত হোসেন ২৬ বলে ৩১ রান করেন।

খেলাধুলা

বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রস্তুতি ম্যাচে হারল টাইগাররা। শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। সোমবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হারে সাকিবরা।

সোমবার আগে ব্যাট করে মেহেদি হাসান মিরাজের ৭৪ এবং তানজিদ হাসান তামিমের ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৭ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান করে বাংলাদেশ।

বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭ ওভারে ১৯৭ রান। লক্ষ্য তাড়ায় ৭৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। দলের জয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন মঈন আলী।

ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারের প্রথম ৫ বলে ৯ রান করা ইংল্যান্ড, শেষ বলে হারায় উইকেট।

প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য উপহার দেন মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টারের বলে স্লিপে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালান। তার বিদায়ে ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

মালান আউট হওয়ার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাচ্ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। তাকে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২১ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ে ৪.১ ওভারে ৫১ রানে ২ ওপেনারের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

মোস্তাফিজের জোড়া শিকারের পর ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হ্যারি ব্রুক। তিনি ১৫ বলে ১৭ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ৭৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

দলীয় ১০৭ ও ১১৪ রানে শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে ফেরেন জস বাটলারও লিয়াম লিভিংসস্টোন।

এরপর ষষ্ঠ উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে দেন মঈন আলি। জয়ের জন্য শেষ দিকে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র

সোমবার গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ ও ২ রান করে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস এবং তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় তানজিদ তামিম করেন ৪৫ রান।

এর আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৮ বলে ১০টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ রান করেন তরুণ তামিম।

তামিম আউট হওয়ার পর পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি ১৫ বলে মাত্র ৮ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ২০.৪ ওভারে ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ বলে ১৮ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে রিয়াদ ব্যাটিংয়ে নামার আগেই দলের জয় নিশ্চিত হয়। সেই ম্যাচে ব্যাটিং প্র্যাকটিসের সুযোগ পাননি। আজ সুযোগ পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।

৩০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫৩ রান। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে তিন ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। তাতে ওভার কমে যায় ১৩ ওভার। ম্যাচ নির্ধারণ হয় ৩৭ ওভারে।

বৃষ্টির পর খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। বৃষ্টির পর বাংলাদেশ ৭ ওভারে ৩৫ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট।

খেলাধুলা

মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার বিপক্ষে হারের বেদনা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় করেছিল বসুন্ধরা কিংস। এর প্রমাণ মাঠেই দিল বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

শুরুতে পিছিয়ে পড়েও এএফসি কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় ক্লাব ওড়িশা এফসিকে হারিয়েছে ৩-২ গোলে। জোড়া গোল করে জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন দোরিয়েলতন গোমেজ। অন্য গোলটি আসে মিগেল ফেগেরার কাছ থেকে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে। তবে ঘরের মাঠে আজ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলল বসুন্ধরা কিংস। সেটা জয় দিয়েই রাঙিয়েছে কোচ অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।

ম্যাচের আগে থেকেই আলোচনায় ছিল কিংস অ্যারেনা। যেখানে হারের রেকর্ড নেই কিংসের। সেই রেকর্ড অক্ষুণ্নই রইল।

শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে কিংস। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই দারুণ এক গোলের সুযোগ তৈরি করে বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠ থেকে রবসনের থ্রু বল পান দোরিয়েলতন। তার শট তালুবন্দী করেন ওড়িশার গোলরক্ষক আমরিন্দর সিং।

১৭ মিনিটে মিগেলের ফ্রি কিক থেকে হেড করার চেষ্টা করনে দোরিয়েলতন। তবে ঠিকঠাক মাথা ছোয়াতে পারেনি তিনি। মাথার পেছন দিকে বল লাগলেও পোস্টের দিকে এগিয়ে যাওয়া বল রুখে দেন ওড়িশার গোলরক্ষক।

১৯ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল হজম করে বসে বসুন্ধরা কিংস। ওড়িশার দিনলিয়ানার বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়ে যান দিয়েগো মারিকো। ডান পায়ের শটে দলকে লিড এনে দেন তিনি।

৩২ মিনিটে নিশ্চিত গোল হাতছাড়া হয় বসুন্ধরার। রাকিবের পাস থেকে বল পান মিগেল, তিনি বল বাড়িয়ে দেন বক্সের ভেতর থাকা দোরিয়েলতনের কাছে। দুই ফুটবলারকে বোকা বানিয়ে কাটব্যাক করন তিনি। বল পান রবসন রবিনহো। তার ডান পায়ের জোরালো শট ব্লক করে দেন ‍ওড়িশার ডিফেন্ডার দিনলিয়ানা।

ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি বসুন্ধরা কিংস। ৩৮ মিনিটে ‍মিগেল দামাসেনার গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। গোললাইন থেকে রবসনের চিপে মিগেলের খুঁজে নেয় জাল।

এরপর প্রথমার্ধের শেষ মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। মাঝমাঠ থেকে রাকিবে উদ্দেশ্যে থ্রু বল বাড়িয়ে দেন বিশ্বনাথ ঘোষ। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রসে হেডে দলকে এগিয়ে দেন (২-১) দোরিয়েলতন গোমেজ।

প্রথামার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় কিংস। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে দোরিয়েলতনের গোলে ব্যবধান ৩-১ করে বসুন্ধরা কিংস। রবসনের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান দোরিয়েলতন। ডান পায়ের জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান কমায় জেরি লালজুয়ালা। সাকামতির শট ফিরিয়ে দিলে রিবাউন্ড বলে শট করে বল জালে জড়ান জেরি (৩-২)। ৬৮ মিনিটে এক প্রচেষ্টায় গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন রবসন। ওড়িশার চার ফুটবলারকে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে রবসন। তবে তার শট পোস্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।

৭৩ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ মিস করেন দোরিয়েলতন। ওড়িশার দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন কিংসের দুই তারকা রবসন এবং দোরিয়েলতন। রবসনের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি দোরিয়েলতন। শেষ দিকে দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কোনও দলই।

খেলাধুলা

মাঠের বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা। হারতে থাকা দলে ছিল আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।

বিশ্বকাপের আগে সবকিছু কাটাতে যেন দরকার ছিল এমন কোনো ম্যাচই। শুরুর দিকে তেমন কিছু করতে না পারা বোলাররা পরে ফিরলেন দারুণভাবে, চোখে লাগার মতো ফিল্ডিংও হলো। সবচেয়ে বড় স্বস্তি দিলো লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের উদ্বোধনী জুটি। শেষে এলো স্বস্তির জয়ও।

শুক্রবার ভারতের গোহাটিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান করে শ্রীলঙ্কা। পরে বাংলাদেশ ওই রান টপকে যায় ৪৭ বল হাতে রেখে। এই ম্যাচে চাইলে স্কোয়াডের সব ক্রিকেটারেরই অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে ব্যাট বা বল করতে পারতেন সর্বোচ্চ ১১জন।

রান তাড়া করে বাংলাদেশের সামনে ছিল আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পরীক্ষা। অনেকদিন ধরেই দলের ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হচ্ছে না। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও স্বস্তির বার্তাই ছিল ব্যাটিংয়ে, বিশেষত উদ্বোধনী ব্যাটাররা ভরসা যুগিয়েছেন দলকে। লিটন দাসের সঙ্গে তানজিদ হাসান তামিমের জুটিতে বাংলাদে পেয়েছে একশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি।

দুজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। লিটন দাস রান খরা কাটিয়ে খেলেছেন বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার মতো ইনিংস। ১০ চারে ৫৬ বলে ৬১ রান করে হেমন্তার বলে মাথিশা পাথিরানার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তানজিদ তামিমও দেন ভালো কিছু করতে পারার আশা। ৮৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেছেন তিনি।

ব্যাটিংয়ে নামা ব্যাটারদের মধ্যে রান পাননি কেবল তাওহীদ হৃদয়। নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ভেল্লালগের শিকার হন তিনি। দলের জয়ের বাকি পথটা পাড় করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। ৬৪ বলে ৬৭ রান করেন মিরাজ, ৪৩ বলে ৩৫ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। মাঝে কাঁধে ব্যথা পেয়ে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন কুশল পেরেরা। বাংলাদেশ যখন প্রথম উইকেট পায়, তখন শ্রীলঙ্কার রান ১০৪। নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভারে ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারেই অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ২ রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নেন মাহেদী হাসান। এবারও ক্যাচ নেন শান্ত।

হাফ সেঞ্চুরি করা পাথুম নিশাঙ্কার ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন মাহেদী। নিশাঙ্কা ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ বলে করেন ৬৮ রান। ৩২ বলে ১৮ রান করা আসালাঙ্কাকেও ফেরান তিনি। মাহেদীর নেওয়া তিন উইকেটে হুট করে ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের টপ-অর্ডার। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দলটি।

নিশাঙ্কা ছাড়া আর একজনই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৯ বলে ৫৫ রান আসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে। তাকে আউট করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার মাঠে ছিলেন বেশ দুর্দান্ত। দারুণ কিছু ফিল্ডিং করেছেন তিনি। বোলারদের প্রস্তুতিতে শুরুতে নতুন বলে তেমন কিছু করা যায়নি। তবে বল পুরোনো হওয়ার পর দারুণ করেছেন তারা।

৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মাহেদী হাসান। সবচেয়ে বেশি ১০ ওভার করা মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

খেলাধুলা

বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বুধবার বিকাল ৪টার ফ্লাইটে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।

বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার সময় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সাকিব। রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এই অলরাউন্ডার লেখেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সঙ্গে আজ রওনা দিচ্ছি বিশ্বকাপ খেলতে। সঙ্গে আছে আপনাদের ভালোবাসা আর সাপোর্ট। চেষ্টা থাকবে ভালো খেলার, বাংলাদেশের লাল-সবুজকে সবার উপরে তুলে ধরার। দোয়া করবেন।

এবারের বিশ্বকাপে নেই দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তাকে ছাড়াই সিনিয়র-জুনিয়রের কম্বিনেশনে দল গঠন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

৫ অক্টোবর শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে টাইগারদের।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবরা মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

খেলাধুলা

বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০ দলের মধ্যে শেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করল বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর। ৪৬ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার ফাইনাল মাঠে গড়াবে আগামী ১৯ নভেম্বর।

মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৬ মিনিটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন করেন ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়রা। ভিডিওতে অল্প কথায় নিজেদের অনুভূতিও প্রকাশ করেন তারা।

বিশ্বকাপের অংশ নিতে যাওয়া ১০ দলের স্কোয়াড:

বাংলাদেশ স্কোয়াড:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।

ইংল্যান্ড স্কোয়াড:
জস বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, গাস অ্যাটকিনসন, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডাভিড মালান, আদিল রশিদ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, রিস টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড, ক্রিস ওকস।

ভারত স্কোয়াড:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক),শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, ইশান কিশান, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ শামি, শার্দুল ঠাকুর, জাসপ্রিত বুমরাহ।

অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড:
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ, মার্কাস স্টয়নিস, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি, জন ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও শন অ্যাবট।

পাকিস্তান স্কোয়াড:
বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, ইমাম উল হক, আবদুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, শাদাব খান, উসামা মীর, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হাসান আলী।

স্কোয়াডের সঙ্গে রিজার্ভ খেলোয়াড়:
মোহাম্মদ হারিস, আবরার আহমেদ, জামান খান।

নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড:
কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি, উইল ইয়ং।

দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড:
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), জেরাল্ড কোয়েটজি, কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, মার্কো ইয়ানসেন, হেইনরিখ ক্লাসেন, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, লুঙ্গি এনগিদি, ডেভিড মিলার, লিজাড উইলিয়ামস, কাগিসো রাবাদা, তাবরাইজ শামসি, রাসি ফন ডার ডুসেন।

শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড:
দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), কুসল পেরেরা, পাথুম নিসাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুশান হেমন্থ, দুনিথ ভেলালাগে, মাহিশ থিকশানা, কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশাঙ্কা।

স্কোয়াডের সঙ্গে রিজার্ভ খেলোয়াড়:
চামিকা করুনারত্নে।

আফগানিস্তান স্কোয়াড:
হাশমতুল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, ইকরাম আলিখিল, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, আব্দুল রহমান ও নাভিন উল হক।

নেদারল্যান্ডস স্কোয়াড:
স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), বিক্রমজিত সিং, কলিন অ্যাকারম্যান, শারিজ আহমেদ, ওয়েসলি বারেসি, লোগান ফন বিক, আরিয়ান দত্ত, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, রায়ান ক্লেইন, বাস ডি লিডি, পল ফন মিকেরেন, রোলফ ফন ডার মারওয়ে, তেজা নিদামানুরু, ম্যাক্স ও’ডাউড ও সাকিব জুলফিকার।

খেলাধুলা

প্রথম দুই ওয়ানডের দলে বিশ্রাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তাই ছিল।

এই ম্যাচগুলোতে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম চেয়েছেন তিনি। এজন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি।

নেতৃত্বের সঙ্গে এই ম্যাচে এসেছে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন। লিটন দাসের সঙ্গে ম্যাচটি খেলবেন না তামিম ইকবালও। পিঠের চোটে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফেরেন তিনি। প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয়টিতে ৫৮ বলে ৪৪ রান করেন এই ব্যাটার।

এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম জানান, এখনও পিঠে অস্বস্তি রয়েছে তার। এজন্য তৃতীয় ম্যাচ থেকে বিসিবির কাছে বিশ্রাম চান তামিম, সেটি মেনে নিয়েছে বোর্ডও। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া লিটনও নিজেকে সময় দিতে খেলছেন না তৃতীয় ওয়ানডে।

এর বাইরে সম্মুখের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুলকে ফেরানো হয়েছে স্কোয়াডে। রাখা হয়নি মোস্তাফিজকে। নাজমুল হোসেন শান্তও এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন লম্বা সময় পর। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এশিয়া কাপের মাঝপথে ফিরতে হয়েছিল তাকে। এবার ফিরে এসে পেলেন নেতৃত্বও। জাতীয় দলের আগের প্রায় সব ধাপেই অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে শান্তর। তবে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন প্রথমবারের মতো।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়। দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশ হারে বড় ব্যবধানে। সমতায় থেকে সিরিজ শেষ করতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।

শেষ ওয়ানডের স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, এনামুল হক বিজয়, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মাহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও রিশাদ হোসেন।

খেলাধুলা

২০২৩ এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ফুটবলে আগের দুই ম্যাচে ভালো খেলেও হেরেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার ও ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় বিদায়ও নিশ্চিত হয়েছে তাদের।

তবে আজ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শক্তিশালী চীনকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়েছে।
প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের কাছে আত্মঘাতী গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পরাজয় বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে। দুই ম্যাচ হারের পরই এশিয়ান গেমস থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। হারলেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তিনি চেয়েছিলেন শেষ ম্যাচে যেন তার দল স্বাগতিক চীনের বিপক্ষেও ভালো ফুটবল খেলে। তবে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে এতটা ভালো খেলবে হয়তো কাবরেরা নিজেও ভাবতে পারেননি।

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে চীন রয়েছে ৮২তম স্থানে, আর বাংলাদেশ ১৮৯তম। যদিও এশিয়ান গেমসে খেলে মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ দল। র‍্যাংকিংয়ে ব্যবধান অনেক থাকলেও লাল-সবুজ দল চোখে চোখ রেখে খেলেছে। সুযোগ পেলে আক্রমণে গেছে। আবার স্বাগতিকদের ঝড়ও সামাল দিয়েছে। একাধিক গোলের সুযোগ মিস না হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।

এশিয়ান গেমস ফুটবলে এর আগে দুইবার চীনের বিপক্ষে খেলে দুইবারই হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়াডে হার ছিল ১-০ গোলে। তখন খেলতো জাতীয় দল। এরপর ২০০২ সালে বুসান এশিয়াড থেকে শুরু হয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলা। তিনজন সিনিয়র (২৩ বছরের বেশি বয়সী) খেলানো যায়। ওইবার বাংলাদেশ বুসানে চীনের কাছে হেরেছিল ৩-০ গোলে।

আজ বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করলেও এবারের এশিয়ান গেমসের আয়োজক চীন প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই নিশ্চিত করেছে পরের রাউন্ড।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে রোববার। এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম দিয়েছেন ৪৪৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার। তালিকায় আছেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম, শাহনেওয়াজ দাহানি, দাসুন শানাকা, হায়দার আলিদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।

বিদেশি ক্রিকেটারদেরকে মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ক্যাটাগরি এ-তে আছেন মোট ১৮ জন ক্রিকেটার। এ তালিকায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সংখ্যা বেশি। ক্যাটাগরি বি-তে আছেন ১৬ জন ক্রিকেটার। সি-ক্যাটাগরিতে আছেন ৬০ জন। ক্যাটাগরি ডি ও ই-তে জায়গা হয়েছে যথাক্রমে ৯৭ জন ও ২৫৫ জন ক্রিকেটারের।

একনজরে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের বিদেশি ক্রিকেটাররা-

ক্যাটাগরি-এ : কলিন ডি গ্রান্ডহোম (নিউজিল্যান্ড), এডাম লিথ (ইংল্যান্ড), শাই হোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ইজহারুল হক নাভিদ (আফগানিস্তান), শান মাসুদ (পাকিস্তান), জেমি ওভারটন (ইংল্যান্ড), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (শ্রীলঙ্কা), দাসুন শানাকা (শ্রীলঙ্কা), কুশাল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা), দিলশান মাদুশান (শ্রীলঙ্কা), লাহিরু কুমারা (শ্রীলঙ্কা), পাথুম নিশাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা), অভিষ্কা ফার্নান্দো (শ্রীলঙ্কা), চারিথ আসালঙ্কা (শ্রীলঙ্কা), চামিকা করুনারত্নে (শ্রীলঙ্কা), হায়দার আলি (পাকিস্তান)।

ক্যাটাগরি-বি : রাহকিম কর্নওয়াল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) , ম্যাথু পটস (ইংল্যান্ড), ওয়াকার সালামখিল (আফগানিস্তান), হযরতউল্লাহ জাজাই (আফগানিস্তান), রায়ান বার্ল (জিম্বাবুয়ে), সামিত প্যাটেল (ইংল্যান্ড), অ্যাডাম রসিংটন (ইংল্যান্ড), জর্ডান ক্লার্ক (ইংল্যান্ড), ইসুরু উদানা (শ্রীলঙ্কা), আহমেদ শেহজাদ (পাকিস্তান), উসামা মীর (পাকিস্তান), মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান), নিরোশান ডিকভেলা (শ্রীলঙ্কা), লেন্ডল সিমন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ইয়াসির শাহ (পাকিস্তান), সৌদ শাকিল (পাকিস্তান)।

ক্যাটাগরি-সি: স্কট এডওয়ার্ডস (নেদারল্যান্ডস), স্মিত প্যাটেল (যুক্তরাষ্ট্র), জর্জ ডকরেল (আয়ারল্যান্ড), স্যাম অ্যালেকজান্ডার (ইংল্যান্ড), ডমিনিক বেস (ইংল্যান্ড), ড্যানিয়েল জেমস (ইংল্যান্ড), বেঞ্জামিন জর্জ গ্রীন (ইংল্যান্ড), রেইমন রেইফার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), চ্যাডউইক ওয়ালটন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ফাওয়াদ আহমেদ (অস্ট্রেলিয়া), এনক্রুমাহ বনার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রস্টন চেইজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), লুথো সিপাম্লা (দক্ষিণ আফ্রিকা), ডুয়াইন ওলিভার (দক্ষিণ আফ্রিকা), অ্যান্ডুর টার্নার (ইংল্যান্ড), হারদুস ভিলজয়েন (দক্ষিণ আফ্রিকা), পল ওয়াল্টার (ইংল্যান্ড), জো ডেনলি (ইংল্যান্ড), অ্যাডাম হোজ (ইংল্যান্ড), উসমান শিনওয়ারি (পাকিস্তান), শারজিল খান (পাকিস্তান), লুক ওয়েলস (ইংল্যান্ড), মাইকেল রিপ্পন (নিউজিল্যান্ড), জ্যাক লিনিং (ইংল্যান্ড), স্টেফেন ইসকিনাজি (ইংল্যান্ড), নিক হবস (অস্ট্রেলিয়া), জ্যাকব বল (ইংল্যান্ড), শেন উইলিয়ামস (জিম্বাবুয়ে), শাহনেওয়াজ দাহানি (পাকিস্তান), দীনেশ চান্দিমাল (শ্রীলঙ্কা), কামরান আকমল (পাকিস্তান), রস হোয়াইটলি (ইংল্যান্ড), জ্যাকস স্নিম্যান (দক্ষিণ আফ্রিকা), দানুশকা গুনাথিলাকা (শ্রীলঙ্কা), জ্যাক লিনটট (ইংল্যান্ড), ওয়াফাদার মোমান্দ (আফগানিস্তান), দৌলত জাদরান (আফগানিস্তান), মুহাম্মদ ওয়াসিম (আমিরাত), বিনুরা ফার্নান্দ (শ্রীলঙ্কা), কাসুন রাজিথা (শ্রীলঙ্কা), চতুরাঙ্গা ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা), আসেন বান্দারা (শ্রীলঙ্কা), আরশাদ ইকবাল (পাকিস্তান), গ্রান্ট স্টেওয়ার্ট (ইংল্যান্ড), জেমস ফুলার (ইংল্যান্ড), সাদিরা সামারাবিরা (শ্রীলঙ্কা), আসিথ মাদুশাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা), দুনিথ ভেল্লালাগে (শ্রীলঙ্কা), হারিস সোহেল (পাকিস্তান), মোহাম্মদ ইমরান (পাকিস্তান), আব্দুল্লাহ শফিক (পাকিস্তান), জন সিম্পসন (ইংল্যান্ড), উমাইদ আসিফ (পাকিস্তান), আমির ইয়ামিন (পাকিস্তান), আম্মাদ বাট (পাকিস্তান), সালিম গুল (পাকিস্তান), আকিব জাভেদ (পাকিস্তান), আহমেদ দানিয়াল (পাকিস্তান), শোয়াইব মাকসুদ (পাকিস্তান)।

ক্যাটাগরি-ডি: এই ক্যাটাগরির উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ক্রিকেটার হলেন- ইমাম উল হক (পাকিস্তান), রবিন দাস (ইংল্যান্ড), কার্লোস ব্রাথওয়েট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) , কেন্নার লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), হেইডেন ওয়ালশ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), শেলডন কটরেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যামেরন ডেলপোর্ট (ইংল্যান্ড), উসমান গনি (আফগানিস্তান), সালমান ইরশাদ (পাকিস্তান), সালমান আলি আগা (পাকিস্তান), লরকান টাকার (আয়ারল্যান্ড), ম্যাট পার্কিংসন (আয়ারল্যান্ড), ইহসান আদিল (পাকিস্তান), বেন কাটিং (অস্ট্রেলিয়া), প্রবাথ জয়সুরিয়া (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু বালবির্নি (আয়ারল্যান্ড), কার্টিস ক্যাম্ফার (আয়ারল্যান্ড), ম্যাক্স ও’ডাউড (নেদারল্যান্ডস), মার্ক ওয়াট (স্কটল্যান্ড), মোহাম্মদ শাহজাদ (আফগানিস্তান), হাম্মাদ আজম (যুক্তরাষ্ট্র), উমর আকমল (পাকিস্তান), রুম্মান রইস (পাকিস্তান), জাহিদ মেহমুদ (পাকিস্তান), শ্যানন গ্যাব্রিয়েল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

ক্যাটাগরি-ই: এই ক্যাটাগরির উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ক্রিকেটার হলেন- জশুয়া ডি সিলভা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), হ্যারি টেক্টর (আয়ারল্যান্ড), উন্মুক্ত চাঁদ (যুক্তরাষ্ট্র), ক্রেইগ আরভিন (জিম্বাবুয়ে), জাফর গওহার (পাকিস্তান), সালিম শফি (আফগানিস্তান), কেসরিক উইলিয়ামস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), শরাফউদ্দিন আশরাফ (আফগানিস্তান), ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন, সোহেল তানভির (পাকিস্তান), মিনোদ ভানুকা (শ্রীলঙ্কা), রোহাইল নাজির (পাকিস্তান), সরফরাজ আহমেদ (পাকিস্তান), রমেস মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা), শাহান আরাচিগে (শ্রীলঙ্কা)।

খেলাধুলা

এশিয়া কাপের মঞ্চে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বসল বাংলাদেশ-ভারতের লড়াই। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটিতে জয়-পরাজয় কোনো দলের জন্যই জরুরি ছিল না। কারণ ফাইনালিস্ট আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে।

তবে এশিয়া কাপের মঞ্চে বাজে পারফর্ম করা বাংলাদেশের জন্য একটা জয় ছিল খুব প্রয়োজনীয়। ভারতকে ৬ রানে হারিয়ে সেই আরাধ্য জয়টাই আজ তুলে নিল সাকিব আল হাসানের দল।
রান তাড়ায় নেমে অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিবের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় বৈধ বলেই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (০) এনামুলের তালুবন্দি করেন তানজিম।

ফিরতি ওভারে এসেই তিনে নামা তিলক ভার্মাকে (৫) বোল্ড করে দেন এই পেসার। ১৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অপর ওপেনার শুভমান গিল এবং লোকেশ রাহুল হাল ধরেন। এই দুজনের ৫৭ রানের জুটি ভাঙে মেহেদি মিরাজের বলে লেকেশ রাহুল (১৯) আউট হওয়ায়। নতুন ব্যাটার ইশান কিশানকে (৫) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।

রিভিউ নিয়ে্ বাঁচতে পারেননি ইশান। ৩৩তম ওভারে নিজের প্রথম শিকার ধরেন সাকিব।

২৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ভাঙে ৪৫ রানের আরেকটি জুটি। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা (৭)।

কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার শুভমানের সেঞ্চুরি আটকানো যায়নি। ১১৭ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ। ৮ চার ৫ ছক্কায় ১২১ রান করা সেই শুভমানকে থামান শেখ মেহেদি। ক্যাচ নেন হৃদয়। তবে অক্ষর প্যাটেল আর শার্দুল ঠাকুরের ২৭ বলে ৪০ রানের ৮ম উইকেট জুটিতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় ভারত। শেষ ১২ বলে তাদের প্রয়োজন হয় ১৭ রানের।

৪৯তম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে (১১) তুলে নেন মুস্তাফিজ। স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মিরাজ। তৃতীয় বলে অক্ষরের বাউন্ডারি হজম করে পরের বলেই তাকে তানজিদের তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪২ রান করেন অক্ষর। শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। তাননজিম সাকিবের প্রথম তিন বলে কোনো রান না এলেও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকান মোহাম্মদ শামি। শেষ বলে শামি রানআউট হয়ে গেলে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ভারত। বাংলাদেশ পায় ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়।

এর আগে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার লিটন দাস (০) এবং তানজিদ তামিম (১৩) আউট হয়ে যান। শার্দুল ঠাকুরের শিকার হওয়ার আগে প্রথমবার টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ১১ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্রুত তিন উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি মিরাজ। ১৩ রান করে মিরাজ আউট হলে সাকিবের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটি একশ ছাড়াতেই ছন্দপতন। চার বছর ধরে ওয়ানডে সেঞ্চুরি অপেক্ষায় থাকা সাকিব শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে যান।

বাংলাদেশ অধিনায়কের ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার। সাত নম্বরে নেমে শামীম পাটোয়ারী ১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। তাওহীদ হৃদীয় আউট হন ৮১ বলে ৫৪ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ২ ছক্কা। শেষদিকে নাসুম আহমেদ ৪৫ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৪ এবং শেখ মেহেদি ২৩ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২৯* রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৬৫ রান। ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন ৩২ রানে ২টি।