জাতীয়

বরাবরের মতো বর্ষবরণ আয়োজন করবে ছায়ানট। এবারের আয়োজনটি হবে ২ ঘণ্টার। এই সময় মুক্তির গান গাইবেন তারা। শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা।

ভোরবেলা ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে হবে ছায়ানটের ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বরণের সূচনা। এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসবার গান, দেশপ্রেম-মানবপ্রেম আর আÍবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সব মিলিয়ে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান থাকবে পুরো আয়োজনে।

ছায়ানট এবার ৫৮তম বর্ষবরণের এই আয়োজন করছে। ১৯৬৭ সালে নগরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিল ছায়ানট। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বছর ছাড়া প্রতিটি পহেলা বৈশাখেই সে অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবার নিজেদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুনকে ছাড়া বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে ছায়ানট।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ্ ও জয়ন্ত রায়। এ সময় জানানো হয়, পহেলা বৈশাখ নতুন বছরের প্রথম দিন ভোর সোয়া ৬টায় আয়োজন শুরু হবে। ছায়ানটের এবারের আয়োজনের বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।’

লিখিত বক্তব্যে লাইসা আহমদ লিসা বলেন, বিশ্বব্যাপী যেমন ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, তেমনি এ দেশেও ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবুও আমরা আশাহত হই না, দিশা হারাই না, স্বপ্ন দেখি হাতে হাত রেখে সকলে একসঙ্গে মিলবার, চলবার। বাঙালি জাগবেই, সবাই মিলে সুন্দর দিন কাটানোর সময় ফিরবেই। সার্থক হবেই হবে, মানুষ-দেশ, এ পৃথিবীকে ভালোবেসে চলবার মন্ত্র।

তিনি জানান, এবারের অনুষ্ঠানটি ৯টি সম্মেলক, ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছে। সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।

রমনা উদ্যান থেকে এই আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ছায়ানট তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকেও অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক জানান, বরাবরের মতোই নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার এই আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে অক্লান্ত সেবা দিয়ে চলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।

ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, এই প্রথম ছায়ানট বর্ষবরণ আয়োজন করছে, যখন সনজীদা খাতুন নেই। তার যে চিন্তা, আমরা যেন ছড়িয়ে দিতে পারি। আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে করতে পারা এবং বর্ষবরণের মর্মবাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারাটাই হবে সনজীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানানো।

জাতীয়

গাজীপুরে রাকিব মোল্লা নামে এক কৃষক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।

নিহত রাকিব মোল্লা (৩২) মহানগরের ৩১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে। তিনি পতিত স্বৈরাচার সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হকের প্রতিবেশী ও ৩১নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর এবং সদর মেট্রো থানা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আলমাস মোল্লার ভাতিজা।

রাকিব মোল্লা গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই কমিটির সদস্য সচিব খান মো. জাহিদুল ইসলাম।

নিহতের ভাতিজা রোপণ জানান, তার চাচা রাকিব মোল্লাকে পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে মাথায়, ঘারে, কাঁধে ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। তাকে অন্তত ২০টি আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান জানান, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য তার মৃত্যু হতে পারে।

জাতীয়

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। দলমত নির্বিশেষে শেষে কর্মসূচিতে বিপুল লোকসমাগমের আভাস মিলছে।

পুলিশ বলছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) একটি বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে। এই সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সজাগ রয়েছেন গোয়েন্দারাও।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলানিউজকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি পৃথক ট্রাফিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে গোয়েন্দারা সজাগ রয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসূচির নিরাপত্তার জন্য অলরেডি আমাদের সাইবার টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ডিবির ৪২টি টিম কাজ করছে। সুন্দরভাবে যেন এই কর্মসূচি সফল হতে পারে সেজন্য যতরকম গোয়েন্দা নজরদারি আছে সব জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আজ শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ওই গণজমায়েতে উপস্থিত থাকবেন ইসলামিক স্কলার শায়েখ আহমাদুল্লাহ। তিনি সবার উদ্দেশ্যে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

মার্চ ফর গাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি নির্দেশিকা জানিয়ে ওই পোস্টে আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ‘সকল শ্রেণিপেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই। ’

নির্দেশনার বিষয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন-

১.সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হব।

২. আসার পথ কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্কসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখব। মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিক্যাল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।

৩. যেকোনো পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

৪. শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব।

৫. জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।

শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের ডাকা এ কর্মসূচি।

জাতীয়

চাষ করতে হয় না, নেই উৎপাদন খরচও। তারপরও কয়েক বছর ধরে নাগালের বাইরে ইলিশের দাম। আর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ‘পহেলা বৈশাখ’ এলেই ব্যবসায়ের উপলক্ষ্য হয় এই মাছ। বিক্রেতারা বাড়তি মুনাফা করতে নেমে পড়ে প্রতিযোগিতায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। নববর্ষের দুই দিন আগেই খুচরা বাজারে ইচ্ছামতো দাম হাঁকানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন- বড় আকারের প্রতি কেজি ইলিশ সর্বোচ্চ ৩৫০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এতে পান্তার সঙ্গে ইলিশ খেতে উচ্চবিত্তরা শখ করে কিনলেও মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষের পাতে তোলা যেন বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২৪০০ টাকায়। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৩০০-১৫০০ টাকা। এছাড়া দেড় কেজি ওজন ও তারও বেশি ওজনের ইলিশ ২৭০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ১ কেজি ৩০০ গ্রামের ইলিশ ২৫০০-২৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে ‘রুপালি ইলিশের’ দাম আকাশচুম্বী। খুচরা ব্যবসায়ীরা আধাকেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছেন কেজিপ্রতি ২০০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা। আর এক কেজি বা তারও বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকার ওপরে।

রাজধানীর কাওরান বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. শুক্কুর আলী বলেন, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ এলেই ইলিশের চাহিদা বাড়ে। বাজারে বেশির ভাগ বড় আকারের ইলিশ হিমাগারে মজুত ছিল। সেগুলো এখন বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ছোট আকারের যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা সাগরের ধরা মাছ।

কাওরান বাজারে ইলিশ কিনতে আসা আরমান বলেন, নববর্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়া এক ধরনের নিয়মে পরিণত হয়েছে। তাই পরিবারের জন্য দেড় কেজি ওজনের দুটি ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছি। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি।

একই বাজারে মাছ কিনতে এসেছেন মো. জসিম। তিনি বলেন, বিক্রেতাদের কারসাজিতে কয়েক বছর ধরে ইলিশের দাম বাড়ছে। মূল্য বাড়িয়ে বিক্রেতারা ইচ্ছা করে ইলিশ উচ্চবিত্তের খাবারে পরিণত করেছে। এজন্য স্বাভাবিকভাবেই ইলিশ কিনতে পারছি না। আর পহেলা বৈশাখ ঘিরে একটি মাছ কিনতে এসে দেখি দাম আকাশচুম্বী। এজন্য ইলিশ না নিয়েই বাড়ি ফিরছি।

এদিকে পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার চর্চা ‘বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে ইলিশ খায় কেমন করে, পহেলা বৈশাখে তো ইলিশ পাওয়ার কথা নয়। আসলে পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। তবুও ঢাকায় এটা চালু করা হয়েছে।

অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে একাধিক সবজি কেজিপ্রতি ফের ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজির কেজি ১০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি টমেটো ৪০-৫০ টাকা, কচুরলতি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৯০ টাকা, পেঁপে ও শিম ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৬০ এবং শজিনে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি বিভিন্ন মাছের দামও। শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৮০০-১০০০ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগেও ৭০০-৮৫০ টাকা ছিল। চাষের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭৫০ টাকা। প্রতি কেজি টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি শিং বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকা, শোল ৮০০-৮৫০ টাকা, পুঁটি ৬০০-৮০০ টাকা। বড় আকারের রুই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, পাঙাশ ও তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা।

জাতীয়

বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে আঞ্চলিক সংযোগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বৃদ্ধি করা। কারণ, এই ব্লকটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে বৃহত্তর সংহতকরণের চেষ্টা করছে।

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চলমান ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষে এই হস্তান্তরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সাত সদস্যের আঞ্চলিক ব্লক: বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের নেতারা ‘সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক এবং উন্মুক্ত বিমসটেক’ থিমের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হয়েছেন।

যারা এই বছরের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে, বাংলাদেশ সেই থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

এই স্থানান্তর অনুষ্ঠানটি একটি আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। সেখানে থাই প্রধানমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তব্য রাখবেন এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তার মেয়াদকালে ব্লকের জন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।

বিমসটেকের সনদ অনুসারে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চেয়ারম্যানের পদ বর্ণানুক্রমিকভাবে আবর্তিত হয়।

আজ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয় অংশগ্রহণকারী নেতাদের একটি প্রতীকী গ্রুপ ছবির মাধ্যমে। এরপর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, বিদায়ী বিমসটেক সভাপতি স্বাগত ভাষণ দেন।

মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্যান্য বিমসটেক নেতারা আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে তাদের দেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বিবৃতি প্রদান করেন।

সকালে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস থাই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রাতঃরাশের বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে বিমসটেক কাঠামোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিমসটেক আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য বিশেষ করে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, পরিবহন, জ্বালানি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমানভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ঢাকার বিআইএমএসআরইসি সচিবালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকায়, দেশটি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সুবিধা, অবকাঠামোগত সংযোগ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির ওপর মনোনিবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন বিমসটেক চেয়ার এখন সংগঠনের এজেন্ডা পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, আঞ্চলিক ব্লকটি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে কৌশলগত ভূমিকা পালন করে চলেছে।

জাতীয়

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য চিহ্নিত করেছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। একইসাথে তাদেরকে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে নিশ্চয়তা দিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে এই মূল তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।

আরো ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে চূড়ান্ত যাচাই বাছাইয়ের জন্য ছবি ও নাম মিলিয়ে দেখার কাজ চলমান রয়েছে।

আজ ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শিউ এই তথ্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে জানান।

এই প্রথম মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একটি নিশ্চিত প্রত্যাবর্তনের তালিকা প্রদান করল, যা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, মূল তালিকায় থাকা বাকি ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।

বৈঠকে ড. খলিলুর রহমান মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বলেন, দুর্যোগকবলিত মানুষের জন্য বাংলাদেশ অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।

জাতীয়

মেহমানদারি নবী-রাসুলদের আদর্শ। কেউ কারো মেহমান হলে মেজবানের দায়িত্ব মেহমানকে আপ্যায়ন করা, এটি নবীজির সুন্নত। মেজবানের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় মেহমানেরও একটি দোয়া পড়া সুন্নত।

রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- মানুষের প্রতি যে কৃতজ্ঞ হয় না, সে তো আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ হয় না। -সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৪৮১৩

এ কৃতজ্ঞতা-প্রাপ্তি মেজবানের অধিকার। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে এবং তার জন্যে দোয়া করতে হবে। কখনো দোয়ার মধ্য দিয়েও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবীজী থেকে বর্ণিত দুটি দোয়া-

اللّهُمّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِيْ، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আতয়িম মান আতয়ামানি, ওয়াসকি মান সাকানি

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে যে খাইয়েছে তুমিও তাকে খাওয়াও, আমাকে যে পান করিয়েছে তুমিও তাকে পান করাও। -মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২৩৮০৯

أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الأَبْرَارُ، وَصَلّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ.

উচ্চারণ: ‘আফতারা ইনদাকুমুস সা-ইমুন, ওয়া আকালা তা-আমাকুমুল আবরার, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা’।

রোজাদারেরা তোমাদের নিকট ইফতার করুক, নেককার লোকেরা তোমাদের খাবার গ্রহণ করুক আর ফেরেশতারা তোমাদের জন্যে দোয়া করুক। -সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৩৮৫৬

আবুল হায়ছাম রা. নামের এক সাহাবী একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এবং তার সঙ্গীদের খাবারের দাওয়াত দিলেন।

খাবার শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এবার তোমরা তোমাদের ভাইকে প্রতিদান দাও। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার প্রতিদান কী? তিনি বললেন-

إِنّ الرّجُلَ إِذَا دُخِلَ بَيْتُهُ فَأُكِلَ طَعَامُهُ وَشُرِبَ شَرَابُهُ فَدَعَوْا لَهُ فَذَلِكَ إِثَابَتُهُ.

কারও বাড়িতে গিয়ে যখন তার খাবার-পানীয় গ্রহণ করা হয়, এরপর (দাওয়াতগ্রহীতাগণ) তার জন্য দোয়া করে, তা-ই তার প্রতিদান। -সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৩৮৫৫

কোনো সাহাবির বাসায় দাওয়াত খেলে নবিজি অনেক সময় এ দোয়াটিও করতেন,

‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফিমা রাজাকতাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।

অর্থ: হে আল্লাহ! তাদের যে রিজিক দিয়েছ তাতে বরকত দান করুন, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।

জাতীয়

জুলাই আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ ৭ বছরের শিশু বাসিত খান মুসাকে দেখতে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের (বিএনএফডব্লিউএ) প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সুলতানা।

তিনি হাসপাতালে পৌঁছে মুসার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে খবর নেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। শুক্রবার আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ৭ বছরের শিশু বাসিত খান মুসা দীর্ঘ ৫ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছে। শুক্রবারই সিএমএইচ ছুটে যান বিএনএফডব্লিউএর প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সুলতানা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে দাদির সঙ্গে আইসক্রিম কিনতে যায় মুসা। এ সময় দাদি মায়া ইসলামসহ দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। পরদিনই তার দাদি মারা যান। মুসার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ মুসাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ২৬ আগস্ট তাকে সিএমএইচ ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ অক্টোবর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানকার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে দীর্ঘ ৫ মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে শিশু মুসা।

জাতীয়

শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড সরাইল নামে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে পোস্টটি দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পরে। এ ঘটনার মধ্যে এসিল্যান্ড সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর সেখানে উপস্থিত উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পরেন এসিল্যান্ড সিরাজুম মুনিরা কায়ছান।

এরপর তিনি মাঠ থেকে দ্রুত অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। পোস্ট দেওয়ার প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে তা মুছে ফেলা হয়। পরে অপর একটি পোস্ট থেকে ফেসবুক হ্যাক করে করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে এ ঘটনাকে সরাইল উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এটি নাটক বলে দাবি করে এসিল্যান্ডকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।

এর পরই কায়ছানকে তার দায়িত্ব থেকে প্রাথমিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। তিনি বলেন, ঘটনাটি তাৎক্ষণিক জানতে পেরে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে এ বিসয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি জানিয়েছেন, এ আইডির পাসওয়ার্ড অনেকের কাছে ছিল। তিনি এ পোস্টটি করেননি বলে দাবি করেছেন। পোস্টটি দেখে মুছে দিয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টটিতে যা লেখা ছিল

‘পৃথিবীর বুকে বাংলার নাম আজ উজ্জ্বল, লড়াইয়ের ইতিহাসে লেখা হলো অনন্য মহিমা, সেখানে বীরত্বের গান বাজে নিঃশব্দে, শাসকগোষ্ঠীর শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির সীমানা। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম গণহত্যা চালায়। সেদিন রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন- বাংলাদেশ স্বাধীন! এরপর শুরু হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়, কিন্তু এর ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ২৬শে মার্চেই। তাই এই দিনটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, সংগ্রামের চেতনা এবং আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল।’

‘আমাদের স্বপ্ন- একটি দুর্নীতিমুক্ত, প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত বাংলাদেশ। যেখানে সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে, শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে, অর্থনীতি হবে স্বনির্ভর এবং সর্বোপরি-গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার থাকবে সুসংহত। অর্জিত স্বাধীনতা কেবল একটি ঘটনা নয়, জীবনধারার প্রাত্যহিকতায় মুক্তির আবেশ দায়িত্ব এ দেশের প্রতিটি সন্তানের কাঁধে, আগামী দিনে গড়তে হবে সোনার বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা…’

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর তপু জানান, সরাইলের এসিল্যান্ড ফ্যাসিবাদের দোসর। তার ফেসবুক হ্যাক হয়েছে এ নাটক কাজ হবে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা কায়ছানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসেন জানান, এসিল্যান্ড দাবি করেছেন লেখাটি তিনি লিখেননি। এ আইডির পাসওয়ার্ড অনেকের কাছে ছিল। জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেছেন তাকে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্যে। আপাদত তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাতীয়

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য রনজিত কুমার রায়, তার স্ত্রী নিয়তি রানী রায়, দুই ছেলে রাজীব কুমার রায় এবং সজিব কুমার রায়ের চারটি ফ্ল্যাট, দুটি বাড়ি, ৬০টি দোকানসহ ৭৯ দশমিক ৬২ বিঘা জমি জব্দ ও ১৩৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ টাকা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। দুদকের পক্ষে সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. সাজিদ-উর-রোমান এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, রনজিত কুমার রায়, নিয়তি রায়, তাদের সন্তান রাজীব কুমার রায় ও সজিব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত ধারায় অপরাধ করাসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগসংশ্লিষ্টদের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। তাদের স্থাবর সম্পদগুলো ক্রোক করা না হলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াফত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সাবেক এমপি হাবিবের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ : দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য মো. হাবিবর রহমানের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৭টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৫৮২ টাকা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।