আন্তর্জাতিক

তাইওয়ান ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের বিরোধিতার মুখে চীনা প্রেসিডেন্ট

তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শি জিনপিং। কর্তৃত্ববাদী এই প্রেসিডেন্টের নজর রয়েছে স্বশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানে৷ এছাড়া জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গেও মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রাখছেন তিনি। এর জেরে বিশ্বনেতাদের বিরোধিতার মুখে জিনপিং।

দ্য সিঙ্গাপুর পোস্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার অবকাশ কেন্দ্র বালি দ্বীপে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে বৈশ্বিক অঙ্গনে চীনের প্রভাব জানান দেওয়ার চেষ্টা করেন জিনপিং। কিন্তু এ সময় পশ্চিমা নেতাদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েন তিনি।

সম্মেলনের সাইড লাইনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ কয়েকটি দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। যেখানে সবাই তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের আগ্রাসী আচরণ সম্পর্কে সতর্ক করে। এছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধেও বেইজিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানান নেতারা।

গণতান্ত্রিক উপায়ে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আবারো একত্রীত করতে মুখিয়ে আছে চীন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেন, তাইওয়ানকে পুনরায় একত্রিত করতে প্রয়োজনে তারা শক্তির প্রয়োগ করবে।

তবে চীনের এই চোখ রাঙানিতে দমেনি তাইওয়ান। প্রতিবারই চীনের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছে তাইপে। উত্তেজনা শুরুর পর থেকেই দ্বীপরাষ্ট্রটি বলে আসছে, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ইস্যুতে বেইজিংয়ের সঙ্গে কখনো আপস করবে না তারা।

জিওপলিটিকা. ইনফো জানিয়েছে, শেষ ফলাফল যাই হোক, এটা স্পষ্ট যে কমিউনিস্ট পার্টি ও শি জিনপিংয়ের জন্য তাইওয়ান অন্যতম প্রধান সমস্যা। আর তাই তৃতীয় মেয়াদে জিনপিংয়ের পূর্ণ মনোযোগ থাকবে অঞ্চলটির দিকে। আর সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হচ্ছে- স্বাধীনতার বিষয়ে চীনের একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না তাইওয়ান।

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে একটি গৃহযুদ্ধে বিভক্ত হয়ে যায় চীন ও তাইওয়ান। সম্প্রতি দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত করতে তৎপরতা চালাচ্ছে বেইজিং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *