খেলাধুলা

ব্যাটারদের পর বোলারদের অসাধারন নৈপুন্যে ওয়ানডে বিশ^কাপ ইতিহাসে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে লজ্জার হার উপহার দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

আজ দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। নিজেদের বিশ^কাপ এবং ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার ইংলিশদের। এর আগে ইংল্যান্ডের বড় হার ছিলো ২২১ রানের। ২০২২ সালে মেলবোর্নে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২২১ রানে হেরেছিলো ইংলিশরা।

এই জয়ে ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে থাকলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে নবমস্থানে নেমে গেল ইংলিশরা। ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট আছে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস-শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানেরও। পয়েন্ট সমান হলেও রান রেট বিবেচনায় বাংলাদেশ ষষ্ঠ, নেদারল্যান্ডস সপ্তম, শ্রীলংকা অষ্টম এবং সর্বশেষ দল হিসেবে দশমস্থানে আছে আফগানিস্তান। ৪ ম্যাচে সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ দু’টি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে- নিউজিল্যান্ড ও ভারত।

হেনরিচ ক্লাসেনের সেঞ্চুরির সাথে তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬৭ বলে ১০৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান প্রোটিয়াদের। জবাবে ২২ ওভারে ১৭০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।

মুম্বাইয়ে টস জিতে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম বলেই চার মারেন প্রোটিয়ার ওপেনার কুইন্টন ডি কক। পেসার রিচ টপলির পরের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ডি কক। শুরুতে ডি কককে হারানোর চাপ দলকে বুঝতে দেননি আরেক ওপেনার হেনড্রিক্স ও তিন নম্বরে নামা ডুসেন। ১৭তম ওভারে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান দু’জনে। ৪৯ বলে ডুসেন ওয়ানডেতে ১৩তম এবং ৪৮ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ অর্ধশতক করেন হেনড্রিক্স।

২০তম ওভারে ৮ চারে ৬১ বলে ৬০ রান করা ডুসেনকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার আদিল রশিদ। ১১৬ বলে দলের স্কোরে ১২১ রান যোগ করেন ডুসেন ও হেনড্রিক্স।

তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক আইডেন মার্করামের সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করে বেশি দূর যেতে পারেননি হেনড্রিক্স। তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান রশিদ। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ বলে ৮৫ রান করা হেনড্রিক্সকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রশিদ।

হেনড্রিক্সের সাথে না পারলেও চতুর্থ উইকেটে ক্লাসেনের সাথে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন মার্করাম। তাদের জুটিতে দলের রান ২শ পার হয়। ৩৫তম ওভারে মার্করামকে ৪২ রানে থামিয়ে ইংল্যান্ডকে আনন্দে মাতান টপলি।

ছয় নম্বরে নামা ডেভিড মিলারকে দুই অংকের কোটা পার করতে দেননি টপলি। ৫ রানে বিদায় নেন তিনি। ৩৭তম ওভারে ২৪৩ রানে মিলার ফেরার পর দলের বড় স্কোরের পথ তৈরি করেন ক্লাসেন ও মর্কো জানসেন। ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলে ৪৭তম ওভারে ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পান ৬১ বল খেলা ক্লাসেন। বিশ^কাপে দ্রুততম সেঞ্চুরিতে এটি ষষ্ঠস্থানে। এবারের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৫ সালেও এক আসরে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলো প্রোটিয়া ব্যাটাররা।

ক্লাসেনের সেঞ্চুরির পর শেষদিকে মারমুখী রুপ নেন জানসেন। ইনিংসের শেষ ৩ ওভারে ১০ বল খেলে ৪০ রান তুলেন জানসেন। ৩৫ বলে ওয়ানডেতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন জানসেন।

শেষ ওভারের প্রথম বলে পেসার গাস অ্যাটকিনসনের বলে আউট হন ক্লাসেন। ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৭ বলে ১০৯ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম বিশ^কাপ খেলতে নেমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসে এটি তৃতীয়স্থানে জায়গা পেয়েছে।
ষষ্ঠ উইকেটে জানসেন-ক্লাসেন ৭৭ বলে ১৫১ রান যোগ করেন। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ষষ্ঠ বা তার নীচের দিকের উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।

ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রানের পাহাড় সমান রান এনে দেন জানসেন। শেষ ১০ ওভারে ১৪৩ রান পায় প্রোটিয়ারা। এরমধ্যে শেষ ৫ ওভারে ৮৪ রান ছিলো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানেডেতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান দক্ষিণ আফ্রিকার। এই নিয়ে প্রথমে ব্যাটিং করে টানা ষষ্ঠবার ৩শর বেশি রান করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪২ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করেন জানসেন।

টপলি ৮.৫ ওভারে ৮৮ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া অ্যাটকিনসন-রশিদ নিয়েছেন ২টি কওে উইকেট।

৪০০ রানের পাহাড় সমান টার্গেটে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার চার পেসারের তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ১০০ রানে ৮ উইকেট হারায় তারা। জনি বেয়ারস্টো ১০, ডেভিড মালান ৬, জো রুট ২, বেন স্টোকস ৫, হ্যারি ব্রুক ১৭, অধিনায়ক জশ বাটলার ১৫, ডেভিড উইলি ১২ ও আদিল রশিদ ১০ রানে ফিরেন। এ অবস্থায় বিশ^কাপ ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাজনক হারের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড।

কিন্তু নবম উইকেটে ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের উপর তান্ডব চালান লোয়ার অর্ডারের দুই ব্যাটার অ্যাটকিনসন ও উড। চার-ছক্কার বন্যায় ৩২ বল খেলে ৭০ রান তুলে ইংল্যান্ডকে লজ্জার হারের মুখ থেকে রক্ষা করেন তারা। ২২তম ওভারে স্পিনার কেশব মহারাজ ইংল্যান্ডের নবম উইকেট হিসেবে অ্যাটকিনসনকে তুলে নিলে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ইনজুরির কারনে ব্যাটিং করেননি টপলি।

অ্যাটকিনসন ৭টি চারে ২১ বলে ৩১ রানে আউট হলেও, ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন উড। দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়েৎজি ৩৫ রানে ৩টি, লুঙ্গি এনগিডি-জানসেন ২টি করে এবং কাগিসো রাবাদা-মহারাজ ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ক্লাসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : 

দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৯৯/৭, ৫০ ওভার (ক্লাসেন ১০৯, হেনড্রিক্স ৮৫, জানসেন ৭৫*, টপলি ৩/৮৮)।

ইংল্যান্ড : ১৭০/১০, ২২ ওভার (উড ৪৩*, অ্যাটকিনসন ৩৫, কোয়েৎজি ৩/৩৫)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৯ রানে জয়ী।

খেলাধুলা

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আফগানরা। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৬৯ রানে হারাল আফগানরা। এশিয়ার উঠতি দলটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোনো ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল।

ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে উভয় দল অতীতে পাঁচ ম্যাচে অংশ নেয়। অতীতের সেই পাঁচবারের দেখায় একক আধিপত্য বিস্তার করে জয় পায় ইংল্যান্ড।

রোববারের আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুইবার দেখা হয় আফগানিস্তান-ইংল্যান্ডের। সেই দুই ম্যাচে জয় পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু আজ ভারতের দিল্লির অরুন জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৮৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

দলের হয়ে ৫৭ বলে ৮টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন ওপেনার রমানউল্লহা ‍গুরবাজ। ৬৬ বলে তিন চার আর দুটি ছক্কায় ৫৮ রান করেন ইকরাম আলি খিল। ২৮ রান করে করেন ইবরাহিম জাদরান ও মুজিব উর রহমান।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুজিব উর রহমান-রশিদ খান ও মোহম্মদ নবিদের স্পিন আর ফজলহক ফারুকি-নাভিন উল হকের গতিতে বিধ্বস্ত হয়ে ৪০.৩ ওভারে ২১৫ রানেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে ৬১ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন হ্যারি ব্রুকস। এছাড়া ৩২ রান করেন ওপেনার ডেভিড মালান।

আফগানিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন স্পিনার রশিদ খান ও ‍মুজিব উর রহমান। দুই উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। একটি করে উইকেট নেন পেসার নাভিন উল হক ও ফজলহক ফারুকি।

খেলাধুলা

দাপুটে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে প্রচণ্ড চাপে ফেলে দিয়েছে আফগানিস্তান। ১১৭ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৩৪ রান। দলটির স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে টিকে আছেন শুধু হ্যারি ব্রুক। প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে বলার মতো রানও এসেছে কেবল ব্রুকের ব্যাট থেকেই। এরইমধ্যে ৪৫ বলে ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি।

বাকিদের মধ্যে রানের দেখা পেয়েছেন কেবল ওপেনার ডেভিড মালান। তার ৩৯ বলে ৩২ রানের ইনিংসটি থামিয়েছেন আফগান স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো আউট হয়েছেন মাত্র ২ রান করে। দ্বিতীয় ওভারে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর জো রুট (১১) ও অধিনায়ক বাটলার (৯) ফেরেন দ্রুতই। দলীয় ৯১ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড পরে ১১৭ রানে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায়। রশিদ খানের বলে লিয়াম লিভিংস্টোন (১০) এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে লক্ষ্যের অনেক দূরে থাকতেই দলের পঞ্চম উইকেট হারায় ইংলিশরা। তখনও একপ্রান্ত আগলে রাখেন ব্রুক।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া একাদশের প্রতি আস্থা রেখে দল সাজিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে একটি পরিবর্তন এসেছে আফগানিস্তানের একাদশে। টুর্নামেন্টের প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা দলটি আজ নাজিবউল্লাহ জাদরানের পরিবর্তে খেলাচ্ছে ইকরাম আলী খিলকে।

ইংল্যান্ডের আমন্ত্রণে আগে ব্যাটিং নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ঝোড়ো শুরু পায় আফগানরা। ক্রিস ওকস, রিস টপলি ও স্যাম কারানের মতো পেসারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেন দুই ওপেনিং ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহীম জাদরান। এর মধ্যে ৩৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ। একই পথে হাঁটছছিলেন ইব্রাহীমও। তাদের জুটি শতরান পার হওয়ার পর আঘাত হানেন আদিল রশিদ। এই ইংলিশ লেগ স্পিনারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইব্রাহীম। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ২৮ রান।

দলীয় ১১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তান পরবর্তী ৮ রানে আরও দুই উইকেট হারায়। ১৯তম ওভারে আদিল রশিদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন রহমত শাহ (৩)। পরের বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন দারুণ খেলতে থাকা রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রান।

পাঁচে নামা ওমরজাই ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও টিকতে পারেননি। ২৪ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ক্রিস ওকসের ক্যাচ হয়ে। অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহীদিও (১৪) পারেননি ধাক্কা সামাল দিতে। রুটের নিরীহদর্শন স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ নবিও (৯)। তবে সেখান থেকে লড়াই শুরু করেন ইকরাম আলিখিল ও রশিদ খান। একপ্রান্ত আগলে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে নিয়ে যান আলিখিল। ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। এরপর এক বল হাতে রেখে অলআউট হওয়ার আগে রশিদ খান (২৩) ও মুজিব উর রহমান (২৮)-এর ছোট দুটি ইনিংসে ভর করে ২৮৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা।

খেলাধুলা

স্বপ্নের ফানুস উড়েছিল বেশ। প্রথম ম্যাচের আগে-পরে দলকেও লেগেছিল বেশ ফুরফুরে।

সময় বদলেছে। দ্বিতীয় ম্যাচের পর বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারটা অবশ্য খুব বেশি অপ্রত্যাশিত ছিল না বাংলাদেশের জন্য। প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বলে কথা! কিন্তু হারের ধরনেই মূলত ছিল হতাশা।

চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাই বেশ সিরিয়াস ছিলেন ক্রিকেটাররা। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলন করেছেন সবই। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর দলের ভেতরের কথোপকথন।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় টুর্নামেন্টে আমরা ভালো শুরু করেছি। সত্যি বলতে আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলতে পারি নাই। আমরা এই ম্যাচ নিয়ে এতো বেশি চিন্তিত না। সামনের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করি, ভালো একটা ম্যাচ খেলতে পারব। ’

‘সেই ম্যাচ হারের পর দলের আলোচনা সেরকম কিছু ছিল না। লম্বা একটা টুর্নামেন্ট। এমন না যে ৯ ম্যাচেই আমরা জিতবো। এখানে হার-জিত থাকবে। এখান থেকে আমরা কিভাবে ক্যামব্যাক করতে পারি, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ দলের সামনে এখন কঠিন তিন প্রতিপক্ষ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর পুনেতে নামতে হবে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে। এর পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি কি তাই সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ?

শান্তর জবাব, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জন্য জরুরি। আমার মনে হয় না, এখনই সেমিফাইনাল নিয়ে চিন্তা করা খুব জরুরি। একটা একটা করে ম্যাচ যেতে চাই। যদি কালকের (আজ) ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করি তাহলে যে লক্ষ্যটা থাকবে সেখানে বেশ ভালভাবে এগোতে পারব। ’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ১১তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডে। শুক্রবার ভারতের চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় খেলাটি শুরু হবে।

এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড চলতি বিশ্বকাপে দুটি করে ম্যাচ খেলে। সেই দুই ম্যাচে টানা জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দেয় কিউইরা।

অন্যদিকে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে আসরের শুভ সূচনা করে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তা পায়নি টাইগাররা।

আজ তূতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে যাওয়া নিউজিল্যান্ডকে মোকাবেলা করবে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারেল মিচেল, টম ল্যাথাম, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, ইশ সোধি ও ট্রেন্ট বোল্ট।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:  লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

খেলাধুলা

ক্রিকেট বিশ্বকাপের রেকর্ড ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়া। তাদেরকে স্রেফ উড়িয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।

বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ১০ম ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অসিদের পরাস্ত করে প্রোটিয়ারা।

এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪২৮ রান করে ১০২ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতের লখনৌতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরিতে (১০৯) ভর করে ৭ উইকেটে ৩১১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭০ রানে ৭ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া।

এরপর মার্নাস লাবুশেন, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের ৪৫, ২৭ ও ২২ রানের সুবাদে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয় অসিরা।

কাগিসো রাবাদা, তাবরিজ শামছি ও কেশভ মহারাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

খেলাধুলা

তাসকিন আহমেদ জিম থেকে বেরিয়েছেন কেবল। কৌতূহলী সাংবাদিকরা দু-চারটা কথা বের করতে চাইছিলেন তার মুখ থেকে।

তিনি কেবল বললেন ‘ভালো আছি। আজকে শুধু জিম করলাম। ’ এরপর তিনি চেপে বসলেন মাঠে আসা পাঁচ ক্রিকেটারের জন্য আনা ছোট বাসটিতে।

এর আগে মুশফিকুর রহিম-তানজিম হাসান সাকিব বের হলেও কথা বলেননি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। ম্যাচের আগে ও পরে ছাড়া তাদের কারোরই কথা বলার অনুমতি নেই। এসবের পেছনে আছেন একজন- সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপ শুরুর মাস কয়েক আগে অনেকটা নাটকীয়ভাবে অধিনায়কত্ব দেওয়া তাকে।

কয়েকদিন আগে সাকিব জানিয়েছেন, নেতৃত্ব নিতে খুব একটা আগ্রহীও ছিলেন না তিনি। তবে দলের কথা ভেবে বিসিবির অনুরোধে দায়িত্ব নেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দারুণ শুরু করেছে, পেয়েছে ৬ উইকেটের স্বস্তির জয়। সাকিবকে অধিনায়ক করাই কি এখন সম্ভাব্য সেরা সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছে?

এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটুকে। ধর্মশালায় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এখন অবধি তো তাই মনে হচ্ছে। এই মুহূর্তে দলে যারা আছে, তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন্সি করার মতো ম্যাটেরিয়ালগুলো যদি আমরা দেখি; অনেকগুলো প্লেয়ারেরর মধ্যে আছে। কিন্তু যাদের মধ্যে আছে, তাদের মধ্যে থেকে সম্ভাব্য সেরা অপশন হচ্ছে সাকিব আল হাসান। সাকিবের একটা ব্যাপার হচ্ছে সে অনেক অভিজ্ঞ, অনেকদিন ধরেই খেলছে। চাপ নেওয়ার যে ব্যাপারটা থাকে, সেটা সে খুব সহজেই সামলাতে পারে। ’

‘আমরা কর্মকর্তা হিসেবে বা আপনারা, দর্শকদের কথা বলতে পারি; আমরা যে পরিমাণ টেনশনে ছিলাম আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ হবে। সেখানে আমাদের যতটুকু টেনশন ছিল, আমার মনে হয় না প্লেয়ারদের মধ্যে সেটি ছিল। কারণ ম্যাচের আগের দিনও তাদের মাইন্ড সেট আপ খুব শক্তিশালী ছিল। ওদের এই এটিচিউডে বোঝা গেছে তারা অত বেশি চিন্তিত না। তারা তাদের বেস্ট পসিবল যেটা দেওয়ার, সেটাই চেষ্টা করবে। কাজে লাগানো, পরিকল্পনা করা ও সেটা প্রয়োগ করার মধ্যেই তাদের মূল ফোকাসটা আছে। ’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে মাঠে ছিল বেশ উজ্জ্বীবিত। শুরুতে আফগানদের ৪৭ রানের জুটির পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দল। ক্রিকেটারদের দেখে মনে হয়েছে তারা বেশ ‘চার্জড আপ’। সেটি নজর এড়ায়নি বিসিবি কর্তারও।

টিটু বলছিলেন, ‘আমরা সবসময় যেটা বলি, এগারোজন ক্রিকেটারের একটা দল হয়ে খেলা। সেটা কিন্তু আমরা কালকে শুরু থেকেই দেখেছি। সাকিব অসাধারণ অধিনায়কত্ব করেছে। আমাদের যে ফিল্ডিং করেছে সবাই, তারা যেভাবে ব্যাটিং ও বোলিং করেছে। এ সবটাতেই কিন্তু বোঝা গেছে তাদের শতভাগ দেওয়ার ইচ্ছে ও সেটি দিচ্ছে। ’

খেলাধুলা

ধর্মশালায় রং লেগেছে— বিশ্বকাপের রং। রং লেগেছে হয়তো ঢাকায় অথবা পুরো বাংলাদেশে।

শঙ্কার মেঘে ঢেকে যাওয়া আকাশে সূর্য উঠেছে পাহাড়ের বুকে এসে। গ্যালারিতে ঢোল-তবলার বাড়িতে ফেটে পড়ছে উচ্ছ্বাস। পাহাড়ের মায়াবী সৌন্দর্য দেশের ক্রিকেটেও। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় স্বপ্নের শুরু হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই আফগানদের স্রেফ গুঁড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
সাকিব আল হাসান তেঁতে থেকেছেন, তাতিয়েছেন বাংলাদেশকে। মেহেদী হাসান মিরাজ হয়ে ওঠেছেন অবিশ্বাস্য রকমের ভালো। বাংলাদেশ ফিরে আসতে পারে, দেখিয়েছে এমন কিছুও। জয়ের উচ্ছ্বাস তাই বাড়তি আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর করেছে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপে ঠিক যেমন শুরুর দরকার ছিল, হয়েছে তেমন কিছুই। আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ ওই রান পাড়ি দিয়েছে ৯২ বল হাতে রেখে। বিশ্বকাপে বলের হিসেবে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।

অথচ শুরুটা ছিল ভীষণ হতাশার। আফগানিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রান করছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাও ছিল আশাহীন। সবকিছুই বদলে যায় সাকিবের এনে দেওয়া প্রথম উইকেটের পর, ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করেন তিনি। ২৫ বলে ২২ রান করে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দেন আফগান ওপেনার।

পরের উইকেটটা কার? সাকিব আল হাসানেরই। এবার রহমত শাহ সিলি মিড অফে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ১৮ রান করে। শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা আফগান অধিনায়ক হাশমাতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ রান করতে তিনি খেলেন ৩৮ বল। ম্যাচের রং বদলের সঙ্গে বাংলাদেশের শরীরী ভাষাও হয়ে যায় ভিন্ন রকম। প্রতিটি রানের জন্য ক্ষুদা, তীব্রতা আর না হারার জেদ চেপে বসে। উইকেট পাওয়ার পর উৎযাপনেও থাকে সেসবের ছাপ।

তৃতীয় ব্যাটারকে ফেরানোর স্রেফ চার বল পর আবার সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এবার মোস্তাফিজুর রহমান হন ত্রাতা। আফগানিস্তানের হয়ে ভীতি ছড়ানো রহমানউল্লাহ গুরবাজ তার বলে এগিয়ে এসে তুলে মারতে যান কাভারের ওপর দিয়ে। কিন্তু বল কিছুটা স্লো হওয়ায় ডিপ কাভারে ধরা পড়েন গুরবাজ।

আফগানিস্তানের পরের ব্যাটাররা থেকেছেন কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষ আট উইকেট তারা হারায় মাত্র ৪৬ রানে। ১১২ রানে দুই উইকেট থেকে গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে এসে। সাকিব পরে উইকেট পান আরও একটি। মেহেদী হাসান মিরাজও তার সমান উইকেট নেন, ৯ ওভারে দেন কেবল ২৫ রান। পেসারদের চার উইকেটের মধ্যে শরিফুল দুই আর তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন এক উইকেট করে।

বাংলাদেশ যখন জবাব দিতে নামলো, ওখানেও শুরুতে হতাশাই ছিল। তানজিদ হাসান তামিম রান আউট হয়েছেন খুবই অদ্ভূতভাবে। পরে লিটন দাস যখন ফিরলেন, একটু ভয় ভয়ও হয়তো হচ্ছিল সবার। কিন্তু ছিলেন একজন, এখন তিনি অবশ্য এখন নিয়মিতই থাকছেন বেশ ভালোভাবে- মেহেদী হাসান মিরাজ। উদাহরণটা ঠিকঠাক হলো কি না কে জানে, তবে বাংলাদেশের তরকারিতে আলু একটি ‘কমন’ ব্যাপার। মিরাজ বাংলাদেশ দলে দিন দিনই হয়ে উঠছে তেমন কিছু।

যখন, যেখানে নামছেন; দরকার হচ্ছে বল হাতে, পারফর্ম করছেন দ্বিধাহীনভাবে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি ছুয়েছিলেন। এবার রান পেলেন মূল পর্বের ম্যাচেও। রান নিতে মাঝ পথে গিয়ে আউট হয়ে লিটনের ’না’তে ফিরে আসতে হয় তানজিদ হাসানকে। পরে অবশ্য তানজিদও ড্রাইভ দেননি, জোরেও দৌড়াননি। ১৩ বলে ৫ রান করে ফিরতে হয় সাজঘরে।

এরপর লিটন দাস ফজল হক ফারুকির বলে ইনসাইড এজে হন বোল্ড। ১৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। পরের গল্পটা মিরাজের। তিনে ব্যাট করতে এসে দুর্দান্ত করেন তিনি। মাঝে একবার এলবিডব্লিউ আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলেও বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির পর মিরাজ আউট হয়েছেন নাভিন উল হকের ওভারে রশিদ খানের লাফিয়ে উঠে নেওয়া দুর্দান্ত এক ক্যাচে। ৫ চারে ৭৩ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। তার বদলে সাকিব এসে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টেকেননি। ১৯ বলে ২ চারে ১৪ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর অবশ্য বিপদ ঘটেনি আর। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন শান্ত। ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নিয়ে ৮৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

খেলাধুলা

ধর্মশালায় বিশ্বকাপের রঙ লেগেছে বেশ ভালোভাবেই। আসলে একজনই লাগিয়েছেন- অনুরাগ ঠাকুর।

বিশ্বকাপে স্বাগত জানিয়ে ভদ্রলোকের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। পাহাড়ের উঁচু-নিচু পথের প্রায় সবখানে তো বটেই; মিডিয়া সেন্টারে ঢোকার পথে আছে কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রীর বিশাল পেইন্টিং।

পুরো পথজুড়েই পাহাড়ের মায়া আর হিমালয়ের দেখা মেলে ধর্মশালায়। এমন অপরুপ সৌন্দর্যের মধ্যে ডুবে থাকার উপায় খুব একটা নেই ক্রিকেটারদের। তারা এখানে আছেন ক্রিকেট মাঠের লড়াইয়ের জন্য। বাস্তবতায় পা রেখে দূরের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ সামনে।

ধর্মশালায় ক্রিকেটীয় লড়াই-ই এখন তাই দৃশ্যপটে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নানা ঘটনাপ্রবাহে এলোমেলো দলের কাছে কোচ-অধিনায়কের স্পষ্ট বার্তা ড্রেসিংরুমে ‘বাইরের কাউকে/কিছু নিয়ে কোনো আলাপ নয়’। তাদের কথা উপেক্ষা করার মতো ক্ষমতা সাজঘরের কারো নেই।

তবে সংবাদের খোঁজে থাকা মানুষদের আগ্রহ তো আর দমিয়ে রাখা যাবে না। বিশ্বকাপ শুরুর আগে তামিম ইকবালের স্কোয়াডে না থাকা নিয়ে নাটক হয়েছে অনেকে। একে-অন্যেকে দোষারপের সারমর্মে এই আফগানিস্তান ম্যাচ। ওই দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পুরোনো ঘটনাও এলো অবধারিতভাবে।

তামিম না থাকায় ফজল হক ফারুকীর বিপক্ষে খেলা কি এবার একটু স্বস্তির হবে? বিরক্ত হাথুরুসিংহের উত্তরের প্রথম দুটি শব্দ ছিল ‘অদ্ভূত প্রশ্ন। ’ দলের বাইরে থাকা কারো ব্যাপারে প্রশ্নে কী উত্তর দেবেন, সেটিও বুঝতে পারলেন না তিনি।

হাথুরুসিংহে বিরক্ত হলেও একজনের নিশ্চয়ই বেজাড় হওয়ার কথা নয়। তার কারণেই তো এত নাটকের সূত্রপাত। ফারুকীর মুখ থেকে দুটি শব্দ শুনতে পারলে মন্দ হয় না; এমন ভাবনা থেকে প্রায় আধঘণ্টা ‘একা দর্শক’ হয়ে আফগানিস্তানের অনুশীলন দেখতে হলো।

কিন্তু আফগান পেসারকে পুরো সময়ই দেখা গেলো অস্থির হয়ে আছেন। শুরুতে মোহাম্মদ নবীকে নেটে বল করছিলেন। একটা বলও তিনি গুড বা ফুল লেন্থে ফেলতে পারলেন না। এ নিয়ে তার হতাশাও স্পষ্ট হচ্ছিল প্রতিটা বলের পরই। বোলিংয়ের সাইড বদলাচ্ছিলেন, দেখছিলেন রান-আপ ছোট করেও।

এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে এমন একটা নেটে গেলেন, যেখানে কোনো ব্যাটার নেই। ওখানেও অবশ্য ফারুকী বেশিক্ষণ খুশি মনে বল করতে পারলেন না। এসব দেখা বাংলাদেশের সাংবাদিকের তেমন কাজে আসার কথা নয়, আরও জরুরি কাজ পড়ে ছিল তখনও। দরকার হলো ফারুকীর মুখ থেকে দুয়েকটা কথা বের করতে পারা।

কিন্তু ওই উপায়ও খুব একটা নেই। প্র্যাক্টিসের মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমের অল্প একটু পথের জন্য জনা কয়েক বিশাল শরীরের দেহরক্ষী। তার ওপর মুখে ভীষণ বিরক্তি নিয়ে ফারুকী ড্রেসিংরুমে ফিরছেন তখন। সাহস করে প্রশ্নটা করেই ফেললাম, কাল কি তামিমকে মিস করবেন?

উত্তরে দুটি শব্দ পাওয়া হয়নি। তবে ফারুকীর মুচকি হাসির দেখা মিলেছে। অনুশীলনটা ঠিকঠাক মতো না করার বিরক্তি নিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরা ক্রিকেটারের মুখে এক চিলতে হাসি আনতে পারাই বা কম কী। রেগেমেগে কিছু বলে দেননি, এটুকুই স্বস্তি।

বাংলাদেশ দলে এখন যেটুকু স্বস্তি, তার প্রায় পুরোটাই অবশ্য উবে যেতে পারে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে গেলে। টুর্নামেন্টের ‘টোন সেট’ করতে প্রথম ম্যাচটিতে জয় ভীষণ জরুরি। এরপর? চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল খেলা।

মাঠে নামার আগে পরিসংখ্যান একটু বিব্রতই করতে পারে বাংলাদেশকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিই যে হেরে বসে আছে তারা। স্বস্তি কেবল এটুকুই- জয় এসেছে এশিয়া কাপের মঞ্চে খেলা শেষ ম্যাচটিতে।

দল নিয়ে তেমন কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে ওপেনিংয়ে খেলাতে চাওয়া নিয়েই পরে ঘটে গেছে হুলস্থূল কাণ্ড। এখন কি মিরাজই ওপেনিংয়ে খেলবেন?

এ নিয়ে কিছুই স্পষ্ট করেননি হাথুরুসিংহে। কাল সকালেই সব ঠিক হবে বলে আশা তার। উইকেট নিয়েও দু দলের ছিল ভিন্ন মত। বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, রান হবে বেশ। আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ আবার মনে করেন এখানে সুবিধা পাবেন পেসাররা।

তিনি বেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- আগের বার একটি ম্যাচ না জেতা দল এবার ভালো করবে। তার শুরু বাংলাদেশের বিপক্ষেই করার তাড়না আছে আফগানিস্তানের, সেটি বোধ হয় না বললেও চলছে।

ওপাড়ে ‘পৃথিবীর ছাদ’ তিব্বত। এপাড়ে ধর্মশালার মায়াবী সৌন্দর্য। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বড় স্বপ্নের বিশ্বকাপ। চার বছর পরপর আসা টুর্নামেন্ট নিয়ে ক্রিকেটাররা তো বটেই, হাথুরুসিংহের মতে তার কোচিং স্টাফরাও রোমাঞ্চিত। আপনার কেমন অনুভূতি হচ্ছে? সম্ভবত ওই কথাটা টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন একদিন আগেই বলে দিয়েছেন, ‘এখন না হলে আর কখন ?’

খেলাধুলা

আগামীকাল ২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ভারতের ধর্মশালায়।

এর আগে বাংলাদেশ দলকে শুভকামনা জানাল আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

টাইগারদের উদ্দেশে এক ফেসবুক পোস্টে এএফএ লিখেছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য শুভকামনা, তারা ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেতনা আপনাদের জয়ের পথে পরিচালিত করুক। ’

২০২২ বিশ্বকাপ দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে আর্জেন্টিনার সম্পর্ক দৃঢ় হয়। লিওনেল মেসিদের প্রতি বাংলাদেশি সমর্থকদের ভালোবাসা অভিভূত করে পুরো ফুটবলবিশ্বকে। যার প্রভাব পড়ে আর্জেন্টিনাতেও। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও জোরালো হয় এই ঘটনায়।

ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটীয় সম্পর্কও স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে। গত মার্চে টাইগার দলপতি ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্য জার্সি পাঠায় আর্জেন্টাইন ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। এবার সাকিবদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে এই সম্পর্ককে আরেক দফায় এগিয়ে নিল এএফএ।

এএফএ-পোস্টে একটি ছবিও যুক্ত করেছে। যেখানে ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী মেসি, দি মারিয়া এবং হুলিয়ান আলভারেসের ছবির সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ ও সমর্থকদের একটি ছবি এডিট করে বসানো। ছবিতে একটি বাঘের ছবি বসিয়ে পাশে লেখা ‘টাইম ফর টাইগার্স টু রোর’, অর্থাৎ ‘সময় এখন বাঘের গর্জনের’।

মূলত গত মে মাসে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশকে নিজেদের ‘ব্র্যান্ড পার্টনার’ বানায় এএফএ। তারই অংশ হিসেবে আজ বিজ্ঞাপনী ওই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। তাসকিন আহমেদ আবার বিকাশের শুভেচ্ছাদুত।

খেলাধুলা

বিশ্বকাপ ইতিহাসে আর কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। ১০ দল যখন তাদের প্রথম ম্যাচে টস করতে নামবে তখন প্রতিটি দলেই দেখা যাবে আগের বিশ্বকাপ থেকে ভিন্ন অধিনায়ক।

ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে যারা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের কারোরই সুযোগ হচ্ছে না ২০২৩ বিশ্বকাপে এসে অন্তত প্রথম ম্যাচে দলের অধিনায়কত্ব করার।

একমাত্র ব্যতিক্রম নিউজিল্যান্ড। টানা ২য় বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিতে এসেছেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু দেশটির ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে ইনজুরির জন্য প্রথম ম্যাচে মাঠে নামা হচ্ছে না তার। সে জায়গায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান টম লাথাম।

এছাড়া বাকি ৯ দলেই নতুন সব অধিনায়ককে দেখা যাবে।

৫ অক্টোবর বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে। গতবার ইংলিশদের প্রথম শিরোপা এনে দেওয়া এয়্যুইন মরগান গিয়েছেন অবসরে, তার জায়গায় ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক এখন জস বাটলার।

পরদিন বিশ্বকাপের ২য় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডস। ২০১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের আলোচিত অধিনায়ক ছিলেন সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু ফর্মহীনতায় ২০২১ সাল থেকেই রঙিন পোশাকে আর মাঠে নামা হয়নি তার। সে জায়গায় দায়িত্ব নেন বাবর আজম।

অন্যদিকে দুই আসর পর আবারও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। স্বাভাবিকভাবে তাদের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসেরও প্রথম বিশ্বকাপ এটি।

৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। মাশরাফির পর যে দলটির নেতৃত্বভার এখন সাকিবের কাঁধে। তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানেও দেখা যাবে নতুন নেতৃত্ব। ২০১৯ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা গুলবাদন নাইব এবার দলেই জায়গা পাননি। আফগানদের নেতৃত্বে এখন হাশমতউল্লাহ শহিদী।

দিনের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। এ দুদলেও নতুন অধিনায়ককে দেখা যাবে টস করতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ফাফ ডু প্লেসির জায়গায় এসেছে টেম্বা বাভুমা, আর শ্রীলঙ্কার ২০১৯ সালের অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে এবার দলে থাকলেও অধিনায়কের জায়গা নিয়েছে দাসুন শানাকা।

৮ অক্টোবর বাকি দুই দল ভারত আর অস্ট্রেলিয়াও মাঠে নেমে যাবে। গতবার ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া ভিরাট কোহলিকে এবার দেখা যাবে শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে, অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন রোহিত শর্মা।

আর অস্ট্রেলিয়ার ২০১৯ বিশ্বকাপের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এখন অবসরে। বিশ্বকাপে তার নতুন ভূমিকা ধারাভাষ্যকারের। হয়তো বর্তমান ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স যখন টস করতে নামবেন সেটার ধারা বর্ণনা করবেন সাবেক ক্যাপ্টেন ফিঞ্চ।

অধিনায়ক হিসেবে টানা দুবার করে বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড আছে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড আর অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের।

সময় এসেছে বিশ্বকাপে ভালো করার: সাকিব

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গেছে বাংলাদেশ দল। এরপর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে তারা।

কিন্তু এই কয়দিন বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়ে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরুর আগে মুখ খুললেন দলপতি সাকিব আল হাসান। জানিয়ে দিলেন, এবার ভালো কিছু করে দেখানোর জন্যই বিশ্বকাপে গেছে টাইগাররা।

মূল আসর শুরুর আগে আজ আহমেদামাদে অংশগ্রহণকারী ১০ দলের অধিনায়ককে নিয়ে ‘ক্যাপ্টেন্স মিট’ নামক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইসিসি। সেখানেই বিশ্বকাপ নিয়ে দল ও নিজের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে সর্বশেষ ৪ বছরে, আমরা বাছাই পর্বের (ওয়ানডে সুপার লিগ) পয়েন্ট সিস্টেমে তৃতীয় বা চতুর্থ ছিলাম (তৃতীয়)। দল হিসেবে আমরা বেশ ভালো করেছি। এখন আমাদের সময় এসেছে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করে দেখানোর। আমার মনে হয়, আমরা আগে যা করেছি দেশের মানুষ তার চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে। ’

ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে গেছেন সাকিব। গত বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। আট ম্যাচে করেছিলেন ৬০৬ রান, দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ছিল পাঁচটি হাফসেঞ্চুরিও। এবারও এমন কিছুর প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা। তবে এমন প্রত্যাশাকে বাড়তি চাপ মানছেন না সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ভালো করতে এটা আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনোই পরিসংখ্যান দেখিনি। আমি সব সময় দলের জন্য অবদান রেখেছি। আমার কাছে দলই আগে। পুরো ক্যারিয়ারে এটাই আমার নীতি। ’

এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আগামী শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় হিমাচলের প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে গড়াবে ম্যাচটি।