বিনোদন

বহুলপ্রতীক্ষিত ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’ চলচ্চিত্রের প্রথম প্রদর্শনী হলো কানাডার বিশ্বখ্যাত টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

কানাডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বেললাইট বক্স সিনেমা-৭ প্রেক্ষাগৃহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক এ চলচ্চিত্রের প্রথম শোতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি জাতির রূপকার হলেন, এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তা নতুন প্রজন্ম জানবে, বিশ্ববাসী জানবে। মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আকরাম হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চলচ্চিত্র উৎসবের সপ্তম দিনে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ভারতের শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’ (মুজিব: একটি জাতির রূপকার) প্রদর্শনীর আগে সিনেমার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাঙালিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে অদম্য সংগ্রাম, জাতির জন্য যে ত্যাগ, এই সিনেমার মাধ্যমে সেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ নতুন প্রজন্ম জানে না কীভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কীভাবে ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করে প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, এমনকি ১৯৭৫ সালের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড কীভাবে সংঘটিত হয়েছিল, সেটি যারা করেছে, তারা জানে আর দুই-একজন যারা কোনো না কোনোভাবে রক্ষা পেয়েছিল, তারা সাক্ষী হয়ে আছে, অন্যরা জানে না। সেই মর্মান্তিক ঘটনাও এই চলচ্চিত্রে চিত্রায়িত করা হয়েছে।

সিনেমাটির মুক্তির বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বায়োপিকটি ইতোমধ্যেই সেন্সর সনদ পেয়েছে। অক্টোবরে এটি দেশে শুভমুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথিমকভাবে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় ছবিটি মুক্তি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রদর্শনী শেষে প্রবাসী বাঙালি এবং বিভিন্ন দেশের দর্শকরা সিনেমার নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ৬০ ভাগ এবং ভারতের ৪০ ভাগ ব্যয়ে নির্মিত এই বায়োপিকের শুটিং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শেষ হয়। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে চলচ্চিত্রটির প্রথম পোস্টার, ৩ মে দ্বিতীয় পোস্টার এবং ১৯ মে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির ট্রেলার রিলিজ হয়েছিল।

কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর চরিত্রাভিনেতা আরিফিন শুভ, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার চরিত্রাভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া, ভারত থেকে আগত চিত্রনাট্যকার অতুল তেওয়ারি এ সময় তাদের অনুভূতি জানান।

বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, যুগ্মসচিব কাউসার আহমেদ, উৎসব কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি দর্শকরা প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।

বিনোদন

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে বেধরক পিটুনির পর একদিনে এডিসি হারুনের (সাবেক) দুইবার বদলি, সাময়িক বরখাস্ত এবং পরবর্তীতে নানা নাটকীয়তার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবার ফেসবুকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

মঙ্গলবার খোকন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, চ্যানেল আইতে পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার সাক্ষাৎকার দেখার পর কিছু প্রশ্ন মনে আসল, আপনি অসুস্থ, আপনার হাজব্যান্ড জানে না, আপনার আরেক বিভাগের স্যার কীভাবে জানে? যদি আপনি জানিয়ে থাকেন, তাহলে অ্যাপয়েন্টম্যান্টের জন্য আপনি তো আপনার হাজব্যান্ডকে বলতে পারতেন। কারণ আপনার হাজব্যান্ডের পদ-পদবি আরো বড়।

স্বামীর চেয়ে স্যার যখন বেশি আপন হয়, তখন বিষয়টা অস্বাভাবিক না? আপনার নিজের বড় বোনও ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার, যেহেতু উল্টাপাল্টা পোশাকের বিষয় আপনিই বলেছেন, ইসিজি ইটিটি তো আপনি ওনার ওখানেও করতে পারতেন।

এ ছাড়া, পুলিশ হাসপাতাল হচ্ছে দেশের অন্যতম ভালো একটা হাসপাতাল, আপনি তো সেখানেও যেতে পারতেন। এই এডিসি হারুনকে এক সপ্তাহ আগেও আপনার হাজব্যান্ড অনুরোধ করেছিল তার সংসার না ভাঙার জন্য। এরপরও কেন তাকেই আপনার সাথে নিতে হলো। আর আপনার হাজব্যান্ড কেন তাকে অনুরোধ করেছিল?

আপনি যে বারডেমে এটা আপনার হাসব্যান্ড কীভাবে জানল? ওনাকেও কি আপনিই জানিয়েছিলেন? মানে তাদের দুজনকেই আপনি জানিয়েছেন? সংসার বাঁচাতে চাওয়া কি একটি বেচারা স্বামীর জন্য অপরাধ?

এদিকে আলোচিত এই বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এডিসি হারুন এবং সানজিদা।

সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সানজিদা গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন সদ্য সাময়িক বরখাস্ত আলোচিত এডিসি হারুন। এ সময় হাসপাতালে গিয়ে সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস (সহাকারী একান্ত সচিব) আজিজুল হক মামুনই প্রথমে হারুনের ওপর হামলা চালান।

সানজিদা বলেন, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই, সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়। আমি ইসিজি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটায় দেখতে পাইনি।

এডিসি হারুনকে কে হাসপাতালে ডেকেছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।

এডিসি হারুনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারুনের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। সে শুধু আমার কলিগ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এডিসি হারুন বলেছেন, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আমি আমার মা-বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডাক্তার পবিত্র কুমারের কাছে দেখাতে যাই। তখন বেলা ২টার দিকে আমাদের এডিসি ক্রাইম-১ ফোন করে বলেন, তার চেস্ট পেইন (বুকে ব্যথা) সে জন্য বারডেম হাসপাতালের ডাক্তার প্রফেসর রশিদ স্যারের সিরিয়াল (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) নেওয়া যায় কিনা। তখন আমি আমাদের ওসি রমনা থানা আবুল হাসান সাহেবকে বলি একটা সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেওয়ার জন্য। আবুল হাসান সাহেব পরবর্তীতে আমাকে জানান, সন্ধ্যা ৬টায় একটা সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা এডিসি ক্রাইম-১-কে জানাই। উনি সন্ধ্যা ৬টায় ওখানে চলে যান।

এডিসি হারুনের ভাষ্য অনুযায়ী, পরবর্তীতে প্রফেসর ডা. আব্দুর রশিদ স্যার বারডেমের কনফারেন্স বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে সময় দিতে পারছিলেন না। কিন্তু পেশেন্ট (এডিসি সানজিদা) সেখানে গিয়ে অসুস্থ বোধ করছিলেন। এরপর আমাকে বলে, স্যার এখানে ডাক্তার সম্ভবত ব্যস্ত আছেন, উনি আজকে সময় দিতে পারবেন না। কিন্তু আমি সিক ফিল (অসুস্থ বোধ) করছি। তখন আমি বললাম, আমি কাছেই আছি, দেখি কথা বলি ডাক্তারের সঙ্গে। আমি সেখানে যাই। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার পর ডাক্তার দেখেন।

হারুন বলেন, পরবর্তীতে তাকে (এডিসি সানজিদা) তিনটি টেস্ট করান। ইসিজি, ইকো এবং ইটিটি। যখন ইটিটি রুমের ভেতরে পেশেন্ট ছিলেন আমি তখন বাইরে ভিজিটরেরা যেখানে অপেক্ষা করেন সেখানে ছিলাম। তখন আজিজুল হক মামুন (এডিসি সানজিদার স্বামী) এবং তার সঙ্গে আরো চার-পাঁচজন আসেন। তিনি পেশেন্টের রুমে যান, পেশেন্ট দেখেন। দেখে বাইরে এসে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আমার বাম চোখের ওপরে একটা ঘুসি মারেন। আমি খুব অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। তাকে জিজ্ঞেস করি, ভাই আপনি আমাকে কেন মারলেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। তখন তার সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরাও আমার ওপরে চড়াও হন। তারা আমাকে জোরপূর্বক ইটিটি রুমের ভেতরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। সেখানে পেশেন্টের সঙ্গে কথা হয়। তারা ওখানেও আমাকে মারধর করেন। পরবর্তীতে আমি আত্মরক্ষার্থে শাহবাগ থানা-পুলিশকে কল করি। শাহবাগ থানা-পুলিশ এসে সবাইকে থানায় নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

বিনোদন

কয়েকবার মুক্তির তারিখ দিয়েও নানা অজুহাতে শেষ মুহূর্তে ‘অন্তর্জাল’-এর মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এবারো পেছানোর খবরে মন খারাপ হয়েছিল বিদ্যা সিনহা মিমের। এ সিনেমার অন্যতম অভিনেত্রী তিনি, অথচ সিনেমার মুক্তি যে পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা জানতে হচ্ছে অন্যের কাছ থেকে! বিষয়টি কষ্ট দিয়েছিল অভিনেত্রীকে।

সেদিন সন্ধ্যায় অন্তর্জালের ট্রেলার প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ছিল। অভিমান করে মিম সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে যাবেনই না! তার এই অভিমান যৌক্তিক।

রোববার সকালেও তিনি জানতেন, ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কয়েক সপ্তাহ ধরে। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। কয়েক দিন আগে প্রমোশনাল গানের শুটিংও করেন। তবে রোববার দুপুর থেকে এর-ওর মুখে জানতে পারেন, এবারো পিছিয়ে যাচ্ছে সিনেমা। শুনে খুব মন খারাপ হয়েছিল মিমের।

তাদের এবারের অজুহাতের নাম ‘জওয়ান’। শাহরুখ খান অভিনীত এ সিনেমা বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে ৭ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশেও একই দিনে মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে।

অন্তর্জাল সিনেমার অন্যতম প্রযোজক সাদেকুল আরেফিন বলেন, জওয়ানের কারণেই অন্তর্জাল পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। বাংলাদেশে একটি বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে। শাহরুখ খানের জওয়ান নিয়ে অনেক ধরনের উত্তেজনা আছে। পরিবেশক থেকে শুরু করে হল মালিক- সবার অনেক দিনের দাবি এটা। যাতে আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিটা আরও বড় হয়। যেহেতু জওয়ান আসছে, তাই আমরা পিছিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর অন্তর্জাল মুক্তি দেব।

সংবাদ সম্মেলনে যখন প্রযোজক এ ঘোষণা দেন, তখনো মিম এসে পৌঁছাননি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর গুটি গুটি পায়ে আসেন মিম। চোখমুখে তখনো মন খারাপের রেশ।

অনেকটা জোর করেই ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বলেন, সবার একটু মন খারাপ ছিল। সকাল থেকে আমারও মন খারাপ ছিল। তবে নির্মাতা, প্রযোজক- সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত হয়তো আমাদের জন্য ভালোই হয়েছে। আসলে অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছি, কবে আমরা সিনেমাটা হলে দেখতে পারব। এ কারণে মাঝেমধ্যে একটু মন খারাপ হয়। বাট নাউ অনেক হ্যাপি।

এদিকে বাংলাদেশে একই দিনে জওয়ান মুক্তির জটিলতা অনেকটাই কেটে গেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ গতকাল জানিয়েছেন, মন্ত্রীর অনুমোদন পেয়ে সেন্সর বোর্ডে যাচ্ছে জওয়ান।

তিনি বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানি কমিটির প্রস্তাব মন্ত্রীর দপ্তর থেকে অনুমোদন পেয়েছে। এখন বাকি কাজ সেন্সর বোর্ডের।

সেন্সর বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল জওয়ান সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে। এ সপ্তাহেই ছাড়পত্র পেয়ে যাবে সিনেমাটি।

 

বিনোদন

বলিউড তারকা হৃতিক রোশন আর কারিনা কাপুর বড় পর্দায় যখনই জুটি বেঁধেছেন, ছবির ফলাফল বক্স অফিসে যেমনই হোক না কেন, জুটি একেবারে সুপারহিট! ২০০০ সালে ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ ছবিতে অভিনয় করার পর থাকে হৃতিক আর কারিনার কেমিস্ট্রি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় বলিউডে। সেসময় পরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে জুটিতে কাজ করেছিলেন তারা– ইয়াদে (২০০১), ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু (২০০৩)।

কারিনা মাত্র ২০ বছর বয়সে ২০০০ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর আত্মপ্রকাশ করেন রাকেশ রোশনের ছেলে হৃতিক রোশন। ‘কহো না… প্যার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হয় তার।

২০০০ সালে ‘কহো না… প্যার হ্যায়’ ছবিতে হৃতিকের বিপরীতে অভিষেক হয়েছিল অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের। ছবিতে নিজের ছেলে হৃতিকের বিপরীতে সেই আমিশাকেই পছন্দ করেছিলেন রাকেশ। কিন্তু সেই ছবিতে আগে অভিনয় করার কথা ছিল কারিনার। শুটিংয়ের মাত্র তিন দিন আগে কারিনাকে সেট থেকে তাড়িয়েই দেন রাকেশ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে আমিশা বলেন, ‘কারিনা নিজে ‘কহো না… প্যার হ্যায়’ ছবি থেকে সরে যাননি। রাকেশ আমাকে জানান, সৃজনশীল মতপার্থক্যের কারণে কারিনাকে ছবি থেকে বাদ দিয়েছিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র তিন দিনের মাথায় আমাকে ‘সোনিয়া’ চরিত্রে চূড়ান্ত করেছিলেন তিনি (রাকেশ)।’

আমিশা আরও জানান, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে নাকি তাকে প্রথম বার দেখেছিলেন রাকেশ। প্রথম দেখাতেই ‘সোনিয়া’ হিসেবে তাকে মনে ধরেছিল রাকেশের। শুটিং শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে নাকি ‘কহো না… প্যার হ্যায়’ ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।

বিনোদন

ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী শিরিন শিলা। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচনায় থাকেন এ নায়িকা। বিশেষ করে এক যুবকের প্রকাশ্যে চুমুকাণ্ডে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলেন এ অভিনেত্রী। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছিল।

এ ছাড়া পরীমনি ও রাজের সঙ্গে ভিডিও করে কথা বলে কিছু স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় এসেছিলেন শিরিন শিলা। এ ঘটনায় পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক টানাপোড়েনও চলছিল তার।

এবার পরীমনির সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী শিরিন শিলা।

শুক্রবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিরিন শিলা বলেন, আমাকে অনেকে পরীমনির সঙ্গে তুলনা করেন। আমি কাউকে অনুসরণ করি না। আমি আমার স্টাইলে চলি। আমি নিজেও জানি না পরীর কথা কেন আমাকে বলে। তবে হ্যাঁ, পরী আমার ভালো বান্ধবী।

শিলা আরও বলেন, আমি আর পরীমনি যমজ বোনের একটা ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। সেটা ছিল মুশফিকুর রহমান গুলজার ভাইয়ের। ওই ছবিতে পরী ও আমি একসঙ্গে কাজ করেছি। যেহেতু যমজ বোন ছিলাম, তাই অনেকে আমাকে সেকেন্ড পরীমনি বলত। বাস্তব জীবনে আমি আসলে এ রকম না। পরীর লাইফস্টাইলটা একরকম, আমারটা অন্য রকম।

বিনোদন

মাত্র চার দিন আগে তরুণ অভিনেত্রী নিশাত আরা আলভিদা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘পরের জন্মে শালিক হব’। তখনো কি তিনি ভেবেছিলেন, চার দিনের মধ্যেই সত্যি সত্যি তিনি মারা যাবেন।

হ্যাঁ সামাজিক যোগা‌যোগ মাধ্যমে (‌ফেসবু‌ক) লেখা স্ট্যাটাসকে সত্য প্রমাণ ক‌রে গত বৃহস্পতিবার রাতে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গে‌ছেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ অভি‌নেত্রী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এই তথ্য জানিয়েছেন তার কাছের বন্ধু মোহম্মদ হৃদয়।

জানা গেছে, চার দিন আগে হঠাৎই জ্বরে আক্রান্ত হন নিশাত। প্রথমদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও পরে হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তার প্লাটিলেট কমতে থাকে। এক দিনের মাথায় প্লাটিলেট আবার বাড়তে থাকে। কিছুটা সুস্থ বোধ করায় বাসায় চলে যান।

মোহম্মদ হৃদয় বলেন, আমার সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়েছে। বুধবার রাতেও কথা হয়েছে। সে জ্বরকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছিল না, বলছিল ঠিক হয়ে যাবে। মনে করেছিল, ওষুধ খেলেই সেরে যাবে।

হৃদয় আরও বলেন, গত বুধবার সে হাসপাতাল থেকে বাসায় আসে। তখন সে অনেকটাই সুস্থ। অনেক সময় ধরে তার সঙ্গে কথা হয়। তার কিছুটা মন খারাপ ছিল। কারণ, আমরা একসঙ্গে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। ও ঢাকায়, আমি নাটোরে। সর্বশেষ সে অ্যাকাউন্টিং পরীক্ষা দিয়েছে। জানতে চেয়েছিলাম, পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সে শুধু বলেছিল খারাপ হয়েছিল। এরপর আর কোনো পরীক্ষা দিতে পারেনি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শুনি, সে মারা গিয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নিশাত বাসাতেই মারা যান। তার বেড়ে ওঠা নাটোর জেলায়। সেখান থেকে এসএসসি পাস করেন। নাটোরেই একটি কলেজে ভর্তি হয়ে পরে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। থাকতেন মায়ের সঙ্গে।

ঢাকায় আসার পর নিশাত মনেপ্রাণে অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। সেই পথেই হাঁট‌ছি‌লেন। কয়েক মাস আগে থিয়েটারিয়ান নামের একটি নাট্যদলে কর্মশালা করেছিলেন। সে বুঝতে পেরেছিলেন, অভিনয় নিয়ে অনেক কিছু জানতে হয়। থিয়েটার শুরুর ইচ্ছা ছিল। আর কোনো জানার সুযোগ পেল না।

নিশাত কাজ করেছেন বেশ কিছু শর্ট ফিল্ম ও নাটকে। দীর্ঘ দুই বছর চেষ্টার পর সম্প্রতি একটা নাটকের মূল চরিত্রে সুযোগ পান এই অভিনেত্রী। তার আগে তাকে দেখা গেছে বিভিন্ন পার্শ্বচরিত্রে।

এদি‌কে নিশা‌তের মৃত‌্যু‌তে তার বন্ধু–সহকর্মীরা শোক প্রকাশ করছেন। বৃহস্প‌তিবরাই তার মরদেহ নাটোরে নিয়ে যাওয়া হয়। নাটোর হাফ রাস্তা এলাকার স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বিনোদন

জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ করে নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত। তাকে দেখা গেছে জনপ্রিয় বেশ কিছু সিরিজ এবং ওয়েব ফিল্মে। সম্প্রতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এ অভিনেত্রী। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

সম্প্রতি জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা দিয়েছেন। কেমন লাগছে?

অবশ্যই জীবনে এটা একটা বড় পরিবর্তন। তবে পরিবর্তনটা উপভোগ করার সময় পাইনি। কারণ শুটিং ব্যস্ততা ছিল। তার মাঝে কিছুদিন সময় নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর আবার অস্ট্রেলিয়াতে চলে এসেছি। অর্থাৎ খুব বস্ততার মাঝে আনুষ্ঠানিকতা সেরেই আমি আর আমার স্বামী যে যার কাজে যোগ দিয়েছি।

বিয়ের পর নিজেকে সময় না দিয়ে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। কাজ করছেন দেশের বাইরে। অভিজ্ঞতা কেমন?

আসলে কাজকে তো গুরুত্ব দিতে হবে। তাই দেরি না করে কাজ শুরু করেছি। আর দেশের বাইরে কাজ করা বেশ আনন্দদায়ক এবং একই সঙ্গে খুব রিফ্রেশিং। আমি অস্ট্রেলিয়া এসেছি শিহাব শাহিনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ নামে একটি ওয়েবফিল্মের শুটিং করতে। এটা আমার প্রথম অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ। এখানকার আবহাওয়া খুব সুন্দর। ঘুরে দেখার মতো অনেক জায়গা আছে। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে সেসব জায়গা ঘুরতে যাচ্ছি।

ওয়েব ফিল্মটির সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের মিল খুঁজে পান?

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র সঙ্গে আমার ব্যক্তিজীবনের মিল রয়েছে। তবে তা শুধু লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপের ব্যাপারটায়। আমি আট বছর লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপে ছিলাম। এমনকি বিয়ের পরও কাজের জন্য আমার স্বামী আর আমি একসঙ্গে থাকতে পারছি না। তাই ইমোশনের জায়গা থেকে আমি বেশি কানেক্ট করতে পেরেছি। নিজের অভিজ্ঞতা শিহাব (নির্মাতা) ভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করেছি। কিছু কিছু জায়গায় নিজের ইনপুট দিয়েছি। সব মিলিয়ে এ কাজের অভিজ্ঞতা আমার বাকি কাজের চেয়ে ভিন্ন। একদম অন্যরকম কিছু একটা আসতে যাচ্ছে দর্শকদের জন্য।

কাজ এবং ব্যক্তিজীবন একসঙ্গে সামলাচ্ছেন কীভাবে?

সত্যি বলতে আমার জন্য একটু কঠিনই হচ্ছে। কারণ শুটিংয়ের মাঝে বিরতি দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা, তার পরপরই অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসা সবকিছুই অতিদ্রুত ঘটেছে। সেভাবে চিন্তা করলে একটুও আরাম করার সময় পাইনি। কিন্তু কাজের প্রতি ভালোবাসা আছে তাই এভাবে ব্যস্ত থাকতেও ভালো লাগে। কাজ নিয়ে আমার পরিবারের কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। এমনকি আমার স্বামীও বরাবরই আমার কাজের ব্যাপারে ভীষণ সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রেখেছে। তাই সব কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারি।

নতুন আর কী কী কাজ করছেন?

এখন মূলত বেশ কয়েকটি ওয়েব ফিল্ম নিয়ে ব্যস্ত আছি। একটার শুটিং তো করছি। ঢাকা এসে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘পুনর্মিলন’র কাজ শুরু করব। তারপর শিহাব ভাইয়েরই আরেকটা সিনেমা করার কথা রয়েছে। সেটার শিরোনাম ‘বাবা, সামওয়ান ফলোয়িং মি’। এ সিনেমায় বাবা হিসাবে আফজাল হোসেন ভাইকে পাচ্ছি আমি। এছাড়া আরও একটি সিনেমার কথা চলছে। তবে এসব সিনেমাগুলো ওটিটির জন্য।

বিনোদন

টিভি জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা আনিকা কবির শখ। বিজ্ঞাপন, নাটক, সিনেমায় ছড়িয়েছিলেন সৌন্দর্যের দ্যুতি। কিন্তু হঠাৎ আড়ালে চলে যান। বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি ফিরেছেন তিনি। ফিরেই জানালেন, প্রতিযোগিতা না থাকলে খেলে মজা পাওয়া যায় না।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

শখ বলেন, ‘ব্রেক নিয়েছি। আসলে আমার কিছু কাছের মানুষ ব্রেক নিতে বাধ্য করেছে। কারণ আমার সঙ্গে একটা ডিজাস্টার হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আমার সেলফোন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো ফিরিয়ে আনতে আনতে আমি আসলে হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। একটা সময় গিয়ে মনে হলো, ঠিক আছে বাদ দেওয়া যাক। তবে আমি বিশ্বাস করি কারও জায়গা কেউ নিতে পারে না। আর আমি এত ছোট থেকে কাজ শুরু করেছি যে, আমার বিশ্বাস ছিল— আমার দর্শক আমাকে ভুলে যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমিও কারও সন্তান। আমারও সংসার, সন্তান আছে। ওই জায়গাটা তো ভুলে গেলে চলবে না। ওই জায়গাটাও আমার ঠিক রাখতে হবে। শুধু যে আমি একজন শিল্পী তা তো নয়। একটু ব্রেক নিয়ে আমার পারিবারিক জায়গাটাও আমি ঠিক রেখেছি।’

এর পর তিনি বলেন, ‘এখন আবার ফিরে এসেছি। নিয়মিত কাজ করব। আর উৎসব আয়োজনেও শখকে পাওয়া যাবে। কারণ খালি মাঠে সবাই গোল মারতে পারে। ভরা মাঠে পারে না। আমি গোল দিয়েছি ভরা মাঠে। আমি বিশ্বাস করি, যে প্লেয়ার সে সব সময় খেলতে পারে। তাকে যে মাঠে ছেড়া দেওয়া হোক না কেন। হ্যাঁ, প্রতিযোগিতা না থাকলে আসলে খেলে মজা পাওয়া যায় না। আমার মনে হচ্ছে মাঠটা খালি। প্লিজ কেউ আসো, আমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায়।’

এ সময় শখ জানান, লম্বা সময় পর ফিরলেও নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা আগের মতোই গ্রহণ করেছেন তাকে। সেই সঙ্গে তার অভাব বোধ করার কথাও জানিয়েছেন, যা শখকে বেশ আপ্লুত করেছে।

বিনোদন

ঢালিউডে লম্বা সময় (প্রায় দুই দশক) পার করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। এই লম্বা সময়ে উপহার দিয়েছেন বহু হিট সিনেমা। নায়িকাদের মধ্যে সর্বাধিক সিনেমা তার। সাফল্যের হারেও এগিয়ে। তবে গত এক বছর সিনেমার চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকছেন এই নায়িকা।

বছরখানেক আগে গুঞ্জন ওঠে তিনি নাকি ঠোঁটে সার্জারি করিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আগেও কথা বলেছিলেন; তবে আরও একবার তার কথায় উঠে এলো সার্জারির কথা।

শনিবার ‘সামার ফেস্ট’ শীর্ষক একটি আয়োজনে অংশ নেন অপু। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন আর নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেন।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সামনের দাঁতটা বাঁকা। অনেক জায়গায় বলা হয়েছে যে, আমি ঠোঁটে সার্জারি করিয়েছি। যদি আমাকে সার্জারি করাতেই হতো, তাহলে প্রথমে আমার দাঁতটাকে সোজা করতাম।’

তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু শুরু থেকেই হেলদি। কখনো ছিপছিপে ছিলাম না। সুতরাং এই দুটো বিষয়ই (দাঁত ও স্বাস্থ্য) আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমার সেই চ্যালেঞ্জই ছিল, আমার যদি প্রতিভা থাকে, দর্শক যদি ভালোবাসে, তাহলে ভালো কাজ দিয়েই দর্শকের কাছে পৌঁছাব।’

অপু বলেন, ‘অনেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল যে, অপু বিশ্বাস আর কাজে ফিরতে পারবে না। তবে আলহামদুলিল্লাহ, সবার দোয়ায় আমি এখন এতটা ব্যস্ত, বোঝাতে পারব না।’

বিনোদন

নির্ধারিত সময়ের আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে অবতরণ করে এটি। এ নিয়ে গর্বিত পুরো ভারতবাসী।

আনন্দে ভাসছেন বলিউড তারকারাও। শাহরুখ থেকে আনুশকা-করণরা প্রকাশ করেছেন তাদের উচ্ছ্বাস। অনিল কাপুর, করণ জোহর, ভিকি কৌশল, কারিনা কাপুর খান, আল্লু অর্জুন, সারা আলি খান, কার্তিক আরিয়ান, ভূমি পেডুনেকর, শিল্পা শেঠিসহ তারকারা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহরুখ খান সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়েস বস’-এর গানের দু-কলি শেয়ার করে লেখেন- আজ ইন্ডিয়া আর ইসরোর গোটা বিশ্বে জয়জয়কার। সব বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের অভিনন্দন। পুরো টিম আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে।

আলিয়া ভাট চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডিংয়ের ছবি শেয়ার করে লেখেন- বাকিটা ইতিহাস…।

অক্ষয় কুমার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন- কোটি কোটি ভারতবাসী ইসরোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আপনারা আমাদের গর্বিত করেছেন। ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। চাঁদের মাটিতে ভারত, ভারতের চাঁদ জয়।

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে পা রাখল ভারত। মাত্র ৫১৫ কোটি টাকা খরচে সফল হলো এই অভিযান, যা এক বিরল কীর্তি। কিভাবে এটা সম্ভব করলেন, এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ইসরো চিফ এস সোমনাথ।